সম্পাদকীয়
এ এক অস্বস্তিকর ঘটনা! মঞ্চে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটির সঙ্গে নাচ হচ্ছিল। তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে পড়লেন উপস্থিত অতিথিরা। এ কোন দুনিয়ায় এসে পড়ল দেশ! মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গান সাহসজোগাত দেশের আপামর মানুষের মনে, সেই গান শুনে ক্রুদ্ধ হলেন সরকারি কর্মকর্তারা! এর মধ্যে জেলা প্রশাসকও রয়েছেন! এ ঘটনাকে কী নামে আখ্যায়িত করা যায়?
এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীর সোনাগাজীতে, ২৬ এপ্রিলে। উপজেলা স্কাউটসের তিন দিনব্যপী সমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করে। তাতেই চটে যান অভ্যাগতরা।
তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করা নিষিদ্ধ হয়েছে? ‘জয় বাংলা’ শব্দ দুটিতেই কি এই অভ্যাগতদের আপত্তি। প্রশ্ন ওঠে, কেন এই আপত্তি? দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতির সত্যকে এরা কী কারণে এড়িয়ে যেতে চান? বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকে সংহত করেছে জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান তো কোনো দলীয় সম্পত্তি নয়। ২০২৫ সালে যাঁরা তরুণ, তাঁদের ৯০ শতাংশের বেশি অভিভাবক ১৯৭১ সালে জয় বাংলা স্লোগানের দ্বারাই উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন। ইতিহাসের কাছে ফিরে গেলে ইতিহাস এই সাক্ষ্যই দেবে।
আর গান? স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত এই অসাধারণ গানটি কেন সহ্য করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন? মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোর প্রতিই কি বিদ্বিষ্ট হয়ে আছে প্রশাসন? এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান কী?
বিগত সরকারের দোষত্রুটির বিচার করতে গিয়ে যাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করতে চাইছেন, তাঁরা আর যা-ই হোক, দেশপ্রেমী নন। এই বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস তাঁরা পরিবর্তন করে কল্পিত বয়ান তৈরি করতে চান। দেশবাসীকে এই অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান নামের উদ্ভট রাষ্ট্রটি যখন গঠিত হয়, তখন তা লাহোর প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে ভারতবর্ষের দুই পাশে দুটি রাষ্ট্রের প্রশ্নটিকে অগ্রাহ্য করা হয়। ফলে হাজার মাইলের ব্যবধানে এক দেশের যে দুটি অংশ তৈরি হয়, তা রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারত না। সে ঘটনাটাই ঘটেছে ১৯৭১ সালে। আর তা ঘটার সময় যে শব্দগুলো বাঙালিকে, এই বাংলার অধিবাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছে, তার মধ্যে ‘জয় বাংলা’ সবচেয়ে অন্তর্ভেদী। বর্তমানে কেউ কেউ সেই স্বাধীনতাসংগ্রামকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শঙ্কার বিষয় হলো, একুশের গান বা মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশনের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না, তা জানা যায় না। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে প্রচারমাধ্যমে কিংবা সরকারি অনুষ্ঠানে এই দিবসগুলোর স্মরণে রচিত গানগুলো কি প্রচারিত হয়েছে? না হলে কেন হয়নি? গানগুলোর সঙ্গে আমাদের ইতিহাসের শিকড়ের সম্পর্ক। চাইলেই কি তা উৎপাটন করা সম্ভব?
যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের গান শুনে ক্ষুব্ধ হন, তাঁদের আত্মজিজ্ঞাসার সম্মুখীন হওয়া প্রয়োজন। সরকারিভাবেও এই বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসা প্রয়োজন। নইলে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
এ এক অস্বস্তিকর ঘটনা! মঞ্চে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটির সঙ্গে নাচ হচ্ছিল। তাতে ক্রুদ্ধ হয়ে পড়লেন উপস্থিত অতিথিরা। এ কোন দুনিয়ায় এসে পড়ল দেশ! মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গান সাহসজোগাত দেশের আপামর মানুষের মনে, সেই গান শুনে ক্রুদ্ধ হলেন সরকারি কর্মকর্তারা! এর মধ্যে জেলা প্রশাসকও রয়েছেন! এ ঘটনাকে কী নামে আখ্যায়িত করা যায়?
এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে ফেনীর সোনাগাজীতে, ২৬ এপ্রিলে। উপজেলা স্কাউটসের তিন দিনব্যপী সমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করে। তাতেই চটে যান অভ্যাগতরা।
তাহলে কি মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করা নিষিদ্ধ হয়েছে? ‘জয় বাংলা’ শব্দ দুটিতেই কি এই অভ্যাগতদের আপত্তি। প্রশ্ন ওঠে, কেন এই আপত্তি? দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতির সত্যকে এরা কী কারণে এড়িয়ে যেতে চান? বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকে সংহত করেছে জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান তো কোনো দলীয় সম্পত্তি নয়। ২০২৫ সালে যাঁরা তরুণ, তাঁদের ৯০ শতাংশের বেশি অভিভাবক ১৯৭১ সালে জয় বাংলা স্লোগানের দ্বারাই উদ্দীপ্ত হয়েছিলেন। ইতিহাসের কাছে ফিরে গেলে ইতিহাস এই সাক্ষ্যই দেবে।
আর গান? স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত এই অসাধারণ গানটি কেন সহ্য করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন? মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোর প্রতিই কি বিদ্বিষ্ট হয়ে আছে প্রশাসন? এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান কী?
বিগত সরকারের দোষত্রুটির বিচার করতে গিয়ে যাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করতে চাইছেন, তাঁরা আর যা-ই হোক, দেশপ্রেমী নন। এই বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস তাঁরা পরিবর্তন করে কল্পিত বয়ান তৈরি করতে চান। দেশবাসীকে এই অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান নামের উদ্ভট রাষ্ট্রটি যখন গঠিত হয়, তখন তা লাহোর প্রস্তাবকে পাশ কাটিয়ে ভারতবর্ষের দুই পাশে দুটি রাষ্ট্রের প্রশ্নটিকে অগ্রাহ্য করা হয়। ফলে হাজার মাইলের ব্যবধানে এক দেশের যে দুটি অংশ তৈরি হয়, তা রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারত না। সে ঘটনাটাই ঘটেছে ১৯৭১ সালে। আর তা ঘটার সময় যে শব্দগুলো বাঙালিকে, এই বাংলার অধিবাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছে, তার মধ্যে ‘জয় বাংলা’ সবচেয়ে অন্তর্ভেদী। বর্তমানে কেউ কেউ সেই স্বাধীনতাসংগ্রামকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শঙ্কার বিষয় হলো, একুশের গান বা মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশনের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না, তা জানা যায় না। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে প্রচারমাধ্যমে কিংবা সরকারি অনুষ্ঠানে এই দিবসগুলোর স্মরণে রচিত গানগুলো কি প্রচারিত হয়েছে? না হলে কেন হয়নি? গানগুলোর সঙ্গে আমাদের ইতিহাসের শিকড়ের সম্পর্ক। চাইলেই কি তা উৎপাটন করা সম্ভব?
যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের গান শুনে ক্ষুব্ধ হন, তাঁদের আত্মজিজ্ঞাসার সম্মুখীন হওয়া প্রয়োজন। সরকারিভাবেও এই বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসা প্রয়োজন। নইলে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এখন বিশ্বের প্রতিটি দেশকেই ভাবিয়ে তুলছে—বাড়ছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, আশঙ্কা। আমাদের দেশেও এই সংঘাতের প্রভাব যে পড়বে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
৭ মিনিট আগেবাংলাদেশে আর যা কিছুরই অভাব থাক না কেন রাজনৈতিক দলের কোনো অভাব নেই। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে শতাধিক রাজনৈতিক দল আছে। সব দলের নাম যেমন সবার জানা নেই, তেমনি সব দলের নেতাদের নামও বেশির ভাগ মানুষের কাছে অজানা। ছোট দেশ, কিন্তু মানুষের সংখ্যা অনেক। সব মানুষ আবার এক চিন্তার নয়। তাই ১৭-১৮ কোটি মানুষের...
১ দিন আগে২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেওয়া এক সাক্ষ্যে তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে বিজয় অর্জন এবং ইরাক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র পৌঁছাতে না দেওয়ার জন্য ইরাকে আক্রমণ চালানো জরুরি। তিনি আরও দাবি করেন...
১ দিন আগেএই দৃশ্য কল্পনা করুন—একজন বয়স্ক মানুষ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি একসময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, যিনি সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন দেশ ও জনগণের সেবায়—আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে। তাঁর চোখে অপমান, তাঁর শরীরে আতঙ্ক, আর চারপাশে রক্তচক্ষু নিক্ষেপকারী জনতা...
১ দিন আগে