Ajker Patrika

অর্থ পাচার মামলায় বিএসবির বাশার ১০ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত
বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ পাচারের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশারকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

দুপুরের পর বাসারকে আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই খালিদ সাইফুল্লাহ ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে বাশারের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে বাশারকে আটক করে সিআইডি। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি বাশার ও তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন এবং ছেলে আরশ ইবনে বাশার চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১৪১ শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আরও অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে যেগুলো তদন্তে পাওয়া যাবে।

এ ঘটনায় গত ৪ মে সিআইডির এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং আইনে গুলশানে মামলা করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার খায়রুল বাশার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতেন এবং সেখান থেকে অর্থ উত্তোলন করে স্থাবর সম্পদ ক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা ও অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করেছেন। মামলার বর্ণনার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণ টাকা বাশার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন। কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন এবং সেই টাকাগুলো কীভাবে পাচার করেছেন বাশার এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে হাতিয়ে হওয়া টাকার পেছনে আর কারা জড়িত সেসব জানার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত