অরুণাভ পোদ্দার
রবীন্দ্রনাথ বাঙালির মনন গঠনে নিবিড় ভূমিকা রেখে গেছেন এবং এখনো তা প্রবহমান তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাঙালির জীবনে যে ঋতু সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে তা নিঃসন্দেহে বর্ষা। আপাত অলস কর্মবিমুখ, অতীতচারী হিসেবে বাঙালির সুনাম বা দুর্নাম যা-ই থাকুক, সেটাও বলা যায় বর্ষার প্রভাবেই। তাই মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালির মানস গঠনে বর্ষা ঋতু ও অতি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের অবদান অনস্বীকার্য। সেই বর্ষা আবার কবিগুরুরও প্রিয় ঋতু। গান, কবিতা, সাহিত্যে বর্ষার নিপুণ চিত্র তাঁর মতো এত নিখুঁতভাবে আর কেউ ফুটিয়ে তুলেছেন কি না, তা আমার জানা নেই। চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের খরতাপের পর প্রাকৃতিক নিয়মে বর্ষার আগমন জনজীবনে শুধু স্বস্তিই আনে না, কৃষিপ্রধান অর্থনীতিতে এর অবদানও অসামান্য। রবীন্দ্রনাথের এই প্রকৃতিপ্রেম তথা বর্ষার প্রতি ভালোবাসার পেছনে আমার দৃষ্টিতে দুটো জিনিস প্রভাব ফেলেছে।
পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের পল্লির সোঁদা মাটির ঘ্রাণ, উন্মত্ত পদ্মা, সহজসরল মানুষদের জীবনাচার, জেলে, কৃষকদের প্রতিনিয়ত জীবনসংগ্রাম, তাঁর ওপর প্রভাব ফেলেছিল নিঃসন্দেহে। পল্লিবাংলার বর্ষা আর বোলপুরের বর্ষা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই ভিন্ন।
পূর্ববঙ্গে বসে তাঁর বিখ্যাত ‘সোনার তরী’ কবিতা ও ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থ সেই রকম একটি উচ্চমার্গীয় কাব্য। পদ্মা নদীতে বোটে বসে জলভারন্ত কালো মেঘ আকাশে, ওপারে ছায়াঘন তরুঘেরা গ্রামগুলোর মাঝে উন্মত্ত নদীতে কাঁচা ধানবোঝাই চাষিদের ডিঙি নৌকা হু করে স্রোতের ওপর ভেসে চলেছে, তা দেখে কবি লিখলেন:
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা
কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা।
কবিতাটির প্রথম পঙক্তিগুলোয় ভরা বর্ষার ছবি পরিস্ফুটিত হয়েছে। কিন্তু শেষের পঙক্তিগুলোতে এসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত জীবনদর্শনের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।
শিলাইদহে কবিগুরুর বিখ্যাত ও জনপ্রিয় বর্ষার গানটি না বললেই নয়: ‘আজ ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার পরান সখা বন্ধু হে আমার।’
‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে’ বোলপুরে রচিত মল্লার রাগে বাঁধা গানটি হেন রবীন্দ্রপ্রেমিক বাঙালি নেই, যার হৃদয়কে স্পর্শ করে না। আষাঢ়ের প্রথম দিনটিতে এই গানটি তার চাই-ই। ‘এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি’–প্রতিটি বাঙালির হৃদয়কে আলোড়িত করে যাবে আবহমানকাল ধরেই।
‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে’–গীতাঞ্জলির এই বিখ্যাত গানটিও শান্তিনিকেতনেই লেখা। এখন একটু অন্তরা ও সঞ্চারীতে দৃষ্টিপাত করলে মনে হবে, সাধারণ কোনো মানব, মানবী হয়তো তার প্রিয়জনের প্রতীক্ষায় বসে রয়েছেন কোনো এক বাদল দিনে, যখন সারা আকাশ মেঘে ঢেকে আছে।
‘কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা লোকের মাঝে,
আজ আমি যে বসে আছি তোমারি আশ্বাসে
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল বেলা।’
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তো আর সবার মতো কল্পনা করতেন না, তাই এই ‘তোমার’ বা ‘তুমি’ যার প্রতীক্ষার কথা বলা হচ্ছে, তিনি আমাদের সবার পরম প্রতীক্ষিত জন, হতে পারেন পরম আরাধ্য সেইজন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রেম, প্রকৃতি, পূজাপর্বের অনেক গানেই সেই পরম আরাধ্যকে খুঁজেছেন।
‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান’ কবির ৭৮ বয়সের অপূর্ব সৃষ্টি। গানটিতে প্রাপ্তির অনাবিল আনন্দ এবং ঠিক পরেই অপ্রাপ্তি ও সংশয়ের এক অসামান্য দোলাচল লক্ষ করা যায়। তাই তো তিনি লিখতে পারেন: ‘আজ এনে দিলে হয়তো দেবে না কাল, রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল।’ এ যেন সুখের পরে দুঃখ, আলোর পরে অন্ধকার, পাওয়ার পরে হারানোর চিরায়ত জীবনচক্রের প্রতিচ্ছবি।
বোলপুরের আশ্রমে থাকাকালীন জীবনের শেষ দশকগুলোয় বর্ষামঙ্গল উৎসবে তাঁর রচিত বর্ষার গানগুলো কালজয়ী–তাতে যেমন গভীর প্রেম ও বিরহী মনের রোদন অনুরণিত হয়, তেমনি মানবজীবনের গভীর দর্শনও উৎসারিত।
এ রকম অসংখ্য গানের
কথা উল্লেখ করা যায়; কিন্তু এত
স্বল্প পরিসরে আমার মতো স্বল্পজ্ঞানী মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এমনি
একটি গান:
আজ আকাশের মনের কথা ঝরো ঝরো বাজে
সারা প্রহর আমার বুকের মাঝে।
দিঘির কালো জলের’ পরে মেঘের ছায়া ঘনিয়ে ধরে,
বাতাস বহে যুগান্তরের প্রাচীন বেফনা যে।
এই গানটিতে যে রূপকল্প ফুটে উঠেছে, তা বাংলা গানে একদিকে যেমন আধুনিক রোমান্টিকতার ছোঁয়া দেখা যায়, তেমনি কাব্যমাধুর্যেও উদ্ভাসিত হয়ে থাকবে।
রবীন্দ্রনাথের পরিমিতিবোধের কথা না বললে এই আলোচনা অসমাপ্তই থেকে যাবে।
প্রেমের মাঝে অভিসারেও সেই রুচিবোধের চিহ্ন রেখে গেছেন। বর্ষামঙ্গলে গীত প্রেমপর্বের এই গানটিতে দেখি:
‘বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি দ্বারে পথিকেরে লহো ডাকি তব মন্দিরের এক ধারে’
বনপথ হতে, সুন্দরী, এনেছি মল্লিকামঞ্জরী।
স্বাভাবিকভাবেই এখানে এসে যায় মানব-মানবীর সহজাত প্রেম। পাঠক-শ্রোতা হয়তো রুদ্ধনিশ্বাসে অপেক্ষা করছেন অন্ধকার রাতে অভিসারের নাটকীয়তার। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এখানে এসে লিখলেন:
তুমি লবে নিজ বেণীবন্ধে মনে রেখেছি দূরাশারে,
কোন কথা নাহি বলে ধীরে ধীরে ফিরে যাব চলে।
এই যে অন্ধকার দুর্যোগের রাতে প্রেয়সীকে শুধু একনজর দেখে বনফুলের মঞ্জরি উপহার দিয়ে কোনো কথা না বলেই চলে যাওয়া, এ তো সাধারণ শারীরিক কোনো প্রেম নয়। রবীন্দ্রনাথের পক্ষেই শুধু সম্ভব এ ধরনের কল্পনা ও পরিমিতিবোধের। তাই রবীন্দ্রনাথ বাঙালির শিল্পবোধ, রুচিবোধ ও সর্বোপরি জীবনবোধের পথিকৃৎ। যত দিন বাঙালি জাতি ও বর্ষা ঋতু টিকে থাকবে, তত দিন বাঙালি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করবে।
লেখক: চিকিৎসক
রবীন্দ্রনাথ বাঙালির মনন গঠনে নিবিড় ভূমিকা রেখে গেছেন এবং এখনো তা প্রবহমান তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাঙালির জীবনে যে ঋতু সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে তা নিঃসন্দেহে বর্ষা। আপাত অলস কর্মবিমুখ, অতীতচারী হিসেবে বাঙালির সুনাম বা দুর্নাম যা-ই থাকুক, সেটাও বলা যায় বর্ষার প্রভাবেই। তাই মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালির মানস গঠনে বর্ষা ঋতু ও অতি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের অবদান অনস্বীকার্য। সেই বর্ষা আবার কবিগুরুরও প্রিয় ঋতু। গান, কবিতা, সাহিত্যে বর্ষার নিপুণ চিত্র তাঁর মতো এত নিখুঁতভাবে আর কেউ ফুটিয়ে তুলেছেন কি না, তা আমার জানা নেই। চৈত্র-বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের খরতাপের পর প্রাকৃতিক নিয়মে বর্ষার আগমন জনজীবনে শুধু স্বস্তিই আনে না, কৃষিপ্রধান অর্থনীতিতে এর অবদানও অসামান্য। রবীন্দ্রনাথের এই প্রকৃতিপ্রেম তথা বর্ষার প্রতি ভালোবাসার পেছনে আমার দৃষ্টিতে দুটো জিনিস প্রভাব ফেলেছে।
পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের পল্লির সোঁদা মাটির ঘ্রাণ, উন্মত্ত পদ্মা, সহজসরল মানুষদের জীবনাচার, জেলে, কৃষকদের প্রতিনিয়ত জীবনসংগ্রাম, তাঁর ওপর প্রভাব ফেলেছিল নিঃসন্দেহে। পল্লিবাংলার বর্ষা আর বোলপুরের বর্ষা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই ভিন্ন।
পূর্ববঙ্গে বসে তাঁর বিখ্যাত ‘সোনার তরী’ কবিতা ও ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থ সেই রকম একটি উচ্চমার্গীয় কাব্য। পদ্মা নদীতে বোটে বসে জলভারন্ত কালো মেঘ আকাশে, ওপারে ছায়াঘন তরুঘেরা গ্রামগুলোর মাঝে উন্মত্ত নদীতে কাঁচা ধানবোঝাই চাষিদের ডিঙি নৌকা হু করে স্রোতের ওপর ভেসে চলেছে, তা দেখে কবি লিখলেন:
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা
কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা।
কবিতাটির প্রথম পঙক্তিগুলোয় ভরা বর্ষার ছবি পরিস্ফুটিত হয়েছে। কিন্তু শেষের পঙক্তিগুলোতে এসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত জীবনদর্শনের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।
শিলাইদহে কবিগুরুর বিখ্যাত ও জনপ্রিয় বর্ষার গানটি না বললেই নয়: ‘আজ ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার পরান সখা বন্ধু হে আমার।’
‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে’ বোলপুরে রচিত মল্লার রাগে বাঁধা গানটি হেন রবীন্দ্রপ্রেমিক বাঙালি নেই, যার হৃদয়কে স্পর্শ করে না। আষাঢ়ের প্রথম দিনটিতে এই গানটি তার চাই-ই। ‘এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি’–প্রতিটি বাঙালির হৃদয়কে আলোড়িত করে যাবে আবহমানকাল ধরেই।
‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে আঁধার করে আসে’–গীতাঞ্জলির এই বিখ্যাত গানটিও শান্তিনিকেতনেই লেখা। এখন একটু অন্তরা ও সঞ্চারীতে দৃষ্টিপাত করলে মনে হবে, সাধারণ কোনো মানব, মানবী হয়তো তার প্রিয়জনের প্রতীক্ষায় বসে রয়েছেন কোনো এক বাদল দিনে, যখন সারা আকাশ মেঘে ঢেকে আছে।
‘কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা লোকের মাঝে,
আজ আমি যে বসে আছি তোমারি আশ্বাসে
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল বেলা।’
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তো আর সবার মতো কল্পনা করতেন না, তাই এই ‘তোমার’ বা ‘তুমি’ যার প্রতীক্ষার কথা বলা হচ্ছে, তিনি আমাদের সবার পরম প্রতীক্ষিত জন, হতে পারেন পরম আরাধ্য সেইজন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর প্রেম, প্রকৃতি, পূজাপর্বের অনেক গানেই সেই পরম আরাধ্যকে খুঁজেছেন।
‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান’ কবির ৭৮ বয়সের অপূর্ব সৃষ্টি। গানটিতে প্রাপ্তির অনাবিল আনন্দ এবং ঠিক পরেই অপ্রাপ্তি ও সংশয়ের এক অসামান্য দোলাচল লক্ষ করা যায়। তাই তো তিনি লিখতে পারেন: ‘আজ এনে দিলে হয়তো দেবে না কাল, রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল।’ এ যেন সুখের পরে দুঃখ, আলোর পরে অন্ধকার, পাওয়ার পরে হারানোর চিরায়ত জীবনচক্রের প্রতিচ্ছবি।
বোলপুরের আশ্রমে থাকাকালীন জীবনের শেষ দশকগুলোয় বর্ষামঙ্গল উৎসবে তাঁর রচিত বর্ষার গানগুলো কালজয়ী–তাতে যেমন গভীর প্রেম ও বিরহী মনের রোদন অনুরণিত হয়, তেমনি মানবজীবনের গভীর দর্শনও উৎসারিত।
এ রকম অসংখ্য গানের
কথা উল্লেখ করা যায়; কিন্তু এত
স্বল্প পরিসরে আমার মতো স্বল্পজ্ঞানী মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়। এমনি
একটি গান:
আজ আকাশের মনের কথা ঝরো ঝরো বাজে
সারা প্রহর আমার বুকের মাঝে।
দিঘির কালো জলের’ পরে মেঘের ছায়া ঘনিয়ে ধরে,
বাতাস বহে যুগান্তরের প্রাচীন বেফনা যে।
এই গানটিতে যে রূপকল্প ফুটে উঠেছে, তা বাংলা গানে একদিকে যেমন আধুনিক রোমান্টিকতার ছোঁয়া দেখা যায়, তেমনি কাব্যমাধুর্যেও উদ্ভাসিত হয়ে থাকবে।
রবীন্দ্রনাথের পরিমিতিবোধের কথা না বললে এই আলোচনা অসমাপ্তই থেকে যাবে।
প্রেমের মাঝে অভিসারেও সেই রুচিবোধের চিহ্ন রেখে গেছেন। বর্ষামঙ্গলে গীত প্রেমপর্বের এই গানটিতে দেখি:
‘বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি দ্বারে পথিকেরে লহো ডাকি তব মন্দিরের এক ধারে’
বনপথ হতে, সুন্দরী, এনেছি মল্লিকামঞ্জরী।
স্বাভাবিকভাবেই এখানে এসে যায় মানব-মানবীর সহজাত প্রেম। পাঠক-শ্রোতা হয়তো রুদ্ধনিশ্বাসে অপেক্ষা করছেন অন্ধকার রাতে অভিসারের নাটকীয়তার। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এখানে এসে লিখলেন:
তুমি লবে নিজ বেণীবন্ধে মনে রেখেছি দূরাশারে,
কোন কথা নাহি বলে ধীরে ধীরে ফিরে যাব চলে।
এই যে অন্ধকার দুর্যোগের রাতে প্রেয়সীকে শুধু একনজর দেখে বনফুলের মঞ্জরি উপহার দিয়ে কোনো কথা না বলেই চলে যাওয়া, এ তো সাধারণ শারীরিক কোনো প্রেম নয়। রবীন্দ্রনাথের পক্ষেই শুধু সম্ভব এ ধরনের কল্পনা ও পরিমিতিবোধের। তাই রবীন্দ্রনাথ বাঙালির শিল্পবোধ, রুচিবোধ ও সর্বোপরি জীবনবোধের পথিকৃৎ। যত দিন বাঙালি জাতি ও বর্ষা ঋতু টিকে থাকবে, তত দিন বাঙালি অবশ্যই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করবে।
লেখক: চিকিৎসক
আবদুল হাই তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তুলে ধরেছেন ঈদের উৎসব কীভাবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে। আগে ঈদ ছিল আন্তরিকতা, ভাগাভাগি ও আত্মত্যাগের প্রতীক; আজ তা হয়ে উঠেছে প্রদর্শন, প্রতিযোগিতা ও বাহ্যিক আয়োজনের উৎসব। লেখক আক্ষেপ করেন, এখন ঈদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ‘কন্টেন্ট’, গরুর নাম, ব্যানার আর মোবাইল ক্যাম
১ দিন আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে এক বিশেষ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে একটি অভ্যুত্থানোত্তর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে রয়েছে এবং পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র একধরনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা হয়েছিল, অরাজনৈতিক সরকারের বাজেটে
২ দিন আগেসংবাদপত্রের পাতায় প্রকাশিত কোনো কোনো শিরোনাম ও সংবাদ বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পড়তে চান পাঠক। আজকের পত্রিকায় ৩১ মে প্রকাশিত প্রধান শিরোনাম, ‘৬ মাসের টানাটানিতে ভোট’ শীর্ষক সংবাদটি সম্পর্কে আমাকে একজন সম্পাদক ফোন করে প্রশংসা করলেন। আমি বুঝতে পারলাম শিরোনামটি যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভোট নিয়ে জনগণের আগ
৩ দিন আগেঈদ—এই শব্দটির সঙ্গে অগণিত মানুষের হৃদয়ে যে অনুভব জাগে, তা আনন্দ, উৎসব আর মিলনের। ঘরে ঘরে নতুন জামা, সুস্বাদু খাবার, কোলাকুলি আর রঙিন খুশির চিত্র যেন ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সেই পরিচিত দৃশ্যের বাইরে যে একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়, তা হলো—ঈদ কি সবার জন্য একরকম? ঈদের দিন কি সকলের মুখেই সমান হাসি? ঈদের আনন
৩ দিন আগে