বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সুদানে চলমান সংঘাতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দেশে ফিরতে আগ্রহী তালিকাভুক্ত ৭০০ বাংলাদেশিকে আগামী ৩ অথবা ৪ মের মধ্যে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় নেওয়া সম্ভব হবে। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার বিষয়ে এক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এসব বলেন। এ সময় সুদানে থাকা সব প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিককে নিবন্ধন করে দেশে ফিরে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশিদের খার্তুমের উপকণ্ঠ থেকে বাসে করে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে পোর্ট সুদানে নেওয়া হবে। সেখান থেকে সৌদি জাহাজ করে তাদের জেদ্দায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রক্রিয়াটি তদারকি করার জন্য পোর্ট সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং তার সহকর্মীরা অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, জেদ্দায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশিদের সাধারণ ফ্লাইটে করে ফেরত আনা হবে। যদি প্রয়োজন হয় চার্টার্ড ফ্লাইটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ বিমান এবং বিমানবাহিনী উভয়ই প্রস্তুত আছে।
মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা যখনই পারি যত জনকে পারি নিয়ে আসব। নির্দিষ্ট সংখ্যক বাংলাদেশি না হলে পাঠাব না বিষয়টি সেরকম নয়। উড়োজাহাজের ব্যবস্থা সাপেক্ষে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেরত আনা হবে। সৌদি আরব বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য জাহাজ দিচ্ছে এবং জেদ্দায় বাংলাদেশিদের থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করবে।’
গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি আছে। তাদের বেশির ভাগই দেশটিতে চাকরি ও ব্যবসা করেন। এরই মধ্যে ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘যারা এখনো ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাদের অনুরোধ করছি নিবন্ধন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সবাইকে নিরাপদে ফেরত আনার জন্য এবং সেই চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫ জন বাংলাদেশি যারা সৌদি আরব বা অন্য দেশের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন তারা কোম্পানিগুলোর উদ্যোগে নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন জেদ্দায় এবং একজন সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন।
খার্তুমের উপকণ্ঠ যেখান থেকে বাস ছাড়বে সেই জায়গা পরিবর্তন করে অন্য জায়গা থেকে বাংলাদেশিদের বাসে ওঠানো সম্ভব কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যে জায়গা নিরাপদ দুই দিন পরে সেটি নিরাপদ নাও থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’
সুদানের হটলাইনে সংযোগ না পাওয়া প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হতে বলেছিলাম। কিন্তু তার সংযোগ বারবার বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ ক্ষেত্রে যারা সংযোগ পাচ্ছে না তারা যেন তাদের ফোন নম্বরসহ একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে রাখে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুদানে অনেকে থাকতে চান তবে সেখানে থাকা এখন নিরাপদ নয়। ওখান থেকে চারপাশে মরুভূমি। তাই অন্যত্র যাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। তাই তারা খার্তুমের নম্বরের পাশাপাশি সৌদি আরব, ইথিওপিয়া ও আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দূতাবাসে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের ফিরিয়ে আনব।’
সুদান থেকে দেশে ফেরাদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ডেটাবেইস তৈরি করবে বলে জানান শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ফিরে আসাদের জন্য ডেটাবেইস প্রস্তুত করা হবে। তারা যেহেতু অসময়ে ফেরত আসছেন, তাই তাদের কর্মস্থানের ব্যবস্থার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
খার্তুমে বাংলাদেশ মিশন রাখার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা সময়ই বলে দেবে। একজন বাংলাদেশি থাকা পর্যন্ত মিশন সেখানে কাজ করবে।
সুদানে চলমান সংঘাতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দেশে ফিরতে আগ্রহী তালিকাভুক্ত ৭০০ বাংলাদেশিকে আগামী ৩ অথবা ৪ মের মধ্যে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় নেওয়া সম্ভব হবে। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনার বিষয়ে এক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এসব বলেন। এ সময় সুদানে থাকা সব প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিককে নিবন্ধন করে দেশে ফিরে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশিদের খার্তুমের উপকণ্ঠ থেকে বাসে করে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে পোর্ট সুদানে নেওয়া হবে। সেখান থেকে সৌদি জাহাজ করে তাদের জেদ্দায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রক্রিয়াটি তদারকি করার জন্য পোর্ট সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং তার সহকর্মীরা অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, জেদ্দায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশিদের সাধারণ ফ্লাইটে করে ফেরত আনা হবে। যদি প্রয়োজন হয় চার্টার্ড ফ্লাইটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ বিমান এবং বিমানবাহিনী উভয়ই প্রস্তুত আছে।
মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা যখনই পারি যত জনকে পারি নিয়ে আসব। নির্দিষ্ট সংখ্যক বাংলাদেশি না হলে পাঠাব না বিষয়টি সেরকম নয়। উড়োজাহাজের ব্যবস্থা সাপেক্ষে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেরত আনা হবে। সৌদি আরব বাংলাদেশিদের ফেরত আনার জন্য জাহাজ দিচ্ছে এবং জেদ্দায় বাংলাদেশিদের থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করবে।’
গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি আছে। তাদের বেশির ভাগই দেশটিতে চাকরি ও ব্যবসা করেন। এরই মধ্যে ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘যারা এখনো ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাদের অনুরোধ করছি নিবন্ধন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সবাইকে নিরাপদে ফেরত আনার জন্য এবং সেই চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৫ জন বাংলাদেশি যারা সৌদি আরব বা অন্য দেশের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন তারা কোম্পানিগুলোর উদ্যোগে নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন জেদ্দায় এবং একজন সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন।
খার্তুমের উপকণ্ঠ যেখান থেকে বাস ছাড়বে সেই জায়গা পরিবর্তন করে অন্য জায়গা থেকে বাংলাদেশিদের বাসে ওঠানো সম্ভব কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ যে জায়গা নিরাপদ দুই দিন পরে সেটি নিরাপদ নাও থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’
সুদানের হটলাইনে সংযোগ না পাওয়া প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হতে বলেছিলাম। কিন্তু তার সংযোগ বারবার বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ ক্ষেত্রে যারা সংযোগ পাচ্ছে না তারা যেন তাদের ফোন নম্বরসহ একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে রাখে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুদানে অনেকে থাকতে চান তবে সেখানে থাকা এখন নিরাপদ নয়। ওখান থেকে চারপাশে মরুভূমি। তাই অন্যত্র যাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। তাই তারা খার্তুমের নম্বরের পাশাপাশি সৌদি আরব, ইথিওপিয়া ও আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দূতাবাসে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের ফিরিয়ে আনব।’
সুদান থেকে দেশে ফেরাদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ডেটাবেইস তৈরি করবে বলে জানান শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ফিরে আসাদের জন্য ডেটাবেইস প্রস্তুত করা হবে। তারা যেহেতু অসময়ে ফেরত আসছেন, তাই তাদের কর্মস্থানের ব্যবস্থার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
খার্তুমে বাংলাদেশ মিশন রাখার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা সময়ই বলে দেবে। একজন বাংলাদেশি থাকা পর্যন্ত মিশন সেখানে কাজ করবে।
গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
২ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
৮ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
১০ ঘণ্টা আগে