সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
গটফ্রিড আইজনার ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তাঁর স্ত্রী জোসেফিন ভিতাল ছিলেন সেই সময়ের উচ্চশিক্ষিত একজন নারী। জার্মানির একটি মধ্যবিত্ত পরিবার তাঁদের। নিজেদের সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলাই হয়তো ছিল তাঁদের লক্ষ্য। তাঁদের বড় সন্তান ক্লারা জন্মেছিলেন ১৮৫৭ সালে। তখন হয়তো ক্লারার বাবা-মা বুঝতেই পারেননি তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে ক্লারা ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছে! কীভাবে? সে গল্পই তো বলছি।
ক্লারা জোসেফিন আইজনার জার্মানির লাইপ্ৎসিশ টিচারস কলেজ ফর উইমেন থেকে পড়াশোনা করেন। স্বাধীনচেতা বাবা-মা চেষ্টা করেছিলেন সন্তানদের সেরা পাঠদান করতে। ক্লারা তাঁদের চেষ্টা বৃথা যেতে দেননি। প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেছিলেন শিক্ষকজীবন। স্কুলজীবন থেকেই নারী শিক্ষা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। নারী ও পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন। বিশ্বাস করতেন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে। ১৮৭৮ সালে যোগদান করে কাজ করছিলেন সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির হয়ে।
বিসমার্কের সমাজতন্ত্র বিরোধী আইনের খপ্পরে পড়ে ১৮৮২ সালে তাঁকে চলে যেতে হয় ফ্রান্সের প্যারিসে। কারণ, জার্মানিতে তখন কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ড করা বারণ। প্যারিসে গিয়ে তাঁর পরিচয় হয় রুশ বিপ্লবী ওসিপ জেটকিনের সঙ্গে। প্রেমে পড়ে যান একে অপরের। ক্লারার আরেক নাম হয়ে যায় ক্লারা জেটকিন। বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ছিল দুই ছেলে, ম্যাক্সিম, আর কস্তিয়া। ক্লারা দিনের বেলায় ছেলেদের দেখাশোনা করতেন, আর রাতের বেলা করতেন লেখালেখির কাজ। কাজ করেছেন অনুবাদক হিসেবেও।
১৮৮৯ সালে ওসিপ খুব অসুস্থ হয়ে মারা যান। ১৮৯০ সালে ছেলেদের নিয়ে ক্লারা আবার চলে যান জার্মানিতে। বিয়ে করেন চিত্রশিল্পী গিয়োর্গ ফ্রিডরিচ জুন্ডেলকে। সেখানে ক্লারা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক প্রেসে কাজও পান।
ওসিপ জেটকিনের সঙ্গে থাকার সময়েই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মূলত ওসিপের প্রেরণাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই নারী স্বাধীনতা ও অধিকার নিয়ে দাবি তুলতে থাকেন মার্কসবাদী ক্লারা। টানা ২৫ বছর তিনি ছিলেন জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নারীদের জন্য প্রকাশিত পত্রিকা ডি গ্লাইচাইটের সম্পাদক।
শুধু নারী মুক্তি আন্দোলন নয়, শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৮৯৮ সালের দিকে রোজা লুক্সেমবার্গের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয় ক্লারার। নারী আন্দোলনে ক্লারার সঙ্গে রোজার অবদানও অনস্বীকার্য। বিপ্লবী ক্লারা ছিলেন কট্টর মার্কসবাদী, আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী। তিনি বিশ্বাস করতেন সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রমজীবী শ্রেণির মুক্তি মিললেই মিলবে নারী মুক্তি। তাঁর চোখে লৈঙ্গিক বৈষম্য ছিল অর্থনৈতিক শোষণের পরিণতি। তিনি তাঁর সাংবাদিকতার মাধ্যমে নারীবাদকে বিকশিত করেছিলেন। নিয়মানুবর্তিতা এবং নেতৃত্বদানে তিনি রুশ বিপ্লবী নেতা লেলিনকে তাঁর গুরু মানতেন। তাঁদের মধ্যে ছিল বেশ ভালো বন্ধুত্ব।
যা হোক, ক্লারা ইতিহাসে নাম লেখানো শুরু করছিলেন এভাবেই। তবে তাঁকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রচলনের প্রস্তাবক হিসেবে। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়।
এর পর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন সম-অধিকার আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে। সেখানেই ক্লারা আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। পরের বছর ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে নারী দিবস পালন করা হয় প্রথমবারের মতো। ইউরোপজুড়ে নারীরা সম-অধিকার, লৈঙ্গিক সমতা ও ভোটাধিকারের পক্ষে দাবি জানায়।
শুরুর দিকে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। অনেক দেশ ফেব্রুয়ারির শেষে কিংবা মার্চের শুরুতে পালন করত নারী দিবস। যেমন, আমেরিকায় জাতীয় নারী দিবস পালন করা হতো ফেব্রুয়ারির শেষ রোববারে। আবার রাশিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে ১৯১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ শনিবারে। তারিখটি অবশ্য জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছিল। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে তা ৮ মার্চ।
১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল নারী দিবস। পরে ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। তার পর থেকে সারা পৃথিবীতেই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। একেক বছর একেক রকম প্রতিপাদ্য থাকলেও দিনটি বারবার নারীর সম-অধিকার আদায় ও লৈঙ্গিক সমতার কথাই বলে যায়। আর সে কথা বলার জন্য যে ক্লারা জেটকিনই প্রশ্রয় দিয়েছেন, তা বোধ হয় অনস্বীকার্য। আর তাঁকে হয়তো প্রশ্রয় দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা, ওসিপ কিংবা রোজার সঙ্গ।
১৯৩৩ সালে ক্লারার মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান লিখেছিল, ‘গ্র্যান্ডমাদার অব জার্মান কমিউনিজম’, অর্থাৎ ‘জার্মান সাম্যবাদের মাতামহী’! তাঁকে নারী দিবসের জননী বললে কি খুব ভুল হবে?
সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার, ব্রিটানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
গটফ্রিড আইজনার ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তাঁর স্ত্রী জোসেফিন ভিতাল ছিলেন সেই সময়ের উচ্চশিক্ষিত একজন নারী। জার্মানির একটি মধ্যবিত্ত পরিবার তাঁদের। নিজেদের সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলাই হয়তো ছিল তাঁদের লক্ষ্য। তাঁদের বড় সন্তান ক্লারা জন্মেছিলেন ১৮৫৭ সালে। তখন হয়তো ক্লারার বাবা-মা বুঝতেই পারেননি তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে ক্লারা ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছে! কীভাবে? সে গল্পই তো বলছি।
ক্লারা জোসেফিন আইজনার জার্মানির লাইপ্ৎসিশ টিচারস কলেজ ফর উইমেন থেকে পড়াশোনা করেন। স্বাধীনচেতা বাবা-মা চেষ্টা করেছিলেন সন্তানদের সেরা পাঠদান করতে। ক্লারা তাঁদের চেষ্টা বৃথা যেতে দেননি। প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেছিলেন শিক্ষকজীবন। স্কুলজীবন থেকেই নারী শিক্ষা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। নারী ও পুরুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন। বিশ্বাস করতেন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে। ১৮৭৮ সালে যোগদান করে কাজ করছিলেন সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির হয়ে।
বিসমার্কের সমাজতন্ত্র বিরোধী আইনের খপ্পরে পড়ে ১৮৮২ সালে তাঁকে চলে যেতে হয় ফ্রান্সের প্যারিসে। কারণ, জার্মানিতে তখন কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ড করা বারণ। প্যারিসে গিয়ে তাঁর পরিচয় হয় রুশ বিপ্লবী ওসিপ জেটকিনের সঙ্গে। প্রেমে পড়ে যান একে অপরের। ক্লারার আরেক নাম হয়ে যায় ক্লারা জেটকিন। বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ছিল দুই ছেলে, ম্যাক্সিম, আর কস্তিয়া। ক্লারা দিনের বেলায় ছেলেদের দেখাশোনা করতেন, আর রাতের বেলা করতেন লেখালেখির কাজ। কাজ করেছেন অনুবাদক হিসেবেও।
১৮৮৯ সালে ওসিপ খুব অসুস্থ হয়ে মারা যান। ১৮৯০ সালে ছেলেদের নিয়ে ক্লারা আবার চলে যান জার্মানিতে। বিয়ে করেন চিত্রশিল্পী গিয়োর্গ ফ্রিডরিচ জুন্ডেলকে। সেখানে ক্লারা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক প্রেসে কাজও পান।
ওসিপ জেটকিনের সঙ্গে থাকার সময়েই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মূলত ওসিপের প্রেরণাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই নারী স্বাধীনতা ও অধিকার নিয়ে দাবি তুলতে থাকেন মার্কসবাদী ক্লারা। টানা ২৫ বছর তিনি ছিলেন জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নারীদের জন্য প্রকাশিত পত্রিকা ডি গ্লাইচাইটের সম্পাদক।
শুধু নারী মুক্তি আন্দোলন নয়, শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৮৯৮ সালের দিকে রোজা লুক্সেমবার্গের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয় ক্লারার। নারী আন্দোলনে ক্লারার সঙ্গে রোজার অবদানও অনস্বীকার্য। বিপ্লবী ক্লারা ছিলেন কট্টর মার্কসবাদী, আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী। তিনি বিশ্বাস করতেন সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রমজীবী শ্রেণির মুক্তি মিললেই মিলবে নারী মুক্তি। তাঁর চোখে লৈঙ্গিক বৈষম্য ছিল অর্থনৈতিক শোষণের পরিণতি। তিনি তাঁর সাংবাদিকতার মাধ্যমে নারীবাদকে বিকশিত করেছিলেন। নিয়মানুবর্তিতা এবং নেতৃত্বদানে তিনি রুশ বিপ্লবী নেতা লেলিনকে তাঁর গুরু মানতেন। তাঁদের মধ্যে ছিল বেশ ভালো বন্ধুত্ব।
যা হোক, ক্লারা ইতিহাসে নাম লেখানো শুরু করছিলেন এভাবেই। তবে তাঁকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রচলনের প্রস্তাবক হিসেবে। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়।
এর পর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন সম-অধিকার আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে। সেখানেই ক্লারা আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। পরের বছর ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে নারী দিবস পালন করা হয় প্রথমবারের মতো। ইউরোপজুড়ে নারীরা সম-অধিকার, লৈঙ্গিক সমতা ও ভোটাধিকারের পক্ষে দাবি জানায়।
শুরুর দিকে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। অনেক দেশ ফেব্রুয়ারির শেষে কিংবা মার্চের শুরুতে পালন করত নারী দিবস। যেমন, আমেরিকায় জাতীয় নারী দিবস পালন করা হতো ফেব্রুয়ারির শেষ রোববারে। আবার রাশিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে ১৯১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ শনিবারে। তারিখটি অবশ্য জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছিল। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে তা ৮ মার্চ।
১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল নারী দিবস। পরে ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। তার পর থেকে সারা পৃথিবীতেই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। একেক বছর একেক রকম প্রতিপাদ্য থাকলেও দিনটি বারবার নারীর সম-অধিকার আদায় ও লৈঙ্গিক সমতার কথাই বলে যায়। আর সে কথা বলার জন্য যে ক্লারা জেটকিনই প্রশ্রয় দিয়েছেন, তা বোধ হয় অনস্বীকার্য। আর তাঁকে হয়তো প্রশ্রয় দিয়েছিল তাঁর বাবা-মা, ওসিপ কিংবা রোজার সঙ্গ।
১৯৩৩ সালে ক্লারার মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান লিখেছিল, ‘গ্র্যান্ডমাদার অব জার্মান কমিউনিজম’, অর্থাৎ ‘জার্মান সাম্যবাদের মাতামহী’! তাঁকে নারী দিবসের জননী বললে কি খুব ভুল হবে?
সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার, ব্রিটানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) যে তদন্ত করেছে, ২৭ জানুয়ারি সে তদন্তের ৫৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এইচআরডব্লিউর একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি একটি অনন্য মাস। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য যে পথ রচনা করে দিয়েছে, সেই পথই দেশকে পৌঁছে দিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশের আপামর ছাত্র-শ্রমিক-জনতা রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে সেই পথকে করেছে মসৃণ...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি একধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নানা বাধা দেখা যাচ্ছে। এসব ঘটনা শুধু বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবন্ধকতা নয়; বরং বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
৫ ঘণ্টা আগেআজ থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এই আয়োজন প্রাণের মেলায় পরিণত হোক, সেই কামনা করি। তবে আজ বইমেলা নিয়ে নয়, বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যে নাটক অভিনীত হলো, তা নিয়েই কিছু কথা বলা সংগত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে