মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতসহ নানান করণে কমিশন ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাদা কোনো উদ্যম নেই। ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন নির্বাচনী কেনাকাটার কার্যক্রম শেষ মানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এমনটা ভাবছে। তবে কেনাকাটা নির্বাচনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র। কেনাকাটা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেক কাজ থাকে। শুধু রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই হয় না। কোন কাজ কখন বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার একটি চেকলিস্ট করতে হয়। চেকলিস্ট দেখেই বোঝা যাবে যে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কোনটি হয়নি, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই চেকলিস্ট এখনো নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে নেই।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি, করব। কতটুকু উত্তরণ করা গেলো তা নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, শুধু স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু করে মালামাল আসতেও শুরু করেছে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব মালামাল পেয়ে যাব।
ব্যালট পেপারের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপারের জন্য ইতিমধ্যে বিজি প্রেসকে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজি প্রেস দেখছে।
রোডে নেই রোডম্যাপ
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল কমিশন। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হবে বুধবার। তবে এই সময়ে রোডম্যাপে ঘোষিত বেশির ভাগ কাজই সময় মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কারের কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিটি এখনো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগস্টের মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ করতে পারেনি।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগস্টের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে। নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। বিতর্ক এড়াতে সেই কাজ বাদ দিয়েছে ইসি। জুনের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও সময় মতো তা করতে পারেনি। এই কার্যক্রম শেষ করেছে আগস্টে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের এক নম্বরে ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারের ওপরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ ৮৬টি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ইসির এই অভিজ্ঞতা কাজে আসছে না। আর ‘ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব’ রোডম্যাপে এমন ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যালটের ভোটে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং তা উত্তরণে করণীয় কি সেই বিষয়ে এখনো ইসির বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুতির নীতিমালার কারণে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ আটকে আছে। প্রায় ১০ লাখের মতো জনবল এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। ইসি প্রথমে এটিতে ডিসি-এসপিসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে বিতর্ক এড়াতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কমিশন। যার কারণে কাজ শুরু করতে পারছে না কর্মকর্তারা। আগের নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তফসিল ঘোষণা করার আগে রেডি করে রাখত। পরে তফসিল ঘোষণা করা হলে সেটির তথ্য হালনাগাদ করত। প্রায় ১০ লাখ লোকের এই তালিকার প্রাথমিক তালিকা করতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। তাই তফসিল ঘোষণার পর এই অল্প সময়ে সেই তালিকা করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
এখনো পূর্ণ হয়নি ইসির শূন্য পদ
জানা যায়, বর্তমানে ইসির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। আর শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬০৪টি পদ। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৬৬ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫২৫ টি, ৭৫৬টি তৃতীয় শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের ৮২০টি পদ রয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণি ও আউটসোর্সিং পদে নিয়োগ সম্পন্নের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদনের প্রায় চার বছরেও নানা কারণে এখনো পূরণ হয়নি দ্বিতীয় শ্রেণির পাঁচ শতাধিক সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ। যদিও সম্প্রতি ইসি সচিব এক সমন্বয় সভায় এসব পদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসির যেসব কাজ চলমান রয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের খসড়ার কাজ চলমান রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০০ আসনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানা ইত্যাদি সুবিধা সংবলিত নির্বাচনী অ্যাপস তৈরি করছে ইসি। এটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নভেম্বরে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চার মাসেরও কম সময় রয়েছে। আর তফসিল ঘোষণা করতে হবে কমবেশি দুই মাস সময়ের মধ্যে। কিন্তু ইসিতে এখনো এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আমেজ নেই। এদিকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালা, জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতসহ নানান করণে কমিশন ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। অন্যান্যবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচন নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে আলাদা কোনো উদ্যম নেই। ইসির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান কমিশন নির্বাচনী কেনাকাটার কার্যক্রম শেষ মানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এমনটা ভাবছে। তবে কেনাকাটা নির্বাচনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র। কেনাকাটা ছাড়াও তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে অনেক কাজ থাকে। শুধু রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই হয় না। কোন কাজ কখন বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তার একটি চেকলিস্ট করতে হয়। চেকলিস্ট দেখেই বোঝা যাবে যে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, কোনটি হয়নি, কোন সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই চেকলিস্ট এখনো নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে নেই।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে।
রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের চেষ্টা করছি, করব। কতটুকু উত্তরণ করা গেলো তা নির্বাচনের পরে বোঝা যাবে।
নির্বাচনী সামগ্রী কেনাকাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, শুধু স্ট্যাম্প প্যাড ছাড়া বাকি সব নির্বাচনী সামগ্রী টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু করে মালামাল আসতেও শুরু করেছে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে সব মালামাল পেয়ে যাব।
ব্যালট পেপারের বিষয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপারের জন্য ইতিমধ্যে বিজি প্রেসকে বলা হয়েছে। বিষয়টি বিজি প্রেস দেখছে।
রোডে নেই রোডম্যাপ
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল কমিশন। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ ঘোষণার এক বছর পূর্ণ হবে বুধবার। তবে এই সময়ে রোডম্যাপে ঘোষিত বেশির ভাগ কাজই সময় মতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি কমিশন। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কারের কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিটি এখনো ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগস্টের মধ্যে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ করতে পারেনি।
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা। আগস্টের মধ্যে খসড়া ভোটকেন্দ্রের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির কথা ছিল। সেটিও সময় মতো পারেনি কমিশন। সেই কার্যক্রম এখনো চলছে। নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছিল কমিশন। বিতর্ক এড়াতে সেই কাজ বাদ দিয়েছে ইসি। জুনের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার কথা থাকলেও সময় মতো তা করতে পারেনি। এই কার্যক্রম শেষ করেছে আগস্টে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোডম্যাপে ঘোষিত চ্যালেঞ্জের এক নম্বরে ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করা। সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য ইসির কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি। এ ছাড়া সংসদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারের ওপরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ ও জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ ৮৬টি নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছে কমিশন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় ইসির এই অভিজ্ঞতা কাজে আসছে না। আর ‘ব্যালটে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ভোটের আগে পরে ইচ্ছেমতো বাক্সে ব্যালট ভর্তি করা সম্ভব’ রোডম্যাপে এমন ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যালটের ভোটে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে এবং তা উত্তরণে করণীয় কি সেই বিষয়ে এখনো ইসির বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই।
সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্যানেল প্রস্তুতির নীতিমালার কারণে এই তালিকা প্রস্তুতের কাজ আটকে আছে। প্রায় ১০ লাখের মতো জনবল এই কাজে নিয়োজিত থাকেন। ইসি প্রথমে এটিতে ডিসি-এসপিসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করে নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরে বিতর্ক এড়াতে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে মাঠপর্যায়ে এখনো এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কমিশন। যার কারণে কাজ শুরু করতে পারছে না কর্মকর্তারা। আগের নির্বাচনগুলোতে ইসি কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তফসিল ঘোষণা করার আগে রেডি করে রাখত। পরে তফসিল ঘোষণা করা হলে সেটির তথ্য হালনাগাদ করত। প্রায় ১০ লাখ লোকের এই তালিকার প্রাথমিক তালিকা করতে প্রায় দেড় মাসের মতো সময় লেগে যায়। তাই তফসিল ঘোষণার পর এই অল্প সময়ে সেই তালিকা করে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না।
এখনো পূর্ণ হয়নি ইসির শূন্য পদ
জানা যায়, বর্তমানে ইসির মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১ টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। আর শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬০৪টি পদ। শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৬৬ টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৫২৫ টি, ৭৫৬টি তৃতীয় শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের ৮২০টি পদ রয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণি ও আউটসোর্সিং পদে নিয়োগ সম্পন্নের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদনের প্রায় চার বছরেও নানা কারণে এখনো পূরণ হয়নি দ্বিতীয় শ্রেণির পাঁচ শতাধিক সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদ। যদিও সম্প্রতি ইসি সচিব এক সমন্বয় সভায় এসব পদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসির যেসব কাজ চলমান রয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের খসড়ার কাজ চলমান রয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। ৩০০ আসনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্র জানা ইত্যাদি সুবিধা সংবলিত নির্বাচনী অ্যাপস তৈরি করছে ইসি। এটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি। নভেম্বরে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।
পুরোনো লোগোতে দেখা যায়, ওপরে শাপলা ও দুই পাশে পাট পাতা, মাঝে পালতোলা নৌকা এবং নিচে বি ডি জে লেখা। নতুন লোগোতে দেখা গেছে, মাঝে শুধু পালতোলা নৌকা বাদ দেওয়া হয়েছে। পালতোলা নৌকা বাদ দিয়ে কারা অধিদপ্তরের চাবি ও ব্যাটনের চিহ্ন দেওয়া হয়েছে...
১৫ মিনিট আগেবিবাহবিচ্ছেদ হওয়া দম্পতিদের শিশুসন্তানদের অভিভাবকত্ব ও হেফাজত সম্পর্কে মামলাগুলো দীর্ঘ সময় ধরে চলা ‘দুঃখ ও হতাশাজনক এবং ন্যায়নীতির পরিপন্থী’ আখ্যায়িত করে ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে পারিবারিক আদালতগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে এক শিক্ষিকার রিট আবেদনের সূত্র ধরে দেওয়া উচ্চ আদালতের...
৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি তরুণদের জন্যও কোটা চায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশন এঁদের জন্য ১০ শতাংশ মনোনয়নের সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে।
৮ ঘণ্টা আগেঅমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায়। প্রধান উপদেষ্টা মেলা দেখে যেতে যেতে সাড়ে ৪টা। কিন্তু দর্শনার্থী আর পাঠক আগেই হাজির মেলা ফটকে। নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে আর যেন তর সইছিল না। অনুমতি মিলতেই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন সবাই।
১৬ ঘণ্টা আগে