Ajker Patrika

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ২২: ০৩
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। চীন পণ্যের একটি বিশাল বাজার। চীনের বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

আজ বুধবার ঢাকায় একটি হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড) এবং বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘মেকিং দি মোস্ট অব মার্কেট এক্সেস ইন চায়না: হোয়াট নিডস টু বি ডান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ যেসব দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে, চীন তার চেয়েও কয়েক গুণ বড় বাজার। শিল্পের যন্ত্রপাতি, কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য চীন থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু সে তুলনায় পণ্য চীনে রপ্তানি করা যাচ্ছে না। সে কারণেই চীনের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। অন্যান্য রপ্তানি পণ্য উৎপাদন করে চীনে তা রপ্তানি করেই বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে চীনে রপ্তানি করা হয়েছে ৬৮০ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে চীন থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করছে। বাংলাদেশ আশা করছে, চীন আরও তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত এ বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ বাণিজ্য সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে সুবিধা গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়েই চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে।’ 

টিপু মুনশি বলেন, চীনের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে। এ বিনিয়োগ আরও বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। চায়নার শিল্প-কলকারখানা বাংলাদেশে রিলোকেট করে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারে। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এসব সেক্টরের রপ্তানি বাড়ছে। এসব সেক্টরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে দেশের রপ্তানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মুরতজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত