সম্পাদকীয়
আকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত ও সার্ভিস চার্জের নামে প্রায় ৫০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ হবে—এই প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু চাঁদাবাজি আগের মতোই আছে বরং এখন নতুন নতুন চাঁদাবাজের আবির্ভাব ঘটেছে। পটপরিবর্তনের পর জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আবার তাদের পুরোনো ব্যবসায় নেমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুবই শঙ্কা নিয়ে বলতে হচ্ছে, আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। জাতির ইতিহাস বিকৃত করা হলে সে জাতি তার অসুস্থতা নিয়ে কত দূর এগিয়ে যেতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। এ রকম একটি রাজনৈতিক-সামাজিক সংকটের মুখে ছোটখাটো সমস্যাগুলো সব সময় উঠে আসছে না। সন্ত্রাসীরা শুধু মার্কেট দখল করছে, এটাই তো একমাত্র বাস্তবতা নয়। নানা জায়গাতেই সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি হরদম চলছে।
সন্ত্রাসীরাই যদি মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাদের যদি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক থেকে থাকে, তাহলে কোনো ধরনের ব্যাপক পরিবর্তন এই বিদ্যমান সমাজে সম্ভব নয়। এ রকম এক বাস্তব অবস্থায় নানা ধরনের সংস্কারের কথা বলে আদতে কোনো ফল পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাবে। সংকট নিরসনের অঙ্গীকার বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে যে রকম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া দরকার, তার আলামত কি কোথাও দেখা যাচ্ছে?
সবাইকে বুঝতে হবে, আমরা ভয়াবহ এক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ রকম পরিস্থিতিতে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পুরো জাতিকে ভুগতে হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে দ্রুত ক্ষমতা তুলে দিলেই শুধু এই সংকট কাটবে না। বরং যেসব কারণে এই সংকটগুলো সৃষ্টি হয় এবং যেসব কারণে এই শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা দেওয়ার মতো সাহস সঞ্চয় করতে পারে, সেসব কিছুই চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। ‘নির্মূল’ শব্দটা ব্যবহার করা খুব সহজ কিন্তু অরাজকতার শিকড় এত গভীরে রয়েছে যে সে শিকড় উপড়ে ফেলা সহজ কাজ নয়। ক্ষমতা বদলের পর লুটপাটতন্ত্রের মালিকানা বদল হওয়ার এই চিরাচরিত পথ আর কত দিন জনগণকে ভোগাবে, অবস্থাদৃষ্টে তা অনুমান করা কঠিন। পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে ‘যেই লাউ সেই কদু’ অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, এই বাস্তবতাই সবচেয়ে বেশি শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।
আকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত ও সার্ভিস চার্জের নামে প্রায় ৫০ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ হবে—এই প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু চাঁদাবাজি আগের মতোই আছে বরং এখন নতুন নতুন চাঁদাবাজের আবির্ভাব ঘটেছে। পটপরিবর্তনের পর জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আবার তাদের পুরোনো ব্যবসায় নেমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুবই শঙ্কা নিয়ে বলতে হচ্ছে, আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। জাতির ইতিহাস বিকৃত করা হলে সে জাতি তার অসুস্থতা নিয়ে কত দূর এগিয়ে যেতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়। এ রকম একটি রাজনৈতিক-সামাজিক সংকটের মুখে ছোটখাটো সমস্যাগুলো সব সময় উঠে আসছে না। সন্ত্রাসীরা শুধু মার্কেট দখল করছে, এটাই তো একমাত্র বাস্তবতা নয়। নানা জায়গাতেই সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি হরদম চলছে।
সন্ত্রাসীরাই যদি মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাদের যদি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক থেকে থাকে, তাহলে কোনো ধরনের ব্যাপক পরিবর্তন এই বিদ্যমান সমাজে সম্ভব নয়। এ রকম এক বাস্তব অবস্থায় নানা ধরনের সংস্কারের কথা বলে আদতে কোনো ফল পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাবে। সংকট নিরসনের অঙ্গীকার বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে যে রকম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া দরকার, তার আলামত কি কোথাও দেখা যাচ্ছে?
সবাইকে বুঝতে হবে, আমরা ভয়াবহ এক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ রকম পরিস্থিতিতে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পুরো জাতিকে ভুগতে হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে দ্রুত ক্ষমতা তুলে দিলেই শুধু এই সংকট কাটবে না। বরং যেসব কারণে এই সংকটগুলো সৃষ্টি হয় এবং যেসব কারণে এই শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাধা দেওয়ার মতো সাহস সঞ্চয় করতে পারে, সেসব কিছুই চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে। ‘নির্মূল’ শব্দটা ব্যবহার করা খুব সহজ কিন্তু অরাজকতার শিকড় এত গভীরে রয়েছে যে সে শিকড় উপড়ে ফেলা সহজ কাজ নয়। ক্ষমতা বদলের পর লুটপাটতন্ত্রের মালিকানা বদল হওয়ার এই চিরাচরিত পথ আর কত দিন জনগণকে ভোগাবে, অবস্থাদৃষ্টে তা অনুমান করা কঠিন। পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়ে ‘যেই লাউ সেই কদু’ অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, এই বাস্তবতাই সবচেয়ে বেশি শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।
২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
৩ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা বুঝি ট্রায়াল অ্যান্ড এররের ভিত্তিতে চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এমনকি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও নানা ধরনের পরীক্ষামূলক তত্ত্ব দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে নতুন কিছু একটা বলা হয় বা চালু করা হয়। তারপর দেখা হয়—কতটা বিতর্ক হয় সেটা নিয়ে।
৮ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া ও অস্থায়ী আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রত্যাশিত দাবির বাস্তবায়ন না দেখে আবারও...
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ যখন সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী তখন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশে তার ভূমিকা কার্যত পরিত্যাগ করে সে ক্ষেত্রে ঢাকা চীনের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে এবং তাহলে বেইজিং নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে আরও বেশি অর্থায়ন ও ঋণ দেবে।
২০ ঘণ্টা আগে