Ajker Patrika

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ৩ বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে জেডব্লিউজির বৈঠক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ৩ বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে জেডব্লিউজির বৈঠক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তিন বছর পর মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত কারিগরি ওয়ার্কিং গ্রুপ (টিডব্লিউজি) ও জেডব্লিউজির বৈঠক করতে একমত হয়েছে নেপিডো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আজ মঙ্গলবার পঞ্চম জেডব্লিউজির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আর মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পারমানেন্ট সেক্রেটারি ইউ চান আয়। 

বৈঠকে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে এবং টেকসইভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর প্রত্যাবাসনের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশাল এ মানুষের বোঝা কমাতে বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বৈঠকে তুলে ধরেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা, তাদের নিরাপত্তা, জীবিকা ও কল্যাণ নিশ্চিতের বিষয়ে বাংলাদেশ বৈঠকে জোর দিয়েছে। বৈঠকে দুই পক্ষই যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করতে একত্রে কাজ করবে বলে একমত হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে নিয়মিত টিডব্লিউজি ও জেডব্লিউজির বৈঠক করার বিষয়েও একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই নিয়ে নতুন করে গঠন করা কারিগরি পর্যায়ের অ্যাডহক টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার দেরির কারণ খুঁজতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে দুই পক্ষ। বৈঠকে এর আগে এ ধরনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ধীর গতির কথা তুলে ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। পূর্বের যাচাই-বাছাই সম্পন্নের বিষয়টি বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। 

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে জেডব্লিউজির চতুর্থ বৈঠক নেপিডোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে বৈঠকে রাখাইন রাজ্যে বসবাস উপযোগিতা তৈরি করতে জোর দেওয়া হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের আন্দোলনের স্বাধীনতা, তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ নাগরিকদের আইনগত অধিকার এবং প্রশাসনিক বাধা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করছিল বাংলাদেশ। সে বৈঠকে উভয় পক্ষই যাচাইকরণ দ্রুতগতিতে সম্পন্নের বিষয়ে সম্মত হয়। 

এর বাইরে চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনের ফাঁকে এক বৈঠকে এ গ্রুপ গঠন করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত