সম্পাদকীয়
বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে কেউ ভূত দেখলে নিশ্চয়ই চমকে যাবেন। যদি কেউ অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল দেখেন, একইভাবে তিনিও আলবত ঘাবড়ে যাবেন। যেখানে দুটি করে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি এবং একটি ফ্রিজের বিল সাধারণত শ খানেক টাকার একটু বেশি হয়, সেখানে যদি প্রায় ১১ লাখ টাকা বিল আসে, তাহলে না চমকে উপায় আছে?
যে কেউই ভাবতে পারেন—এটা কি বিল নাকি ভূত!
সত্যিই দুটি বৈদ্যুতিক পাখা, দুটি বৈদ্যুতিক বাতি ও একটি ফ্রিজ ব্যবহারে এক মাসের বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা! তা-ও গাজীপুরের শ্রীপুরের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে। এই বিল পেয়ে তিনি ভূত দেখার মতোই চমকে উঠেছেন। কারণ, তিনি কোনো বড় কলকারখানার মালিক তো নন। এ নিয়ে বিস্তারিত জানা যায় ২৯ জুলাই প্রকাশিত আজকের পত্রিকার একটি খবর থেকে।
বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নানের স্ত্রীর নামে পল্লী বিদ্যুতের একটি সংযোগ রয়েছে। জুলাই মাসের বিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে গেলে বিদ্যুৎ বিলের এই অদ্ভুতুড়ে সংখ্যার সঙ্গে পরিচিত হয় ভুক্তভোগী পরিবারটি। অথচ এপ্রিল মাসে ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা ও জুনে ১২৬ টাকা বিল আসে ওই একই পাখা, বাতি আর ফ্রিজ ব্যবহারে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম যদিও বলেছেন, একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে এমন বিল আসা ‘ভুল’ ছাড়া আর কিছু নয়। তাই বলে এমন ‘ভুতুড়ে ভুল’? এই ‘ভুল’ কি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত—জটিল ধাঁধা বটে! মান্নানের বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ অন্য কোনোভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হলে আগের মাসগুলোতে একই রকম বিল আসত না। এটাও জানা জরুরি, বিল প্রস্তুতকারী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কি না। অবশ্য বিল সংশোধন করে বিল প্রস্তুতকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আনোয়ারুল আলম।
বাংলাদেশে অনেক ধরনের সরকারি কাজ যেখানে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে, সেখানে পল্লী বিদ্যুতের বিল কেন এখনো কোনো ব্যক্তি প্রস্তুত করে থাকেন, তা এক রহস্য। যেখানেই কোনো ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত, সেখানেই কোনো না কোনো অনৈতিক কাজ হয়। যেমন, পাসপোর্ট অফিসে ছবি তুলতে বা আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে যে লম্বা সারিতে দাঁড়াতে হয়, সেটা টপকাতে হলে অসৎ উপায়ে, অর্থের বিনিময়ে ‘দালাল’ প্রস্তুত থাকে সর্বদা! আবার ভূমি অফিসে ফাইল ঘুরাতে হলে ‘স্পিড মানি’ তো লাগেই। অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করলেও নাকি চা-পানির টাকা লাগে!
আধুনিক বিজ্ঞানের জমানায় এখন কিছু কাজ এমনভাবে স্বয়ংক্রিয় করা জরুরি, যেন কোনো ব্যক্তি দুর্নীতি করতে না পারে, এ ধরনের ‘ভুল’ তো দূরের কথা। তাহলে আর মান্নানের মতো কাউকে বিল পেয়ে ‘ভূত’ দেখার মতো চমকে উঠতে হবে না।
বলা নেই, কওয়া নেই, হঠাৎ করে কেউ ভূত দেখলে নিশ্চয়ই চমকে যাবেন। যদি কেউ অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল দেখেন, একইভাবে তিনিও আলবত ঘাবড়ে যাবেন। যেখানে দুটি করে বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি এবং একটি ফ্রিজের বিল সাধারণত শ খানেক টাকার একটু বেশি হয়, সেখানে যদি প্রায় ১১ লাখ টাকা বিল আসে, তাহলে না চমকে উপায় আছে?
যে কেউই ভাবতে পারেন—এটা কি বিল নাকি ভূত!
সত্যিই দুটি বৈদ্যুতিক পাখা, দুটি বৈদ্যুতিক বাতি ও একটি ফ্রিজ ব্যবহারে এক মাসের বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা! তা-ও গাজীপুরের শ্রীপুরের এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে। এই বিল পেয়ে তিনি ভূত দেখার মতোই চমকে উঠেছেন। কারণ, তিনি কোনো বড় কলকারখানার মালিক তো নন। এ নিয়ে বিস্তারিত জানা যায় ২৯ জুলাই প্রকাশিত আজকের পত্রিকার একটি খবর থেকে।
বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নানের স্ত্রীর নামে পল্লী বিদ্যুতের একটি সংযোগ রয়েছে। জুলাই মাসের বিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে গেলে বিদ্যুৎ বিলের এই অদ্ভুতুড়ে সংখ্যার সঙ্গে পরিচিত হয় ভুক্তভোগী পরিবারটি। অথচ এপ্রিল মাসে ১৪০ টাকা, মে মাসে ১১৫ টাকা ও জুনে ১২৬ টাকা বিল আসে ওই একই পাখা, বাতি আর ফ্রিজ ব্যবহারে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আলম যদিও বলেছেন, একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার বাড়িতে এমন বিল আসা ‘ভুল’ ছাড়া আর কিছু নয়। তাই বলে এমন ‘ভুতুড়ে ভুল’? এই ‘ভুল’ কি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত—জটিল ধাঁধা বটে! মান্নানের বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ অন্য কোনোভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হলে আগের মাসগুলোতে একই রকম বিল আসত না। এটাও জানা জরুরি, বিল প্রস্তুতকারী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কি না। অবশ্য বিল সংশোধন করে বিল প্রস্তুতকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আনোয়ারুল আলম।
বাংলাদেশে অনেক ধরনের সরকারি কাজ যেখানে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে, সেখানে পল্লী বিদ্যুতের বিল কেন এখনো কোনো ব্যক্তি প্রস্তুত করে থাকেন, তা এক রহস্য। যেখানেই কোনো ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত, সেখানেই কোনো না কোনো অনৈতিক কাজ হয়। যেমন, পাসপোর্ট অফিসে ছবি তুলতে বা আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে যে লম্বা সারিতে দাঁড়াতে হয়, সেটা টপকাতে হলে অসৎ উপায়ে, অর্থের বিনিময়ে ‘দালাল’ প্রস্তুত থাকে সর্বদা! আবার ভূমি অফিসে ফাইল ঘুরাতে হলে ‘স্পিড মানি’ তো লাগেই। অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করলেও নাকি চা-পানির টাকা লাগে!
আধুনিক বিজ্ঞানের জমানায় এখন কিছু কাজ এমনভাবে স্বয়ংক্রিয় করা জরুরি, যেন কোনো ব্যক্তি দুর্নীতি করতে না পারে, এ ধরনের ‘ভুল’ তো দূরের কথা। তাহলে আর মান্নানের মতো কাউকে বিল পেয়ে ‘ভূত’ দেখার মতো চমকে উঠতে হবে না।
‘এরা দেখি কোটি টাকার নিচে কথাই বলে না!’—পরিচিত এক ব্যবসায়ী হতাশ কণ্ঠে বললেন। বুঝলাম—রিয়াদ ইস্যুতে এমন প্রতিক্রিয়া তাঁর। রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা। এনসিপি বা সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। তাঁর ফেসবুকে সেসব নেতার সঙ্গে ছবিও দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগেইদানীং আশাহত হয়ে পড়ছি। দেশ ও দেশের জনগণ কোন পথে হাঁটছে, তা নিজের হাঁটা দেখেও বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, সবাই মিলে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধাচরণেই এক বছর সময় কাটিয়ে দিল। সেই আগের মতোই দোষারোপের সংস্কৃতি।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতি এখন এমন এক শিল্প, যেখানে গণতন্ত্রের নাটক হয় কিন্তু দর্শক ছাড়া, প্রশ্নোত্তর হয় কিন্তু উত্তর আগে ঠিক করা, আর আন্দোলন হয়...যেটা আসলে অডিশনের মতো, কে কেমন নাটক করতে পারে। এদিকে, জুলাই মাস এখন নতুন এক রাজনৈতিক ব্র্যান্ড—একে বলতেই হয়, ‘জুলাই: পকেট ভারী করো লিমিটেড’।
১০ ঘণ্টা আগেধরা পড়েছেন বলেই রিয়াদকে নিয়ে তথ্য বের হচ্ছে। ধরা না পড়লে কেউ জানতেই পারত না এই সমন্বয়কের মহিমা। এ রকম কত সমন্বয়ক কত জায়গায় চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন, সে হিসাব কি কারও কাছে আছে? বীর বিক্রমেই তো গুলশানে চাঁদা আদায় করতে গিয়েছিল রিয়াদ অ্যান্ড গং।
১০ ঘণ্টা আগে