সম্পাদকীয়
বৃহস্পতিবার গাজীপুরে পরপর দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং আনোয়ার হোসেনকে নির্দয়ভাবে পা থেঁতলে দেওয়ার ঘটনা আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সাংবাদিকদের কাজ ও জীবনের নিরাপত্তা আজ চরম ঝুঁকির মুখে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকেরা যাঁরা মাঠে কাজ করেন, তাঁদের জীবন আজ অপরাধী চক্রের হাতে অবলীলায় বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো হামলার সময় অনেক ক্ষেত্রে উপস্থিত মানুষের নীরবতা, এমনকি পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তা। এই নীরবতা শুধু ভয়ের নয়, বরং অপরাধীদের জন্য এক অঘোষিত প্রশ্রয়ের পরিবেশ তৈরি করে দেয়।
আসাদুজ্জামান তুহিন বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন—এরপর রাতেই তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এটা নিছক একটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা দুর্ঘটনা নয়; বরং সাংবাদিকতার কাজের সরাসরি প্রতিশোধ। একইভাবে আনোয়ার হোসেনের ওপর পরিকল্পিত হামলা, ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে হামলাকারীরা যেন প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে—তাদের ধরা সম্ভব নয়, কিংবা ধরা হবে না। আইনের শাসনের প্রতি এই অবজ্ঞা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।
টিআইবির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন, ২৬৬ জনকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে এবং তিনজন নিহত হয়েছেন। এটি কেবল সংখ্যা নয়, বরং স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর এক ধারাবাহিক দমন-পীড়নের প্রতিচ্ছবি। গণতান্ত্রিক সমাজে সংবাদপত্রের ভূমিকা হলো ক্ষমতাকে জবাবদিহির মধ্যে আনা; অথচ আমাদের দেশে ক্ষমতার বিভিন্ন স্তর থেকে সাংবাদিকদের ওপর আইনি ও শারীরিক আক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে নোয়াবের (নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাম্প্রতিক উদ্বেগও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। নোয়াব সঠিকভাবেই বলেছে—সংবাদ বা কনটেন্ট-সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আইনি প্রক্রিয়ায় মীমাংসা হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় ‘মব’ তৈরি করে সম্পাদক বা মালিকপক্ষকে হুমকি দেওয়া, পত্রিকার কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এখন এক বিপজ্জনক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রথম শর্ত—সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। হত্যাকাণ্ড ও হামলার প্রতিটি ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত, অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে আরও জবাবদিহিমূলক ও সংবেদনশীল হতে হবে, যাতে হামলার সময় তারা দর্শকের ভূমিকায় না থাকে। দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ‘মব কালচার’ বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা রোধের জন্য আইনি সংস্কার প্রয়োজন।
সাংবাদিকেরা জনস্বার্থে কাজ করেন, তাঁদের ওপর আক্রমণ মানে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের ওপর আক্রমণ। আমরা যদি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখি, তাহলে একদিন এই নীরবতার খেসারত গোটা সমাজকেই দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরে পরপর দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং আনোয়ার হোসেনকে নির্দয়ভাবে পা থেঁতলে দেওয়ার ঘটনা আমাদের সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সাংবাদিকদের কাজ ও জীবনের নিরাপত্তা আজ চরম ঝুঁকির মুখে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকেরা যাঁরা মাঠে কাজ করেন, তাঁদের জীবন আজ অপরাধী চক্রের হাতে অবলীলায় বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো হামলার সময় অনেক ক্ষেত্রে উপস্থিত মানুষের নীরবতা, এমনকি পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক নিষ্ক্রিয়তা। এই নীরবতা শুধু ভয়ের নয়, বরং অপরাধীদের জন্য এক অঘোষিত প্রশ্রয়ের পরিবেশ তৈরি করে দেয়।
আসাদুজ্জামান তুহিন বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন—এরপর রাতেই তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এটা নিছক একটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা দুর্ঘটনা নয়; বরং সাংবাদিকতার কাজের সরাসরি প্রতিশোধ। একইভাবে আনোয়ার হোসেনের ওপর পরিকল্পিত হামলা, ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে হামলাকারীরা যেন প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে—তাদের ধরা সম্ভব নয়, কিংবা ধরা হবে না। আইনের শাসনের প্রতি এই অবজ্ঞা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।
টিআইবির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন, ২৬৬ জনকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে এবং তিনজন নিহত হয়েছেন। এটি কেবল সংখ্যা নয়, বরং স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর এক ধারাবাহিক দমন-পীড়নের প্রতিচ্ছবি। গণতান্ত্রিক সমাজে সংবাদপত্রের ভূমিকা হলো ক্ষমতাকে জবাবদিহির মধ্যে আনা; অথচ আমাদের দেশে ক্ষমতার বিভিন্ন স্তর থেকে সাংবাদিকদের ওপর আইনি ও শারীরিক আক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে নোয়াবের (নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাম্প্রতিক উদ্বেগও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। নোয়াব সঠিকভাবেই বলেছে—সংবাদ বা কনটেন্ট-সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আইনি প্রক্রিয়ায় মীমাংসা হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় ‘মব’ তৈরি করে সম্পাদক বা মালিকপক্ষকে হুমকি দেওয়া, পত্রিকার কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এখন এক বিপজ্জনক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রথম শর্ত—সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। হত্যাকাণ্ড ও হামলার প্রতিটি ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত, অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে আরও জবাবদিহিমূলক ও সংবেদনশীল হতে হবে, যাতে হামলার সময় তারা দর্শকের ভূমিকায় না থাকে। দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ‘মব কালচার’ বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা রোধের জন্য আইনি সংস্কার প্রয়োজন।
সাংবাদিকেরা জনস্বার্থে কাজ করেন, তাঁদের ওপর আক্রমণ মানে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের ওপর আক্রমণ। আমরা যদি চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখি, তাহলে একদিন এই নীরবতার খেসারত গোটা সমাজকেই দিতে হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন, ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক জনসমাবেশে বহুকাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র জনসমক্ষে এনেছেন। এই ঘোষণাপত্র যে ভবিষ্যতে সংবিধানের অংশ করা হবে, তা-ও ওই ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত হয়েছে। এটা ছিল জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের, বিশেষ করে বর্তমান
৬ ঘণ্টা আগেআমাদের সমাজে একটা অদ্ভুত বৈষম্য চলছে। পাবলিক বনাম প্রাইভেট। আর এই বৈষম্য এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যে, কারও উচ্চশিক্ষার জায়গাটা দেখে তার পুরো ভবিষ্যৎ কিংবা মেধা বিচার করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে গণতন্ত্রের মূল তত্ত্ব একখানা সংবিধানে লেখা, ঠিক। কিন্তু তার প্রয়োগ, প্রতিপত্তি ও প্রতিদিনের বিচার কোথায় হয় জানেন? চায়ের দোকানে। এই দোকানগুলোই তো বাঙালির নিজস্ব পার্লামেন্ট। যেখানে এমপি নেই, স্পিকার নেই, কিন্তু সবাই কথা বলে। এমনকি দোকানদারও।
৭ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। তাদের শাসন আমলে একটি নতুন অর্থবছরেরও সূচনা হয়েছে। আজ বছর পেরিয়ে অনেকেই পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন—অর্জন কতটুকু, ব্যর্থতা কোথায় এবং অন্তরায় কী কী? এমন একটি হিসাব-নিকাশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় দিকনির্দেশনা দি
১ দিন আগে