Ajker Patrika

সিরাজুল আলম খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, ১৫: ০১
Thumbnail image

রাজনীতির ‘রহস্যপুরুষ’ হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের (দাদাভাই) প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে দাফনের জন্য মরদেহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নেওয়া হচ্ছে।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজুল আলম খানকে ‘স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ, নেপথ্যের নায়ক ও সফল স্বপ্নদ্রষ্টা’ হিসেবে তুলে ধরেন আ স ম আব্দুর রব। তিনি বলেন, বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, যুব-ছাত্রদের মনে স্বাধীনতার অগ্নিশিখা ছড়িয়ে দেওয়ার মন্ত্র এবং সব সংগ্রাম-আন্দোলনকে গণ-আন্দোলনে রূপান্তর করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার অন্যতম কৌশল প্রণয়নকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। ১৯৬২ সালেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নিউক্লিয়াস গঠন করেন। এই নিউক্লিয়াসই ছাত্র-জনতার আন্দোলন, ৬ দফা, ১১ দফাসহ প্রতিটি আন্দোলনকে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজে রূপ দিতে গুরুদায়িত্ব পালন করে।

সিরাজুল আলম খান অমর হয়ে থাকবেন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যাঁদের কথা আমাদের কখনোই ভুলে গেলে চলবে না, আজকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের ভুলে যাওয়া হয়েছে। আজকে দেখেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে যাঁরাই জড়িত ছিলেন, অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের কেউই সেভাবে সামনে আসছেন না, তাঁদের সেই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, সর্বাধিনায়ক ওসমানী (স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী), স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে কাউকেই সেই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্যজনক।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সিরাজুল আলম খান যে আইডিয়া নিয়ে রাজনীতি করেছেন, সেটা জনকল্যাণের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নে। হয়তো এই ভিন্নমতের কারণেই তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

জানাজা শেষে বিভিন্ন ব্যক্তি ও দলের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছে। বাদ আসর দ্বিতীয় জানানার পর সিরাজুল আলম খানের ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত