নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী নারী ও কন্যাদের জীবনে প্রতিদিনের সংগ্রাম শুধু শারীরিক নয়; বরং সামাজিক ও রাজনৈতিকও। একদিকে লিঙ্গজনিত বৈষম্য; অন্যদিকে প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। এই নারীরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এমনকি রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও বহুমাত্রিক বঞ্চনার শিকার। প্রতিবন্ধী নারীদের প্রতি তিনজনের একজন সহিংসতার শিকার হন। ৭৫ শতাংশ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হন।
বেসরকারি সংস্থা উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডব্লিউডিডিএফ) পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ‘প্রতিবন্ধকতার শিকার নারীদের ওপর যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ভাস্কর ভট্টাচার্য এবং সিনারজি সলিউশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম। তাঁরা জানান, ২০২৪ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৭টি জেলায় এই গবেষণা জরিপ পরিচালিত হয়।
২ হাজার ১৩২ উত্তরদাতার ওপর করা এই গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী নারীরা একধরনের ‘দ্বৈত প্রান্তিকতার’ মধ্যে আছে। তারা নারী বলেই যেমন বৈষম্যের শিকার, তেমনি প্রতিবন্ধী বলেও। এই দুইয়ের মিলিত প্রভাব তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সামাজিক মর্যাদায় গভীর প্রভাব ফেলছে। সমাজের পুরুষকেন্দ্রিক কাঠামো তাদের আরও অদৃশ্য করে দিচ্ছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে শোষণ ও বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি।
গবেষণায় বলা হয়, প্রতিবন্ধী নারীদের ৭৫ শতাংশ শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ) কখনো কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি। অর্ধেকের বেশি (৫২ দশমিক ৬ শতাংশ) বেকার। মাত্র ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ কোনোভাবে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে যুক্ত। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের সুযোগ প্রায় অনুপস্থিত। জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন উত্তরদাতা বলেন, ‘কাজ খুঁজতে গেলে সবাই বলে, “তুমি তো পারবে না”।’
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী নারীরা জানায়, জনপরিসরের অপ্রবেশযোগ্যতা তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সবচেয়ে বড় বাধা।
৭৮ শতাংশ নারী জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল তাদের জন্য প্রবেশগম্য নয়। ফলে তারা নাগরিক অধিকার প্রয়োগে পিছিয়ে পড়ছে। এমনকি ভোট দেওয়ার মতো সাধারণ কাজও অনেকে করতে পারে না।
জরিপে অংশ নেওয়া ১ হাজার ৬৮২ জন জানিয়েছে, রাজনৈতিক সভা, ভোটকেন্দ্র বা সরকারি দপ্তরে প্রবেশের সুযোগ সীমিত থাকায় তারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছে না।
তা ছাড়া ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতার জানায়, রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য একটি বড় বাধা।
৫৯ শতাংশ মনে করে, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা; ৫৩ শতাংশ মনে করে, তথ্যের অভাব এবং ৩৭ শতাংশের মতে, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি রাজনৈতিক অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ নারীই জানে না, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা কী।
প্রতি তিনজনের একজন (৩০ দশমিক ৪৯ শতাংশ) জানিয়েছে, তারা কোনো না কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে। যেসব নারী যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সহিংসতার ধরন ছিল শারীরিক নির্যাতন, যা ৭০ দশমিক ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘটেছে। এর পরেই রয়েছে মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক নির্যাতন, যা ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডব্লিউডিডিএফের চেয়ারপারসন শিরিন আক্তার। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাসের (বি-স্ক্যান) প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব, মানবাধিকার নেত্রী শিফা হাফিজা প্রমুখ।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী নারী ও কন্যাদের জীবনে প্রতিদিনের সংগ্রাম শুধু শারীরিক নয়; বরং সামাজিক ও রাজনৈতিকও। একদিকে লিঙ্গজনিত বৈষম্য; অন্যদিকে প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। এই নারীরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এমনকি রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও বহুমাত্রিক বঞ্চনার শিকার। প্রতিবন্ধী নারীদের প্রতি তিনজনের একজন সহিংসতার শিকার হন। ৭৫ শতাংশ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হন।
বেসরকারি সংস্থা উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডব্লিউডিডিএফ) পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ‘প্রতিবন্ধকতার শিকার নারীদের ওপর যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ভাস্কর ভট্টাচার্য এবং সিনারজি সলিউশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম। তাঁরা জানান, ২০২৪ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৭টি জেলায় এই গবেষণা জরিপ পরিচালিত হয়।
২ হাজার ১৩২ উত্তরদাতার ওপর করা এই গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী নারীরা একধরনের ‘দ্বৈত প্রান্তিকতার’ মধ্যে আছে। তারা নারী বলেই যেমন বৈষম্যের শিকার, তেমনি প্রতিবন্ধী বলেও। এই দুইয়ের মিলিত প্রভাব তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সামাজিক মর্যাদায় গভীর প্রভাব ফেলছে। সমাজের পুরুষকেন্দ্রিক কাঠামো তাদের আরও অদৃশ্য করে দিচ্ছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে শোষণ ও বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি।
গবেষণায় বলা হয়, প্রতিবন্ধী নারীদের ৭৫ শতাংশ শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ) কখনো কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি। অর্ধেকের বেশি (৫২ দশমিক ৬ শতাংশ) বেকার। মাত্র ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ কোনোভাবে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে যুক্ত। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের সুযোগ প্রায় অনুপস্থিত। জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন উত্তরদাতা বলেন, ‘কাজ খুঁজতে গেলে সবাই বলে, “তুমি তো পারবে না”।’
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতিবন্ধী নারীরা জানায়, জনপরিসরের অপ্রবেশযোগ্যতা তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সবচেয়ে বড় বাধা।
৭৮ শতাংশ নারী জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল তাদের জন্য প্রবেশগম্য নয়। ফলে তারা নাগরিক অধিকার প্রয়োগে পিছিয়ে পড়ছে। এমনকি ভোট দেওয়ার মতো সাধারণ কাজও অনেকে করতে পারে না।
জরিপে অংশ নেওয়া ১ হাজার ৬৮২ জন জানিয়েছে, রাজনৈতিক সভা, ভোটকেন্দ্র বা সরকারি দপ্তরে প্রবেশের সুযোগ সীমিত থাকায় তারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছে না।
তা ছাড়া ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতার জানায়, রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য একটি বড় বাধা।
৫৯ শতাংশ মনে করে, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা; ৫৩ শতাংশ মনে করে, তথ্যের অভাব এবং ৩৭ শতাংশের মতে, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি রাজনৈতিক অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ নারীই জানে না, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা কী।
প্রতি তিনজনের একজন (৩০ দশমিক ৪৯ শতাংশ) জানিয়েছে, তারা কোনো না কোনো ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছে। যেসব নারী যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সহিংসতার ধরন ছিল শারীরিক নির্যাতন, যা ৭০ দশমিক ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘটেছে। এর পরেই রয়েছে মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক নির্যাতন, যা ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডব্লিউডিডিএফের চেয়ারপারসন শিরিন আক্তার। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাসের (বি-স্ক্যান) প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব, মানবাধিকার নেত্রী শিফা হাফিজা প্রমুখ।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
১১ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
১১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
১১ ঘণ্টা আগে