মো. আবু নাসের খান
ঘটনাচক্রে শিক্ষক! শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে তুচ্ছতাচ্ছিল্য থাকলেও আমি গর্বিত। সাধুবাদ শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যকে। অনেক দেরি হয়ে গেছে। তবু শিক্ষামন্ত্রীর বাস্তবতানির্ভর এ অনুধাবনকে সাধুবাদ জানাই। আজ আমি শিক্ষক, নাকি চাকরিজীবী—এ দুইয়ের তফাৎ নিয়ে ভাবি না। কিন্তু ভাবা দরকার ছিল। নিজের ও জাতির ভালোর কথা ভেবেই এ চিন্তা আসা উচিত ছিল।
শিক্ষক হলে তো প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও পাঠদান এবং শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে ভাবতাম। আজ এর পাশে মর্যাদা ও বেতন নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত পেশা শিক্ষকতায় যুক্ত থেকে বেতন নিয়ে ভাবাটা আমার লোভের বহিঃপ্রকাশ হবে বোধ হয়। রাজনীতি, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ অন্য পেশাজীবীরা হয়তো লোভী নন। সংগত কারণেই তাঁরা সম্মান নিয়ে ভাবছেন। আজ আমি আমার অসংগত চিন্তা ও ঘটনাচক্র নিয়ে কিছু বলছি—
আলোচনাটা শিক্ষকতা নিয়ে। তবুও প্রারম্ভিক আলোচনায় উঠে আসে ছাত্রত্ব। ছাত্র হিসেবে একেবারে খারাপ ছিলাম না। প্রাথমিক ডিঙিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক পেরোনোর পর পরিবারের উপদেশে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হলো। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাহীন সে সময়ে অগ্রজদের উপদেশই পথ দেখিয়েছে। অগ্রজদের দেখানো পথেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই। পরিবারের হাল ধরতে বড্ড তাড়াহুড়োয় রসায়ন বিষয়ে সম্মানটা (অনার্স) শেষ না করেই ২০০৩ সালে বিএটা শেষ করলাম। ২০০৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিল। বাবার আদেশ—‘দরখাস্ত করো’।
সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় দু বছর লেগে যায়। ফাঁকে একটা কোম্পানিতে চাকরিও করা হয়েছিল। কোনো ধরনের এদিক-সেদিক ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিটা হয়ে গেল। সংসারের বড় ছেলে বলে চাকরি এটাই করতে হবে; বাড়ি-ঘরও দেখা হবে, চাকরিও করা হবে। কোম্পানি চাকরি ইস্তফা দিয়ে শুধু ছাত্রত্বর যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিলাম। কারণ, আজও বাবার অবাধ্য হতে পারিনি। এভাবেই ঘটনাচক্রে আমি শিক্ষক।
সরকার যোগ্যতার মানদণ্ড অনুযায়ীই এটা হলো। তৎকালীন ১৭ গ্রেডে যোগদানের পর বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে চাকরির ১৫ বছর পর আজ ১৩ গ্রেডে উন্নীত হয়েছি। একটা টাইমস্কেল নিয়ে ১২ গ্রেডে অবস্থান। ২০১৫ সালের পে-স্কেল কেড়ে নিল দুটি টাইমস্কেল। অনেককে চলে যেতে দেখেছি একই পদে চাকরি করে; নেই কোনো পদোন্নতি। প্রধান শিক্ষকেরা আজও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।
যদিও ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পদকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাও আটকে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। ২০১৪ সালের ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়া ও ২০১৫ সালের টাইমস্কেল কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি চক্রাকার ঘটনার এক অর্ধবৃত্ত এঁকে রেখেছে। পূর্ণবৃত্ত অঙ্কন করে দিতে ঘটনাচক্রে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের পেশাগত সম্মান কেড়ে নিয়ে স্রেফ চাকরিজীবী ভাবাটা খুবই জরুরি। প্রধান শিক্ষকের পাশে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী দেখা চোখগুলো বুজে নয়, চেয়ে থেকেই অনুধাবন করা সম্ভব সহকারী শিক্ষক শ্রেণিহীন বৈকি।
একজন শিক্ষক শ্রেণিতে পাঠদান করবেন শিক্ষার্থীর মেধা-মনন, ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কিন্তু সেখানেও বাধ সাধে বিভিন্ন পরিপত্র। নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত করে দেওয়া হয় পাঠ, তথা পাঠদান পদ্ধতি। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করা হচ্ছে শিক্ষার নীতিমালা। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, বই বিতরণ, শিশু জরিপ, হোম ভিজিট, উপকরণ তৈরি, ফিডিং কার্যক্রম, উপবৃত্তি কার্যক্রম, ভোটার তথ্য সংগ্রহ, মা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক, ঠিকাদারি, বিদ্যালয়ে বিভিন্ন রেজিস্ট্রার লেখা, স্বাস্থ্য দপ্তরকে সহযোগিতা করাসহ আরও নানা কাজ করতে হয় পাঠদানের পাশাপাশি। এত কিছুর পরও শিক্ষকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেন শুধু কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে। শিশুদের ভালোবাসার কাছে এসব কাজের ক্লান্তি যেন কিছুই না। শিশুদের ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়ে জাতি গড়ার কাজে নিয়োজিত বলে আমি গর্বিত।
সরকারের অন্য সব দপ্তর শিক্ষা অফিসারের চেয়ে শ্রেণি বিবেচনায় উন্নত। বহু ক্যাডারের ভিড়ে ক্যাডারহীন শিক্ষা অফিসার শ্রীহীন। শ্রীহীনের অধস্তন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী শিক্ষক; পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি বাড়তি রোজগার, শিক্ষার্থী থেকে স্যার/সালাম সম্মানের আশায় এলেও আসা যায়, কিন্তু ভালোবেসে এ পেশায় আসার কারণ কী হতে পারে? ভালোবেসে পেশা বাছাই, স্বপ্ন নিয়ে পেশায় আগমনের হেতু কী? অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে (যদিও আগের তুলনায় একটু ভালো) বেশির ভাগ শিক্ষকের চেক বন্ধক রেখে লোন নিতে হয়। পদে পদে আর্থিক অপমানের শিকার হতে হয়।
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি যথার্থই বলেছেন, বেশির ভাগ শিক্ষকই ঘটনাচক্রে শিক্ষক। ঘটনাচক্রে শিক্ষক হলেও এ পেশায় আসতে দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। একসময় এ পেশায় দীর্ঘ পথ চলতে চলতে শিক্ষক ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েছে। ভালোবেসে না এলেও আসার পরে ভালোবাসা হয়ে গেছে। আজ ভালোবেসে মনে-প্রাণে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে যারপরনাই চেষ্টা করছে তারা। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। প্রত্যেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একে আরও এগিয়ে নিতে সচেষ্ট। কিন্তু আপনারাই যদি আমাদের তাচ্ছিল্য করেন, তাহলে অন্যরা কীভাবে আমাদের মূল্যায়ন করবে? তবে আর যেন কেউ ঘটনাচক্রে এ পেশায় না আসে, সে ব্যবস্থা করলেই তো ভালোবেসে বা স্বপ্ন বুনে এ পেশায় আগমন ঘটবে। উপলব্ধিই যখন করেছেন, তখন এর শেকড়ে গিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা আপনারাই করবেন—সেই আশাবাদ রেখে যাচ্ছি।
মো. আবু নাসের খান: প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব), পশ্চিম চরহোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশমিনা, পটুয়াখালী
ঘটনাচক্রে শিক্ষক! শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে তুচ্ছতাচ্ছিল্য থাকলেও আমি গর্বিত। সাধুবাদ শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যকে। অনেক দেরি হয়ে গেছে। তবু শিক্ষামন্ত্রীর বাস্তবতানির্ভর এ অনুধাবনকে সাধুবাদ জানাই। আজ আমি শিক্ষক, নাকি চাকরিজীবী—এ দুইয়ের তফাৎ নিয়ে ভাবি না। কিন্তু ভাবা দরকার ছিল। নিজের ও জাতির ভালোর কথা ভেবেই এ চিন্তা আসা উচিত ছিল।
শিক্ষক হলে তো প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও পাঠদান এবং শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে ভাবতাম। আজ এর পাশে মর্যাদা ও বেতন নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত পেশা শিক্ষকতায় যুক্ত থেকে বেতন নিয়ে ভাবাটা আমার লোভের বহিঃপ্রকাশ হবে বোধ হয়। রাজনীতি, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ অন্য পেশাজীবীরা হয়তো লোভী নন। সংগত কারণেই তাঁরা সম্মান নিয়ে ভাবছেন। আজ আমি আমার অসংগত চিন্তা ও ঘটনাচক্র নিয়ে কিছু বলছি—
আলোচনাটা শিক্ষকতা নিয়ে। তবুও প্রারম্ভিক আলোচনায় উঠে আসে ছাত্রত্ব। ছাত্র হিসেবে একেবারে খারাপ ছিলাম না। প্রাথমিক ডিঙিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক পেরোনোর পর পরিবারের উপদেশে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হলো। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাহীন সে সময়ে অগ্রজদের উপদেশই পথ দেখিয়েছে। অগ্রজদের দেখানো পথেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই। পরিবারের হাল ধরতে বড্ড তাড়াহুড়োয় রসায়ন বিষয়ে সম্মানটা (অনার্স) শেষ না করেই ২০০৩ সালে বিএটা শেষ করলাম। ২০০৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিল। বাবার আদেশ—‘দরখাস্ত করো’।
সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় দু বছর লেগে যায়। ফাঁকে একটা কোম্পানিতে চাকরিও করা হয়েছিল। কোনো ধরনের এদিক-সেদিক ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিটা হয়ে গেল। সংসারের বড় ছেলে বলে চাকরি এটাই করতে হবে; বাড়ি-ঘরও দেখা হবে, চাকরিও করা হবে। কোম্পানি চাকরি ইস্তফা দিয়ে শুধু ছাত্রত্বর যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিলাম। কারণ, আজও বাবার অবাধ্য হতে পারিনি। এভাবেই ঘটনাচক্রে আমি শিক্ষক।
সরকার যোগ্যতার মানদণ্ড অনুযায়ীই এটা হলো। তৎকালীন ১৭ গ্রেডে যোগদানের পর বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করে চাকরির ১৫ বছর পর আজ ১৩ গ্রেডে উন্নীত হয়েছি। একটা টাইমস্কেল নিয়ে ১২ গ্রেডে অবস্থান। ২০১৫ সালের পে-স্কেল কেড়ে নিল দুটি টাইমস্কেল। অনেককে চলে যেতে দেখেছি একই পদে চাকরি করে; নেই কোনো পদোন্নতি। প্রধান শিক্ষকেরা আজও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।
যদিও ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পদকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাও আটকে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। ২০১৪ সালের ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়া ও ২০১৫ সালের টাইমস্কেল কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি চক্রাকার ঘটনার এক অর্ধবৃত্ত এঁকে রেখেছে। পূর্ণবৃত্ত অঙ্কন করে দিতে ঘটনাচক্রে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের পেশাগত সম্মান কেড়ে নিয়ে স্রেফ চাকরিজীবী ভাবাটা খুবই জরুরি। প্রধান শিক্ষকের পাশে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী দেখা চোখগুলো বুজে নয়, চেয়ে থেকেই অনুধাবন করা সম্ভব সহকারী শিক্ষক শ্রেণিহীন বৈকি।
একজন শিক্ষক শ্রেণিতে পাঠদান করবেন শিক্ষার্থীর মেধা-মনন, ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কিন্তু সেখানেও বাধ সাধে বিভিন্ন পরিপত্র। নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত করে দেওয়া হয় পাঠ, তথা পাঠদান পদ্ধতি। প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করা হচ্ছে শিক্ষার নীতিমালা। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, বই বিতরণ, শিশু জরিপ, হোম ভিজিট, উপকরণ তৈরি, ফিডিং কার্যক্রম, উপবৃত্তি কার্যক্রম, ভোটার তথ্য সংগ্রহ, মা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক, ঠিকাদারি, বিদ্যালয়ে বিভিন্ন রেজিস্ট্রার লেখা, স্বাস্থ্য দপ্তরকে সহযোগিতা করাসহ আরও নানা কাজ করতে হয় পাঠদানের পাশাপাশি। এত কিছুর পরও শিক্ষকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেন শুধু কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে। শিশুদের ভালোবাসার কাছে এসব কাজের ক্লান্তি যেন কিছুই না। শিশুদের ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়ে জাতি গড়ার কাজে নিয়োজিত বলে আমি গর্বিত।
সরকারের অন্য সব দপ্তর শিক্ষা অফিসারের চেয়ে শ্রেণি বিবেচনায় উন্নত। বহু ক্যাডারের ভিড়ে ক্যাডারহীন শিক্ষা অফিসার শ্রীহীন। শ্রীহীনের অধস্তন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী শিক্ষক; পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি বাড়তি রোজগার, শিক্ষার্থী থেকে স্যার/সালাম সম্মানের আশায় এলেও আসা যায়, কিন্তু ভালোবেসে এ পেশায় আসার কারণ কী হতে পারে? ভালোবেসে পেশা বাছাই, স্বপ্ন নিয়ে পেশায় আগমনের হেতু কী? অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে (যদিও আগের তুলনায় একটু ভালো) বেশির ভাগ শিক্ষকের চেক বন্ধক রেখে লোন নিতে হয়। পদে পদে আর্থিক অপমানের শিকার হতে হয়।
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আপনি যথার্থই বলেছেন, বেশির ভাগ শিক্ষকই ঘটনাচক্রে শিক্ষক। ঘটনাচক্রে শিক্ষক হলেও এ পেশায় আসতে দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। একসময় এ পেশায় দীর্ঘ পথ চলতে চলতে শিক্ষক ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েছে। ভালোবেসে না এলেও আসার পরে ভালোবাসা হয়ে গেছে। আজ ভালোবেসে মনে-প্রাণে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে যারপরনাই চেষ্টা করছে তারা। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। প্রত্যেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একে আরও এগিয়ে নিতে সচেষ্ট। কিন্তু আপনারাই যদি আমাদের তাচ্ছিল্য করেন, তাহলে অন্যরা কীভাবে আমাদের মূল্যায়ন করবে? তবে আর যেন কেউ ঘটনাচক্রে এ পেশায় না আসে, সে ব্যবস্থা করলেই তো ভালোবেসে বা স্বপ্ন বুনে এ পেশায় আগমন ঘটবে। উপলব্ধিই যখন করেছেন, তখন এর শেকড়ে গিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা আপনারাই করবেন—সেই আশাবাদ রেখে যাচ্ছি।
মো. আবু নাসের খান: প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব), পশ্চিম চরহোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশমিনা, পটুয়াখালী
বিশ্বজুড়ে ফ্যাসিবাদী অনাচার নতুন কিছু নয়, যুগ যুগ ধরে ফ্যাসিবাদ নির্মূল হওয়ার পরও ঘুরেফিরে এসেছে। আমাদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। ফ্যাসিবাদী আসলে তাঁরা, যাঁরা নিজেদের উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ইত্যাদি বলতে ভালোবাসেন। তাঁদের মধ্যে যে ফ্যাসিবাদী হওয়ার বাসনা রয়েছে, অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আমরা বিশেষভাবেই
২১ ঘণ্টা আগেআধুনিক আফ্রিকায় আবারও শুরু হয়েছে এক নতুন রাজনৈতিক জাগরণ। এটি অতীতের সামরিক শাসনের রক্তাক্ত স্মৃতির পুনরাবৃত্তি নয়, বরং এক নতুন ধারা—যেখানে সেনাবাহিনী শুধু বন্দুকধারী নয়, কখনো কখনো হয়ে উঠছে জনগণের কণ্ঠস্বর, প্রতিরোধের প্রতীক এবং বিদেশি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক আত্মসম্মানবোধের জাগরণ।
২১ ঘণ্টা আগেভারতবর্ষ আক্রমণ করতে এসে বীর আলেকজান্ডার নিছক রসিকতা করে নিশ্চয়ই বলেননি, ‘সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ!’ আলেকজান্ডার এই দেশের বৈচিত্র্য আর কতটুকু দেখেছেন? বাংলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে তিনি বুঝতে পারতেন কত ধানে কত চাল। ভাগ্যিস, বাংলা পর্যন্ত তাঁকে আসতে হয়নি। জীবনের অনেক বৈপরীত্য দেখার হাত থেকে
২১ ঘণ্টা আগে‘বাবা, মামলা করি কী হইবে, পুলিশ থাকিয়াও হামার জীবনে নিরাপত্তা নাই’—রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লির ৪৮ বছরের কোনিকা রানী যখন এই কথাগুলো বলেন, তখন তার কণ্ঠে ছিল আতঙ্ক আর চোখেমুখে উৎকণ্ঠার ছাপ। কথাগুলো কি আমাদের কারও জন্য খুব স্বস্তির? এক দেশ, এক রাষ্ট্র, এক সংবিধান নিয়ে আমরা যারা
২ দিন আগে