ঢাকা: মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দেশটির সামরিক নেতাদের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে। তবে এতে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। বিলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মৌলিক অগ্রাধিকার পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূত রাবাব ফাতিমা। মিশনের ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য পুরোটি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে:
‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি’ নিয়ে এই প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগাভাগি করে। তাদের লাখ লাখ লোককে আশ্রয় দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যাঁরা নৃশংস অপরাধের শিকার, তাঁদের সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যে প্রস্তাবটি জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে তা বাংলাদেশের প্রত্যাশার তুলনায় খুব কম। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত সংখ্যালঘুদের বিশেষত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করার জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি প্রস্তাবটিতে উঠে আসেনি।
এই প্রস্তাবটিতে সমর্থনের বিষয়ে যেসব সদস্য রাষ্ট্র আলোচনা করেছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মৌলিক অগ্রাধিকারগুলো প্রস্তাবে, বিশেষ করে এর অপারেটিভ অংশে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করছে বাংলাদেশ। সুতরাং, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করে। কিন্তু মিয়ানমার সম্পর্কিত যে কোনো প্রস্তাব, প্রসঙ্গ যাই হোক না কেন, যদি সেটি রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো স্বীকৃতি না দেয় এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য জোরালো প্রস্তাব না দেয় তবে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই মূল কারণগুলো মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা, এমনকি ২০১৭ সালে জাতিগত নির্মূলের পরেও মিয়ানমারে দায়মুক্তির সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর এখন তা কার্যকর হচ্ছে।
১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়। তবুও গত চার দশকে একাধিকবার নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রদত্ত মানবিক সহায়তাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার ব্যাপক প্রশংসা করে বাংলাদেশ। তবে একমাত্র মানবিক সহায়তা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নয়। আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সেখানেও এটি কোনো সহায়তা করে না। এ ক্ষেত্রে যা দরকার তা হলো–রাজনৈতিক সমাধান। মিয়ানমারে সংকট তৈরি হয়েছিল। এর সমাধান মিয়ানমারকেই খুঁজে বরে করতে হবে।
জাতিসংঘের ওপর বাংলাদেশের আস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত আগস্টে সাধারণ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্বিপক্ষীয় প্রচেষ্টায় তদারকির জন্য আবেদন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করতে এখনো কোনো অগ্রগতি অর্জন করা যায়নি।
প্রস্তাবটিতে আসিয়ানের নেতাদের বৈঠকে পাঁচ দফা সম্মতির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুটিকে আনা হয়নি। তদুপরি, গণমাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক নেতার সাম্প্রতিক মন্তব্য, (তিনি আসিয়ান নেতাদের বৈঠকে ছিলেন) রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য মৌলিক যে কোনো নীতিগত সংস্কারের সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত তৃতীয় কমিটিতে ওআইসি এবং ইইউ যৌথভাবে বার্ষিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবটি রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয় এবং এমন পদক্ষেপেরও আহ্বান জানিয়েছে যা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক এবং অন্যান্য আর্থ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর একটি বিস্তৃত সমাধানের দিকে নিয়ে যায়। তাই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে মার্চ মাসে গৃহীত সর্বশেষ প্রস্তাবসহ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রস্তাবগুলোও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নিরাপত্তা কাউন্সিল এবং পিআরএসটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্য বাস্তুচ্যুত সংখ্যালঘুদের প্রত্যাবাসনের ওপর সেবা অভ্যুত্থানের প্রভাব স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা আশান্বিত হয়েছি। কিন্তু সাধারণ অধিবেশনের আজকের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব সেই প্রবণতা থেকে বিচ্যুত হওয়াটা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং এটি ভুল বার্তা দিতে পারে।
এই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকলেও আগস্টে সাধারণ অধিবেশনে সবার সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। চার বছর ধরে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে।
এই সংকটের প্রাথমিক সমাধানে পৌঁছতে বাংলাদেশ ওআইসি, আসিয়ান ও ইইউসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
ঢাকা: মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দেশটির সামরিক নেতাদের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে। তবে এতে ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। বিলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মৌলিক অগ্রাধিকার পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূত রাবাব ফাতিমা। মিশনের ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য পুরোটি তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে:
‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি’ নিয়ে এই প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগাভাগি করে। তাদের লাখ লাখ লোককে আশ্রয় দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যাঁরা নৃশংস অপরাধের শিকার, তাঁদের সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, যে প্রস্তাবটি জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে তা বাংলাদেশের প্রত্যাশার তুলনায় খুব কম। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত সংখ্যালঘুদের বিশেষত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করার জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি প্রস্তাবটিতে উঠে আসেনি।
এই প্রস্তাবটিতে সমর্থনের বিষয়ে যেসব সদস্য রাষ্ট্র আলোচনা করেছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মৌলিক অগ্রাধিকারগুলো প্রস্তাবে, বিশেষ করে এর অপারেটিভ অংশে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করছে বাংলাদেশ। সুতরাং, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমারে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করে। কিন্তু মিয়ানমার সম্পর্কিত যে কোনো প্রস্তাব, প্রসঙ্গ যাই হোক না কেন, যদি সেটি রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো স্বীকৃতি না দেয় এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য জোরালো প্রস্তাব না দেয় তবে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই মূল কারণগুলো মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা, এমনকি ২০১৭ সালে জাতিগত নির্মূলের পরেও মিয়ানমারে দায়মুক্তির সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর এখন তা কার্যকর হচ্ছে।
১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়। তবুও গত চার দশকে একাধিকবার নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রদত্ত মানবিক সহায়তাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার ব্যাপক প্রশংসা করে বাংলাদেশ। তবে একমাত্র মানবিক সহায়তা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান নয়। আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সেখানেও এটি কোনো সহায়তা করে না। এ ক্ষেত্রে যা দরকার তা হলো–রাজনৈতিক সমাধান। মিয়ানমারে সংকট তৈরি হয়েছিল। এর সমাধান মিয়ানমারকেই খুঁজে বরে করতে হবে।
জাতিসংঘের ওপর বাংলাদেশের আস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত আগস্টে সাধারণ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দ্বিপক্ষীয় প্রচেষ্টায় তদারকির জন্য আবেদন করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করতে এখনো কোনো অগ্রগতি অর্জন করা যায়নি।
প্রস্তাবটিতে আসিয়ানের নেতাদের বৈঠকে পাঁচ দফা সম্মতির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুটিকে আনা হয়নি। তদুপরি, গণমাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক নেতার সাম্প্রতিক মন্তব্য, (তিনি আসিয়ান নেতাদের বৈঠকে ছিলেন) রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য মৌলিক যে কোনো নীতিগত সংস্কারের সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করেছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত তৃতীয় কমিটিতে ওআইসি এবং ইইউ যৌথভাবে বার্ষিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবটি রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেয় এবং এমন পদক্ষেপেরও আহ্বান জানিয়েছে যা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক এবং অন্যান্য আর্থ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর একটি বিস্তৃত সমাধানের দিকে নিয়ে যায়। তাই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে মার্চ মাসে গৃহীত সর্বশেষ প্রস্তাবসহ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রস্তাবগুলোও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নিরাপত্তা কাউন্সিল এবং পিআরএসটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা মুসলমান এবং অন্য বাস্তুচ্যুত সংখ্যালঘুদের প্রত্যাবাসনের ওপর সেবা অভ্যুত্থানের প্রভাব স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা আশান্বিত হয়েছি। কিন্তু সাধারণ অধিবেশনের আজকের এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব সেই প্রবণতা থেকে বিচ্যুত হওয়াটা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং এটি ভুল বার্তা দিতে পারে।
এই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকলেও আগস্টে সাধারণ অধিবেশনে সবার সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। চার বছর ধরে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভূতপূর্ব সমর্থন পেয়েছে।
এই সংকটের প্রাথমিক সমাধানে পৌঁছতে বাংলাদেশ ওআইসি, আসিয়ান ও ইইউসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক হালাল পণ্যবাজারে জায়গা করে নিতে হালাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছে দেশটি। গতকাল মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরে এক হোটেলে মালয়েশিয়ার হালাল শিল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫ মিনিট আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগের দুয়ার খুলছে। মালয়েশিয়া সরকার দেশটির অর্থনীতিতে উচ্চ-দক্ষতার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসা চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছে...
৮ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। দেশের ২০২৪ সালের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার–বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে মালয়েশিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউকেএম)।
১ ঘণ্টা আগে