কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহি ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস রিলেশনস: মুভিং টুয়ার্ডস এনহ্যান্সড কোঅপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির ও তারেক এ করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীরে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে— নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারি।’
নিরাপত্তায় সম্পর্ক জোরদারে দুটি মৌলিক চুক্তিতে যেতে পারে দুই দেশ জানিয়ে পিটার হাস বলেন, ‘একটি হলো, জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট, আরেকটি হলো অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিং অ্যাগ্রিমেন্ট। এ দুটি চুক্তি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলো কারিগরি চুক্তি। এগুলো জোট বা সামরিক চুক্তি নয়। কিংবা এগুলো কোনো বিস্তৃত ও অস্পষ্ট প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও নয়— যেমনটি ২০০২ সালে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছিল।’
পিটার হাস বলেন, ‘র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের এরই মধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাব।’
সম্পর্কের আরেকটি ক্ষেত্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যেখানে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র নিখুঁত নয়। আমরা আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই যাত্রার মধ্যে রয়েছে পুলিশের জবাবদিহি বিষয়ে আমাদের নিজস্ব সমস্যা নিরসন এবং নির্বাচনের দিনে সমস্ত আমেরিকান যেন ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্রকে জোরদার করতে একই ধরনের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করে পিটার হাস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এরই মধ্যে নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মতামত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভীতিহীন অনুসন্ধান এবং সুশীল সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ বেছে নেবে না। আমরা শুধু এমন একটি প্রক্রিয়ার প্রত্যাশা করি যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কে দেশ চালাবে।’ এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে এ আইন সংস্কারে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার, সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা পরিবেশের মতো বিষয়গুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ যেভাবে ইন্টারনেট কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সেটি বিদেশি বিনিয়োগ ও বিভিন্ন কোম্পানির বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহকেও প্রভাবিত করবে।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অনুযায়ী র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। তাদের জবাবদিহির বিষয়ে আমি একমত। তবে এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতেও স্থিতিশীলতা এনেছে।’
মুক্ত আলোচনায় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে র্যাব হেলিকপ্টার ছাড়াও অনেক সরঞ্জাম পেয়েছে। এ ছাড়া অনেক প্রশিক্ষণও পেয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতে ২০১১ সালে র্যাবের সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেলও মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা হয়। এগুলোর সহযোগিতায় আমরা জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও মাদক পাচার দমনে সক্ষম হয়েছি। নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজের জন্য র্যাব যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চায়। র্যাব ভবিষ্যতে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চায়।’
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীর বলেন, ‘পশ্চিম থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করলে শুরুতে সেটিকে অনেক দামি মনে হলেও এ সরঞ্জামগুলোর জীবনচক্র বেশি হয়। অন্য স্থান থেকে সামরিক সরঞ্জাম কম দামের হলেও তার জীবনচক্র খুবই সীমিত হয়।’

সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহি ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস রিলেশনস: মুভিং টুয়ার্ডস এনহ্যান্সড কোঅপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির ও তারেক এ করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীরে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে— নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারি।’
নিরাপত্তায় সম্পর্ক জোরদারে দুটি মৌলিক চুক্তিতে যেতে পারে দুই দেশ জানিয়ে পিটার হাস বলেন, ‘একটি হলো, জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট, আরেকটি হলো অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিং অ্যাগ্রিমেন্ট। এ দুটি চুক্তি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলো কারিগরি চুক্তি। এগুলো জোট বা সামরিক চুক্তি নয়। কিংবা এগুলো কোনো বিস্তৃত ও অস্পষ্ট প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও নয়— যেমনটি ২০০২ সালে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছিল।’
পিটার হাস বলেন, ‘র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের এরই মধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাব।’
সম্পর্কের আরেকটি ক্ষেত্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যেখানে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র নিখুঁত নয়। আমরা আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই যাত্রার মধ্যে রয়েছে পুলিশের জবাবদিহি বিষয়ে আমাদের নিজস্ব সমস্যা নিরসন এবং নির্বাচনের দিনে সমস্ত আমেরিকান যেন ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্রকে জোরদার করতে একই ধরনের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করে পিটার হাস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এরই মধ্যে নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মতামত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভীতিহীন অনুসন্ধান এবং সুশীল সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ বেছে নেবে না। আমরা শুধু এমন একটি প্রক্রিয়ার প্রত্যাশা করি যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কে দেশ চালাবে।’ এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে এ আইন সংস্কারে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার, সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা পরিবেশের মতো বিষয়গুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ যেভাবে ইন্টারনেট কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সেটি বিদেশি বিনিয়োগ ও বিভিন্ন কোম্পানির বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহকেও প্রভাবিত করবে।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অনুযায়ী র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। তাদের জবাবদিহির বিষয়ে আমি একমত। তবে এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতেও স্থিতিশীলতা এনেছে।’
মুক্ত আলোচনায় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে র্যাব হেলিকপ্টার ছাড়াও অনেক সরঞ্জাম পেয়েছে। এ ছাড়া অনেক প্রশিক্ষণও পেয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতে ২০১১ সালে র্যাবের সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেলও মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা হয়। এগুলোর সহযোগিতায় আমরা জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও মাদক পাচার দমনে সক্ষম হয়েছি। নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজের জন্য র্যাব যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চায়। র্যাব ভবিষ্যতে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চায়।’
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীর বলেন, ‘পশ্চিম থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করলে শুরুতে সেটিকে অনেক দামি মনে হলেও এ সরঞ্জামগুলোর জীবনচক্র বেশি হয়। অন্য স্থান থেকে সামরিক সরঞ্জাম কম দামের হলেও তার জীবনচক্র খুবই সীমিত হয়।’
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহি ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস রিলেশনস: মুভিং টুয়ার্ডস এনহ্যান্সড কোঅপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির ও তারেক এ করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীরে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে— নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারি।’
নিরাপত্তায় সম্পর্ক জোরদারে দুটি মৌলিক চুক্তিতে যেতে পারে দুই দেশ জানিয়ে পিটার হাস বলেন, ‘একটি হলো, জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট, আরেকটি হলো অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিং অ্যাগ্রিমেন্ট। এ দুটি চুক্তি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলো কারিগরি চুক্তি। এগুলো জোট বা সামরিক চুক্তি নয়। কিংবা এগুলো কোনো বিস্তৃত ও অস্পষ্ট প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও নয়— যেমনটি ২০০২ সালে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছিল।’
পিটার হাস বলেন, ‘র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের এরই মধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাব।’
সম্পর্কের আরেকটি ক্ষেত্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যেখানে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র নিখুঁত নয়। আমরা আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই যাত্রার মধ্যে রয়েছে পুলিশের জবাবদিহি বিষয়ে আমাদের নিজস্ব সমস্যা নিরসন এবং নির্বাচনের দিনে সমস্ত আমেরিকান যেন ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্রকে জোরদার করতে একই ধরনের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করে পিটার হাস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এরই মধ্যে নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মতামত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভীতিহীন অনুসন্ধান এবং সুশীল সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ বেছে নেবে না। আমরা শুধু এমন একটি প্রক্রিয়ার প্রত্যাশা করি যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কে দেশ চালাবে।’ এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে এ আইন সংস্কারে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার, সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা পরিবেশের মতো বিষয়গুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ যেভাবে ইন্টারনেট কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সেটি বিদেশি বিনিয়োগ ও বিভিন্ন কোম্পানির বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহকেও প্রভাবিত করবে।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অনুযায়ী র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। তাদের জবাবদিহির বিষয়ে আমি একমত। তবে এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতেও স্থিতিশীলতা এনেছে।’
মুক্ত আলোচনায় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে র্যাব হেলিকপ্টার ছাড়াও অনেক সরঞ্জাম পেয়েছে। এ ছাড়া অনেক প্রশিক্ষণও পেয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতে ২০১১ সালে র্যাবের সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেলও মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা হয়। এগুলোর সহযোগিতায় আমরা জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও মাদক পাচার দমনে সক্ষম হয়েছি। নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজের জন্য র্যাব যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চায়। র্যাব ভবিষ্যতে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চায়।’
