নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপরে হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে—যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী।
আবেদ আলী বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচন সম্পর্কে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা জানতে চেয়েছেন। আগামী নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আসতে চাইছেন। এ বিষয়ে ইসির বিধিমালা জানতে চেয়েছেন। ইসি আশ্বস্ত করেছে, পর্যবেক্ষকেরা ভোটের আগে-পরেও আসতে পারবেন। কমিশন থেকে কোনো বাধা নেই।
আবেদ আলী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেহেতু অসাংবিধানিক, সে বিষয়ে (প্রতিনিধি) তাঁদের কোনো আগ্রহ নেই। তাঁরা বলেছেন, সংবিধানে যেটা আছে, সেটার আলোকেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কমিশনের যে আইন আছে, তার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন ইসিকে সাপোর্ট দেয়। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করলে এই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটা তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আসবেন কি না, আসতে হলে তাঁদের কী করণীয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে, কীভাবে কাজ করবে—এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। অতি সম্প্রতি একটি সিটি করপোরেশন ও একটি সংসদের উপনির্বাচনে ছোটখাটো যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়গুলো তাঁরা জানতে চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন বলেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যদি আসতে চান, তাহলে স্বাগত জানানো হবে। তবে অবশ্যই তাঁদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। আপনাদের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার অ্যালাউ করে না। এটি করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যদিও এটি ভালো আইডিয়া হয়ে থাকে, যদি তারা (ইসি) এটা করতেও চায়, তারা এটা করতে পারবে না। কারণ এটি করার কোনো আইনি কাঠামো নেই। এই মুহূর্তে এটা করা সম্ভব নয়।
‘আমি আমেরিকা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করি না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।’
আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা (ইসি) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।’
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলে জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপরে হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে—যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী।
আবেদ আলী বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচন সম্পর্কে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা জানতে চেয়েছেন। আগামী নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আসতে চাইছেন। এ বিষয়ে ইসির বিধিমালা জানতে চেয়েছেন। ইসি আশ্বস্ত করেছে, পর্যবেক্ষকেরা ভোটের আগে-পরেও আসতে পারবেন। কমিশন থেকে কোনো বাধা নেই।
আবেদ আলী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেহেতু অসাংবিধানিক, সে বিষয়ে (প্রতিনিধি) তাঁদের কোনো আগ্রহ নেই। তাঁরা বলেছেন, সংবিধানে যেটা আছে, সেটার আলোকেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। কমিশনের যে আইন আছে, তার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন ইসিকে সাপোর্ট দেয়। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করলে এই কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটা তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আসবেন কি না, আসতে হলে তাঁদের কী করণীয়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কীভাবে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন আয়োজন করবে, কীভাবে কাজ করবে—এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। অতি সম্প্রতি একটি সিটি করপোরেশন ও একটি সংসদের উপনির্বাচনে ছোটখাটো যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়গুলো তাঁরা জানতে চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন বলেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে যদি আসতে চান, তাহলে স্বাগত জানানো হবে। তবে অবশ্যই তাঁদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। আপনাদের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার অ্যালাউ করে না। এটি করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যদিও এটি ভালো আইডিয়া হয়ে থাকে, যদি তারা (ইসি) এটা করতেও চায়, তারা এটা করতে পারবে না। কারণ এটি করার কোনো আইনি কাঠামো নেই। এই মুহূর্তে এটা করা সম্ভব নয়।
‘আমি আমেরিকা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করি না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, এই সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।’
আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা (ইসি) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।’
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলে জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী ইউসুকি সুগু এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী এনডি লিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৭ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
৯ ঘণ্টা আগে