সম্পাদকীয়
জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে, এতে ইলিশ শিকারিরা খুশি। বড় একটা সময় ধরে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকার পর যখন অনুমতি মিলেছে, তখন জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে। এটা উপকূলবর্তী মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে আশা করি।
কিন্তু ইলিশ বেশি ধরা পড়লেই তা সুলভ মূল্যে ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে—এ রকম ভাবাটা ঠিক হবে না। ইলিশ এখন ধ্রুপদি মাছে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষেরই এই মাছের প্রতি রয়েছে তীব্র পক্ষপাতিত্ব। ইলিশ পাতে পড়ার অর্থ হচ্ছে, বাঙালি খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রাখা। কিন্তু আমরা দেখেছি, ইলিশ মাছ বহুদিন ধরেই সোনার হরিণ হয়ে টিকে আছে। বাজারে থাকছে না এমন নয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা থাকছে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। যিনি ইলিশ ধরছেন, তিনি সেই মাছ যে দামে বিক্রি করছেন, তার কয়েক গুণ বেশি দামে বাজার থেকে ক্রেতা কিনছেন। গবেষণায় অন্তত এটা বোঝা গেছে, বিভিন্ন হাত ঘুরে বিভিন্ন কারবারির মাধ্যমে যখন ইলিশ মাছ এসে ক্রেতার হাতে পৌঁছায়, তখন তা দুর্মূল্য হয়ে ওঠে। ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞার পর এবার যখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে বলে মাছ শিকারিরা খুশি, তখন ইলিশের বিক্রিবাট্টার ক্ষেত্রেও একটা আশার বাণী শোনা যায় কি না, তা দেখতে হবে। বরগুনার আমতলী থেকে আসা ইলিশ ধরা পড়ার খবরে একটা আশাবাদ তো তৈরি হয়ই।
এটা এরই মধ্যে প্রমাণিত সত্য যে, উৎপাদনকারী তিনি কৃষক হোন কি জেলে, কামার হোন কি কুমার, তিনি উৎপাদিত পণ্যের যে দাম পান, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে লুটে নেন মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা কিংবা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এ রকম এক বাস্তবতায় ইলিশের দাম কমবে, এমন ভাবাটা বোকামি। কিন্তু সরকার যদি ইলিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রেতা অবধি মাছ পৌঁছানো পর্যন্ত পথটির তদারক করতে পারে, তাহলে দামের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু বাজার অর্থনীতিতে সে রকম পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন। আর এ কথাও সত্য, সাধারণ জোগান ও চাহিদার ভিত্তিতে ইলিশের দাম নিরূপণ করা যায় না। তার পরও বেশি ইলিশ ধরা পড়লে বেশি মানুষের কাছে যেন পৌঁছায়, তার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখার জন্য সরকার, ব্যবসায়ী মহল এবং বিক্রেতাপর্যায়ে ঐকমত্য হওয়া উচিত।
কেন ইলিশের দাম বাড়ে, তা নিয়ে কথা হলো। সিন্ডিকেট ছাড়াও পরিবহন ব্যয় এবং দাদন নিয়েও কথা বলা উচিত। এ দুই জায়গাকেও সিন্ডিকেটের পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।
মানুষ কম দামে এই মহার্ঘ বস্তু নিজের ঘরে নিয়ে আসুক—এই চাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে, তা বাস্তবে পরিণত হলে খুশি হতো দেশের আপামর জনগণ। আহ! ইলিশ! ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ! পৌঁছাবে কি সাধারণ মানুষের ঘর পর্যন্ত?
জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে, এতে ইলিশ শিকারিরা খুশি। বড় একটা সময় ধরে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকার পর যখন অনুমতি মিলেছে, তখন জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে। এটা উপকূলবর্তী মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে আশা করি।
কিন্তু ইলিশ বেশি ধরা পড়লেই তা সুলভ মূল্যে ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাবে—এ রকম ভাবাটা ঠিক হবে না। ইলিশ এখন ধ্রুপদি মাছে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষেরই এই মাছের প্রতি রয়েছে তীব্র পক্ষপাতিত্ব। ইলিশ পাতে পড়ার অর্থ হচ্ছে, বাঙালি খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রাখা। কিন্তু আমরা দেখেছি, ইলিশ মাছ বহুদিন ধরেই সোনার হরিণ হয়ে টিকে আছে। বাজারে থাকছে না এমন নয়, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা থাকছে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। যিনি ইলিশ ধরছেন, তিনি সেই মাছ যে দামে বিক্রি করছেন, তার কয়েক গুণ বেশি দামে বাজার থেকে ক্রেতা কিনছেন। গবেষণায় অন্তত এটা বোঝা গেছে, বিভিন্ন হাত ঘুরে বিভিন্ন কারবারির মাধ্যমে যখন ইলিশ মাছ এসে ক্রেতার হাতে পৌঁছায়, তখন তা দুর্মূল্য হয়ে ওঠে। ৫৮ দিন নিষেধাজ্ঞার পর এবার যখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে বলে মাছ শিকারিরা খুশি, তখন ইলিশের বিক্রিবাট্টার ক্ষেত্রেও একটা আশার বাণী শোনা যায় কি না, তা দেখতে হবে। বরগুনার আমতলী থেকে আসা ইলিশ ধরা পড়ার খবরে একটা আশাবাদ তো তৈরি হয়ই।
এটা এরই মধ্যে প্রমাণিত সত্য যে, উৎপাদনকারী তিনি কৃষক হোন কি জেলে, কামার হোন কি কুমার, তিনি উৎপাদিত পণ্যের যে দাম পান, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে লুটে নেন মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়ারা কিংবা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এ রকম এক বাস্তবতায় ইলিশের দাম কমবে, এমন ভাবাটা বোকামি। কিন্তু সরকার যদি ইলিশ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রেতা অবধি মাছ পৌঁছানো পর্যন্ত পথটির তদারক করতে পারে, তাহলে দামের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু বাজার অর্থনীতিতে সে রকম পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন। আর এ কথাও সত্য, সাধারণ জোগান ও চাহিদার ভিত্তিতে ইলিশের দাম নিরূপণ করা যায় না। তার পরও বেশি ইলিশ ধরা পড়লে বেশি মানুষের কাছে যেন পৌঁছায়, তার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখার জন্য সরকার, ব্যবসায়ী মহল এবং বিক্রেতাপর্যায়ে ঐকমত্য হওয়া উচিত।
কেন ইলিশের দাম বাড়ে, তা নিয়ে কথা হলো। সিন্ডিকেট ছাড়াও পরিবহন ব্যয় এবং দাদন নিয়েও কথা বলা উচিত। এ দুই জায়গাকেও সিন্ডিকেটের পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।
মানুষ কম দামে এই মহার্ঘ বস্তু নিজের ঘরে নিয়ে আসুক—এই চাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে, তা বাস্তবে পরিণত হলে খুশি হতো দেশের আপামর জনগণ। আহ! ইলিশ! ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ! পৌঁছাবে কি সাধারণ মানুষের ঘর পর্যন্ত?
বাংলাদেশে এ বছরের বাজেট মৌসুম শেষ হয়েছে এবং সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উত্তেজনাও বেশ কিছুটা থিতিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ সালের বার্ষিক বাজেট পেশ করা হয়েছিল প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। তারপর চিরায়ত নিয়মে নানান দৃষ্টিকোণ থেকে বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেকায়েস আহমেদের প্রিয় সাহিত্যিকদের একজন ছিলেন প্রয়াত হাসান আজিজুল হক। শক্তিমান সেই হাসান আজিজুল হক একবার বলেছিলেন, ‘লেখকমাত্রই অনন্য, স্বতন্ত্রভাবে ভোগ্য ও অনুসন্ধানযোগ্য।’ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও আমাদের জানিয়েছিলেন, ‘সাহিত্যবিষয়ক সাধারণ নিয়মকানুনের সিদ্ধান্ত নয়, লেখকদের রচনা এবং রচনা বিচার...
১৬ ঘণ্টা আগেএতটা তর্কিত-বিতর্কিত আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিদেশ সফর বাংলাদেশের আর কোনো সরকারপ্রধান করেছেন কি না সন্দেহ, যেমন সফর করলেন আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৬ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে বহুদিন ধরে সঞ্চিত উত্তেজনা অবশেষে বিস্ফোরণের পথে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা ছায়াযুদ্ধ এখন সরাসরি সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। যে উত্তেজনা এত দিন প্রক্সি গোষ্ঠী ও সাইবার হামলার মধ্য দিয়ে সীমিত ছিল, তা ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পরমাণুবিজ্ঞানীদের মৃত্যুতে...
১ দিন আগে