আয়নাল হোসেন, ঢাকা
বাংলাদেশে অবস্থান করা বৈধ-অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিদেশিদের তালিকা তৈরি করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের মাধ্যমে বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য চাওয়া হবে। এরপর অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২২ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সভায়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর বা সংস্থার অংশগ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ওয়ার্কশপও হবে এ জন্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আরও জানা গেছে, অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর বা সংস্থার ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা। দেশের সব চেকপয়েন্টে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া অবৈধ নাগরিকদের বিষয়ে সচেতনতামূলত ও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের সব সিটি করপোরেশন, সব মহানগর পুলিশকে অনুরোধ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে অবৈধ নাগরিকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের সব জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে বৈধ বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২৬৬ জন। সরকারের পদক্ষেপে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে হয় ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন। তাঁদের কাছ থেকে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের মধ্যে শীর্ষে ভারত। তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বৈধভাবে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৭ জন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ৩৫ হাজার ৩২৭ জন, চীনের ১৩ হাজার ৪০৪, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ হাজার ৫৫, শ্রীলঙ্কার ৩ হাজার ৭৮৫ জন নাগরিক রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও পুলিশের বিশেষ শাখা বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করে। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন পর্যন্ত ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৯৭টি দেশের ১৩ হাজার ৫৭১ জন নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেন। তাঁদের পাসপোর্ট বা ভিসার মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়েছে। আত্মগোপনে থেকে তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে কাজও করছেন। কাগজ-কলমে তাঁদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৭২ জন। তবে কাগজপত্রের বাইরে অবৈধভাবে কয়েক লাখ বিদেশি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বলে তথ্য রয়েছে। যাদের সিংহভাগই ভারতীয়।
গত জুন পর্যন্ত দেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ১ হাজার ১৭ জন, চীনের ৯৮১, শ্রীলঙ্কার ১৮৭, যুক্তরাজ্যের ২৩১, কানাডার ৯৭, নাইজেরিয়ার ৪৬১ জন রয়েছেন।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বিদেশি অবৈধ নাগরিকদের কোনোভাবেই এ দেশে থাকতে দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে এ দেশে থাকায় তাঁদের জরিমানাও অনেকটা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে অবস্থান করা বৈধ-অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিদেশিদের তালিকা তৈরি করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের মাধ্যমে বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে বিদেশি নাগরিকদের তথ্য চাওয়া হবে। এরপর অবৈধ বিদেশিদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২২ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই সভায়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর বা সংস্থার অংশগ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি ওয়ার্কশপও হবে এ জন্য।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে আরও জানা গেছে, অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর বা সংস্থার ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা। দেশের সব চেকপয়েন্টে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া অবৈধ নাগরিকদের বিষয়ে সচেতনতামূলত ও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের সব সিটি করপোরেশন, সব মহানগর পুলিশকে অনুরোধ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে অবৈধ নাগরিকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশের সব জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে বৈধ বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ২৬৬ জন। সরকারের পদক্ষেপে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে হয় ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন। তাঁদের কাছ থেকে ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বৈধভাবে অবস্থানকারী বিদেশিদের মধ্যে শীর্ষে ভারত। তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বৈধভাবে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৭ জন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ৩৫ হাজার ৩২৭ জন, চীনের ১৩ হাজার ৪০৪, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ হাজার ৫৫, শ্রীলঙ্কার ৩ হাজার ৭৮৫ জন নাগরিক রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও পুলিশের বিশেষ শাখা বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকদের ওপর নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করে। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন পর্যন্ত ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৯৭টি দেশের ১৩ হাজার ৫৭১ জন নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেন। তাঁদের পাসপোর্ট বা ভিসার মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়েছে। আত্মগোপনে থেকে তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে কাজও করছেন। কাগজ-কলমে তাঁদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৭২ জন। তবে কাগজপত্রের বাইরে অবৈধভাবে কয়েক লাখ বিদেশি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন বলে তথ্য রয়েছে। যাদের সিংহভাগই ভারতীয়।
গত জুন পর্যন্ত দেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশিদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ১ হাজার ১৭ জন, চীনের ৯৮১, শ্রীলঙ্কার ১৮৭, যুক্তরাজ্যের ২৩১, কানাডার ৯৭, নাইজেরিয়ার ৪৬১ জন রয়েছেন।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বিদেশি অবৈধ নাগরিকদের কোনোভাবেই এ দেশে থাকতে দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে এ দেশে থাকায় তাঁদের জরিমানাও অনেকটা বাড়ানো হয়েছে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী একটি তীর থেকে বিগত দুই দিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে সেখানে বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন কি না, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দায়িত্বশীল পাঠানো
৭ ঘণ্টা আগেতুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে বদলি করায় ‘সংক্ষুব্ধ হয়ে’ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক (এডি)। কর্মকর্তাদের অনেকেই বলছেন, সরকারি কর্মচারী হিসেবে এ রকম রিট কোনো ভালো নজির নয়। তবে একই সঙ্গে কর্মকর্তাদের কেউ কেউ তাঁর বদলির পেছনে বিশেষ উদ্দেশ্য...
১৪ ঘণ্টা আগেউচ্চ আদালতের রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরার পথ খুলেছে সম্প্রতি। এই অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে, কীভাবে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর করে নির্বাচন করা যায় কি না, এ নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্ট...
১৫ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক, নির্বাচনব্যবস্থার, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এরপর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। প্রথমে এই সরকারের প্রতি যে সমর্থন ছিল, তা কমে আসতে শুরু করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি...
১৫ ঘণ্টা আগে