সম্পাদকীয়
একটি সুন্দর নগরজীবন সবারই প্রত্যাশা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সাজানো-গোছানো পরিবেশ, যানজট-জলজট, হকার ও বাজারমুক্ত ফুটপাত–এসবই নগরবাসীর মূল চাওয়া। আর তাঁদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত হলো ছিনতাই, চুরি, সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন জীবনযাপন। দুর্ভাগ্য হলো, রাজধানী ঢাকার নাগরিকদের এসব বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধেই এসব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে।
গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র জানিয়েছেন, যানজট কমাতে গুলশান-বারিধারা অভিজাত এলাকায় গাড়ি ঢুকলেই কর আরোপ করা হবে। যদিও এটা তিনি নিশ্চিত করেননি যে এসব এলাকায় বাইরে থেকে যারা ঢুকবে শুধু তাদের ওপর কর বসবে, নাকি এসব এলাকার বাসিন্দাদেরও একই রকম কর দিতে হবে। ধরে নেওয়া যায় তিনি বাইরের গাড়িকেই বুঝিয়েছেন। এটা করতে গেলে দেশের প্রচলিত আইনের কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হবে কি না, এটা অবশ্য পরবর্তী সময়ে পর্যালোচনার বি সষয়।
কর বসানো সহজ, কিন্তু নাগরিক সেবার মান বাড়ানো কঠিন। তিনি বিদেশের উদাহরণ দিয়েছেন। বিদেশের নাগরিক সেবার মান কতটা উঁচুতে তা তিনি উল্লেখ করেননি। সেখানের মেয়ররা নাগরিক জীবন কতটা সুন্দর, গোছানো, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ রেখেছেন, নিশ্চয় সেটাও তিনি জানেন। অভিজাত এলাকার নাগরিকদের নগরজীবন সুন্দর করতে সেখানে বাইরের গাড়িতে কর বসাবেন, তাহলে অভিজাত এলাকার বাইরের নাগরিকেরা যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে জীবন বিসর্জন দেবেন? যাঁরা অভিজাত এলাকায় থাকেন না, তাঁরা কি নাগরিক সেবা বা মেয়রের আনুকূল্য পেতে পারেন না?
যাঁরা ব্যক্তিগত গাড়িতে চলতে পারেন, তাঁরা নিশ্চয়ই কর দিয়েও এসব এলাকায় যেতে পারবেন। তখন কি যানজট কমে যাবে? আর যদি কর বসাতেই হয়, অভিজাত এলাকার বাসিন্দা, যাঁদের একাধিক গাড়ি আছে, তাঁদের ওপর কর বসাতে পারেন অথবা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাঁদের একাধিক গাড়ি বের করার ওপর বিধিনিষেধ দিতে পারেন।
তার মানে অভিজাত এলাকায় শুধু যানজটের জন্য কর বসানোর চেয়ে বরং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি। ফুটপাত হকারমুক্ত করার কথা বলেছেন। এটা ভালো কথা। অবৈধ দখলমুক্ত করবেন, সেটাও ভালো কথা।
যানজটের কারণগুলো খুঁজে বের করে, ওই সব কারণ সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আর যত্রতত্র, ইচ্ছেমতো ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে বাস, ট্রাক, রিকশা-ভ্যান সব গাড়িই পার্কিং করা হয়। এ বিষয়ে অনেক বলার পরও শৃঙ্খলা আসেনি। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নগরবাসীর জন্য সুন্দর শহর গড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে নাগরিকের সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক পুলিশ সবারই এখানে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কর আরোপের মতো সহজ উদ্যোগ গ্রহণ করা কতটা বাস্তবসম্মত, প্রয়োজনে তা আরও ভাবুন, এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিন।
একটি সুন্দর নগরজীবন সবারই প্রত্যাশা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সাজানো-গোছানো পরিবেশ, যানজট-জলজট, হকার ও বাজারমুক্ত ফুটপাত–এসবই নগরবাসীর মূল চাওয়া। আর তাঁদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত হলো ছিনতাই, চুরি, সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন জীবনযাপন। দুর্ভাগ্য হলো, রাজধানী ঢাকার নাগরিকদের এসব বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধেই এসব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে।
গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র জানিয়েছেন, যানজট কমাতে গুলশান-বারিধারা অভিজাত এলাকায় গাড়ি ঢুকলেই কর আরোপ করা হবে। যদিও এটা তিনি নিশ্চিত করেননি যে এসব এলাকায় বাইরে থেকে যারা ঢুকবে শুধু তাদের ওপর কর বসবে, নাকি এসব এলাকার বাসিন্দাদেরও একই রকম কর দিতে হবে। ধরে নেওয়া যায় তিনি বাইরের গাড়িকেই বুঝিয়েছেন। এটা করতে গেলে দেশের প্রচলিত আইনের কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হবে কি না, এটা অবশ্য পরবর্তী সময়ে পর্যালোচনার বি সষয়।
কর বসানো সহজ, কিন্তু নাগরিক সেবার মান বাড়ানো কঠিন। তিনি বিদেশের উদাহরণ দিয়েছেন। বিদেশের নাগরিক সেবার মান কতটা উঁচুতে তা তিনি উল্লেখ করেননি। সেখানের মেয়ররা নাগরিক জীবন কতটা সুন্দর, গোছানো, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ রেখেছেন, নিশ্চয় সেটাও তিনি জানেন। অভিজাত এলাকার নাগরিকদের নগরজীবন সুন্দর করতে সেখানে বাইরের গাড়িতে কর বসাবেন, তাহলে অভিজাত এলাকার বাইরের নাগরিকেরা যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে জীবন বিসর্জন দেবেন? যাঁরা অভিজাত এলাকায় থাকেন না, তাঁরা কি নাগরিক সেবা বা মেয়রের আনুকূল্য পেতে পারেন না?
যাঁরা ব্যক্তিগত গাড়িতে চলতে পারেন, তাঁরা নিশ্চয়ই কর দিয়েও এসব এলাকায় যেতে পারবেন। তখন কি যানজট কমে যাবে? আর যদি কর বসাতেই হয়, অভিজাত এলাকার বাসিন্দা, যাঁদের একাধিক গাড়ি আছে, তাঁদের ওপর কর বসাতে পারেন অথবা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাঁদের একাধিক গাড়ি বের করার ওপর বিধিনিষেধ দিতে পারেন।
তার মানে অভিজাত এলাকায় শুধু যানজটের জন্য কর বসানোর চেয়ে বরং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি। ফুটপাত হকারমুক্ত করার কথা বলেছেন। এটা ভালো কথা। অবৈধ দখলমুক্ত করবেন, সেটাও ভালো কথা।
যানজটের কারণগুলো খুঁজে বের করে, ওই সব কারণ সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। আর যত্রতত্র, ইচ্ছেমতো ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে বাস, ট্রাক, রিকশা-ভ্যান সব গাড়িই পার্কিং করা হয়। এ বিষয়ে অনেক বলার পরও শৃঙ্খলা আসেনি। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নগরবাসীর জন্য সুন্দর শহর গড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে নাগরিকের সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক পুলিশ সবারই এখানে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কর আরোপের মতো সহজ উদ্যোগ গ্রহণ করা কতটা বাস্তবসম্মত, প্রয়োজনে তা আরও ভাবুন, এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
৫ ঘণ্টা আগেআজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে