অজয় দাশগুপ্ত
আমরা যুদ্ধবিরোধী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বা যেকোনো দেশে যুদ্ধ মানেই মানুষের বিপদ। খেয়াল করবেন, বিশ্ব বদলে গেছে। আগে দুনিয়ার যেকোনো জায়গায় একটা বোমা ফাটলেই মানুষ নড়েচড়ে বসত। খবর হয়ে যেত সারা পৃথিবীতে। এখন আর তেমন হয় না। গাজায় আক্রান্ত সভ্যতা ও মানুষের জীবন। যারা মারছে তারা বেপরোয়া। অথচ মানুষের মনে আফসোস বা দ্রোহ থাকলেও আগের মতো তা সংঘবদ্ধ না। হবে কীভাবে? আপনাদের মনে থাকতে পারে একসময় বিশ্বের নেতাদের মানুষ সমীহ করত। যখন আমেরিকার দায়িত্বে ছিলেন রিগান, ফোর্ড বা বিল ক্লিনটন, তখন আমেরিকার চেহারা ছিল অন্য রকম। যখন রাশিয়ায় লেনিন বা ক্রুশ্চেভ বা ব্রেজনেভ ছিলেন তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল মানুষের আশার প্রতীক। সেই রাশিয়া এখন ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে। দিনের পর দিন চলছে লড়াই। সম্প্রতি ইউক্রেনের নেতাকে হোয়াইট হাউসে অপদস্থ হতে দেখলাম। অথচ দু-একটা বুদ্বুদ নিউজের পর তার আর কোনো খবর নাই।
কী হচ্ছে দুনিয়ায়? এমনকি আমাদের দেশেও আমরা দেখি হইচই আর অশান্তি যেন লেগেই আছে। পরিবর্তনের হাওয়া কতটা কী করতে পারছে তার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে উত্তেজনা। মানুষ কি তবে উত্তেজনা ভালোবাসছে? সামাজিক মিডিয়ার ভূমিকা ভুললে চলবে না। সামাজিক মিডিয়া একদিকে যেমন আমাদের ভালো করছে, আরেক দিকে উত্তেজনা প্রসারেও ভূমিকা রাখছে ব্যাপক। কোথাও কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে তা চলে আসছে চোখের সামনে। যাচাই-বাছাই বাদ দিয়ে মানুষ দলে দলে ভাগ হয়ে লড়াই করছে এসব নিয়ে। অথচ আমরা জানতাম, মিডিয়া মানে সম্পাদিত কোনো নিউজ বা ভিউজ। যাতে সত্য থাকবে কিন্তু অতিরঞ্জন থাকবে না, যা দিনশেষে শান্তি আর সমঝোতার কথা বলবে। সেটা এখন দুনিয়ার কোথাও নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, একজন আক্রান্ত হলে বাকি দশজন মজা নিয়ে সেটা ভিডিও করে। কেউ আগ বাড়িয়ে ঝগড়া থামায় না।
মনোবিদেরা বলছেন, এটা আমাদের রোগে পরিণত হতে চলেছে। এত আক্রমণ, উত্তেজনা আর হিংসার বুকে দাঁড়িয়ে তা দেখার পর মানুষ সুস্থ থাকবে কীভাবে? আমি মনে করি, আমাদের দেশের তারুণ্য বা শিশু-কিশোরদের মনমানসিকতা পড়ার কেউ নেই। যেমন অন্য সব দেশে কাউন্সেলিং হয়। কাউন্সেলিং বাধ্যতামূলকও বটে। সরকার বা সামাজিক সংস্থাগুলো এ কাজ করে। লাখ লাখ ডলার খরচ করে সরকার বা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা বিধান করে। হয়তো জনবহুল দেশে তা অসম্ভব। কিন্তু প্রচেষ্টা তো থাকতে হবে।
যুদ্ধ মানুষের মনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা ভয়াবহ। আমি ভিয়েতনামে গিয়েছিলাম। যুদ্ধের এত বছর পরও বহু মানুষ ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। লাওসে বয়োবৃদ্ধ প্রজন্ম নেই। যুদ্ধে যুদ্ধে মৃত তারা। আছে ৪০ বা তার কিছু বেশি বয়সী মানুষ। অথচ মানুষের আয়ু এর চেয়ে অধিক। এই যে শূন্যতা, তা আর যাই হোক কোনো সমাজকে ভালোভাবে এগোতে দেয় না। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছি। এই সেদিনও লড়াই করতে হয়েছিল। এরপর আর কোনো লড়াই আমরা চাইব না। চাইব সবার ভালো থাকা। এই ভালো থাকাটা এখন একক কোনো দেশ বা সমাজের ওপর নির্ভর করে না। গ্লোবাল ভিলেজ নামে যে কনসেপ্ট, তা আমি পাই শ্রী অরবিন্দের দর্শনে। সে দর্শন মূলত মানুষের ভালো থাকার জন্য এক বিশ্বের স্বপ্ন। অথচ দুনিয়া এখন তার বিপরীতে।
সিডনি তথা অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি সমাজ সাধনা ও সংযমের পাশাপাশি যুদ্ধবিরোধিতায় উন্মুখ। যার যা সাধ্য তা নিয়েই সোচ্চার। কারণ শান্তির কোনো বিকল্প হয় না। ভালোভাবে তাকালে আমরা দেখব দুনিয়ায় মূলত দুই শ্রেণির মানুষের বসবাস। এক, যারা সমৃদ্ধ, উন্নত আর ধনী। আরেক দিকে অভাব, দারিদ্র্য আর হতাশায় ভোগা মানুষ। এই অসাম্য বা ভেদাভেদ মানুষকে অসুখী করে। একসময় যখন যা খুশি দেখা যেত না, শোনা যেত না, তখন এগুলো ছিল গল্পের মতো। এখন তা চোখের সামনে দৃশ্যমান। তাই মানুষের মনে যে বিরূপতা, তাকে সামাল দিতেই হবে।
উন্নত নামের দেশগুলোতে একাকিত্ব আর ভয়াবহ মানসিক সংকট। তাদের খাদ্য আছে কিন্তু সন্তোষ বা সন্তুষ্টি নেই। অন্য প্রান্তে খাদ্য নেই, চাহিদা আছে, জোগান নেই। সাম্যের অভাব। এভাবে আর যা-ই হোক সভ্যতা এগোতে পারে না। সে কারণেই বিশ্বব্যাপী শান্তি আর সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী প্রবাসী। তাঁরা সাধ্যমতো দেশে টাকাপয়সা পাঠান। কিন্তু তাঁরা ঠিক জানেন না এর ব্যবহার বা উপকারিতা কী। বদলে যাওয়া দেশ ও সরকারের দায়িত্ব এগুলো জানানো। এবং দেশের প্রকৃত সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা।
আমরা বিশ্ববাসীর সঙ্গে চলতে চাই। এই চলমানতার জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর নৈতিকতা দরকার। একসময় আমরা মায়ার দেশ, ভালোবাসার সমাজ নামে পরিচিত ছিলাম। এখনো যে তা নেই তা নয়। তবে তার প্রকাশ দেখি না। সহমর্মিতা আর সহাবস্থান বিদেশে যেমন সম্ভব, তেমনি দেশেও সম্ভব। সে ইতিহাস আমাদের আছে। শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষেরা তা পালন করেন। দরকার নিয়ম আর শৃঙ্খলা। এটা কোনো কথার কথা না। সারা দুনিয়ায় খামখেয়ালি আর কর্তৃত্ববাদ এমনভাবে থাবা বিস্তার করেছে যে অনেক সময় আমরা ভুলে যাই আমরা আসলে কী চাই।
মানুষের মনে মনে যে শান্তি আর সৌহার্দ্য মূলত তার নতুন নাম মানবিকতা। একটি মানবিক পৃথিবী মানেই মানুষ দেশে দেশে নিরাপদ। এই নিরাপত্তার কারণেই বিভিন্ন নিয়ম আর মতবাদের জন্ম হয়েছে। আধুনিকতার নামে এখন যা দেখি তা অনেক সময় মানা কঠিন। বাংলাদেশের বাঙালিরা দুনিয়ার সব দেশে নিরাপদ থাকুক, এটাই কামনা।
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম নষ্ট করা বা উগ্রবাদের জন্য নিন্দিত হওয়া মানায় না। এতে কষ্টে পড়ে আমজনতা। খেটে খাওয়া বাঙালির রেমিট্যান্সে পড়ে ভাটা। আশা করি, আমরা প্রতিবাদ বা সোচ্চার হওয়ার সময় এগুলো মনে রাখব। আমরা যুদ্ধ ও হিংসাবিরোধী কিন্তু নিজেদের মঙ্গলও ঠিক রাখা চাই।
আমরা যুদ্ধবিরোধী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বা যেকোনো দেশে যুদ্ধ মানেই মানুষের বিপদ। খেয়াল করবেন, বিশ্ব বদলে গেছে। আগে দুনিয়ার যেকোনো জায়গায় একটা বোমা ফাটলেই মানুষ নড়েচড়ে বসত। খবর হয়ে যেত সারা পৃথিবীতে। এখন আর তেমন হয় না। গাজায় আক্রান্ত সভ্যতা ও মানুষের জীবন। যারা মারছে তারা বেপরোয়া। অথচ মানুষের মনে আফসোস বা দ্রোহ থাকলেও আগের মতো তা সংঘবদ্ধ না। হবে কীভাবে? আপনাদের মনে থাকতে পারে একসময় বিশ্বের নেতাদের মানুষ সমীহ করত। যখন আমেরিকার দায়িত্বে ছিলেন রিগান, ফোর্ড বা বিল ক্লিনটন, তখন আমেরিকার চেহারা ছিল অন্য রকম। যখন রাশিয়ায় লেনিন বা ক্রুশ্চেভ বা ব্রেজনেভ ছিলেন তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল মানুষের আশার প্রতীক। সেই রাশিয়া এখন ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে। দিনের পর দিন চলছে লড়াই। সম্প্রতি ইউক্রেনের নেতাকে হোয়াইট হাউসে অপদস্থ হতে দেখলাম। অথচ দু-একটা বুদ্বুদ নিউজের পর তার আর কোনো খবর নাই।
কী হচ্ছে দুনিয়ায়? এমনকি আমাদের দেশেও আমরা দেখি হইচই আর অশান্তি যেন লেগেই আছে। পরিবর্তনের হাওয়া কতটা কী করতে পারছে তার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে উত্তেজনা। মানুষ কি তবে উত্তেজনা ভালোবাসছে? সামাজিক মিডিয়ার ভূমিকা ভুললে চলবে না। সামাজিক মিডিয়া একদিকে যেমন আমাদের ভালো করছে, আরেক দিকে উত্তেজনা প্রসারেও ভূমিকা রাখছে ব্যাপক। কোথাও কিছু হলেই সঙ্গে সঙ্গে তা চলে আসছে চোখের সামনে। যাচাই-বাছাই বাদ দিয়ে মানুষ দলে দলে ভাগ হয়ে লড়াই করছে এসব নিয়ে। অথচ আমরা জানতাম, মিডিয়া মানে সম্পাদিত কোনো নিউজ বা ভিউজ। যাতে সত্য থাকবে কিন্তু অতিরঞ্জন থাকবে না, যা দিনশেষে শান্তি আর সমঝোতার কথা বলবে। সেটা এখন দুনিয়ার কোথাও নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, একজন আক্রান্ত হলে বাকি দশজন মজা নিয়ে সেটা ভিডিও করে। কেউ আগ বাড়িয়ে ঝগড়া থামায় না।
মনোবিদেরা বলছেন, এটা আমাদের রোগে পরিণত হতে চলেছে। এত আক্রমণ, উত্তেজনা আর হিংসার বুকে দাঁড়িয়ে তা দেখার পর মানুষ সুস্থ থাকবে কীভাবে? আমি মনে করি, আমাদের দেশের তারুণ্য বা শিশু-কিশোরদের মনমানসিকতা পড়ার কেউ নেই। যেমন অন্য সব দেশে কাউন্সেলিং হয়। কাউন্সেলিং বাধ্যতামূলকও বটে। সরকার বা সামাজিক সংস্থাগুলো এ কাজ করে। লাখ লাখ ডলার খরচ করে সরকার বা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা বিধান করে। হয়তো জনবহুল দেশে তা অসম্ভব। কিন্তু প্রচেষ্টা তো থাকতে হবে।
যুদ্ধ মানুষের মনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা ভয়াবহ। আমি ভিয়েতনামে গিয়েছিলাম। যুদ্ধের এত বছর পরও বহু মানুষ ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। লাওসে বয়োবৃদ্ধ প্রজন্ম নেই। যুদ্ধে যুদ্ধে মৃত তারা। আছে ৪০ বা তার কিছু বেশি বয়সী মানুষ। অথচ মানুষের আয়ু এর চেয়ে অধিক। এই যে শূন্যতা, তা আর যাই হোক কোনো সমাজকে ভালোভাবে এগোতে দেয় না। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছি। এই সেদিনও লড়াই করতে হয়েছিল। এরপর আর কোনো লড়াই আমরা চাইব না। চাইব সবার ভালো থাকা। এই ভালো থাকাটা এখন একক কোনো দেশ বা সমাজের ওপর নির্ভর করে না। গ্লোবাল ভিলেজ নামে যে কনসেপ্ট, তা আমি পাই শ্রী অরবিন্দের দর্শনে। সে দর্শন মূলত মানুষের ভালো থাকার জন্য এক বিশ্বের স্বপ্ন। অথচ দুনিয়া এখন তার বিপরীতে।
সিডনি তথা অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি সমাজ সাধনা ও সংযমের পাশাপাশি যুদ্ধবিরোধিতায় উন্মুখ। যার যা সাধ্য তা নিয়েই সোচ্চার। কারণ শান্তির কোনো বিকল্প হয় না। ভালোভাবে তাকালে আমরা দেখব দুনিয়ায় মূলত দুই শ্রেণির মানুষের বসবাস। এক, যারা সমৃদ্ধ, উন্নত আর ধনী। আরেক দিকে অভাব, দারিদ্র্য আর হতাশায় ভোগা মানুষ। এই অসাম্য বা ভেদাভেদ মানুষকে অসুখী করে। একসময় যখন যা খুশি দেখা যেত না, শোনা যেত না, তখন এগুলো ছিল গল্পের মতো। এখন তা চোখের সামনে দৃশ্যমান। তাই মানুষের মনে যে বিরূপতা, তাকে সামাল দিতেই হবে।
উন্নত নামের দেশগুলোতে একাকিত্ব আর ভয়াবহ মানসিক সংকট। তাদের খাদ্য আছে কিন্তু সন্তোষ বা সন্তুষ্টি নেই। অন্য প্রান্তে খাদ্য নেই, চাহিদা আছে, জোগান নেই। সাম্যের অভাব। এভাবে আর যা-ই হোক সভ্যতা এগোতে পারে না। সে কারণেই বিশ্বব্যাপী শান্তি আর সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠী প্রবাসী। তাঁরা সাধ্যমতো দেশে টাকাপয়সা পাঠান। কিন্তু তাঁরা ঠিক জানেন না এর ব্যবহার বা উপকারিতা কী। বদলে যাওয়া দেশ ও সরকারের দায়িত্ব এগুলো জানানো। এবং দেশের প্রকৃত সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা।
আমরা বিশ্ববাসীর সঙ্গে চলতে চাই। এই চলমানতার জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর নৈতিকতা দরকার। একসময় আমরা মায়ার দেশ, ভালোবাসার সমাজ নামে পরিচিত ছিলাম। এখনো যে তা নেই তা নয়। তবে তার প্রকাশ দেখি না। সহমর্মিতা আর সহাবস্থান বিদেশে যেমন সম্ভব, তেমনি দেশেও সম্ভব। সে ইতিহাস আমাদের আছে। শ্রমজীবী, কর্মজীবী মানুষেরা তা পালন করেন। দরকার নিয়ম আর শৃঙ্খলা। এটা কোনো কথার কথা না। সারা দুনিয়ায় খামখেয়ালি আর কর্তৃত্ববাদ এমনভাবে থাবা বিস্তার করেছে যে অনেক সময় আমরা ভুলে যাই আমরা আসলে কী চাই।
মানুষের মনে মনে যে শান্তি আর সৌহার্দ্য মূলত তার নতুন নাম মানবিকতা। একটি মানবিক পৃথিবী মানেই মানুষ দেশে দেশে নিরাপদ। এই নিরাপত্তার কারণেই বিভিন্ন নিয়ম আর মতবাদের জন্ম হয়েছে। আধুনিকতার নামে এখন যা দেখি তা অনেক সময় মানা কঠিন। বাংলাদেশের বাঙালিরা দুনিয়ার সব দেশে নিরাপদ থাকুক, এটাই কামনা।
তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম নষ্ট করা বা উগ্রবাদের জন্য নিন্দিত হওয়া মানায় না। এতে কষ্টে পড়ে আমজনতা। খেটে খাওয়া বাঙালির রেমিট্যান্সে পড়ে ভাটা। আশা করি, আমরা প্রতিবাদ বা সোচ্চার হওয়ার সময় এগুলো মনে রাখব। আমরা যুদ্ধ ও হিংসাবিরোধী কিন্তু নিজেদের মঙ্গলও ঠিক রাখা চাই।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
৭ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
৮ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
১ দিন আগে