কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে ঢাকার কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভারত ও কানাডা ছাড়া বাকি দেশ ও সংস্থাগুলোর মিশনপ্রধান ও প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের পরিবহনমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় কপ-২৬-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিফিংয়ে সাম্প্রতিক বিষয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কূটনৈতিকদের বলেছি। সরকার তাঁর চিকিৎসার বিরুদ্ধে নয়। তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আইন তার দেখভাল করবে।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের মধ্যে যেকোনো স্থানে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আর যদি তাঁর বিদেশ যেতে হয়, তবে তাঁকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমরা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ফলে আমরা চাই তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে তিনি চাইলে বিদেশ থেকে যেকোনো চিকিৎসক নিয়ে আসতে পারবেন। তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট বিদেশে পাঠানো হয়েছে, বিদেশি চিকিৎসকেরা চাইলে এসে চিকিৎসা করতে পারবেন। এ বিষয়ে তাঁরা স্বাগত।
ব্রিফিংয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গতকাল রোববার প্রায় ১ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। ৫০ হাজারের বেশি প্রার্থী এতে অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। তবে নির্বাচনের একটি বাজে বিষয় হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহিত হওয়ার কারণে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। আমরা কোনো নির্বাচনে একটিও প্রাণহানি চাই না। তবে এটি জানি না এ চাওয়া কী করে সম্ভব করা যায়।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এ নির্বাচনে অন্যতম বিরোধী দল আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ না করলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। আর এ কারণে অনেক স্থানে বিরোধীরা জয়ী হয়েছে।
প্রায় প্রতিটি কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফের পর কূটনৈতিকদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ও প্রশ্ন থাকে। এবারের কূটনৈতিকদের ব্রিফিংয়ে কি প্রশ্ন ছিল প্রতিনিধিদের জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু কানাডা ও ভারতের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে ছিল না। বাকিরা সবাই ছিলেন। যাঁরা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। এমনকি চা-চক্রের সময়েও কোনো কিছু জানতে চাননি তাঁরা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে ঢাকার কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভারত ও কানাডা ছাড়া বাকি দেশ ও সংস্থাগুলোর মিশনপ্রধান ও প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের পরিবহনমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় কপ-২৬-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিফিংয়ে সাম্প্রতিক বিষয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কূটনৈতিকদের বলেছি। সরকার তাঁর চিকিৎসার বিরুদ্ধে নয়। তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আইন তার দেখভাল করবে।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের মধ্যে যেকোনো স্থানে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আর যদি তাঁর বিদেশ যেতে হয়, তবে তাঁকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমরা বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ফলে আমরা চাই তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে তিনি চাইলে বিদেশ থেকে যেকোনো চিকিৎসক নিয়ে আসতে পারবেন। তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট বিদেশে পাঠানো হয়েছে, বিদেশি চিকিৎসকেরা চাইলে এসে চিকিৎসা করতে পারবেন। এ বিষয়ে তাঁরা স্বাগত।
ব্রিফিংয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিকদের বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গতকাল রোববার প্রায় ১ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। ৫০ হাজারের বেশি প্রার্থী এতে অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। তবে নির্বাচনের একটি বাজে বিষয় হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে অতি উৎসাহিত হওয়ার কারণে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। আমরা কোনো নির্বাচনে একটিও প্রাণহানি চাই না। তবে এটি জানি না এ চাওয়া কী করে সম্ভব করা যায়।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এ নির্বাচনে অন্যতম বিরোধী দল আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ না করলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। আর এ কারণে অনেক স্থানে বিরোধীরা জয়ী হয়েছে।
প্রায় প্রতিটি কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফের পর কূটনৈতিকদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য ও প্রশ্ন থাকে। এবারের কূটনৈতিকদের ব্রিফিংয়ে কি প্রশ্ন ছিল প্রতিনিধিদের জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু কানাডা ও ভারতের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে ছিল না। বাকিরা সবাই ছিলেন। যাঁরা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। এমনকি চা-চক্রের সময়েও কোনো কিছু জানতে চাননি তাঁরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, আগামী এপ্রিলের মধ্যেই দেশ নির্বাচিত সরকার পাবে, এবং এরপর বর্তমান সরকার চুপচাপ সরে যাবে। গত ১২ জুন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান আরও বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও
২ ঘণ্টা আগেগত ঈদুল আজহা ঘিরে মাত্র ১২ দিনে দেশের সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১২ জন মানুষ। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৭ জন। সড়কে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জনের প্রাণহানির এই চিত্র তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের দ্বিতীয় দিনের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের জন্য সরকার যে সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সেসব সুবিধা নিলে দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে সরকারের জারি করা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ...
১৪ ঘণ্টা আগে