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীর বলেন, ‘পশ্চিম থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করলে শুরুতে সেটিকে অনেক দামি মনে হলেও এ সরঞ্জামগুলোর জীবনচক্র বেশি হয়। অন্য স্থান থেকে সামরিক সরঞ্জাম কম দামের হলেও তার জীবনচক্র খুবই সীমিত হয়।’

সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহি ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস রিলেশনস: মুভিং টুয়ার্ডস এনহ্যান্সড কোঅপারেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির ও তারেক এ করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীরে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে— নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারি।’
নিরাপত্তায় সম্পর্ক জোরদারে দুটি মৌলিক চুক্তিতে যেতে পারে দুই দেশ জানিয়ে পিটার হাস বলেন, ‘একটি হলো, জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট, আরেকটি হলো অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিং অ্যাগ্রিমেন্ট। এ দুটি চুক্তি সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলো কারিগরি চুক্তি। এগুলো জোট বা সামরিক চুক্তি নয়। কিংবা এগুলো কোনো বিস্তৃত ও অস্পষ্ট প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও নয়— যেমনটি ২০০২ সালে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছিল।’
পিটার হাস বলেন, ‘র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের এরই মধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারব না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাব।’
সম্পর্কের আরেকটি ক্ষেত্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যেখানে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র নিখুঁত নয়। আমরা আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই যাত্রার মধ্যে রয়েছে পুলিশের জবাবদিহি বিষয়ে আমাদের নিজস্ব সমস্যা নিরসন এবং নির্বাচনের দিনে সমস্ত আমেরিকান যেন ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্রকে জোরদার করতে একই ধরনের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোয় সন্তোষ প্রকাশ করে পিটার হাস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এরই মধ্যে নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মতামত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভীতিহীন অনুসন্ধান এবং সুশীল সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা।’
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ বেছে নেবে না। আমরা শুধু এমন একটি প্রক্রিয়ার প্রত্যাশা করি যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কে দেশ চালাবে।’ এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে এ আইন সংস্কারে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য মেধাস্বত্ব অধিকার, সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা পরিবেশের মতো বিষয়গুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ যেভাবে ইন্টারনেট কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সেটি বিদেশি বিনিয়োগ ও বিভিন্ন কোম্পানির বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহকেও প্রভাবিত করবে।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য অনুযায়ী র্যাব বাংলাদেশের এফবিআই। তাদের জবাবদিহির বিষয়ে আমি একমত। তবে এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতেও স্থিতিশীলতা এনেছে।’
মুক্ত আলোচনায় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে র্যাব হেলিকপ্টার ছাড়াও অনেক সরঞ্জাম পেয়েছে। এ ছাড়া অনেক প্রশিক্ষণও পেয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতে ২০১১ সালে র্যাবের সদর দপ্তরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেলও মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা হয়। এগুলোর সহযোগিতায় আমরা জঙ্গিবাদ, মানবপাচার ও মাদক পাচার দমনে সক্ষম হয়েছি। নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজের জন্য র্যাব যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চায়। র্যাব ভবিষ্যতে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চায়।’
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীর বলেন, ‘পশ্চিম থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করলে শুরুতে সেটিকে অনেক দামি মনে হলেও এ সরঞ্জামগুলোর জীবনচক্র বেশি হয়। অন্য স্থান থেকে সামরিক সরঞ্জাম কম দামের হলেও তার জীবনচক্র খুবই সীমিত হয়।’

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
২৪ এপ্রিল ২০২২
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
২৪ এপ্রিল ২০২২
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
২৪ এপ্রিল ২০২২
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় থাকে এবং নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনীর প্রধানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ মাসে সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আসন্ন নির্বাচন যেন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে, সে জন্যও তিন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের বৈঠকে নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন তিন বাহিনীর প্রধান।
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।
আজকের বৈঠকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান তিন বাহিনীর প্রধান।

আমরা এমন একটি র্যাব চাই, যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে, তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
২৪ এপ্রিল ২০২২
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৪ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
৯ ঘণ্টা আগে