সম্পাদকীয়
দেড় বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পৃথিবীর স্বাভাবিকতাকে ব্যাহত করে চলছে। মানুষের ইতিহাসে মহামারি নতুন কোনো ঘটনা নয়। শরীর থাকলে রোগব্যাধিও থাকবে। আবার রোগব্যাধি থেকে মুক্তির উপায়ও মানুষই আবিষ্কার করে। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বিজয়ী হওয়াই মানুষের বৈশিষ্ট্য।
প্রাণিজগতে অন্য সব প্রাণী ক্রমহ্রাসমান কিন্তু মানুষ ক্রমবর্ধমান। এবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা, মেধা, সৃজনশীলতা, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা কাজে লাগিয়ে স্বল্পতম সময়ে টিকা আবিষ্কার করেছে। আগের একাধিক মহামারি যেমন শেষ হয়েছে, এবারও করোনাকাল শেষ হবে। জীবন ও জীবিকা নিয়ে মানুষের অনিশ্চয়তা, হতাশাও চিরস্থায়ী হবে না।
মানুষের জীবন যদি বাধাহীন হতো তাহলে হয়তো সবকিছু একঘেয়ে বা নিরানন্দ হতো। রোগ-শোক, বাধাবিপত্তি আছে বলেই তো জীবন-সংগ্রাম ছকবাঁধা পথে না এগিয়ে এঁকেবেঁকে চলে।
হয়তো তাই করোনা শেষ না হতেই এসেছে ডেঙ্গু। এরপর হয়তো আরও কিছু আসবে। এর বাইরেও মানুষের শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে, কুরে কুরে জীবনীশক্তি নিঃশেষ করে দেয়। চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়, অনেকেই হয় না।
বাংলাদেশে শরীরের ব্যাধির সঙ্গে আরেকটি ব্যাধি যোগ হয়েছে—তার নাম অনিয়মের ব্যাধি, দুর্নীতির ব্যাধি। শারীরিক ব্যাধি নিরাময়ের জন্য ওষুধ, চিকিৎসাব্যবস্থা আছে। কিন্তু দুর্নীতি-অনিয়মের ব্যাধি সারানোর জন্য কার্যকর ওষুধ বা চিকিৎসাব্যবস্থা আবিষ্কার না হওয়ায় এই ব্যাধি এখন যেন কিছুটা নিরাময় অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতির খবর মাঝে মাঝেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রতিকারের খবর আর জানা যায় না। আগে বলা হতো পুকুরচুরি, এখন বলা হয় সাগরচুরি; অর্থাৎ চুরির প্রকৃতি ও মাত্রা কেবলই বাড়ছে বা বড় হচ্ছে। দেশে নানা ধরনের উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম-অপচয়ও বাড়ছে। এসব বন্ধ করা গেলে উন্নয়ন আরও বেশি দৃশ্যমান ও টেকসই হতো বলে মনে করা হয়।
করোনাকালে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীনতার যেসব চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। গত বছরের ১৪ মে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর দেড় মাস পর ২৯ আগস্ট ১ হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েও এখন পর্যন্ত নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হয়নি। লিখিত ও মৌখিক সব ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গেলেও এত দিনেও নিয়োগদান সম্পন্ন হলো না কেন?
আজকের পত্রিকায় ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় এ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কী গোপন তথ্য উদ্ধার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাদেরই-বা কী হয়েছে, তা আর কারও পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।
কয়েকজন মানুষের দুর্নীতির কারণে অসংখ্য মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া, কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ই যদি নিরাময় অযোগ্য দুর্নীতির ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে এই রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব আসলে কার ওপর বর্তাবে?
দেড় বছর ধরে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পৃথিবীর স্বাভাবিকতাকে ব্যাহত করে চলছে। মানুষের ইতিহাসে মহামারি নতুন কোনো ঘটনা নয়। শরীর থাকলে রোগব্যাধিও থাকবে। আবার রোগব্যাধি থেকে মুক্তির উপায়ও মানুষই আবিষ্কার করে। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বিজয়ী হওয়াই মানুষের বৈশিষ্ট্য।
প্রাণিজগতে অন্য সব প্রাণী ক্রমহ্রাসমান কিন্তু মানুষ ক্রমবর্ধমান। এবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা, মেধা, সৃজনশীলতা, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা কাজে লাগিয়ে স্বল্পতম সময়ে টিকা আবিষ্কার করেছে। আগের একাধিক মহামারি যেমন শেষ হয়েছে, এবারও করোনাকাল শেষ হবে। জীবন ও জীবিকা নিয়ে মানুষের অনিশ্চয়তা, হতাশাও চিরস্থায়ী হবে না।
মানুষের জীবন যদি বাধাহীন হতো তাহলে হয়তো সবকিছু একঘেয়ে বা নিরানন্দ হতো। রোগ-শোক, বাধাবিপত্তি আছে বলেই তো জীবন-সংগ্রাম ছকবাঁধা পথে না এগিয়ে এঁকেবেঁকে চলে।
হয়তো তাই করোনা শেষ না হতেই এসেছে ডেঙ্গু। এরপর হয়তো আরও কিছু আসবে। এর বাইরেও মানুষের শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে, কুরে কুরে জীবনীশক্তি নিঃশেষ করে দেয়। চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ হয়, অনেকেই হয় না।
বাংলাদেশে শরীরের ব্যাধির সঙ্গে আরেকটি ব্যাধি যোগ হয়েছে—তার নাম অনিয়মের ব্যাধি, দুর্নীতির ব্যাধি। শারীরিক ব্যাধি নিরাময়ের জন্য ওষুধ, চিকিৎসাব্যবস্থা আছে। কিন্তু দুর্নীতি-অনিয়মের ব্যাধি সারানোর জন্য কার্যকর ওষুধ বা চিকিৎসাব্যবস্থা আবিষ্কার না হওয়ায় এই ব্যাধি এখন যেন কিছুটা নিরাময় অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার অনিয়ম-দুর্নীতির খবর মাঝে মাঝেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রতিকারের খবর আর জানা যায় না। আগে বলা হতো পুকুরচুরি, এখন বলা হয় সাগরচুরি; অর্থাৎ চুরির প্রকৃতি ও মাত্রা কেবলই বাড়ছে বা বড় হচ্ছে। দেশে নানা ধরনের উন্নয়নকাজ হচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম-অপচয়ও বাড়ছে। এসব বন্ধ করা গেলে উন্নয়ন আরও বেশি দৃশ্যমান ও টেকসই হতো বলে মনে করা হয়।
করোনাকালে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীনতার যেসব চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। গত বছরের ১৪ মে জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর দেড় মাস পর ২৯ আগস্ট ১ হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েও এখন পর্যন্ত নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হয়নি। লিখিত ও মৌখিক সব ধরনের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গেলেও এত দিনেও নিয়োগদান সম্পন্ন হলো না কেন?
আজকের পত্রিকায় ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় এ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কী গোপন তথ্য উদ্ধার করেছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাদেরই-বা কী হয়েছে, তা আর কারও পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি।
কয়েকজন মানুষের দুর্নীতির কারণে অসংখ্য মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া, কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ই যদি নিরাময় অযোগ্য দুর্নীতির ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে এই রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব আসলে কার ওপর বর্তাবে?
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১৮ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১৮ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১৮ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
২ দিন আগে