ড. তামান্না তাসকীন
বর্তমান সময়ে ঢাকা মহানগরীসহ যেকোনো শহর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা যেভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, তাতে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পায়ে চালিত রিকশাকে জাদুঘরে দেখতে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তর্ক বা বিতর্কে যাওয়া যেতেই পারে, তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য এর কোনোটিই নয়। প্রতিদিন গন্তব্যে পৌঁছাতে রিকশাই যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের কাছে সময়মতো বা কম সময়ে কোথাও উপস্থিত হতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দুই ধরনের রিকশা যখন দাঁড়িয়ে থাকে, তখন যাত্রীরা একই ভাড়া বা কখনো কখনো কিছুটা কম ভাড়ার বিনিময়ে পায়ে চলা রিকশার বদলে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে বেছে নিচ্ছে। একজন সাধারণ যাত্রী হিসেবে আমি যখন এমন করি, তখন একধরনের কষ্ট লাগে পায়ে চালিত রিকশাওয়ালার জন্য। আমার কেবলই মনে হয় যে তাকেও তো সংসার চালাতে হয়। তার পরিশ্রম তো অনেক বেশি। আবার সময়ের কথা চিন্তা করে সব সময় তা করতেও পারা যায় না। সাময়িকভাবে এই দ্রুত চালিত রিকশা আমাদের যতই ভালো করুক না কেন, দীর্ঘ মেয়াদে এর বাস্তব সুফল ও কুফল নিয়ে চিন্তা করার সময় দ্রুতই চলে যাচ্ছে।
গত ৫ আগস্টের আগেও যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে রাজধানীবাসী হঠাৎই কালেভদ্রে দেখতে পেত কি না সন্দেহ, সেই অটোরিকশাই এখন নানান রঙে নানান ঢঙে পাল তোলা নৌকার মতো বাংলার টেসলা নামে পরিচিতি লাভ করে ঢাকা শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মহাসড়কে মহাসমারোহে চারণ করে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব রিকশা কখনো উল্টো পথে, কখনো দ্রুতবেগে চলার কারণে বা কোনো কোনো সময় ইউ টার্ন নিতে গিয়ে উল্টে পড়ছে বা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া এসব রিকশার বেশির ভাগ আসনব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণেও দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এ জন্য যাত্রীকে দিতে হচ্ছে জীবন চলে যাওয়ার মতো খেসারত। যেকোনো যানবাহনের ভারসাম্য নির্ভর করে এর সেন্টার অব গ্র্যাভিটি সিস্টেমের ওপর। অটোরিকশায় মোটর লাগিয়ে সেন্টার অব গ্র্যাভিটি পরিবর্তন করায় এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে খুব সহজেই।
যদিও গত নভেম্বরে হাইকোর্টের রায়ে অটোরিকশা চলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে চালকদের প্রচণ্ড আন্দোলনের কারণে আপিল বিভাগে তা স্থগিত হয়ে যায়। তিন বছর আগে থ্রি-স্ট্রোক বিশিষ্ট যানবাহনের বিষয়ে খসড়া নীতি তৈরি করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা শহরে অটোরিকশার আনুমানিক সংখ্যা ৮-১০ লাখের মতো। এই অটোরিকশাচালকদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ বা লাইসেন্স। জীবিকার প্রয়োজনে কম পরিশ্রমে বেশি আয় করার সুযোগ খুঁজতে এসব বেকার জনগোষ্ঠীর শহরমুখীনতার প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এই মহানগরীর ধারণক্ষমতা এতটাই সংকুচিত যে বর্ধিত এসব ভ্রাম্যমাণ বেকারত্বের অবসান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আবার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রিকশাচালকদের আয়ও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের অর্থনীতিকে কেন্দ্রীভূত না করে বিকেন্দ্রীকরণ না করলে ভবিষ্যতের ঢাকা শুধু বসবাসের অযোগ্যই হবে না, সেই সঙ্গে সামাজিক অপরাধের প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হবে।
পাশাপাশি আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সব ধরনের রিকশাতেই এখন যে যন্ত্র বসিয়ে তাকে অটোরিকশা হিসেবে তৈরি করা হয়, তার মোটর বা ব্যাটারি আমদানি এখনো বন্ধ হয়নি। ফলে খুব সহজেই বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব রিকশার পার্টস দেশে এনে লোকাল গ্যারেজগুলোতে অ্যাসেম্বল করে তাকে অটোরিকশায় পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা অশনিসংকেত ছাড়া কিছুই নয়। এর ফলে রিকশার ভারসাম্য থাকছে না। তীব্র গতির কারণে বাঁক বা মোড় নিতে গেলেই উল্টে পড়ছে। তাই গতি নিয়ে যাঁরা আনন্দিত হচ্ছেন, তাঁদের জীবনে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপর্যয়। আবার ব্যাটারিচালিত রিকশাকে অবৈধভাবে চার্জ দেওয়ায় বিদ্যুতের ঘাটতিও বাড়ছে। ফলে গরমকালে লোডশেডিং থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে।
অনেকেই লেখাটি পড়ে ভাবতে পারেন, অটোরিকশাচালকেরা তো খেটে খাওয়া গরিব মানুষ। তাদের আয়ের পথ বন্ধ হলে তারা কীভাবে সংসার চালাবেন? এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অটোরিকশা-ভ্যানসহ এ ধরনের যানবাহন চালকদের জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করেই সরকার কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটি একদিকে সরকারের উদারতা হলেও এই সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা না হলে হতাশা, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, সামাজিক অপরাধসহ অন্যান্য সামাজিক সমস্যার পরিধি বিস্তৃত হতেই থাকবে।
একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অটোরিকশাচালকদের একটা বড় অংশ মাদকাসক্ত। এর কারণ, কোনো কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই অল্প সময়ে অর্থ আয় করায় তা অবৈধ কাজে ব্যয় করতেও কষ্ট হয় না। আসলে পায়ে চালিয়ে নেওয়ার জন্য যে রিকশার জন্ম, তাকে যত যন্ত্র দিয়েই আধুনিক করা হোক না কেন, তার গতিই দুর্গতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তা ছাড়া গ্রামীণ জীবন ছেড়ে অর্থের প্রয়োজনে শহরে এসে অমানবিক জীবিকা অন্বেষণ করার চাইতে আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়া অনেক বেশি সম্মানের। এ জন্য বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া উচ্চশিক্ষায় আবদ্ধ করে না রেখে কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষায় রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হলে কর্মদক্ষ জনগোষ্ঠীর বিকল্প নেই। আর তাই এ ধরনের সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে আমলে নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হতে পারে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)
বর্তমান সময়ে ঢাকা মহানগরীসহ যেকোনো শহর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা যেভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, তাতে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পায়ে চালিত রিকশাকে জাদুঘরে দেখতে যাওয়ার সময় চলে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে তর্ক বা বিতর্কে যাওয়া যেতেই পারে, তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য এর কোনোটিই নয়। প্রতিদিন গন্তব্যে পৌঁছাতে রিকশাই যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের কাছে সময়মতো বা কম সময়ে কোথাও উপস্থিত হতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দুই ধরনের রিকশা যখন দাঁড়িয়ে থাকে, তখন যাত্রীরা একই ভাড়া বা কখনো কখনো কিছুটা কম ভাড়ার বিনিময়ে পায়ে চলা রিকশার বদলে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে বেছে নিচ্ছে। একজন সাধারণ যাত্রী হিসেবে আমি যখন এমন করি, তখন একধরনের কষ্ট লাগে পায়ে চালিত রিকশাওয়ালার জন্য। আমার কেবলই মনে হয় যে তাকেও তো সংসার চালাতে হয়। তার পরিশ্রম তো অনেক বেশি। আবার সময়ের কথা চিন্তা করে সব সময় তা করতেও পারা যায় না। সাময়িকভাবে এই দ্রুত চালিত রিকশা আমাদের যতই ভালো করুক না কেন, দীর্ঘ মেয়াদে এর বাস্তব সুফল ও কুফল নিয়ে চিন্তা করার সময় দ্রুতই চলে যাচ্ছে।
গত ৫ আগস্টের আগেও যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে রাজধানীবাসী হঠাৎই কালেভদ্রে দেখতে পেত কি না সন্দেহ, সেই অটোরিকশাই এখন নানান রঙে নানান ঢঙে পাল তোলা নৌকার মতো বাংলার টেসলা নামে পরিচিতি লাভ করে ঢাকা শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে মহাসড়কে মহাসমারোহে চারণ করে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব রিকশা কখনো উল্টো পথে, কখনো দ্রুতবেগে চলার কারণে বা কোনো কোনো সময় ইউ টার্ন নিতে গিয়ে উল্টে পড়ছে বা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তা ছাড়া এসব রিকশার বেশির ভাগ আসনব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণেও দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। এ জন্য যাত্রীকে দিতে হচ্ছে জীবন চলে যাওয়ার মতো খেসারত। যেকোনো যানবাহনের ভারসাম্য নির্ভর করে এর সেন্টার অব গ্র্যাভিটি সিস্টেমের ওপর। অটোরিকশায় মোটর লাগিয়ে সেন্টার অব গ্র্যাভিটি পরিবর্তন করায় এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে খুব সহজেই।
যদিও গত নভেম্বরে হাইকোর্টের রায়ে অটোরিকশা চলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে চালকদের প্রচণ্ড আন্দোলনের কারণে আপিল বিভাগে তা স্থগিত হয়ে যায়। তিন বছর আগে থ্রি-স্ট্রোক বিশিষ্ট যানবাহনের বিষয়ে খসড়া নীতি তৈরি করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা শহরে অটোরিকশার আনুমানিক সংখ্যা ৮-১০ লাখের মতো। এই অটোরিকশাচালকদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ বা লাইসেন্স। জীবিকার প্রয়োজনে কম পরিশ্রমে বেশি আয় করার সুযোগ খুঁজতে এসব বেকার জনগোষ্ঠীর শহরমুখীনতার প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এই মহানগরীর ধারণক্ষমতা এতটাই সংকুচিত যে বর্ধিত এসব ভ্রাম্যমাণ বেকারত্বের অবসান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আবার অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রিকশাচালকদের আয়ও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের অর্থনীতিকে কেন্দ্রীভূত না করে বিকেন্দ্রীকরণ না করলে ভবিষ্যতের ঢাকা শুধু বসবাসের অযোগ্যই হবে না, সেই সঙ্গে সামাজিক অপরাধের প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হবে।
পাশাপাশি আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সব ধরনের রিকশাতেই এখন যে যন্ত্র বসিয়ে তাকে অটোরিকশা হিসেবে তৈরি করা হয়, তার মোটর বা ব্যাটারি আমদানি এখনো বন্ধ হয়নি। ফলে খুব সহজেই বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব রিকশার পার্টস দেশে এনে লোকাল গ্যারেজগুলোতে অ্যাসেম্বল করে তাকে অটোরিকশায় পরিবর্তন করা হচ্ছে, যা অশনিসংকেত ছাড়া কিছুই নয়। এর ফলে রিকশার ভারসাম্য থাকছে না। তীব্র গতির কারণে বাঁক বা মোড় নিতে গেলেই উল্টে পড়ছে। তাই গতি নিয়ে যাঁরা আনন্দিত হচ্ছেন, তাঁদের জীবনে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপর্যয়। আবার ব্যাটারিচালিত রিকশাকে অবৈধভাবে চার্জ দেওয়ায় বিদ্যুতের ঘাটতিও বাড়ছে। ফলে গরমকালে লোডশেডিং থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে।
অনেকেই লেখাটি পড়ে ভাবতে পারেন, অটোরিকশাচালকেরা তো খেটে খাওয়া গরিব মানুষ। তাদের আয়ের পথ বন্ধ হলে তারা কীভাবে সংসার চালাবেন? এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অটোরিকশা-ভ্যানসহ এ ধরনের যানবাহন চালকদের জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করেই সরকার কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটি একদিকে সরকারের উদারতা হলেও এই সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা না হলে হতাশা, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, সামাজিক অপরাধসহ অন্যান্য সামাজিক সমস্যার পরিধি বিস্তৃত হতেই থাকবে।
একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অটোরিকশাচালকদের একটা বড় অংশ মাদকাসক্ত। এর কারণ, কোনো কায়িক পরিশ্রম ছাড়াই অল্প সময়ে অর্থ আয় করায় তা অবৈধ কাজে ব্যয় করতেও কষ্ট হয় না। আসলে পায়ে চালিয়ে নেওয়ার জন্য যে রিকশার জন্ম, তাকে যত যন্ত্র দিয়েই আধুনিক করা হোক না কেন, তার গতিই দুর্গতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তা ছাড়া গ্রামীণ জীবন ছেড়ে অর্থের প্রয়োজনে শহরে এসে অমানবিক জীবিকা অন্বেষণ করার চাইতে আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়া অনেক বেশি সম্মানের। এ জন্য বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া উচ্চশিক্ষায় আবদ্ধ করে না রেখে কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষায় রূপান্তরিত করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হলে কর্মদক্ষ জনগোষ্ঠীর বিকল্প নেই। আর তাই এ ধরনের সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে আমলে নিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ভিত্তি হতে পারে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)
মব ভায়োলেন্স তথা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ সহিংসতাই যেন কথিত নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের পথ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে উল্টো এর সাফাই গাওয়ায় এমন ধারণার উদ্রেক হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের...
১৫ ঘণ্টা আগেউত্তেজনা একটি রোগ। এটি সংক্রামকও বটে। হঠাৎ করে আমাদের দেশ ও সমাজে উত্তেজনা এত বেড়েছে যে শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না। আমরা বাস করি দেশের বাইরে অথচ এই দূরদেশেও সে উত্তেজনার আঁচ দেখতে পাচ্ছি। যত দিন যাচ্ছে, নিজেদের ভেতর অশান্তি আর গন্ডগোল যেন বেড়েই চলেছে। এর নিরসন কোথায় বা কীভাবে তা সম্ভব...
১৫ ঘণ্টা আগেশুনলে মনে হয় রসিকতা। কিন্তু বাস্তবটা এতটাই তিক্ত যে চোখ কপালে ওঠে। গাজীপুরের শ্রীপুরে এক্স সিরামিকস লিমিটেড নামের একটি কারখানা, যাদের বিরুদ্ধে নদী দখল ও দূষণের একাধিক অভিযোগ প্রমাণসহ রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নথিতে, তারা কিনা পেয়েছে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন...
১৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করা মোজাম্মেল হোসেন, ঘনিষ্ঠ মহলে যিনি মঞ্জু নামেই বেশি পরিচিত, ছাত্রাবস্থায় ১৯৬৯ সালে সাপ্তাহিক ‘যুগবাণী’ ও ১৯৭০ সালে সাপ্তাহিক ‘একতা’য় প্রতিবেদক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
২ দিন আগে