সম্পাদকীয়
এত দিন যা অবৈধ, অন্যায় আর নীতিবিরুদ্ধ বলে জানা ছিল, আজ যদি জানা যায় তা বৈধ, তাহলে কেমন হবে? এমনই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে! হ্যাঁ, বিস্ময়কর নয়; সত্য। সরকার কোচিং সেন্টার স্থাপন এবং নোট ও গাইড বইয়ের আদলে সহায়ক পুস্তক প্রকাশের সুযোগকে আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে বৈধতা দিতে যাচ্ছে। এ-সংক্রান্ত শিক্ষা আইনের খসড়া মোটামুটি চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনুমোদনের জন্য শিগগিরই তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হবে।
এ খবর দিয়েছে আজকের পত্রিকা। তাতে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক পুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে পাঠদানের উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা এই আইনের অধীনে নিষিদ্ধ হবে না। সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে হবে।
বছরের পর বছর ধরে যা নিষিদ্ধ ছিল, যা বন্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গলদঘর্ম ছিল, গাইড ও নোট বই বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল সবাই; এখন এগুলোকে আইন করে বৈধতা দেওয়া হবে। বিষয়টি হতাশাজনক। এটা কার স্বার্থে, কার পরামর্শে করা হচ্ছে? তাহলে এত দিন যে আন্দোলন, এর বিরুদ্ধে অবস্থান—সব ভুল ছিল?
বিশেষজ্ঞরাও এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁরাও মনে করেন, আইনে কোচিং সেন্টার স্থাপনের সুযোগ রাখা ঠিক হবে না; বরং তা নিষিদ্ধ করা উচিত। তাঁদের মতে, এসব বিষয়কে আইনি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা নষ্ট হবে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে আর কোনো এক্সপেরিমেন্ট বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ঠিক হবে না। এত দিন যে বিষয়কে খারাপ বলা হলো তাকে আবারও আইন করে ভালো বলা হলে শিক্ষার্থীরা কী বার্তা পাবে? একটা খারাপ জিনিসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার এ হঠকারী সিদ্ধান্ত যার মাথা থেকেই আসুক, এটি যে শিক্ষার গুণগত মানে ছুরি চালানোর শামিল, তা হয়তো সময়েই বোঝা যাবে।
আমরা মনে করি, কোচিং সেন্টারের আইডিয়াটাই ভুল। আইন করে গাইড ও নোট বই প্রকাশ এবং কোচিং সেন্টারের বৈধতা দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়; বরং ক্লাসেই যাতে যথাযথ পড়াশোনাটা হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্কুলগুলোকে মানসম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলুন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করুন। তাঁদের ভেতরে শিক্ষার আদর্শগত দিক ও মূল্যবোধগুলো জাগ্রত করার প্রচেষ্টা নিন। শিক্ষাটাকে আর বাণিজ্যিকীকরণ করে একজন শিক্ষককে ব্যবসায় ঢোকাবেন না। তাঁকে তাঁর আদর্শের জায়গায় থাকতে দিন; বরং শিক্ষকেরাও যাতে যথার্থ মর্যাদা পান, তা নিশ্চিত করুন।
এত দিন যা অবৈধ, অন্যায় আর নীতিবিরুদ্ধ বলে জানা ছিল, আজ যদি জানা যায় তা বৈধ, তাহলে কেমন হবে? এমনই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে! হ্যাঁ, বিস্ময়কর নয়; সত্য। সরকার কোচিং সেন্টার স্থাপন এবং নোট ও গাইড বইয়ের আদলে সহায়ক পুস্তক প্রকাশের সুযোগকে আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে বৈধতা দিতে যাচ্ছে। এ-সংক্রান্ত শিক্ষা আইনের খসড়া মোটামুটি চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনুমোদনের জন্য শিগগিরই তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হবে।
এ খবর দিয়েছে আজকের পত্রিকা। তাতে বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক পুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে পাঠদানের উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা এই আইনের অধীনে নিষিদ্ধ হবে না। সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে হবে।
বছরের পর বছর ধরে যা নিষিদ্ধ ছিল, যা বন্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় গলদঘর্ম ছিল, গাইড ও নোট বই বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল সবাই; এখন এগুলোকে আইন করে বৈধতা দেওয়া হবে। বিষয়টি হতাশাজনক। এটা কার স্বার্থে, কার পরামর্শে করা হচ্ছে? তাহলে এত দিন যে আন্দোলন, এর বিরুদ্ধে অবস্থান—সব ভুল ছিল?
বিশেষজ্ঞরাও এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁরাও মনে করেন, আইনে কোচিং সেন্টার স্থাপনের সুযোগ রাখা ঠিক হবে না; বরং তা নিষিদ্ধ করা উচিত। তাঁদের মতে, এসব বিষয়কে আইনি স্বীকৃতি দিলে শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা নষ্ট হবে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে আর কোনো এক্সপেরিমেন্ট বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ঠিক হবে না। এত দিন যে বিষয়কে খারাপ বলা হলো তাকে আবারও আইন করে ভালো বলা হলে শিক্ষার্থীরা কী বার্তা পাবে? একটা খারাপ জিনিসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার এ হঠকারী সিদ্ধান্ত যার মাথা থেকেই আসুক, এটি যে শিক্ষার গুণগত মানে ছুরি চালানোর শামিল, তা হয়তো সময়েই বোঝা যাবে।
আমরা মনে করি, কোচিং সেন্টারের আইডিয়াটাই ভুল। আইন করে গাইড ও নোট বই প্রকাশ এবং কোচিং সেন্টারের বৈধতা দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়; বরং ক্লাসেই যাতে যথাযথ পড়াশোনাটা হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্কুলগুলোকে মানসম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলুন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করুন। তাঁদের ভেতরে শিক্ষার আদর্শগত দিক ও মূল্যবোধগুলো জাগ্রত করার প্রচেষ্টা নিন। শিক্ষাটাকে আর বাণিজ্যিকীকরণ করে একজন শিক্ষককে ব্যবসায় ঢোকাবেন না। তাঁকে তাঁর আদর্শের জায়গায় থাকতে দিন; বরং শিক্ষকেরাও যাতে যথার্থ মর্যাদা পান, তা নিশ্চিত করুন।
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছকে আগ্রাসী গাছ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্
৫ ঘণ্টা আগেখারাপ খবরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠা সমাজে যখন ইতিবাচক বা ভালো কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তখন রংপুরের কাউনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের খবর পড়ে মন ভালো না হয়ে পারে না।
৫ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
১ দিন আগে