সম্পাদকীয়
মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে জীবনযাত্রায় তার প্রভাব পড়ে। এর সঙ্গে রুচি ও আভিজাত্যেও পরিবর্তন আসে। এক যুগের বেশি সময়ে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে বেশ আগেই। সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে মানুষের আয়ে, কর্মসংস্থানে। বলা যায়, দেশের অর্থনীতিতে একটা রূপান্তর চলছে। রূপান্তরপর্বের এ পর্যায়ে অচল পড়ে থাকা দেশের কয়েকটি বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। কারণ, কাজের প্রয়োজনেই দেশের ভেতরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পাবনার ঈশ্বরদী, কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও, মৌলভীবাজারের শমশেরনগর, বগুড়া ও লালমনিরহাটে ছয়টি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। পরে কয়েকটি বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলেও যাত্রীসংকটে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বাস্তবতায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন সময়কে মূল্য দিচ্ছেন। সড়কপথে যানজটের কারণে জরুরি কাজে তাঁরা এখন বিমানে চলাচল বাড়িয়ে দিয়েছেন। বেশিসংখ্যক মানুষের বিমানে চড়ার সক্ষমতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিযোগিতার কারণে সড়ক আর বিমানপথে খরচের দিক থেকেও তুলনামূলক সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে একসময় যাত্রীসংকটে বিমান চলাচল বন্ধ হলেও এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। সচল বিমানবন্দরগুলোর দিকে তাকালেই বিষয়টি বোঝা যায়।
আর অচল পড়ে থাকা বিমানবন্দরগুলোর প্রায় সবগুলোই ভৌগোলিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মৌলভীবাজারের শমশেরনগর আশপাশের প্রবাসী-অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে যাত্রীর সংকট হওয়ার কথা নয়। পর্যটনের দিক থেকেও এ অঞ্চল বেশ আকর্ষণীয়। কুমিল্লা বিমানবন্দরটিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দিন থেকেই এটি চালুর ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও লালমনিরহাটের বিমানবন্দরগুলোও এখন কাজে লাগানোর সময় হয়েছে। কারণ, এসব অঞ্চলে নানান রকম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটছে। মানুষেরও সময় বাঁচানোর তাগিদে বিমানে চড়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অচল পড়ে থাকা প্রায় সবগুলো বিমানবন্দরই অবকাঠামোগত দিক থেকে প্রায় তৈরি আছে। সামান্য কিছু উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক কাজ করলেই এগুলো চালু করা সম্ভব বলে জানা যায়। ফলে সরকার এখন পুরো বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করে এসব বিমানবন্দর কীভাবে চালু করা যায়, তা ভাবতে পারে। এতে সাধারণ মানুষ, প্রবাসী, মুমূর্ষু রোগী, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের যেমন লাভ হবে; তাঁদের সময়ের অপচয় রোধ হবে, এয়ারলাইনসগুলোর বিনিয়োগ বাড়বে, তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, মানুষের কর্মসংস্থান হবে, পর্যটন ও ব্যবসার প্রসার ঘটবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সরকারও এ থেকে রাজস্ব পাবে।
মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে জীবনযাত্রায় তার প্রভাব পড়ে। এর সঙ্গে রুচি ও আভিজাত্যেও পরিবর্তন আসে। এক যুগের বেশি সময়ে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের গড় মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে বেশ আগেই। সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে মানুষের আয়ে, কর্মসংস্থানে। বলা যায়, দেশের অর্থনীতিতে একটা রূপান্তর চলছে। রূপান্তরপর্বের এ পর্যায়ে অচল পড়ে থাকা দেশের কয়েকটি বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। কারণ, কাজের প্রয়োজনেই দেশের ভেতরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পাবনার ঈশ্বরদী, কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও, মৌলভীবাজারের শমশেরনগর, বগুড়া ও লালমনিরহাটে ছয়টি বিমানবন্দর নির্মাণ করা হয়। পরে কয়েকটি বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলেও যাত্রীসংকটে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বাস্তবতায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন সময়কে মূল্য দিচ্ছেন। সড়কপথে যানজটের কারণে জরুরি কাজে তাঁরা এখন বিমানে চলাচল বাড়িয়ে দিয়েছেন। বেশিসংখ্যক মানুষের বিমানে চড়ার সক্ষমতা যেমন বেড়েছে, তেমনি বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিযোগিতার কারণে সড়ক আর বিমানপথে খরচের দিক থেকেও তুলনামূলক সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে একসময় যাত্রীসংকটে বিমান চলাচল বন্ধ হলেও এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। সচল বিমানবন্দরগুলোর দিকে তাকালেই বিষয়টি বোঝা যায়।
আর অচল পড়ে থাকা বিমানবন্দরগুলোর প্রায় সবগুলোই ভৌগোলিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মৌলভীবাজারের শমশেরনগর আশপাশের প্রবাসী-অধ্যুষিত হওয়ায় এখানে যাত্রীর সংকট হওয়ার কথা নয়। পর্যটনের দিক থেকেও এ অঞ্চল বেশ আকর্ষণীয়। কুমিল্লা বিমানবন্দরটিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দিন থেকেই এটি চালুর ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও লালমনিরহাটের বিমানবন্দরগুলোও এখন কাজে লাগানোর সময় হয়েছে। কারণ, এসব অঞ্চলে নানান রকম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটছে। মানুষেরও সময় বাঁচানোর তাগিদে বিমানে চড়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অচল পড়ে থাকা প্রায় সবগুলো বিমানবন্দরই অবকাঠামোগত দিক থেকে প্রায় তৈরি আছে। সামান্য কিছু উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক কাজ করলেই এগুলো চালু করা সম্ভব বলে জানা যায়। ফলে সরকার এখন পুরো বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করে এসব বিমানবন্দর কীভাবে চালু করা যায়, তা ভাবতে পারে। এতে সাধারণ মানুষ, প্রবাসী, মুমূর্ষু রোগী, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের যেমন লাভ হবে; তাঁদের সময়ের অপচয় রোধ হবে, এয়ারলাইনসগুলোর বিনিয়োগ বাড়বে, তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, মানুষের কর্মসংস্থান হবে, পর্যটন ও ব্যবসার প্রসার ঘটবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সরকারও এ থেকে রাজস্ব পাবে।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১১ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১১ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১২ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
১ দিন আগে