অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান
গত ২ এপ্রিল যখন প্রথম রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ ঘোষণা করা হলো, তখন আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চিঠি লিখলেন। আমরা বেশ কিছু ছাড় দিলাম। পরে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা তিন মাস ধরে আলাপ করলেন। আমরা শুনলাম, বাংলাদেশ হলো অন্যতম প্রধান দেশ, যারা নাকি প্রথমেই আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে ইউএসটিআরের সঙ্গে। কিন্তু তিন মাস পরে এই আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষাপটে আমরা দেখলাম, প্রাথমিকভাবে যে ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হয়েছিল, সেটা কেবল ২ শতাংশ কমিয়ে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। আমরা এখন যে গড় ১৫ শতাংশ দিচ্ছি, তার সঙ্গে আরও ৩৫ শতাংশ যোগ হবে। ফলে আমরা যা রপ্তানি করব, ওইসব আইটেমের ওপরে গড়ে ৫০ শতাংশের মতো শুল্ক বসবে। অবশ্যই এটা বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য একটা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।
প্রতিদ্বন্দী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা গত তিন মাসে ১০ শতাংশের একটা সমপর্যায়ের শুল্কে ছিলাম। চীন বাদ দিলে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও অন্যান্য দেশের সমপর্যায়ে ছিলাম। এখন একটা পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, অন্যতম প্রতিদ্বন্দী দেশ ভিয়েতনাম, সে তো নেগোশিয়েট করেছে। তার পণ্যের ওপরে ২০ শতাংশ শুল্ক বসবে। তার মানে ভিয়েতনাম থেকে আরও ১৫ শতাংশ বেশি শুল্ক আরোপিত হবে আমাদের ওপর। আমাদের রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক, লেদার পণ্যসহ আরও কিছু পণ্য আছে, সেগুলোর ওপরে যে রকম হারে এখন শুল্ক বসবে, তা দিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা করা খুবই দুষ্কর হবে।
প্রতিযোগিতা তো মার্কিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে হবে না। অন্য যেসব দেশ সেখানে রপ্তানি করে, তাদের সঙ্গে হবে। চীনের ওপরে ৩০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ। অন্যরাও আলাপ-আলোচনা করছে। প্রতিযোগিতার দিক থেকে আমরা একটা বড় বাধার সম্মুখীন হব।
আমাদের যে ব্র্যান্ড বায়ার রয়েছে, তারা কিছুটা হয়তো ভার নেওয়ার চেষ্টা করবে। ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করলে যে বাড়তি ১৫ শতাংশ শুল্ক, এটার কিছুটা আমাদের রপ্তানিকারকদের ওপর দিয়ে নিজেরা নেবে। চেষ্টা করবে প্রতিযোগিতার আবহটা আগের মতো রাখার। কিন্তু সেটা বেশি দিন উঠতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। পরে তারা শিফট করারই চেষ্টা করবে। এখন যেহেতু অর্ডার অনেক হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ একটা বড় সাপ্লায়ার, ফলে হঠাৎ করে এখান থেকে অন্য আরেকটা জায়গায় নেওয়া দুষ্কর হবে। কিন্তু মধ্য মেয়াদে এটা একটা অশনিসংকেত আমাদের জন্য, বিশেষত রেডিমেড গার্মেন্টসের জন্য।
আমরা তাদের কী অফার করেছিলাম, কী অনুরোধ ছিল, অফেন্সিভ ইন্টারেস্ট কী ছিল, ডিফেন্সিভ ইন্টারেস্ট কী ছিল—এগুলো আমরা জানি না। তারা প্রাথমিকভাবে যে ফ্রেমওয়ার্ক পাঠিয়েছিল, সেখানে একটা নন-ডিসক্লোজার ছিল। এই নন-ডিসক্লোজারের কারণে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা এটা খুব বিস্তৃতভাবে আলাপ করেননি। সুযোগ হয়তো ছিল একটা নেগোশিয়েটিং টিম করে নন-ডিসক্লোজার করেই আলাপ-আলোচনাটা করার। তবে আমরা প্রথম থেকেই অনেক কিছু ছাড় দেওয়ার কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের প্রধান আমদানি উপকরণগুলোতে শূন্য না হলেও দুই বা তিন শতাংশ শুল্ক। আমরা বাজেটেও অনেকগুলো স্পেশাল এনেক্স করে বলেছি এগুলোতে আমরা শূন্য শুল্ক দেব। সেদিক থেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের বড় ধরনের কী পার্থক্য হলো, আমি জানি না। এখানে শুল্ক ছাড়া অশুল্ক কোনো চাহিদাও ছিল কি না, সেটাও আমাদের কাছে স্পষ্ট না।
মার্কিন আমদানির ওপরে আমরা শূন্য শুল্ক দেব বলেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এখানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, বলেছে তারা। আমরা সেটা অ্যাড্রেস করব বলেছি হয়তো। এগুলো আছে। সরকারি ক্রয় কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে হয়তো মার্কিন দাবি থাকতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর সদস্য। এগুলো বাংলাদেশকে বিবেচনা করতে হয়েছে আলাপ-আলোচনায়। এখন এগুলোর বাইরে বাংলাদেশ আর কী অফার করতে পারে, যাতে অন্তত শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
আমার মনে হয়, পলিটিক্যাল অ্যাসপেক্ট নিশ্চয় রয়েছে। এটা কেবল অর্থনীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। কিন্তু পলিটিক্যাল কোন এলিমেন্টগুলোকে চাচ্ছে, সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আলাপ-আলোচনায় কেবল যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতির বিষয়গুলো আলোচিত হচ্ছে, সেটা বোধহয় নয়, এর বাইরে ভূরাজনৈতিক, ভূ-অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু আলোচনার মধ্যে থাকতে পারে।
মার্কিন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটা পার্থক্য রয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে যে রপ্তানিটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়, সেটা বেশির ভাগই এফডিআই। সেখানে মার্কেটের সঙ্গে সম্পর্ক ও নেটওয়ার্ক একটু ভিন্ন ধরনের। আমাদের এখানে রপ্তানিকারকেরা প্রস্তুত করেন এবং বেশির ভাগই ব্র্যান্ড বায়াররা কেনে। সুতরাং ব্র্যান্ড বায়ারদের বড় ধরনের শক্তি রয়েছে। তারা কতটুকু আমাদের রপ্তানিকারকদের ওপরে চাপাবে, সেটাও কিন্তু নির্ভর করবে।
এখন আমাদের এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের সময়। এই সময়টাতে বিভিন্নমুখী চাপের মধ্যে আমরা পড়ব। এ রকম অবস্থায় আমাদের যে স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি, সেটাও বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে গেলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। উৎপাদনশীলতা যদি আমরা বাড়াতে পারি, তাহলে যে শুল্ক আরোপ হচ্ছে, সেটার অভিঘাত প্রশমিত করতে পারি উৎপাদন খরচ কমিয়ে। সুতরাং, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
লেখক: বিশেষ ফেলো, সিপিডি
গত ২ এপ্রিল যখন প্রথম রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ ঘোষণা করা হলো, তখন আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চিঠি লিখলেন। আমরা বেশ কিছু ছাড় দিলাম। পরে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা তিন মাস ধরে আলাপ করলেন। আমরা শুনলাম, বাংলাদেশ হলো অন্যতম প্রধান দেশ, যারা নাকি প্রথমেই আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে ইউএসটিআরের সঙ্গে। কিন্তু তিন মাস পরে এই আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষাপটে আমরা দেখলাম, প্রাথমিকভাবে যে ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ বসানো হয়েছিল, সেটা কেবল ২ শতাংশ কমিয়ে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। আমরা এখন যে গড় ১৫ শতাংশ দিচ্ছি, তার সঙ্গে আরও ৩৫ শতাংশ যোগ হবে। ফলে আমরা যা রপ্তানি করব, ওইসব আইটেমের ওপরে গড়ে ৫০ শতাংশের মতো শুল্ক বসবে। অবশ্যই এটা বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য একটা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।
প্রতিদ্বন্দী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা গত তিন মাসে ১০ শতাংশের একটা সমপর্যায়ের শুল্কে ছিলাম। চীন বাদ দিলে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও অন্যান্য দেশের সমপর্যায়ে ছিলাম। এখন একটা পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, অন্যতম প্রতিদ্বন্দী দেশ ভিয়েতনাম, সে তো নেগোশিয়েট করেছে। তার পণ্যের ওপরে ২০ শতাংশ শুল্ক বসবে। তার মানে ভিয়েতনাম থেকে আরও ১৫ শতাংশ বেশি শুল্ক আরোপিত হবে আমাদের ওপর। আমাদের রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক, লেদার পণ্যসহ আরও কিছু পণ্য আছে, সেগুলোর ওপরে যে রকম হারে এখন শুল্ক বসবে, তা দিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা করা খুবই দুষ্কর হবে।
প্রতিযোগিতা তো মার্কিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে হবে না। অন্য যেসব দেশ সেখানে রপ্তানি করে, তাদের সঙ্গে হবে। চীনের ওপরে ৩০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ। অন্যরাও আলাপ-আলোচনা করছে। প্রতিযোগিতার দিক থেকে আমরা একটা বড় বাধার সম্মুখীন হব।
আমাদের যে ব্র্যান্ড বায়ার রয়েছে, তারা কিছুটা হয়তো ভার নেওয়ার চেষ্টা করবে। ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করলে যে বাড়তি ১৫ শতাংশ শুল্ক, এটার কিছুটা আমাদের রপ্তানিকারকদের ওপর দিয়ে নিজেরা নেবে। চেষ্টা করবে প্রতিযোগিতার আবহটা আগের মতো রাখার। কিন্তু সেটা বেশি দিন উঠতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। পরে তারা শিফট করারই চেষ্টা করবে। এখন যেহেতু অর্ডার অনেক হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ একটা বড় সাপ্লায়ার, ফলে হঠাৎ করে এখান থেকে অন্য আরেকটা জায়গায় নেওয়া দুষ্কর হবে। কিন্তু মধ্য মেয়াদে এটা একটা অশনিসংকেত আমাদের জন্য, বিশেষত রেডিমেড গার্মেন্টসের জন্য।
আমরা তাদের কী অফার করেছিলাম, কী অনুরোধ ছিল, অফেন্সিভ ইন্টারেস্ট কী ছিল, ডিফেন্সিভ ইন্টারেস্ট কী ছিল—এগুলো আমরা জানি না। তারা প্রাথমিকভাবে যে ফ্রেমওয়ার্ক পাঠিয়েছিল, সেখানে একটা নন-ডিসক্লোজার ছিল। এই নন-ডিসক্লোজারের কারণে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা এটা খুব বিস্তৃতভাবে আলাপ করেননি। সুযোগ হয়তো ছিল একটা নেগোশিয়েটিং টিম করে নন-ডিসক্লোজার করেই আলাপ-আলোচনাটা করার। তবে আমরা প্রথম থেকেই অনেক কিছু ছাড় দেওয়ার কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের প্রধান আমদানি উপকরণগুলোতে শূন্য না হলেও দুই বা তিন শতাংশ শুল্ক। আমরা বাজেটেও অনেকগুলো স্পেশাল এনেক্স করে বলেছি এগুলোতে আমরা শূন্য শুল্ক দেব। সেদিক থেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের বড় ধরনের কী পার্থক্য হলো, আমি জানি না। এখানে শুল্ক ছাড়া অশুল্ক কোনো চাহিদাও ছিল কি না, সেটাও আমাদের কাছে স্পষ্ট না।
মার্কিন আমদানির ওপরে আমরা শূন্য শুল্ক দেব বলেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ এখানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, বলেছে তারা। আমরা সেটা অ্যাড্রেস করব বলেছি হয়তো। এগুলো আছে। সরকারি ক্রয় কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে হয়তো মার্কিন দাবি থাকতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর সদস্য। এগুলো বাংলাদেশকে বিবেচনা করতে হয়েছে আলাপ-আলোচনায়। এখন এগুলোর বাইরে বাংলাদেশ আর কী অফার করতে পারে, যাতে অন্তত শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
আমার মনে হয়, পলিটিক্যাল অ্যাসপেক্ট নিশ্চয় রয়েছে। এটা কেবল অর্থনীতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। কিন্তু পলিটিক্যাল কোন এলিমেন্টগুলোকে চাচ্ছে, সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আলাপ-আলোচনায় কেবল যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতির বিষয়গুলো আলোচিত হচ্ছে, সেটা বোধহয় নয়, এর বাইরে ভূরাজনৈতিক, ভূ-অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু আলোচনার মধ্যে থাকতে পারে।
মার্কিন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটা পার্থক্য রয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে যে রপ্তানিটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়, সেটা বেশির ভাগই এফডিআই। সেখানে মার্কেটের সঙ্গে সম্পর্ক ও নেটওয়ার্ক একটু ভিন্ন ধরনের। আমাদের এখানে রপ্তানিকারকেরা প্রস্তুত করেন এবং বেশির ভাগই ব্র্যান্ড বায়াররা কেনে। সুতরাং ব্র্যান্ড বায়ারদের বড় ধরনের শক্তি রয়েছে। তারা কতটুকু আমাদের রপ্তানিকারকদের ওপরে চাপাবে, সেটাও কিন্তু নির্ভর করবে।
এখন আমাদের এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের সময়। এই সময়টাতে বিভিন্নমুখী চাপের মধ্যে আমরা পড়ব। এ রকম অবস্থায় আমাদের যে স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি, সেটাও বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে গেলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। উৎপাদনশীলতা যদি আমরা বাড়াতে পারি, তাহলে যে শুল্ক আরোপ হচ্ছে, সেটার অভিঘাত প্রশমিত করতে পারি উৎপাদন খরচ কমিয়ে। সুতরাং, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
লেখক: বিশেষ ফেলো, সিপিডি
বিবিসি বাংলার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ‘৫ আগস্টে যাত্রাবাড়ীতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫২ জন আন্দোলনকারী নিহত’ শিরোনামে যে বর্ণনা তুলে ধরেছে, তা সামাজিক মাধ্যমে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, তেমনি সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা নিয়েও এক নতুন বিতর্ক উত্থাপন করেছে। প্রতিবেদনটি শুধু ৫ আগস্টের ঘটনাকে আলাদা করে তুলে ধরেছে
৩ ঘণ্টা আগেজোসেফ গোয়েবলস ছিলেন হিটলারের নাৎসি জার্মানির তথ্য ও প্রচারবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি ছিলেন মিথ্যাকে ‘সত্য’ বানানোর এক ভয়ংকর কৌশলের রূপকার। গোয়েবলস বিশ্বাস করতেন, ‘একটি বড় মিথ্যাকে বারবার বললে মানুষ একসময় সেটিকে সত্য বলে মেনে নেয়।’ তাঁর এই নীতি দিয়েই নাৎসি জার্মানি কোটি মানুষের চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করেছিল...
৪ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাইয়ের আন্দোলনে একটি স্লোগান শুনে আমি পুলকিত বোধ করেছিলাম। স্লোগানটা ছিল—‘কোটা না মেধা মেধা, মেধা মেধা’। এই স্লোগানের আরেকটি সমার্থক প্রবাদ বাক্য আছে আমাদের সমাজে—‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো’। আপনি কার ছেলে বা মেয়ে, কার নাতি বা নাতনি অর্থাৎ পিতা-মাতা বা দাদা-দাদির পরিচয় সূত্রে আপনি...
৪ ঘণ্টা আগেসেই উনিশ শ সাতাশি সালের এক শীতের সকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রাসনাদার শহরে ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হয়েছিল একদল বিদেশি শিক্ষার্থী। কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল এরা। ছুটির দিনে ভ্রমণে যাচ্ছিল। দুটো বাস প্রস্তুত। কয়েকজন শিক্ষক আর অনেকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাস ছুটল তাগানরোগের দিকে...
৪ ঘণ্টা আগে