অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্বরের কাছে মেট্রোরেলের পিলারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রাফিতি ছিল, সেটি মুছে ফেলার বিষয়টি জানে না সরকার। তবে সেই গ্রাফিতিকে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই গ্রাফিতি ঢাবি সংরক্ষণ করবে। আর শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটি ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।’ এ সময় তিনি জানান, ঢাবির গ্রাফিতি মোছার বিষয়টি সরকার জানে না।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের কাছে মেট্রোরেলের পিলারে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ থেকে শেখ হাসিনার ছবি মুছে ফেলা হলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিবাদে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রক্টর অফিস থেকে দুঃখ প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানান।
ঘৃণাস্তম্ভ থেকে শেখ হাসিনার ছবি মুছে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন লেখেন, ‘মেট্রোরেলের দুই পিলারে দুই ফ্যাসিস্টের রক্তাক্ত ছবি মুছে দিয়ে চব্বিশের ইতিহাস মুছে ফেলার প্রতিবাদে আমরা আজকে রাতে রাজুতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে।’
আরেক সমন্বয়ক আহনাফ সাইদ খান লেখেন, ‘খুনি হাসিনার নিকৃষ্টতার নিশান মুছে দেওয়ার পেছনে দায়ী প্রত্যেক কর্তৃপক্ষকে এর দায় বহন করতে হবে। এ দেশের মানুষ স্পষ্টভাবেই জানে আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া পতিত প্রশাসন এখন কাদের ইশারায় চলে। প্রশাসনিক দুর্বৃত্তরা জানে গতানুগতিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চাওয়া রাজনৈতিক শক্তিই লীগের পর তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র প্রকাশের আগমুহূর্তে এই স্যাবোটাজ করার উদ্দেশ্যই হলো জুলাইয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আটকে দেওয়ার জঘন্য চেষ্টা। আমাদের সচেতনতা এবং সমবেত কণ্ঠস্বরই পারে এসব ঘৃণ্য অপচেষ্টা রুখে দিতে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন লেখেন, ‘জুলাইকে মুছে দেওয়া এতই সহজ? আবার আঁকা হবে, আবার ঘৃণাভরে লেখা হবে “খুনি হাসিনা”।’
শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী, অ্যাক্টিভিস্টসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এর প্রতিবাদ করেন। পরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীনের উপস্থিতিতে নতুন করে একটি ছবি আঁকা হয়। এটি এঁকেছেন ছাত্র ইউনিয়ন চারুকলা অনুষদ শাখার সদস্য মৃধা রাইয়ান ও ঋষি। সঙ্গে ছিলেন রাইয়ান ফেরদৌস ও সর্দার নাদিম মাহমুদ শুভ।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস মেট্রোর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে, পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সেটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। এটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং এটাকে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছি। আজ প্রক্টর অফিস থেকে দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যদি আগের মতো আঁকতে চায়, তাহলে সেটা আমরা স্বাগত জানাই। তবে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক একটি এঁকেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্বরের কাছে মেট্রোরেলের পিলারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রাফিতি ছিল, সেটি মুছে ফেলার বিষয়টি জানে না সরকার। তবে সেই গ্রাফিতিকে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজাদ মজুমদার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই গ্রাফিতি ঢাবি সংরক্ষণ করবে। আর শেখ হাসিনার গ্রাফিতিটি ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।’ এ সময় তিনি জানান, ঢাবির গ্রাফিতি মোছার বিষয়টি সরকার জানে না।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের কাছে মেট্রোরেলের পিলারে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ থেকে শেখ হাসিনার ছবি মুছে ফেলা হলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে এর প্রতিবাদে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রক্টর অফিস থেকে দুঃখ প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানান।
ঘৃণাস্তম্ভ থেকে শেখ হাসিনার ছবি মুছে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন লেখেন, ‘মেট্রোরেলের দুই পিলারে দুই ফ্যাসিস্টের রক্তাক্ত ছবি মুছে দিয়ে চব্বিশের ইতিহাস মুছে ফেলার প্রতিবাদে আমরা আজকে রাতে রাজুতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে।’
আরেক সমন্বয়ক আহনাফ সাইদ খান লেখেন, ‘খুনি হাসিনার নিকৃষ্টতার নিশান মুছে দেওয়ার পেছনে দায়ী প্রত্যেক কর্তৃপক্ষকে এর দায় বহন করতে হবে। এ দেশের মানুষ স্পষ্টভাবেই জানে আওয়ামী লীগের ফেলে যাওয়া পতিত প্রশাসন এখন কাদের ইশারায় চলে। প্রশাসনিক দুর্বৃত্তরা জানে গতানুগতিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চাওয়া রাজনৈতিক শক্তিই লীগের পর তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র প্রকাশের আগমুহূর্তে এই স্যাবোটাজ করার উদ্দেশ্যই হলো জুলাইয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আটকে দেওয়ার জঘন্য চেষ্টা। আমাদের সচেতনতা এবং সমবেত কণ্ঠস্বরই পারে এসব ঘৃণ্য অপচেষ্টা রুখে দিতে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন লেখেন, ‘জুলাইকে মুছে দেওয়া এতই সহজ? আবার আঁকা হবে, আবার ঘৃণাভরে লেখা হবে “খুনি হাসিনা”।’
শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী, অ্যাক্টিভিস্টসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এর প্রতিবাদ করেন। পরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীনের উপস্থিতিতে নতুন করে একটি ছবি আঁকা হয়। এটি এঁকেছেন ছাত্র ইউনিয়ন চারুকলা অনুষদ শাখার সদস্য মৃধা রাইয়ান ও ঋষি। সঙ্গে ছিলেন রাইয়ান ফেরদৌস ও সর্দার নাদিম মাহমুদ শুভ।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস মেট্রোর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে, পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সেটি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয়। এটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং এটাকে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছি। আজ প্রক্টর অফিস থেকে দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যদি আগের মতো আঁকতে চায়, তাহলে সেটা আমরা স্বাগত জানাই। তবে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক একটি এঁকেছে।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস
৩৫ মিনিট আগেপ্রকৃত মৎস্যচাষিদের স্বার্থে হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত নয়। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশ সদস্যদের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলসহ দলীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বরদাস্ত করা হবে না বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে