Ajker Patrika

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপের ভাষা নিন্দনীয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপের ভাষা নিন্দনীয়: হাইকোর্ট

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের ফোনালাপের ভাষা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং অপ্রত্যাশিত। অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানির সময় হাইকোর্ট এমন মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। আগের দিন সোমবার অধ্যক্ষের এই ফোনালাপের বিষয়টি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ। রিট আবেদনটি আদালতে উপস্থাপিত হলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই ঘটনাটি তদন্ত চলছে। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন চলায় তদন্ত শেষ করা সম্ভব হয়নি। তখন আদালত বলেন, 'এখনতো লকডাউন থাকছে না। তারপরও আমরা আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। আশা করি উক্ত তারিখের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।' পরে আদালত ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

গত সোমবার অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁস হওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ কামরুন্নাহারকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল এ রিট দায়ের করেন।

রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখা গভর্নিং বডির সভাপতিকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে। 

রিট আবেদনে নৈতিক স্খলনের দায়ে অধ্যক্ষকে পদ হতে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ভিডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব পড়বে।

অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে অধ্যক্ষের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর গত ২৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।

ওই ফোনালাপের একপর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাঁকে দেশ ছাড়া করব।’

অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার ওই কথোপকথন সর্বত্র আলোচিত। সেই কথোপকথনে এমন ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। রিট আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে আইনজীবী জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত