মো. ইউসুপ ফারুক
বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ এবং অংশীদারত্বের পদ্ধতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ঘরে বসে কাজ করার পদ্ধতি অনুসরণ এবং নতুন অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আরও অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করছে। ফলে নির্বিঘ্নে অংশীদারত্ব ও পারস্পরিক সংযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে বিপুলসংখ্যক কর্মীর ঘরে বসে কাজ করার নতুন পদ্ধতি অনুসরণের আরও আগেই দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ, ফ্রিল্যান্সার এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের বিস্তার এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শ্রমশক্তির কারণে আইটি খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা দ্রুত পরিবর্তনশীল বিভিন্ন কাজের মডেলের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছেন।
কেবল ঘরে বসে কাজ করা পূর্ণ ও খণ্ডকালীন কর্মীরাই নয়, সমন্বিত এ শ্রমশক্তির মধ্যে আরও রয়েছেন ফ্রিল্যান্সার, কন্ট্রাক্টর, কনসালট্যান্টস, সাবসিডিয়ারি, প্যারেন্ট কোম্পানি, অংশীদার ও ভোক্তারা। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ইনসাইডার রিস্কের’ (অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি) আশঙ্কা বর্তমানে অনেক বেড়েছে। গত দুই বছরে এই ঝুঁকি দ্রুতগতিতে বেড়েছে। কিন্তু মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (এমএফএ) এবং পাসওয়ার্ডলেস সলিউশনের মতো আইডেন্টিটি অথেনটিকেশনের মতো শক্তিশালী সমাধান খুব কম প্রতিষ্ঠানই গ্রহণ করেছে।
মাইক্রোসফট থ্রেট ডেটা এবং গবেষণার সাম্প্রতিক সাইবার ঝুঁকি নিরাপত্তা প্রতিবেদন ‘সাইবার সিগন্যাল’ অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাইক্রোসফটের ক্লাউড আইডেনটিটি সলিউশন, মাইক্রোসফট আজুরি অ্যাকটিভ ডিরেক্টরি (আজুরি এডি) ব্যবহারকারী গ্রাহকদের মাত্র ২২ শতাংশ শক্তিশালী আইডেনটিটি অথেনটিকেশন প্রোটেকশন ব্যবহার করেছেন।
এমএফএ এবং পাসওয়ার্ডলেস সলিউশন বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের সমাধান সম্পর্কে জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, আমরা ২৫ দশমিক ৬ বিলিয়নের বেশি আজুর এডি ব্রুট ফোর্স অথেনটিকেশন অ্যাটাক ব্লক করেছি। একই সময়ে অফিস ৩৬৫-এর মাইক্রোসফট ডিফেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ফিশিং ই-মেইল প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
মাইক্রোসফটে আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান ডিজিটাল সম্পদ—আইডেনটিটির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট এবং সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা গ্রাহকদের পরিচয় যাচাই করি। কিন্তু গ্রাহকদের নিজ পরিচয় প্রমাণের জন্য কেবল একটি পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভর করলে হ্যাকারদের জন্য সাইবার হামলা বেশ সহজ হয়ে যায়।
অনলাইন ঝুঁকির পরিমাণ, গতি এবং জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে। সাইবার জগতের বিভিন্ন প্রবণতা ও ঝুঁকির কথা মানুষকে জানাতেই আমাদের সাইবার সিগন্যাল। এতে আইওটি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ, নতুন র্যানসমওয়্যার কৌশল থেকে সাইবার অপরাধের ভেতরকার খবরাখবর, বিভিন্ন প্রবণতা বা ট্রেন্ড বিশ্লেষণ, বাস্তবধর্মী নির্দেশনা ইত্যাদি স্থান পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে শক্তিশালী ডিজিটাল সুরক্ষা প্রদানই এর মূল লক্ষ্য।
ঘরে বসে কাজ করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হোম অফিস, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও বিভিন্ন দূরবর্তী স্থানসহ একাধিক জায়গা থেকে মানুষ নিজেদের ব্যবসার কাজে অ্যাপ ও ডেটা ব্যবহারের ফলে এখন তারা নিরাপদ অথেনটিফিকেশনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে। তবে শুধু আমাদের ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই যথেষ্ট নয়। আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ডিভাইস, পরিচয়, প্ল্যাটফর্ম ও ক্লাউডও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ
বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ এবং অংশীদারত্বের পদ্ধতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। ঘরে বসে কাজ করার পদ্ধতি অনুসরণ এবং নতুন অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে আরও অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করছে। ফলে নির্বিঘ্নে অংশীদারত্ব ও পারস্পরিক সংযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে বিপুলসংখ্যক কর্মীর ঘরে বসে কাজ করার নতুন পদ্ধতি অনুসরণের আরও আগেই দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ, ফ্রিল্যান্সার এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের বিস্তার এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শ্রমশক্তির কারণে আইটি খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা দ্রুত পরিবর্তনশীল বিভিন্ন কাজের মডেলের রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গেছেন।
কেবল ঘরে বসে কাজ করা পূর্ণ ও খণ্ডকালীন কর্মীরাই নয়, সমন্বিত এ শ্রমশক্তির মধ্যে আরও রয়েছেন ফ্রিল্যান্সার, কন্ট্রাক্টর, কনসালট্যান্টস, সাবসিডিয়ারি, প্যারেন্ট কোম্পানি, অংশীদার ও ভোক্তারা। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ইনসাইডার রিস্কের’ (অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি) আশঙ্কা বর্তমানে অনেক বেড়েছে। গত দুই বছরে এই ঝুঁকি দ্রুতগতিতে বেড়েছে। কিন্তু মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (এমএফএ) এবং পাসওয়ার্ডলেস সলিউশনের মতো আইডেন্টিটি অথেনটিকেশনের মতো শক্তিশালী সমাধান খুব কম প্রতিষ্ঠানই গ্রহণ করেছে।
মাইক্রোসফট থ্রেট ডেটা এবং গবেষণার সাম্প্রতিক সাইবার ঝুঁকি নিরাপত্তা প্রতিবেদন ‘সাইবার সিগন্যাল’ অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাইক্রোসফটের ক্লাউড আইডেনটিটি সলিউশন, মাইক্রোসফট আজুরি অ্যাকটিভ ডিরেক্টরি (আজুরি এডি) ব্যবহারকারী গ্রাহকদের মাত্র ২২ শতাংশ শক্তিশালী আইডেনটিটি অথেনটিকেশন প্রোটেকশন ব্যবহার করেছেন।
এমএফএ এবং পাসওয়ার্ডলেস সলিউশন বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের সমাধান সম্পর্কে জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, আমরা ২৫ দশমিক ৬ বিলিয়নের বেশি আজুর এডি ব্রুট ফোর্স অথেনটিকেশন অ্যাটাক ব্লক করেছি। একই সময়ে অফিস ৩৬৫-এর মাইক্রোসফট ডিফেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ফিশিং ই-মেইল প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
মাইক্রোসফটে আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান ডিজিটাল সম্পদ—আইডেনটিটির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট এবং সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা গ্রাহকদের পরিচয় যাচাই করি। কিন্তু গ্রাহকদের নিজ পরিচয় প্রমাণের জন্য কেবল একটি পাসওয়ার্ডের ওপর নির্ভর করলে হ্যাকারদের জন্য সাইবার হামলা বেশ সহজ হয়ে যায়।
অনলাইন ঝুঁকির পরিমাণ, গতি এবং জটিলতা ক্রমেই বাড়ছে। সাইবার জগতের বিভিন্ন প্রবণতা ও ঝুঁকির কথা মানুষকে জানাতেই আমাদের সাইবার সিগন্যাল। এতে আইওটি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ, নতুন র্যানসমওয়্যার কৌশল থেকে সাইবার অপরাধের ভেতরকার খবরাখবর, বিভিন্ন প্রবণতা বা ট্রেন্ড বিশ্লেষণ, বাস্তবধর্মী নির্দেশনা ইত্যাদি স্থান পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে শক্তিশালী ডিজিটাল সুরক্ষা প্রদানই এর মূল লক্ষ্য।
ঘরে বসে কাজ করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং হোম অফিস, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও বিভিন্ন দূরবর্তী স্থানসহ একাধিক জায়গা থেকে মানুষ নিজেদের ব্যবসার কাজে অ্যাপ ও ডেটা ব্যবহারের ফলে এখন তারা নিরাপদ অথেনটিফিকেশনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছে। তবে শুধু আমাদের ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই যথেষ্ট নয়। আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ডিভাইস, পরিচয়, প্ল্যাটফর্ম ও ক্লাউডও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের প্রত্যাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে যে, এই সরকার প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছে। ৩১ জ
৬ মিনিট আগেবাঙালি মুসলমানের মনে একটা অদ্ভুত ধারণা ভিত্তি পেয়েছে। তাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ব্রিটিশ যুগে এসেই মুসলমানরা বঞ্চিত হয়েছে। তুর্কি-মোগলদের শাসনামলে বাঙালি মুসলমানরা ধনে-মানে-শিক্ষায়-সংস্কৃতিতে এগিয়ে ছিল। ব্রিটিশরা এসে তাদের সেই অবস্থা থেকে টেনে নামিয়েছে। আর তারই সুযোগ নিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়।
১ দিন আগেবর্তমানকালের পরিপ্রেক্ষিতে নয়া ইতিহাস তৈরির বাহানা নিয়ে কিছু কথা বলা জরুরি। বর্তমানে যেভাবে কোনো কোনো মহল থেকে নিজের পছন্দমতো ইতিহাসের ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, কখনো কখনো তা অতি হাস্যকর হলেও ডিজিটাল যুগে সেই প্রচারণায় অনেকেই মজে যায়। তা বিশ্বাস করে নেয়। মানুষ যাচাই করে দেখে না, এই প্রচ
১ দিন আগেঅধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে বলেন, ‘তরুণেরা সত্যিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের খারাপ কোনো কিছুর সঙ্গে সংস্পর্শ নেই বা নিজেদের রাজনৈতিক আখের গোছানোর ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা নেই। তারা এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দল গঠন করছে বা রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছে। এটা দরকার। কারণ, রক্ত দিয়ে তারা যেগুলো অর্জন করেছে
১ দিন আগে