ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়। তিনি বলেন, ‘কী হবে এসব সাক্ষাৎকার দিয়ে!’ ইতিহাস হবে, আপনারা না বললে তো হবে না—তরুণ সাংবাদিকের আবেগভরা কথায় ফুলবানুর অভিমান কিছুটা হলেও দূর হয়। তিনি বলতে শুরু করেন।
২৫ মার্চের রাত যত বাড়তে থাকে, বুকের ভেতরে ভয়ও তত বাড়তে শুরু করে ফুলবানুর। ভয় অনেক কিছুর। বয়স তাঁর ষোলো বছর। কোলে দুই বছরের সন্তান। ঢাকা তখন গুজব আর গুঞ্জনের শহর। সময় যে দ্রুত কঠিন হয়ে উঠছে, সেটি সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু কী হবে বা হতে পারে, সেটি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে তিনি শুনেছেন ‘বাবুর বাপ’ অর্থাৎ তাঁর স্বামী আব্দুল খালেক নাকি ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং করছেন যুদ্ধ করার জন্য! তাই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ও বাড়তে থাকে। ফুলবানু ‘বাবুর বাপরে’ বলেছিলেন গ্রামে চলে যেতে। এই ভয়াবহ সময়ে ঢাকায় থেকে কোনো লাভ নেই। কিন্তু আব্দুল খালেক যাবেন না। তিনি আস্থা রেখেছিলেন রোকেয়া হলের প্রভোস্টের ওপর। বলেছিলেন, তিনিই বাঁচাবেন তাঁদের। কিন্তু সেটি হয়নি।
২৫ মার্চ রাত। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান ফুলবানু। তারপর গুলির শব্দ। মানুষের চিৎকার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি সেনারা রোকেয়া হলে ফুলবানুদের বাসায় ঢুকে পড়ে দানবের মতো। সে রাতের ঘটনা যেন এখনো তাড়া করে ফেরে ফুলবানুকে। তিনি শিববাড়ি আবাসিক এলাকায় জানালা দিয়ে বাইরে নিষ্পলক তাকিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি বাচ্চাটাকে (হারুনুর রশিদ) বুকে নিয়ে চৌকির নিচে ঢুকে পড়ি। কিন্তু আমার পা দেখা যাচ্ছিল। পায়ে গুলি লাগে, বাবুর ক্ষতি হতে দিইনি। কিন্তু আমার স্বামী আব্দুল খালেক ও আমার ছোট বোন, যে বাবুকে দেখতে এসেছিল ঢাকায়, তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তানি সেনারা। আমার হারানোর কিছু নাই। সব হারায়ে ফেলছি সেদিন।’
জানালা দিয়ে আসা আলোয় ফুলবানুর অবয়ব তখন সিলিউট হয়ে গেছে। মুখের ওপরে বিজলি বাতির হালকা আলো। তাতে ঠিক বোঝা যায় না ফুলবানুর চোখে পানি কি না। কিন্তু কণ্ঠস্বর বদলে গেছে, তাতে যে বাষ্প জমেছে, সেটা বোঝা যায় স্পষ্ট। কথায় খানিক বিরতি দিলেন তিনি, স্বাভাবিকভাবে যা হওয়ার কথা ছিল। ধাতস্থ হয়ে ফুলবানু বলতে শুরু করেন, ‘সে আমার কথা শুনলে আজকে মারা যেত না। কত ছটফট করেছে! চোখের সামনে দেখেছি। নিজেকে ধরে রাখতে হয়েছে।’ সেদিনের সেই দৃশ্য যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় ফুলবানুর কাছে। অবধারিতভাবে দীর্ঘশ্বাস পড়ে। আবার বলতে শুরু করেন, ‘ছেলের দিকে চেয়ে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে সংসারের হাল ধরেছি। আর কোথাও বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি। তাঁকে সম্মান করতাম। এ সম্মান আজীবনের।’
ফুলবানু বলেন, ‘শেখ মুজিব’ তাঁকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আর কিছু পাননি—রাষ্ট্র থেকেও না, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও না। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া ফুলবানুর কণ্ঠে আফসোস ঝরে পড়ে তাঁর স্বামী ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং নেওয়ার পরেও যুদ্ধ করতে পারেননি বলে। তবে ফুলবানুর একটিই আশা, ‘শহীদের স্ত্রী হিসেবে মরতে চাই। শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানটা যেন আমার স্বামী ও বোন পায়, সেই কামনা করি।’
শিববাড়ি আবাসিক এলাকা থেকে বেরিয়ে আসি। হাঁটতে থাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে পথে। খানিক এলোমেলো লাগে নিজেকে। একটি প্রশ্নই ঘুরতে থাকে মাথার মধ্যে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমরা কি আশা করতে পারি, ফুলবানু নামে একজন শহীদজায়ার আশা পূরণ হবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়। তিনি বলেন, ‘কী হবে এসব সাক্ষাৎকার দিয়ে!’ ইতিহাস হবে, আপনারা না বললে তো হবে না—তরুণ সাংবাদিকের আবেগভরা কথায় ফুলবানুর অভিমান কিছুটা হলেও দূর হয়। তিনি বলতে শুরু করেন।
২৫ মার্চের রাত যত বাড়তে থাকে, বুকের ভেতরে ভয়ও তত বাড়তে শুরু করে ফুলবানুর। ভয় অনেক কিছুর। বয়স তাঁর ষোলো বছর। কোলে দুই বছরের সন্তান। ঢাকা তখন গুজব আর গুঞ্জনের শহর। সময় যে দ্রুত কঠিন হয়ে উঠছে, সেটি সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু কী হবে বা হতে পারে, সেটি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে তিনি শুনেছেন ‘বাবুর বাপ’ অর্থাৎ তাঁর স্বামী আব্দুল খালেক নাকি ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং করছেন যুদ্ধ করার জন্য! তাই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ও বাড়তে থাকে। ফুলবানু ‘বাবুর বাপরে’ বলেছিলেন গ্রামে চলে যেতে। এই ভয়াবহ সময়ে ঢাকায় থেকে কোনো লাভ নেই। কিন্তু আব্দুল খালেক যাবেন না। তিনি আস্থা রেখেছিলেন রোকেয়া হলের প্রভোস্টের ওপর। বলেছিলেন, তিনিই বাঁচাবেন তাঁদের। কিন্তু সেটি হয়নি।
২৫ মার্চ রাত। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান ফুলবানু। তারপর গুলির শব্দ। মানুষের চিৎকার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি সেনারা রোকেয়া হলে ফুলবানুদের বাসায় ঢুকে পড়ে দানবের মতো। সে রাতের ঘটনা যেন এখনো তাড়া করে ফেরে ফুলবানুকে। তিনি শিববাড়ি আবাসিক এলাকায় জানালা দিয়ে বাইরে নিষ্পলক তাকিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি বাচ্চাটাকে (হারুনুর রশিদ) বুকে নিয়ে চৌকির নিচে ঢুকে পড়ি। কিন্তু আমার পা দেখা যাচ্ছিল। পায়ে গুলি লাগে, বাবুর ক্ষতি হতে দিইনি। কিন্তু আমার স্বামী আব্দুল খালেক ও আমার ছোট বোন, যে বাবুকে দেখতে এসেছিল ঢাকায়, তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তানি সেনারা। আমার হারানোর কিছু নাই। সব হারায়ে ফেলছি সেদিন।’
জানালা দিয়ে আসা আলোয় ফুলবানুর অবয়ব তখন সিলিউট হয়ে গেছে। মুখের ওপরে বিজলি বাতির হালকা আলো। তাতে ঠিক বোঝা যায় না ফুলবানুর চোখে পানি কি না। কিন্তু কণ্ঠস্বর বদলে গেছে, তাতে যে বাষ্প জমেছে, সেটা বোঝা যায় স্পষ্ট। কথায় খানিক বিরতি দিলেন তিনি, স্বাভাবিকভাবে যা হওয়ার কথা ছিল। ধাতস্থ হয়ে ফুলবানু বলতে শুরু করেন, ‘সে আমার কথা শুনলে আজকে মারা যেত না। কত ছটফট করেছে! চোখের সামনে দেখেছি। নিজেকে ধরে রাখতে হয়েছে।’ সেদিনের সেই দৃশ্য যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় ফুলবানুর কাছে। অবধারিতভাবে দীর্ঘশ্বাস পড়ে। আবার বলতে শুরু করেন, ‘ছেলের দিকে চেয়ে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে সংসারের হাল ধরেছি। আর কোথাও বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি। তাঁকে সম্মান করতাম। এ সম্মান আজীবনের।’
ফুলবানু বলেন, ‘শেখ মুজিব’ তাঁকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আর কিছু পাননি—রাষ্ট্র থেকেও না, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও না। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া ফুলবানুর কণ্ঠে আফসোস ঝরে পড়ে তাঁর স্বামী ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং নেওয়ার পরেও যুদ্ধ করতে পারেননি বলে। তবে ফুলবানুর একটিই আশা, ‘শহীদের স্ত্রী হিসেবে মরতে চাই। শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানটা যেন আমার স্বামী ও বোন পায়, সেই কামনা করি।’
শিববাড়ি আবাসিক এলাকা থেকে বেরিয়ে আসি। হাঁটতে থাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে পথে। খানিক এলোমেলো লাগে নিজেকে। একটি প্রশ্নই ঘুরতে থাকে মাথার মধ্যে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমরা কি আশা করতে পারি, ফুলবানু নামে একজন শহীদজায়ার আশা পূরণ হবে?
ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়। তিনি বলেন, ‘কী হবে এসব সাক্ষাৎকার দিয়ে!’ ইতিহাস হবে, আপনারা না বললে তো হবে না—তরুণ সাংবাদিকের আবেগভরা কথায় ফুলবানুর অভিমান কিছুটা হলেও দূর হয়। তিনি বলতে শুরু করেন।
২৫ মার্চের রাত যত বাড়তে থাকে, বুকের ভেতরে ভয়ও তত বাড়তে শুরু করে ফুলবানুর। ভয় অনেক কিছুর। বয়স তাঁর ষোলো বছর। কোলে দুই বছরের সন্তান। ঢাকা তখন গুজব আর গুঞ্জনের শহর। সময় যে দ্রুত কঠিন হয়ে উঠছে, সেটি সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু কী হবে বা হতে পারে, সেটি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে তিনি শুনেছেন ‘বাবুর বাপ’ অর্থাৎ তাঁর স্বামী আব্দুল খালেক নাকি ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং করছেন যুদ্ধ করার জন্য! তাই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ও বাড়তে থাকে। ফুলবানু ‘বাবুর বাপরে’ বলেছিলেন গ্রামে চলে যেতে। এই ভয়াবহ সময়ে ঢাকায় থেকে কোনো লাভ নেই। কিন্তু আব্দুল খালেক যাবেন না। তিনি আস্থা রেখেছিলেন রোকেয়া হলের প্রভোস্টের ওপর। বলেছিলেন, তিনিই বাঁচাবেন তাঁদের। কিন্তু সেটি হয়নি।
২৫ মার্চ রাত। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান ফুলবানু। তারপর গুলির শব্দ। মানুষের চিৎকার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি সেনারা রোকেয়া হলে ফুলবানুদের বাসায় ঢুকে পড়ে দানবের মতো। সে রাতের ঘটনা যেন এখনো তাড়া করে ফেরে ফুলবানুকে। তিনি শিববাড়ি আবাসিক এলাকায় জানালা দিয়ে বাইরে নিষ্পলক তাকিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি বাচ্চাটাকে (হারুনুর রশিদ) বুকে নিয়ে চৌকির নিচে ঢুকে পড়ি। কিন্তু আমার পা দেখা যাচ্ছিল। পায়ে গুলি লাগে, বাবুর ক্ষতি হতে দিইনি। কিন্তু আমার স্বামী আব্দুল খালেক ও আমার ছোট বোন, যে বাবুকে দেখতে এসেছিল ঢাকায়, তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তানি সেনারা। আমার হারানোর কিছু নাই। সব হারায়ে ফেলছি সেদিন।’
জানালা দিয়ে আসা আলোয় ফুলবানুর অবয়ব তখন সিলিউট হয়ে গেছে। মুখের ওপরে বিজলি বাতির হালকা আলো। তাতে ঠিক বোঝা যায় না ফুলবানুর চোখে পানি কি না। কিন্তু কণ্ঠস্বর বদলে গেছে, তাতে যে বাষ্প জমেছে, সেটা বোঝা যায় স্পষ্ট। কথায় খানিক বিরতি দিলেন তিনি, স্বাভাবিকভাবে যা হওয়ার কথা ছিল। ধাতস্থ হয়ে ফুলবানু বলতে শুরু করেন, ‘সে আমার কথা শুনলে আজকে মারা যেত না। কত ছটফট করেছে! চোখের সামনে দেখেছি। নিজেকে ধরে রাখতে হয়েছে।’ সেদিনের সেই দৃশ্য যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় ফুলবানুর কাছে। অবধারিতভাবে দীর্ঘশ্বাস পড়ে। আবার বলতে শুরু করেন, ‘ছেলের দিকে চেয়ে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে সংসারের হাল ধরেছি। আর কোথাও বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি। তাঁকে সম্মান করতাম। এ সম্মান আজীবনের।’
ফুলবানু বলেন, ‘শেখ মুজিব’ তাঁকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আর কিছু পাননি—রাষ্ট্র থেকেও না, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও না। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া ফুলবানুর কণ্ঠে আফসোস ঝরে পড়ে তাঁর স্বামী ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং নেওয়ার পরেও যুদ্ধ করতে পারেননি বলে। তবে ফুলবানুর একটিই আশা, ‘শহীদের স্ত্রী হিসেবে মরতে চাই। শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানটা যেন আমার স্বামী ও বোন পায়, সেই কামনা করি।’
শিববাড়ি আবাসিক এলাকা থেকে বেরিয়ে আসি। হাঁটতে থাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে পথে। খানিক এলোমেলো লাগে নিজেকে। একটি প্রশ্নই ঘুরতে থাকে মাথার মধ্যে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমরা কি আশা করতে পারি, ফুলবানু নামে একজন শহীদজায়ার আশা পূরণ হবে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়। তিনি বলেন, ‘কী হবে এসব সাক্ষাৎকার দিয়ে!’ ইতিহাস হবে, আপনারা না বললে তো হবে না—তরুণ সাংবাদিকের আবেগভরা কথায় ফুলবানুর অভিমান কিছুটা হলেও দূর হয়। তিনি বলতে শুরু করেন।
২৫ মার্চের রাত যত বাড়তে থাকে, বুকের ভেতরে ভয়ও তত বাড়তে শুরু করে ফুলবানুর। ভয় অনেক কিছুর। বয়স তাঁর ষোলো বছর। কোলে দুই বছরের সন্তান। ঢাকা তখন গুজব আর গুঞ্জনের শহর। সময় যে দ্রুত কঠিন হয়ে উঠছে, সেটি সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু কী হবে বা হতে পারে, সেটি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে তিনি শুনেছেন ‘বাবুর বাপ’ অর্থাৎ তাঁর স্বামী আব্দুল খালেক নাকি ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং করছেন যুদ্ধ করার জন্য! তাই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়ও বাড়তে থাকে। ফুলবানু ‘বাবুর বাপরে’ বলেছিলেন গ্রামে চলে যেতে। এই ভয়াবহ সময়ে ঢাকায় থেকে কোনো লাভ নেই। কিন্তু আব্দুল খালেক যাবেন না। তিনি আস্থা রেখেছিলেন রোকেয়া হলের প্রভোস্টের ওপর। বলেছিলেন, তিনিই বাঁচাবেন তাঁদের। কিন্তু সেটি হয়নি।
২৫ মার্চ রাত। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান ফুলবানু। তারপর গুলির শব্দ। মানুষের চিৎকার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি সেনারা রোকেয়া হলে ফুলবানুদের বাসায় ঢুকে পড়ে দানবের মতো। সে রাতের ঘটনা যেন এখনো তাড়া করে ফেরে ফুলবানুকে। তিনি শিববাড়ি আবাসিক এলাকায় জানালা দিয়ে বাইরে নিষ্পলক তাকিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি বাচ্চাটাকে (হারুনুর রশিদ) বুকে নিয়ে চৌকির নিচে ঢুকে পড়ি। কিন্তু আমার পা দেখা যাচ্ছিল। পায়ে গুলি লাগে, বাবুর ক্ষতি হতে দিইনি। কিন্তু আমার স্বামী আব্দুল খালেক ও আমার ছোট বোন, যে বাবুকে দেখতে এসেছিল ঢাকায়, তাকে মেরে ফেলে পাকিস্তানি সেনারা। আমার হারানোর কিছু নাই। সব হারায়ে ফেলছি সেদিন।’
জানালা দিয়ে আসা আলোয় ফুলবানুর অবয়ব তখন সিলিউট হয়ে গেছে। মুখের ওপরে বিজলি বাতির হালকা আলো। তাতে ঠিক বোঝা যায় না ফুলবানুর চোখে পানি কি না। কিন্তু কণ্ঠস্বর বদলে গেছে, তাতে যে বাষ্প জমেছে, সেটা বোঝা যায় স্পষ্ট। কথায় খানিক বিরতি দিলেন তিনি, স্বাভাবিকভাবে যা হওয়ার কথা ছিল। ধাতস্থ হয়ে ফুলবানু বলতে শুরু করেন, ‘সে আমার কথা শুনলে আজকে মারা যেত না। কত ছটফট করেছে! চোখের সামনে দেখেছি। নিজেকে ধরে রাখতে হয়েছে।’ সেদিনের সেই দৃশ্য যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় ফুলবানুর কাছে। অবধারিতভাবে দীর্ঘশ্বাস পড়ে। আবার বলতে শুরু করেন, ‘ছেলের দিকে চেয়ে একটি সেলাই মেশিন নিয়ে সংসারের হাল ধরেছি। আর কোথাও বিয়ের পিঁড়িতে বসিনি। তাঁকে সম্মান করতাম। এ সম্মান আজীবনের।’
ফুলবানু বলেন, ‘শেখ মুজিব’ তাঁকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আর কিছু পাননি—রাষ্ট্র থেকেও না, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও না। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া ফুলবানুর কণ্ঠে আফসোস ঝরে পড়ে তাঁর স্বামী ছাত্রদের সঙ্গে ট্রেনিং নেওয়ার পরেও যুদ্ধ করতে পারেননি বলে। তবে ফুলবানুর একটিই আশা, ‘শহীদের স্ত্রী হিসেবে মরতে চাই। শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানটা যেন আমার স্বামী ও বোন পায়, সেই কামনা করি।’
শিববাড়ি আবাসিক এলাকা থেকে বেরিয়ে আসি। হাঁটতে থাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে পথে। খানিক এলোমেলো লাগে নিজেকে। একটি প্রশ্নই ঘুরতে থাকে মাথার মধ্যে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমরা কি আশা করতে পারি, ফুলবানু নামে একজন শহীদজায়ার আশা পূরণ হবে?

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
১ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
২ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তা
২৫ মার্চ ২০২৩
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
১ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
২ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তা
২৫ মার্চ ২০২৩
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪৩ মিনিট আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
২ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’
প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’
স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’
প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’
স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তা
২৫ মার্চ ২০২৩
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
১ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিববাড়ি আবাসিক এলাকা। সেখানকার একটি তিনতলা বাসায় একমাত্র ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন ফুলবানু। নিভৃতে থাকতেই ভালোবাসেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে একরাশ অভিমান ঝরে তাঁর কণ্ঠে। এই রাজধানী শহরে জীবন-জীবিকার টালমাটাল স্রোতে ফুলবানু যে ভীষণ নাস্তানাবুদ, সেটা তা
২৫ মার্চ ২০২৩
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
১ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
২ ঘণ্টা আগে