সম্পাদকীয়
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ও শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের দোরগোড়ায়, ঠিক তখনই পাকিস্তানি বাহিনী তাদের শেষ ষড়যন্ত্র হিসেবে জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। পাকিস্তানি বাহিনীর স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের সদস্যরা নৃশংস পরিকল্পনায় শিক্ষা, সাহিত্য, চিকিৎসা এবং সাংবাদিকতার জ্যোতিষ্কদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালায়। এটি ছিল এক নির্মম রাজনৈতিক অপকৌশল, যা স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতি ও বিকাশের ধারা বাধাগ্রস্ত করার দুরভিসন্ধির অংশ। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরু ছিল যার সূচনা।
৫৩ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে আসার পরও শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষতচিহ্ন হয়েই রয়েছে। তাঁদের আত্মত্যাগ শুধু একটি দিনের স্মরণে আবদ্ধ নয়; এটি আমাদের চেতনার প্রতীক এবং মূল্যবোধের মশাল। তাই আমাদের যেকোনো প্রতিবাদ কিংবা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মিছিলে আজও উচ্চারিত হয় ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’।
একাত্তরের যুদ্ধ জয়ের পরও দেশে রাজনৈতিক উত্থান-পতন অনেক হয়েছে। তবে আমরা যে অর্জিত বিজয়কে সংহত করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারিনি, তা অস্বীকার করা যাবে না। তাই একাত্তরের হত্যাযজ্ঞের ঘাতকদের প্রভাব এখনো সমাজ ও রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায়।
একাত্তরের হত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের অনেকেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু সেই কালো অধ্যায়ের উত্তরাধিকারীরা এখনো নানা রূপে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে প্রভাব ফেলছে। এটি একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শুধু অমর্যাদাই নয়, বরং ন্যায়বিচার ও জাতির ভবিষ্যৎ পথচলার জন্যও বিপজ্জনক।
এই বাস্তবতা আমাদের সামনে গুরুতর কিছু করণীয় তুলে ধরে। ঘাতকচক্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে, যেন তারা কখনোই বিভ্রান্তির শিকার না হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে হলে আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রেই তাঁদের আদর্শকে ধারণ করতে হবে। তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তি, দেশপ্রেম ও মানবতাবোধই আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক। একাত্তরের শহীদেরা জীবনের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেটি যেন কখনোই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির দেশে রূপান্তরিত না হয়।
আমাদের দেশ আন্দোলনের দেশ, স্লোগানের দেশ। আশার দেশ, আশাভঙ্গেরও দেশ। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়—এই স্লোগান উচ্চারণের পরও ‘অন্যায়’মুক্ত হতে পারিনি আমরা এখনো।
১৪ ডিসেম্বরের স্মৃতি আমাদের কেবল
শোকই নয়, ভবিষ্যৎ গঠনের প্রেরণাও। এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, যেন কখনোই মানবিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন হতে না দিই। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ শিক্ষাকে ধারণ করে আমাদের একটি ন্যায়ভিত্তিক, প্রগতিশীল, অগ্রসর চিন্তার বাংলাদেশ গড়ার পথে দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমরা কখনো ভুলব না।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ও শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাঙালি জাতি যখন বিজয়ের দোরগোড়ায়, ঠিক তখনই পাকিস্তানি বাহিনী তাদের শেষ ষড়যন্ত্র হিসেবে জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। পাকিস্তানি বাহিনীর স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের সদস্যরা নৃশংস পরিকল্পনায় শিক্ষা, সাহিত্য, চিকিৎসা এবং সাংবাদিকতার জ্যোতিষ্কদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালায়। এটি ছিল এক নির্মম রাজনৈতিক অপকৌশল, যা স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগতি ও বিকাশের ধারা বাধাগ্রস্ত করার দুরভিসন্ধির অংশ। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরু ছিল যার সূচনা।
৫৩ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে আসার পরও শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষতচিহ্ন হয়েই রয়েছে। তাঁদের আত্মত্যাগ শুধু একটি দিনের স্মরণে আবদ্ধ নয়; এটি আমাদের চেতনার প্রতীক এবং মূল্যবোধের মশাল। তাই আমাদের যেকোনো প্রতিবাদ কিংবা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মিছিলে আজও উচ্চারিত হয় ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’।
একাত্তরের যুদ্ধ জয়ের পরও দেশে রাজনৈতিক উত্থান-পতন অনেক হয়েছে। তবে আমরা যে অর্জিত বিজয়কে সংহত করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারিনি, তা অস্বীকার করা যাবে না। তাই একাত্তরের হত্যাযজ্ঞের ঘাতকদের প্রভাব এখনো সমাজ ও রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায়।
একাত্তরের হত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের অনেকেই বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু সেই কালো অধ্যায়ের উত্তরাধিকারীরা এখনো নানা রূপে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে প্রভাব ফেলছে। এটি একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শুধু অমর্যাদাই নয়, বরং ন্যায়বিচার ও জাতির ভবিষ্যৎ পথচলার জন্যও বিপজ্জনক।
এই বাস্তবতা আমাদের সামনে গুরুতর কিছু করণীয় তুলে ধরে। ঘাতকচক্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে, যেন তারা কখনোই বিভ্রান্তির শিকার না হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে হলে আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রেই তাঁদের আদর্শকে ধারণ করতে হবে। তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তি, দেশপ্রেম ও মানবতাবোধই আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক। একাত্তরের শহীদেরা জীবনের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেটি যেন কখনোই মিথ্যা প্রতিশ্রুতির দেশে রূপান্তরিত না হয়।
আমাদের দেশ আন্দোলনের দেশ, স্লোগানের দেশ। আশার দেশ, আশাভঙ্গেরও দেশ। রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়—এই স্লোগান উচ্চারণের পরও ‘অন্যায়’মুক্ত হতে পারিনি আমরা এখনো।
১৪ ডিসেম্বরের স্মৃতি আমাদের কেবল
শোকই নয়, ভবিষ্যৎ গঠনের প্রেরণাও। এই দিনে আমাদের শপথ নিতে হবে, যেন কখনোই মানবিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন হতে না দিই। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ শিক্ষাকে ধারণ করে আমাদের একটি ন্যায়ভিত্তিক, প্রগতিশীল, অগ্রসর চিন্তার বাংলাদেশ গড়ার পথে দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমরা কখনো ভুলব না।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
১ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১ দিন আগে