মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
ইসি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সেরে রাখার কথা জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার একই দিনে গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বর্তমান কমিশন উপকরণসহ (লজিস্টিকস) নানান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সঠিক সময়ে ভোট গ্রহণ শেষ করাও হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন নিজেও সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। তবে কমিশনের সূত্র বলছে, চ্যালেঞ্জিং হলেও কঠিন নয়। সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গণভোটের জন্য শুধু ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্র কিছু বাড়াতে হবে। সময়ের মধ্যে ভোট শেষ করাও হবে চ্যালেঞ্জ। সময়মতো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে দুই ভোট গ্রহণ শেষ করা যায় কি না, তা বোঝার জন্য ২৯ নভেম্বর মক (মহড়া) ভোটের আয়োজন করবে ইসি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেয়। এই কমিশনের অধীনে এখনো কোনো পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার পর ইসি ওই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ওই প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে দাবি ইসির। দীর্ঘদিনের দাবির বাস্তবায়ন করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবার ভোটার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ইসি আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে ১৩ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার এক সপ্তাহ পর গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়ে ইসিকে গণভোট আয়োজনের সরকারের নির্দেশনার বিষয়টি জানায়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ভোটের দিন গণভোট নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করার ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী কোনো নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হয়নি। এতটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়নি, যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এবারের ভোটে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নির্মিত কনটেন্টকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
অবশ্য সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে বাড়তি প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য শুধু বাড়তি ব্যালট পেপার লাগবে। সেই ব্যালট ছাপানোর কাগজ সংগ্রহ করেছি। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই।’ তিনি জানান, একই সঙ্গে দুটি ভোট আয়োজন করায় কমিশনের কর্মযজ্ঞ বেড়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ নির্ধারিত সময়ে ভোট শেষ করা। এ ছাড়া শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও একটি চ্যালেঞ্জ। এ জন্য তাঁরা ২৯ নভেম্বর একটি মক ভোটের আয়োজন করবেন। এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বুথ বাড়ানো হবে কি না বা করণীয় কী হবে, সেসব বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
ইসি সূত্র জানায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের আশপাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই মক ভোট করা হবে। মূল ভোটে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, মক ভোটেও তাঁদের রাখা হবে। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বুথ থাকবে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভোটকক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা রাখতে হবে, তাও মক ভোটে পরীক্ষা করা হবে। নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে গিয়ে ভোট গ্রহণ, ভোট দিতে কত সময় লাগছে, দুটি ভোট দিতে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মক ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ভোট করা হবে। মক ভোটে নারী ভোটকক্ষে ৫০০ এবং পুরুষ ভোটকক্ষে ৬০০ ভোটার রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনের বড় প্রস্তুতির মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য অ্যাপ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ চলছে। গণভোটের জন্য বিজি প্রেস থেকে বাড়তি আলাদা ব্যালট ছাপাতে হবে।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে বলে ইসিকে অতিরিক্ত ব্যালট বাক্সেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির সংগ্রহে ৩ লাখ ৪০ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে সাধারণত ২ লাখ ৮৮ হাজারের মতো ব্যালট বাক্স লাগে। সে হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি ব্যালট বাক্স অতিরিক্ত আছে। বুথ ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাড়ালেও প্রভাব পড়বে না।
সূত্র জানায়, একটি ব্যালট বাক্সে ১৫০০-এর মতো ব্যালট পেপার রাখা যায়। সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে আগের মতোই সাদা-কালো। গণভোটের জন্য সবুজ বা গোলাপি রঙের ব্যালট ছাপানোর চিন্তা করা হচ্ছে। তবে বিধিমালা ঠিক হলে এটি চূড়ান্ত করবে কমিশন। গতকাল সোমবার ডাক বিভাগের সঙ্গে পোস্টাল ভোট নিয়ে বৈঠক করেছে ইসি। একই সিরিয়াল নম্বরের সংসদ ও গণভোটের ব্যালট পেপার যেন একসঙ্গে থাকে ডাক বিভাগকে সেই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালটের প্রাপক জেলা প্রশাসককে করা হবে না। যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকবেন তাঁর দপ্তরে এই ব্যালট আসবে। যেসব জেলায় বেশি সংসদীয় আসন রয়েছে, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের চিন্তা করছে কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ২৭ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে এবং ৩০ নভেম্বর সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি। ওই বৈঠকে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরিসহ সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবে ইসি।
একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নির্বাচন কমিশনের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথম চ্যালেঞ্জ লজিস্টিক্যাল। দুই ধরনের ভোটের জন্য দুটি ব্যালট বাক্স দিতে হবে, দুই সেট ব্যালট পেপার ছাপাতে হবে। ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকাও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সময়মতো ভোটগ্রহণ শেষ করাও ইসির জন্য চ্যালেঞ্জের হবে।
আব্দুল আলীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের দিনে গণভোটকে কতটা প্রাধান্য দেবে, এটাও ইসির জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গণভোটের জন্য কমিশনের বর্তমান রোডম্যাপ পাল্টে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে। পাইলটিং না করে প্রবাসীদের ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রেও কমিশনকে চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে।

ডিএমপি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
২৭ মিনিট আগে
বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
১ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার তিনি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে ওই চার আসামির বিচার শুরু হলো।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর-১৪-তে পুলিশ ক্যানাইন দলের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নিলামে অংশ নিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে আগাম এক হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল।
ক্যানাইন স্কোয়াডের পরিদর্শক ফখরুল আলম জানান, নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কোরিকে একজন সাধারণ নাগরিক ক্রয় করেছেন। অন্য দুই কুকুর স্যাম ও ফিন—যথাক্রমে ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকায় কিনেছেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয়।
তিনি আরও জানান, কুকুর তিনটি ২৭ নভেম্বর নতুন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যবর্তী সময় তারা ক্যানাইন দলের অন্য কুকুরের সঙ্গেই থাকবে।
ডিএমপির সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান বলেন, নিলামে বেশ কয়েকজন অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত দুই ক্রেতা তিন কুকুরই কিনেছেন। এর মধ্যে একজনের কাছেই এ ধরনের আরও সাতটি কুকুর রয়েছে। অন্য কুকুরটি নিয়েছেন এক পশুপ্রেমী।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক সামগ্রী শনাক্তকরণে কুকুরগুলো দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আট বছর বয়স হওয়ায় তারা আর কঠিন অনুসন্ধান, টহল বা বিস্ফোরক শনাক্তকরণের দায়িত্ব পালনে সক্ষম নয়। তবে শারীরিকভাবে তারা সুস্থ থাকায় সহজেই পোষা প্রাণী হিসেবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে।
কুকুর তিনটির মধ্যে ফিন পুরুষ ল্যাব্রাডর, কোরি স্ত্রী ল্যাব্রাডর এবং স্যাম পুরুষ জার্মান শেফার্ড। যুক্তরাজ্য থেকে আনা এই কুকুরগুলো তাদের কর্মজীবনে মাদক ও বিস্ফোরক শনাক্তকরণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর-১৪-তে পুলিশ ক্যানাইন দলের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ নিলামে অংশ নিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে আগাম এক হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল।
ক্যানাইন স্কোয়াডের পরিদর্শক ফখরুল আলম জানান, নিলামে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া কোরিকে একজন সাধারণ নাগরিক ক্রয় করেছেন। অন্য দুই কুকুর স্যাম ও ফিন—যথাক্রমে ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকায় কিনেছেন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয়।
তিনি আরও জানান, কুকুর তিনটি ২৭ নভেম্বর নতুন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যবর্তী সময় তারা ক্যানাইন দলের অন্য কুকুরের সঙ্গেই থাকবে।
ডিএমপির সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান বলেন, নিলামে বেশ কয়েকজন অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত দুই ক্রেতা তিন কুকুরই কিনেছেন। এর মধ্যে একজনের কাছেই এ ধরনের আরও সাতটি কুকুর রয়েছে। অন্য কুকুরটি নিয়েছেন এক পশুপ্রেমী।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিস্ফোরক ও বিপজ্জনক সামগ্রী শনাক্তকরণে কুকুরগুলো দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আট বছর বয়স হওয়ায় তারা আর কঠিন অনুসন্ধান, টহল বা বিস্ফোরক শনাক্তকরণের দায়িত্ব পালনে সক্ষম নয়। তবে শারীরিকভাবে তারা সুস্থ থাকায় সহজেই পোষা প্রাণী হিসেবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে।
কুকুর তিনটির মধ্যে ফিন পুরুষ ল্যাব্রাডর, কোরি স্ত্রী ল্যাব্রাডর এবং স্যাম পুরুষ জার্মান শেফার্ড। যুক্তরাজ্য থেকে আনা এই কুকুরগুলো তাদের কর্মজীবনে মাদক ও বিস্ফোরক শনাক্তকরণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৫ ঘণ্টা আগে
বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
১ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার তিনি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে ওই চার আসামির বিচার শুরু হলো।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আসন্ন গণভোটে ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। আজ দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা জানান, জাতীয় নির্বাচনের ভোটের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রেই গণভোটের জন্য আলাদা ব্যালটের ব্যবস্থা থাকবে। এর মাধ্যমে ভোটাররা একই দিনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা চালু হওয়ার ফলে বিশেষ পেশা বা কারণে যাঁরা সশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারবেন না, তাঁরাও তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন।
গণভোট নিয়ে সরকার ব্যাপক প্রচার চালানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আসিফ নজরুল জানান, নির্বাচন কমিশন (ইসি), সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সম্মিলিতভাবে এই প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেবে। এই প্রচারের লক্ষ্য হলো গণভোটের প্রক্রিয়া, গুরুত্ব ও পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা।
উল্লেখ্য, জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন হবে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’ এর হ্যাঁ/না উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নগুলো হবে:
ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকার কাজ করছে বলে জানান। ওই নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এরপর ২০ নভেম্বর বৈঠকে গণভোট আইন অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।

বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আসন্ন গণভোটে ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। আজ দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা জানান, জাতীয় নির্বাচনের ভোটের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রেই গণভোটের জন্য আলাদা ব্যালটের ব্যবস্থা থাকবে। এর মাধ্যমে ভোটাররা একই দিনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা চালু হওয়ার ফলে বিশেষ পেশা বা কারণে যাঁরা সশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারবেন না, তাঁরাও তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন।
গণভোট নিয়ে সরকার ব্যাপক প্রচার চালানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আসিফ নজরুল জানান, নির্বাচন কমিশন (ইসি), সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সম্মিলিতভাবে এই প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেবে। এই প্রচারের লক্ষ্য হলো গণভোটের প্রক্রিয়া, গুরুত্ব ও পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবগত করা।
উল্লেখ্য, জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন হবে, ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’ এর হ্যাঁ/না উত্তর দিতে হবে। প্রশ্নগুলো হবে:
ক. নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ. আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ. সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ. জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকার কাজ করছে বলে জানান। ওই নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এরপর ২০ নভেম্বর বৈঠকে গণভোট আইন অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৫ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
২৭ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার তিনি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে ওই চার আসামির বিচার শুরু হলো।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার তিনি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
এ তথ্য জানিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছিল বলে জানা গেছে।

আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার ঘটনাটি কীভাবে ঘটল এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে যায় আমদানি করা মালপত্রের বড় অংশ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এই আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার তিনি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
এ তথ্য জানিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হয়েছিল বলে জানা গেছে।

আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কার্গো কমপ্লেক্সে আগুন লাগার ঘটনাটি কীভাবে ঘটল এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে যায় আমদানি করা মালপত্রের বড় অংশ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এই আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৫ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
২৭ মিনিট আগে
বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
১ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে ওই চার আসামির বিচার শুরু হলো।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে আসামিরা পলাতক।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে ওই চার আসামির বিচার শুরু হলো।
মামলায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়া শহরে ছয়জনকে হত্যাসহ তাঁদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সূচনা বক্তব্যের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে আসামিরা পলাতক।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে ওই চার আসামির বিচার শুরু হলো।
মামলায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়া শহরে ছয়জনকে হত্যাসহ তাঁদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সূচনা বক্তব্যের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই সরাসরি বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। এখনো কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা বর্তমান ইসিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর গণভোট করতে হবে। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম।
১৫ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত ক্যানাইন দলের তিন প্রশিক্ষিত কুকুর উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে আনা ল্যাব্রাডর জাতের ‘কোরি’ নামে একটি কুকুরটি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।
২৭ মিনিট আগে
বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ আজ মঙ্গলবার অনুমোদন পেয়েছে। সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
১ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার তিনি এই প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
১ ঘণ্টা আগে