কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
মাসুদ রানা
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার একটা গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। যে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের যে দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, সেটাও এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের দল অংশগ্রহণ করেছিল। এরপর আমরা দেখলাম, যারা এর স্টেকহোল্ডার বলে দাবি করছে, সেই শক্তিগুলো ক্রমান্বয়ে সামনে চলে এসেছে। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির একটা প্রভাব আমরা লক্ষ করছি। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা শুরু থেকে সমর্থন দিয়েছি। আর এই সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি ছিল না। আমরা বারবার বলার চেষ্টা করেছি, এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
কিন্তু আমরা লক্ষ করলাম, যেসব বড় দল হাসিনার ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, সেই দলগুলোর শ্রেণি চরিত্র পাল্টায়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, জামায়াতে ইসলামী প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে তাদের লোক বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আবার বিএনপি চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বজায় রেখেছে। এই সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা এনসিপি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করছে। আমরা নতুন রাজনীতিকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সে রাজনীতি যদি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে, তাহলে তো সেখানে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
এখন সার্বিকভাবে দেশে যে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এ সরকারকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে। আমরা আসলে সেটাই চাই। সেটার জন্য আমরা মাঠের সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।
দেশে দক্ষিণপন্থার উত্থান ঘটেছে। বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?
দক্ষিণপন্থার উত্থান নতুন কিছু না। ডানপন্থী রাজনীতির বিকাশের সঙ্গে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির একটা সম্পর্ক আছে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি সব সময় ডানপন্থী রাজনীতি করেছে। মাঝখানে কিছু দিন তারা প্রগতিশীল ডানপন্থী ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর সব রাজনৈতিক দল যারা দেশ শাসন করেছে, তাদের তো শ্রেণিগত রাজনীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত বা জাতীয় পার্টি যে-ই হোক না কেন।
এই ডানপন্থী রাজনীতির যে উত্থান, সেটা দীর্ঘদিন ধরে হয়েছে। এই ডানপন্থী শক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিকাশ হয়েছে। নতুনভাবে এই শক্তি মাথাচাড়া দেয়নি।
এই শক্তিকে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের বামপন্থী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। এই লড়াই-সংগ্রামে আমরা আছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নতুনভাবে যে দক্ষিণপন্থার উত্থান হয়েছে, সেটা আমি মনে করি না। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি এত দিন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এখন তারা সুযোগ বুঝে জেগে উঠেছে। এত দিন তো তাদের কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে একাত্তর-পরবর্তী সময়ে দক্ষিণপন্থী রাজনীতি সেভাবে ছিল না। তারা তখন বিভিন্ন দলের ছত্রচ্ছায়ায় ছিল। ১৯৭৫ সালের পরে এখন পর্যন্ত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, সেটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি হোক, কেউ তো কখনো জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হাসিনা সরকার একটা অর্ডিন্যান্স জারি করে সম্ভবত নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু কেউ তো নিষিদ্ধ করেনি। তারা বরং জামায়াতকে নিয়ে খেলেছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য জামায়াতে ইসলামী এবং দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। রাজনীতির ঘুঁটি হিসেবে তাদের ব্যবহার করেছে। ফলে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থান হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বামপন্থীদের করণীয় কী?
বামপন্থীরা আগাগোড়াই, মানে পাকিস্তান আমলেও দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছে ও জীবন দিয়েছে। সেটা একাত্তর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখনো আমাদের সেটাই করতে হবে। এর বিকল্প তো কিছু নেই। আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ডানপন্থী এবং দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি আছে এবং সেটা আমাদের জারি রাখতে হবে।
জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই সনদ বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ কি নির্ধারণ করতে পারবে?
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। আমরা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম এবং এখনো আছি। কিন্তু আমরা তো সমাজের আমূল পরিবর্তন চাই। আমরা যে কথাটি বারবার বলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো বলছি, নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। এখন জুলাই সনদ নিয়ে কথা হচ্ছে। সামনে এটা বাস্তবায়ন কী পদ্ধতিতে হবে, সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।
আমাদের পার্টির পক্ষে আমরা একটা বিষয়ে একমত যে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে বা ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতির প্রশ্নে কোনো ধরনের ছাড় আমরা দেব না। জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে নিয়ে যাওয়া আমরা কখনো সমর্থন করব না। আমার বিবেচনায় জুলাই সনদ বেশি পরিবর্তন আনতে পারবে না।
কেন?
পরবর্তী সময়ে যে দল ক্ষমতায় যাবে আমার তো মনে হয় তারা এটাকে গুরুত্ব দেবে না। এখন হয়তোবা আপসের কারণে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জুলাই সনদকে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এটা নিয়ে বেশি কিছু হবে না। আমার ধারণা, আমাদের দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো শ্রেণিগতভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তাই তারা এটাকে গুরুত্ব দেবে না।
জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের প্রস্তাব এসেছে। গণভোট অনুষ্ঠিত হলে তা কি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে?
আমরা বারবার বলছি এই সরকারকে, সংস্কার করুক আর না করুক, সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে হতে হবে। এটা আমাদের মূল কথা। কেউ কেউ গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সামনে যেহেতু আরও বৈঠক হবে। সেগুলো দেখার পরেই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।
নির্বাচনের আগে নানা জোটের কথা শোনা যাচ্ছে। সিপিবির জোট নিয়ে কী ভাবনা?
আমাদের ভাবনা তো আছে। প্রথমত, কয়েকটি বামপন্থী দল নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট আছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটকে ভিত্তি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে এবং দেশের দেশপ্রমিক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি আছে, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, দলিত, পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সংগঠন ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক—সব ধরনের সংগঠনকে নিয়ে আমরা একটা বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠন করতে চাইছি। যে ফ্রন্টের মাধ্যমে আমরা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারব এবং আমাদের প্রভাববলয়টা বৃদ্ধি করতে পারব। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আমাদের কংগ্রেসে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাই আমাদের লক্ষ্য এখন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রভাব কতটা কাজ করছে? এসব প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
আমাদের দুর্ভাগ্য হলো, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এত রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশটা স্বাধীন করলাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত যারা দেশটা শাসন করেছে, সবাই আঞ্চলিকভাবে ভারত এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমেরিকা—তাদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং তাদের ওপর নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করেছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের তো একটা গুরুত্ব আছে। এখনো আমেরিকা আমাদের দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করছে এবং আগেও করেছে। শেখ হাসিনার সব ধরনের কাজে ভারত সমর্থন দিয়েছে। আমাদের শাসকেরা এই দুই দেশকে মুরব্বি বলে মানে। তাদের প্রভাব আমাদের রাজনীতিতে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আধিপত্যবাদী ভারত এবং সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ছাড়া আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করতে পারে না। এটাই হলো বাংলাদেশের ট্র্যাজেডি।
ভারত ও আমেরিকার প্রভাব নিয়ন্ত্রণহীন করার জন্য করণীয় কী?
প্রথমত, দেশের জনগণের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। এ জন্য মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষকে তাদের অধিকারের লড়াই অগ্রসর করে নিতে হবে। এভাবে আঞ্চলিক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করা সম্ভব। অন্য পন্থায় সেটা সম্ভব নয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা আছে বলে মনে করেন?
বাধা তো নিশ্চয়ই আছে। কেননা, এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দল বলছে, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না। একই সঙ্গে নির্বাচনে তো টাকার খেলা আইন করে বন্ধ করা হয়নি। প্রশাসনিক কারচুপিগুলো বন্ধ হয়নি। নির্বাচন কমিশন ৫০ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করেছে। তার মানে গরিব মানুষ ভোট দিতে পারবে, কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। বিষয়টাকে এ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র তো আছেই। অতীতেও ছিল। এগুলোকে মোকাবিলা করেই নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায়, সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিদেশি শক্তি কাজ করছে। এই বক্তব্যকে আপনি কীভাবে দেখেন?
সেটা তাঁর বক্তব্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বাংলাদেশে নানা সময় নানা দেশের মানুষকে নির্বাচনের মৌসুমে আসতে দেখেছি। এখানে সারা বিশ্বের আধিপত্যবাদী শক্তি তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যার যার অবস্থান থেকে থাকার চেষ্টা করবে। নির্বাচনে বৈশ্বিক প্রভাব থাকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এগুলোকে মোকাবিলা করেই আমাদের নির্বাচন করতে হবে।
নির্বাচিত সরকার কি কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে পারবে?
নির্বাচন হলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে এবং গণতন্ত্র ফিরে আসবে, ব্যাপারটা সে রকম নয়। তবে গণতন্ত্রের একটা উপাদান হলো নির্বাচন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা থাকলে তাঁদের কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। আমাদের লড়াই তখনো করতে হবে। কারণ যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, দেশের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। যারা ৫৪ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা তো গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। সে জন্য যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমাদের লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার একটা গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। যে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের যে দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, সেটাও এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের দল অংশগ্রহণ করেছিল। এরপর আমরা দেখলাম, যারা এর স্টেকহোল্ডার বলে দাবি করছে, সেই শক্তিগুলো ক্রমান্বয়ে সামনে চলে এসেছে। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির একটা প্রভাব আমরা লক্ষ করছি। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা শুরু থেকে সমর্থন দিয়েছি। আর এই সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি ছিল না। আমরা বারবার বলার চেষ্টা করেছি, এ সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
কিন্তু আমরা লক্ষ করলাম, যেসব বড় দল হাসিনার ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, সেই দলগুলোর শ্রেণি চরিত্র পাল্টায়নি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, জামায়াতে ইসলামী প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে তাদের লোক বসিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আবার বিএনপি চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বজায় রেখেছে। এই সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা এনসিপি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করছে। আমরা নতুন রাজনীতিকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সে রাজনীতি যদি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে, তাহলে তো সেখানে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
এখন সার্বিকভাবে দেশে যে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এ সরকারকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছে। আমরা আসলে সেটাই চাই। সেটার জন্য আমরা মাঠের সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।
দেশে দক্ষিণপন্থার উত্থান ঘটেছে। বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?
দক্ষিণপন্থার উত্থান নতুন কিছু না। ডানপন্থী রাজনীতির বিকাশের সঙ্গে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির একটা সম্পর্ক আছে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটি সব সময় ডানপন্থী রাজনীতি করেছে। মাঝখানে কিছু দিন তারা প্রগতিশীল ডানপন্থী ছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর সব রাজনৈতিক দল যারা দেশ শাসন করেছে, তাদের তো শ্রেণিগত রাজনীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত বা জাতীয় পার্টি যে-ই হোক না কেন।
এই ডানপন্থী রাজনীতির যে উত্থান, সেটা দীর্ঘদিন ধরে হয়েছে। এই ডানপন্থী শক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিকাশ হয়েছে। নতুনভাবে এই শক্তি মাথাচাড়া দেয়নি।
এই শক্তিকে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের বামপন্থী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। এই লড়াই-সংগ্রামে আমরা আছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নতুনভাবে যে দক্ষিণপন্থার উত্থান হয়েছে, সেটা আমি মনে করি না। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি এত দিন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এখন তারা সুযোগ বুঝে জেগে উঠেছে। এত দিন তো তাদের কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে একাত্তর-পরবর্তী সময়ে দক্ষিণপন্থী রাজনীতি সেভাবে ছিল না। তারা তখন বিভিন্ন দলের ছত্রচ্ছায়ায় ছিল। ১৯৭৫ সালের পরে এখন পর্যন্ত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, সেটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি হোক, কেউ তো কখনো জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হাসিনা সরকার একটা অর্ডিন্যান্স জারি করে সম্ভবত নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু কেউ তো নিষিদ্ধ করেনি। তারা বরং জামায়াতকে নিয়ে খেলেছে। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য জামায়াতে ইসলামী এবং দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। রাজনীতির ঘুঁটি হিসেবে তাদের ব্যবহার করেছে। ফলে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থান হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে বামপন্থীদের করণীয় কী?
বামপন্থীরা আগাগোড়াই, মানে পাকিস্তান আমলেও দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছে ও জীবন দিয়েছে। সেটা একাত্তর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখনো আমাদের সেটাই করতে হবে। এর বিকল্প তো কিছু নেই। আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে ডানপন্থী এবং দক্ষিণপন্থী রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি আছে এবং সেটা আমাদের জারি রাখতে হবে।
জুলাই সনদ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এই সনদ বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ কি নির্ধারণ করতে পারবে?
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। আমরা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম এবং এখনো আছি। কিন্তু আমরা তো সমাজের আমূল পরিবর্তন চাই। আমরা যে কথাটি বারবার বলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো বলছি, নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সংস্কার করতে হবে। এখন জুলাই সনদ নিয়ে কথা হচ্ছে। সামনে এটা বাস্তবায়ন কী পদ্ধতিতে হবে, সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।
আমাদের পার্টির পক্ষে আমরা একটা বিষয়ে একমত যে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে বা ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতির প্রশ্নে কোনো ধরনের ছাড় আমরা দেব না। জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে নিয়ে যাওয়া আমরা কখনো সমর্থন করব না। আমার বিবেচনায় জুলাই সনদ বেশি পরিবর্তন আনতে পারবে না।
কেন?
পরবর্তী সময়ে যে দল ক্ষমতায় যাবে আমার তো মনে হয় তারা এটাকে গুরুত্ব দেবে না। এখন হয়তোবা আপসের কারণে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জুলাই সনদকে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এটা নিয়ে বেশি কিছু হবে না। আমার ধারণা, আমাদের দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো শ্রেণিগতভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। তাই তারা এটাকে গুরুত্ব দেবে না।
জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের প্রস্তাব এসেছে। গণভোট অনুষ্ঠিত হলে তা কি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে?
আমরা বারবার বলছি এই সরকারকে, সংস্কার করুক আর না করুক, সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে হতে হবে। এটা আমাদের মূল কথা। কেউ কেউ গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সামনে যেহেতু আরও বৈঠক হবে। সেগুলো দেখার পরেই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।
নির্বাচনের আগে নানা জোটের কথা শোনা যাচ্ছে। সিপিবির জোট নিয়ে কী ভাবনা?
আমাদের ভাবনা তো আছে। প্রথমত, কয়েকটি বামপন্থী দল নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট আছে। বাম গণতান্ত্রিক জোটকে ভিত্তি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে এবং দেশের দেশপ্রমিক, প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি আছে, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, দলিত, পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সংগঠন ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক—সব ধরনের সংগঠনকে নিয়ে আমরা একটা বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠন করতে চাইছি। যে ফ্রন্টের মাধ্যমে আমরা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে পারব এবং আমাদের প্রভাববলয়টা বৃদ্ধি করতে পারব। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আমাদের কংগ্রেসে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাই আমাদের লক্ষ্য এখন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রভাব কতটা কাজ করছে? এসব প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
আমাদের দুর্ভাগ্য হলো, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এত রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশটা স্বাধীন করলাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত যারা দেশটা শাসন করেছে, সবাই আঞ্চলিকভাবে ভারত এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমেরিকা—তাদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং তাদের ওপর নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করেছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের তো একটা গুরুত্ব আছে। এখনো আমেরিকা আমাদের দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করছে এবং আগেও করেছে। শেখ হাসিনার সব ধরনের কাজে ভারত সমর্থন দিয়েছে। আমাদের শাসকেরা এই দুই দেশকে মুরব্বি বলে মানে। তাদের প্রভাব আমাদের রাজনীতিতে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আধিপত্যবাদী ভারত এবং সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা ছাড়া আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করতে পারে না। এটাই হলো বাংলাদেশের ট্র্যাজেডি।
ভারত ও আমেরিকার প্রভাব নিয়ন্ত্রণহীন করার জন্য করণীয় কী?
প্রথমত, দেশের জনগণের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। এ জন্য মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষকে তাদের অধিকারের লড়াই অগ্রসর করে নিতে হবে। এভাবে আঞ্চলিক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করা সম্ভব। অন্য পন্থায় সেটা সম্ভব নয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা আছে বলে মনে করেন?
বাধা তো নিশ্চয়ই আছে। কেননা, এরই মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কিছু দল বলছে, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না। একই সঙ্গে নির্বাচনে তো টাকার খেলা আইন করে বন্ধ করা হয়নি। প্রশাসনিক কারচুপিগুলো বন্ধ হয়নি। নির্বাচন কমিশন ৫০ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করেছে। তার মানে গরিব মানুষ ভোট দিতে পারবে, কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। বিষয়টাকে এ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র তো আছেই। অতীতেও ছিল। এগুলোকে মোকাবিলা করেই নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায়, সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিদেশি শক্তি কাজ করছে। এই বক্তব্যকে আপনি কীভাবে দেখেন?
সেটা তাঁর বক্তব্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বাংলাদেশে নানা সময় নানা দেশের মানুষকে নির্বাচনের মৌসুমে আসতে দেখেছি। এখানে সারা বিশ্বের আধিপত্যবাদী শক্তি তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যার যার অবস্থান থেকে থাকার চেষ্টা করবে। নির্বাচনে বৈশ্বিক প্রভাব থাকা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এগুলোকে মোকাবিলা করেই আমাদের নির্বাচন করতে হবে।
নির্বাচিত সরকার কি কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে পারবে?
নির্বাচন হলেই যে সব সমস্যার সমাধান হবে এবং গণতন্ত্র ফিরে আসবে, ব্যাপারটা সে রকম নয়। তবে গণতন্ত্রের একটা উপাদান হলো নির্বাচন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা থাকলে তাঁদের কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। আমাদের লড়াই তখনো করতে হবে। কারণ যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, দেশের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। যারা ৫৪ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে, তারা তো গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। সে জন্য যে-ই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমাদের লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই জাতীয় সনদ সই করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
১১ ঘণ্টা আগেএ বছর পৃথিবীতে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। আর মেলবোর্ন আছে চতুর্থ স্থানে। ২৯ বছর আগে এক ভোরবেলায় এ দেশের মাটিতে পা রেখেছিলাম। ট্যাক্সিতে চড়ে যাওয়ার সময় ছবির মতো বাড়িঘর, সামনে বাগান, সারি সারি বৃক্ষ ও সাজানো রাস্তাঘাট দেখে মনে হচ্ছিল আমি কোনো সিনেমার শুটিং...
১১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য কমপ্লেক্সে ১৮ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে তিনটি বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল।
১১ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা, জোট রাজনীতি, নারীনীতি, নির্বাচনী প্রতীক ইস্যু থেকে শুরু করে ফান্ডিং ও ‘মেধা বনাম কোটার’ বিতর্ক—এসব বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা..
১ দিন আগে