সৌগত বসু, ঢাকা
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে কার্যত স্বেচ্ছাচারীভাবে নিয়ম সংশোধন করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি সচিব বিশেষ করে সড়ক পরিবহন খাতের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। ডিএমটিসিলে এ পর্যন্ত কাজ করা দুই এমডিই আমলা।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে কোম্পানির যাত্রা করার সময় কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে জাপানি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিশেষায়িত অভিজ্ঞতার এমডি নিয়োগের নিয়ম করা হয়েছিল। সেখানে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসহ কারিগরি বিষয়েও অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিক তাঁর নিজের সুবিধার্থে নিয়ম পরিবর্তন করেন, যাতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি সচিব হিসেবে তিনি এই পদে বহাল থাকতে পারেন। এর পরে আরও ২৭ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার সরকারি আমলা কোম্পানিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের আগের নিয়ম ফিরিয়ে এনে মেট্রোরেলকেন্দ্রিক কারিগরি যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এমডি পদের জন্য প্রার্থীদের সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা প্রশাসন বা পরিবহন ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বড় মাপের গণপরিবহন প্রকল্পে অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা (যার মধ্যে তিন বছর শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা) এবং আন্তর্জাতিক মানের জটিল প্রকল্প বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীদের জন্য আবশ্যিক হবে।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি যোগ্যতার বিষয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ মনে করছেন। কারণ মেট্রোরেল পরিচালনার মতো উচ্চ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে প্রকৌশল পেশার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। নতুন যোগ্যতায় এমডি নিয়োগ মেট্রোরেলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বর্তমান এমডি মোহাম্মদ আবদুর রউফ গত ৯ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএলের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি লাইন-৫ নর্দান রুটের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এবং ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব) ছিলেন। আবদুর রউফ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি পড়াশোনা করেছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে। আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ডিএমটিসিএলে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি ডিএমটিসিএলের এমডি হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদপুষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিদ্দিকের পুনর্নিয়োগ বাতিল করা হয়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এম এ এন ছিদ্দিককে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁর মেয়াদ উল্লেখ করা ছিল না। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ছিদ্দিক কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন (এওএ)-এর সংশোধন করেন। এওএর ধারা ৩৩ (২)-এ পরিবর্তন এনে তিনি এমডি পদের যোগ্যতা হিসেবে ‘সড়ক পরিবহন খাতে অভিজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত সচিব’ উল্লেখ করেন, যা তার নিয়োগকে বৈধতা দেয়। মূল এওএতে এমডি পদের জন্য যোগ্যতা হিসেবে সিভিল বা মেকানিক্যাল প্রকৌশলে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ ছিল। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
নতুন এমডি নিয়োগের জন্য ১০ নভেম্বর একটি সুপারিশ কমিটি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান। সদস্য হিসেবে আছেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাকিলা হুদা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)-এর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার ও ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব খোন্দকার এহতেশামুল কবীর। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই বর্তমান বিজ্ঞপ্তিতে এমডি নিয়োগ হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, এই সরকার আসার পরেই ডিএমটিসিএলের এমডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে সাবেক আমলা ছাড়া নিয়োগ হবে না এমন সংশোধিত নিয়মটি আগে বাতিলের চিন্তা করেন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই বর্তমান এমডি আব্দুর রউফকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর সংশোধিত নিয়মের অনেক কিছু পরিবর্তন করে অক্টোবর মাসে এবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগ কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. শামসুল হক গত শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে যে বিষয়গুলো পরিবর্তন করা হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। এভাবে নিয়ম পরিবর্তন করা যায় না। একজন ব্যক্তি তাঁর সুবিধামতো নিয়ম বানিয়েছেন। সেখানে তাঁর মেয়াদ, যোগ্যতা সব পরিবর্তন হয়েছে। মেট্রোরেলের মতো বিষয়ে কোনোভাবেই আমলা-নির্ভরতা থাকা উচিত হবে না। আগের নিয়মই যথাযথ ছিল।’
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান শুক্রবার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, তাঁরা ২০১৭ সালের সংশোধন বাতিল করে দিয়েছেন। এখন এই বিষয়ে (মেট্রোরেল) অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকেই এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে কার্যত স্বেচ্ছাচারীভাবে নিয়ম সংশোধন করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি সচিব বিশেষ করে সড়ক পরিবহন খাতের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। ডিএমটিসিলে এ পর্যন্ত কাজ করা দুই এমডিই আমলা।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে কোম্পানির যাত্রা করার সময় কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে জাপানি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিশেষায়িত অভিজ্ঞতার এমডি নিয়োগের নিয়ম করা হয়েছিল। সেখানে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসহ কারিগরি বিষয়েও অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে সাবেক এমডি এম এ এন ছিদ্দিক তাঁর নিজের সুবিধার্থে নিয়ম পরিবর্তন করেন, যাতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি সচিব হিসেবে তিনি এই পদে বহাল থাকতে পারেন। এর পরে আরও ২৭ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার সরকারি আমলা কোম্পানিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের আগের নিয়ম ফিরিয়ে এনে মেট্রোরেলকেন্দ্রিক কারিগরি যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এমডি পদের জন্য প্রার্থীদের সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা প্রশাসন বা পরিবহন ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বড় মাপের গণপরিবহন প্রকল্পে অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা (যার মধ্যে তিন বছর শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা) এবং আন্তর্জাতিক মানের জটিল প্রকল্প বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীদের জন্য আবশ্যিক হবে।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি যোগ্যতার বিষয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়াকে বিশেষজ্ঞরা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ মনে করছেন। কারণ মেট্রোরেল পরিচালনার মতো উচ্চ কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে প্রকৌশল পেশার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। নতুন যোগ্যতায় এমডি নিয়োগ মেট্রোরেলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বর্তমান এমডি মোহাম্মদ আবদুর রউফ গত ৯ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএলের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি লাইন-৫ নর্দান রুটের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এবং ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব (যুগ্ম সচিব) ছিলেন। আবদুর রউফ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি পড়াশোনা করেছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে। আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ডিএমটিসিএলে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে তিনি ডিএমটিসিএলের এমডি হন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদপুষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিদ্দিকের পুনর্নিয়োগ বাতিল করা হয়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এম এ এন ছিদ্দিককে এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁর মেয়াদ উল্লেখ করা ছিল না। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ছিদ্দিক কোম্পানির মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন (এওএ)-এর সংশোধন করেন। এওএর ধারা ৩৩ (২)-এ পরিবর্তন এনে তিনি এমডি পদের যোগ্যতা হিসেবে ‘সড়ক পরিবহন খাতে অভিজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত সচিব’ উল্লেখ করেন, যা তার নিয়োগকে বৈধতা দেয়। মূল এওএতে এমডি পদের জন্য যোগ্যতা হিসেবে সিভিল বা মেকানিক্যাল প্রকৌশলে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ ছিল। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
নতুন এমডি নিয়োগের জন্য ১০ নভেম্বর একটি সুপারিশ কমিটি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান। সদস্য হিসেবে আছেন বুয়েটের অধ্যাপক মো. শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাকিলা হুদা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)-এর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার ও ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সচিব খোন্দকার এহতেশামুল কবীর। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই বর্তমান বিজ্ঞপ্তিতে এমডি নিয়োগ হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, এই সরকার আসার পরেই ডিএমটিসিএলের এমডি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে সাবেক আমলা ছাড়া নিয়োগ হবে না এমন সংশোধিত নিয়মটি আগে বাতিলের চিন্তা করেন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই বর্তমান এমডি আব্দুর রউফকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর সংশোধিত নিয়মের অনেক কিছু পরিবর্তন করে অক্টোবর মাসে এবারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগ কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. শামসুল হক গত শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে যে বিষয়গুলো পরিবর্তন করা হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। এভাবে নিয়ম পরিবর্তন করা যায় না। একজন ব্যক্তি তাঁর সুবিধামতো নিয়ম বানিয়েছেন। সেখানে তাঁর মেয়াদ, যোগ্যতা সব পরিবর্তন হয়েছে। মেট্রোরেলের মতো বিষয়ে কোনোভাবেই আমলা-নির্ভরতা থাকা উচিত হবে না। আগের নিয়মই যথাযথ ছিল।’
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান শুক্রবার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, তাঁরা ২০১৭ সালের সংশোধন বাতিল করে দিয়েছেন। এখন এই বিষয়ে (মেট্রোরেল) অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকেই এমডি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও খবর পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
২৪ নভেম্বর ২০২৪জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি। এসব দাবি পূরণে ভারসাম্য রেখে কীভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে চাপে পড়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সম্প্রতি চরম মতভিন্নতা দেখা দেয় দলগুলোর মধ্যে। এ কারণে সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এনসিপি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ শুরু করেছে সরকার। যদিও বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার, প্রধান উপদেষ্টা তা করবেন। কিছু বিষয়ে দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিএনপি এবং গতকাল বুধবার এনসিপি ও জামায়াতের নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে কাজ করার দাবি জানায় বিএনপি। নির্বাচনকালে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার কথাও বলেছে দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কারও নাম উল্লেখ না করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তাদের দুরভিসন্ধি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির নেতারা। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণেরও দাবি জানায় দলটি।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মো. মাহফুজ আলম। বিএনপি এই দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছিল। এ বিষয়ে নাহিদ বলেছেন, আসিফ ও মাহফুজ কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে রয়েছেন।
বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদের আকার ছোট করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হলে শুধু দুজন ছাত্র উপদেষ্টা নয়, অন্য যেসব উপদেষ্টার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাঁদের নামও গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য আছে। বাস্তবায়নের উপায় দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিনের সংলাপেও সমাধান আসেনি। এর মধ্যে ঐকমত্য কমিশন এই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে। যার নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। তবে বিএনপি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি চায় প্রধান উপদেষ্টা এই সনদ জারি করুক।
জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের কথা বলে আসছে বিএনপি। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে করা নিয়ে বিএনপি জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষে গণভোট হতে পারে। গণভোট হলে জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি দলের অনুগত বলেও দাবি করেছেন তাহের। বিএনপিও প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ তুলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানিয়েছে। এনিসিপিও এ বিষয়ে কথা বলেছে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেওয়ার পর বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সে ক্ষেত্রে দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আর আলোচনা না-ও হতে পারে।
সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দৃশ্যমান রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও তাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে একধরনের যোগাযোগ রয়েছে, এটি বেশ ইতিবাচক।
বিএনপি ও এনসিপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেনি জামায়াত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে মত দিয়েছে জামায়াত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর নাহিদ জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। অন্যদিকে দলটিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনসিপি ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে। এটি নতুন কোনো সংকট তৈরি করবে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।
দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে ভোটে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধরার রাতে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা (দলগুলো) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ করতে এসেছিল। প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। উনি তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার তিনি সেটা করবেন। দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে বলছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর হবে। তার জন্য যতটুকু দরকার, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এনসিপি ও জামায়াত নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, গণভোট এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা উভয় দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি। এসব দাবি পূরণে ভারসাম্য রেখে কীভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে চাপে পড়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সম্প্রতি চরম মতভিন্নতা দেখা দেয় দলগুলোর মধ্যে। এ কারণে সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এনসিপি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ শুরু করেছে সরকার। যদিও বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার, প্রধান উপদেষ্টা তা করবেন। কিছু বিষয়ে দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিএনপি এবং গতকাল বুধবার এনসিপি ও জামায়াতের নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে কাজ করার দাবি জানায় বিএনপি। নির্বাচনকালে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার কথাও বলেছে দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কারও নাম উল্লেখ না করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তাদের দুরভিসন্ধি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির নেতারা। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণেরও দাবি জানায় দলটি।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মো. মাহফুজ আলম। বিএনপি এই দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছিল। এ বিষয়ে নাহিদ বলেছেন, আসিফ ও মাহফুজ কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে রয়েছেন।
বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদের আকার ছোট করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হলে শুধু দুজন ছাত্র উপদেষ্টা নয়, অন্য যেসব উপদেষ্টার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাঁদের নামও গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য আছে। বাস্তবায়নের উপায় দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিনের সংলাপেও সমাধান আসেনি। এর মধ্যে ঐকমত্য কমিশন এই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে। যার নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। তবে বিএনপি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি চায় প্রধান উপদেষ্টা এই সনদ জারি করুক।
জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের কথা বলে আসছে বিএনপি। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে করা নিয়ে বিএনপি জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষে গণভোট হতে পারে। গণভোট হলে জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি দলের অনুগত বলেও দাবি করেছেন তাহের। বিএনপিও প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ তুলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানিয়েছে। এনিসিপিও এ বিষয়ে কথা বলেছে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেওয়ার পর বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সে ক্ষেত্রে দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আর আলোচনা না-ও হতে পারে।
সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দৃশ্যমান রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও তাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে একধরনের যোগাযোগ রয়েছে, এটি বেশ ইতিবাচক।
বিএনপি ও এনসিপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেনি জামায়াত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে মত দিয়েছে জামায়াত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর নাহিদ জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। অন্যদিকে দলটিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনসিপি ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে। এটি নতুন কোনো সংকট তৈরি করবে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।
দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে ভোটে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধরার রাতে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা (দলগুলো) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ করতে এসেছিল। প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। উনি তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার তিনি সেটা করবেন। দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে বলছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর হবে। তার জন্য যতটুকু দরকার, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এনসিপি ও জামায়াত নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, গণভোট এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা উভয় দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
২৪ নভেম্বর ২০২৪গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
৫ ঘণ্টা আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
তবে তা আশানুরূপ নয় বলে দাবি করছেন আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাঁরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ নিতে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া একটিমাত্র গেট খোলা থাকায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভোগান্তি লাঘবে আরও একটি গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা; বিশেষ করে ৮ ও ৯ গেটে দিয়ে গাড়ি ও মানুষ প্রবেশ করায় এই গেট দিয়ে পণ্যও পরিবহনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। নতুন আসা পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে অক্ষত পণ্যগুলোও ফেরত আসা শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার কার্গো ভিলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু করে বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন একটি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন হয়েছে ১১টির। মঙ্গলবার তৃতীয় দিন ১০০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়। সর্বশেষ বুধবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এটি চার থেকে সাড়ে চার শ হবে।
জানা যায়, আগে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ৪টি গেট দিয়ে আমদানি পণ্য খালাস হতো। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার শিপমেন্টের ডেলিভারি পাওয়া যেত। এখন যে গেট দিয়ে হচ্ছে, সেটা মূলত রপ্তানির জন্য নির্ধারিত গেট; যা উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের শেষ প্রান্তে অবস্থিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খাইরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘শিপমেন্ট গ্র্যাজুয়েলি বাড়ছে। তবে এটি আশানুরূপ নয়।
যদিও অনেক কার্গো ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এরপরও যা আসছে, সেগুলোও খালাস হতে অনেক সময় লাগছে। এ ছাড়া ৯ নম্বর গেটটি যেখানে-সেখানে পাবলিক পরিবহন বা ছোট ছোট যানবাহন ঢুকতে পারে না। তাই যাদের অল্প পণ্য, তাদের আসা-যাওয়া ও পণ্য পরিবহন দুরূহ হয়ে উঠেছে। হয় তাদের অল্প পণ্যের জন্য একটা পিকআপ ভাড়া করতে হচ্ছে, অথবা মাথায় করে নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া আসার সময়ও অনেক দূর হেঁটে আসতে হচ্ছে।’
৮ নম্বর গেটটি খুলে দেওয়ার দাবি জানান আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এখন এই গেট দিয়ে কর্মকর্তারা গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছেন। চাইলে পণ্যের ট্রলি বা গাড়িও ঢুকতে পারবে।
তবে বিমান ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, পণ্য ডেলিভারির অনেক সরঞ্জাম পুড়ে যাওয়ায় আপাতত একটি গেট দিয়েই পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব কটি চালু করা হবে।
ঢাকা কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আগুনে পণ্যের সঙ্গে কম্পিউটার, স্ক্যানার, ট্রলিসহ অনেক ইকুইপমেন্ট পুড়ে গেছে। এ জন্য যেখানে সবকিছু রয়েছে, সেখান দিয়ে পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সবই খোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিষয়টি বিমান বাংলাদেশ আরও ভালো বলতে পারবে।
গতকাল নির্ধারিত পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগার আগে আসা অক্ষত পণ্যের ডেলিভারিও নিতে দেখা গেছে।
পার্লশিপিং নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে পণ্য ডেলিভারি কিছুটা বেড়েছে। আগুন লাগার আগে আসা পণ্যও এখন পাচ্ছি অনেকে। আজ দুপুরে আমার সঙ্গে একজন ১৬ ও ১৮ অক্টোবরে আসা দুটি শিপমেন্টের পণ্যের ডেলিভারি নিয়েছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত সোমবার বিমানের এমডির সঙ্গে বৈঠক করেছি। যেহেতু আমাদের পণ্যগুলো ওষুধের কাঁচামাল এবং তাঁরা পণ্যের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক কী হয়।’ তবে কী পরিমাণ পণ্য অক্ষত রয়েছে এবং কত পণ্য পুড়েছে, তার হিসাব এখনো শেষ হয়নি।
এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা রপ্তানিকারকদের তথ্য দিতে বলেছি। তবে সব তথ্য এখনো আসেনি। অনেকে পণ্য অক্ষত পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাই তথ্য দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন।’
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
তবে তা আশানুরূপ নয় বলে দাবি করছেন আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাঁরা বলছেন, পণ্য সরবরাহ নিতে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া একটিমাত্র গেট খোলা থাকায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভোগান্তি লাঘবে আরও একটি গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা; বিশেষ করে ৮ ও ৯ গেটে দিয়ে গাড়ি ও মানুষ প্রবেশ করায় এই গেট দিয়ে পণ্যও পরিবহনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। নতুন আসা পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে অক্ষত পণ্যগুলোও ফেরত আসা শুরু হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার কার্গো ভিলেজে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় ৯ নম্বর গেট দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু করে বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিন একটি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন হয়েছে ১১টির। মঙ্গলবার তৃতীয় দিন ১০০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়। সর্বশেষ বুধবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩০টি শিপমেন্টের ডেলিভারি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এটি চার থেকে সাড়ে চার শ হবে।
জানা যায়, আগে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ৪টি গেট দিয়ে আমদানি পণ্য খালাস হতো। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার শিপমেন্টের ডেলিভারি পাওয়া যেত। এখন যে গেট দিয়ে হচ্ছে, সেটা মূলত রপ্তানির জন্য নির্ধারিত গেট; যা উত্তর দিকে কার্গো ভিলেজের শেষ প্রান্তে অবস্থিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খাইরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ‘শিপমেন্ট গ্র্যাজুয়েলি বাড়ছে। তবে এটি আশানুরূপ নয়।
যদিও অনেক কার্গো ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এরপরও যা আসছে, সেগুলোও খালাস হতে অনেক সময় লাগছে। এ ছাড়া ৯ নম্বর গেটটি যেখানে-সেখানে পাবলিক পরিবহন বা ছোট ছোট যানবাহন ঢুকতে পারে না। তাই যাদের অল্প পণ্য, তাদের আসা-যাওয়া ও পণ্য পরিবহন দুরূহ হয়ে উঠেছে। হয় তাদের অল্প পণ্যের জন্য একটা পিকআপ ভাড়া করতে হচ্ছে, অথবা মাথায় করে নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া আসার সময়ও অনেক দূর হেঁটে আসতে হচ্ছে।’
৮ নম্বর গেটটি খুলে দেওয়ার দাবি জানান আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, এখন এই গেট দিয়ে কর্মকর্তারা গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছেন। চাইলে পণ্যের ট্রলি বা গাড়িও ঢুকতে পারবে।
তবে বিমান ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, পণ্য ডেলিভারির অনেক সরঞ্জাম পুড়ে যাওয়ায় আপাতত একটি গেট দিয়েই পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব কটি চালু করা হবে।
ঢাকা কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আগুনে পণ্যের সঙ্গে কম্পিউটার, স্ক্যানার, ট্রলিসহ অনেক ইকুইপমেন্ট পুড়ে গেছে। এ জন্য যেখানে সবকিছু রয়েছে, সেখান দিয়ে পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সবই খোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিষয়টি বিমান বাংলাদেশ আরও ভালো বলতে পারবে।
গতকাল নির্ধারিত পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগার আগে আসা অক্ষত পণ্যের ডেলিভারিও নিতে দেখা গেছে।
পার্লশিপিং নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে পণ্য ডেলিভারি কিছুটা বেড়েছে। আগুন লাগার আগে আসা পণ্যও এখন পাচ্ছি অনেকে। আজ দুপুরে আমার সঙ্গে একজন ১৬ ও ১৮ অক্টোবরে আসা দুটি শিপমেন্টের পণ্যের ডেলিভারি নিয়েছেন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত সোমবার বিমানের এমডির সঙ্গে বৈঠক করেছি। যেহেতু আমাদের পণ্যগুলো ওষুধের কাঁচামাল এবং তাঁরা পণ্যের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক কী হয়।’ তবে কী পরিমাণ পণ্য অক্ষত রয়েছে এবং কত পণ্য পুড়েছে, তার হিসাব এখনো শেষ হয়নি।
এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা রপ্তানিকারকদের তথ্য দিতে বলেছি। তবে সব তথ্য এখনো আসেনি। অনেকে পণ্য অক্ষত পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাই তথ্য দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন।’
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
২৪ নভেম্বর ২০২৪গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
৫ ঘণ্টা আগেআপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
মেট্রোরেল চালানো কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ পদে আর আমলা-নির্ভরতা থাকছে না। গত ৯ অক্টোবর প্রকাশিত নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এমডি পদের জন্য সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে
২৪ নভেম্বর ২০২৪গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়েছে। আকস্মিক এ ঘটনায় প্রথম কয়েক দিন আমদানি পণ্য খালাস থমকে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গতকাল বুধবার আমদানির পণ্যের খালাস কিছুটা বেড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে