নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক ২০ এপ্রিল দেশে ফিরতে পারেন। ১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছতে পারে জাহাজটি। সেখান থেকে উড়োজাহাজে আসবেন চট্টগ্রামে। আর জাহাজটিতে জলদস্যু ছিল ৬৫ জন। আজ রোববার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। জিম্মি নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে জানান তিনি। ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনাকেও নিরুৎসাহিত করা হয় বলে জানান তিনি।
শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের কাছে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টির গুরুত্ব ছিল। ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পিছু নেওয়ার পর সরকারকে দ্রুত বিষয়টি অবহিত করি। ৩০ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এটির সঙ্গ ত্যাগ করে।’ এই জন্য প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শাহরিয়ার জাহান রাহাত।
মাত্র ৩১ দিনের মাথায় জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারের গল্প শোনান কেএসআরএমের এই উপমহাব্যবস্থাপক। শাহরিয়ার জাহান বলেন, ‘মালিকপক্ষ বা আমরা সরাসরি জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। যাঁরা এটি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের সাহায্য নিয়েছি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধার করা গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার জাহান বলেন, ১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাতে পারে জাহাজটি। তারপর ২০ এপ্রিল এয়ারে করে সরাসরি চট্টগ্রামে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে নাবিকদের।
জাহাজের নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়েও উত্তর দেন শাহরিয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি নিরাপদ দূরত্বে দিয়ে যাচ্ছিল। যেখানে গত এক দশকে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ৯০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজটি চলাচল করছিল। সে জন্য জাহাজে গানম্যান ছিল না। তবে, এবার থেকে আমরা আরও সতর্ক অবস্থায় জাহাজ পরিচালনা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, ‘১৩ বছর আগে আমাদের আরেকটি জাহাজ জাহানমনি জিম্মি হয়েছিল। তখন আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। সে জন্য জাহাজটি উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর, দ্রুত উদ্ধারে প্রপার ওয়েতে কাজ করেছি। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে জাহাজের ভিসেটের মাধ্যমে জাহাজটির সব তথ্য তদারকি করেছি।’
সোমালিয়ার উপকূলে জাহাজটি যাওয়ার পরপরই জলদস্যুদের একজন কমান্ডার যোগাযোগ করেছেন উল্লেখ করে মেহেরুল করিম বলেন, ‘একজন কমান্ডার যিনি ইংরেজি বলতে পারেন, তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর থেকে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাহাজের নাবিকেরা সুস্থ আছেন কি না তা নিশ্চিত করা। আমরা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল শিপিংয়ের সঙ্গে জড়িত, তাই প্রতিটি রুল আমাদের মেনে চলতে হয়। এমভি আবদুল্লাহর বেলায়ও বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রতিদিন জুমে কথা বলে আপডেটগুলো জানাতে হতো।’
প্রতিদিন নাবিকেরা কেমন আছে, তার একটি ভিডিও নিতেন জানিয়ে মেহেরুল করিম বলেন, ‘আমরা জানতাম নাবিকেরা প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলত। তারপরও আমরা নাবিকেরা কেমন আছে, সেটির ভিডিও নিতাম জলদস্যুদের কাছ থেকে। সর্বশেষ গত দুই দিন আগে আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। তারপর সবকিছু আইন মোতাবেক করে, জিম্মিদের ছাড়াতে সক্ষম হই।’
জিম্মিরা মুক্ত কথাটি শোনার পর নাবিকেরা অনেকে কেঁদে দেন। মেহেরুল করিম বলেন, ‘জাহাজটির ক্যাপ্টেনের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় আমাদের। যখন বলি, আপনারা এখন মুক্ত। আজকেই রওনা দেবেন। তখন নাবিকেরা অনেকে খুশিতে কেঁদে দেন। তারপর রাত ৩টায় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি ছেড়ে যায়।’
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক ২০ এপ্রিল দেশে ফিরতে পারেন। ১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছতে পারে জাহাজটি। সেখান থেকে উড়োজাহাজে আসবেন চট্টগ্রামে। আর জাহাজটিতে জলদস্যু ছিল ৬৫ জন। আজ রোববার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। জিম্মি নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে জানান তিনি। ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনাকেও নিরুৎসাহিত করা হয় বলে জানান তিনি।
শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের কাছে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টির গুরুত্ব ছিল। ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পিছু নেওয়ার পর সরকারকে দ্রুত বিষয়টি অবহিত করি। ৩০ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এটির সঙ্গ ত্যাগ করে।’ এই জন্য প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শাহরিয়ার জাহান রাহাত।
মাত্র ৩১ দিনের মাথায় জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারের গল্প শোনান কেএসআরএমের এই উপমহাব্যবস্থাপক। শাহরিয়ার জাহান বলেন, ‘মালিকপক্ষ বা আমরা সরাসরি জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। যাঁরা এটি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের সাহায্য নিয়েছি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধার করা গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার জাহান বলেন, ১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাতে পারে জাহাজটি। তারপর ২০ এপ্রিল এয়ারে করে সরাসরি চট্টগ্রামে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে নাবিকদের।
জাহাজের নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়েও উত্তর দেন শাহরিয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাহাজটি নিরাপদ দূরত্বে দিয়ে যাচ্ছিল। যেখানে গত এক দশকে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ৯০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জাহাজটি চলাচল করছিল। সে জন্য জাহাজে গানম্যান ছিল না। তবে, এবার থেকে আমরা আরও সতর্ক অবস্থায় জাহাজ পরিচালনা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, ‘১৩ বছর আগে আমাদের আরেকটি জাহাজ জাহানমনি জিম্মি হয়েছিল। তখন আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। সে জন্য জাহাজটি উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর, দ্রুত উদ্ধারে প্রপার ওয়েতে কাজ করেছি। জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে জাহাজের ভিসেটের মাধ্যমে জাহাজটির সব তথ্য তদারকি করেছি।’
সোমালিয়ার উপকূলে জাহাজটি যাওয়ার পরপরই জলদস্যুদের একজন কমান্ডার যোগাযোগ করেছেন উল্লেখ করে মেহেরুল করিম বলেন, ‘একজন কমান্ডার যিনি ইংরেজি বলতে পারেন, তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর থেকে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাহাজের নাবিকেরা সুস্থ আছেন কি না তা নিশ্চিত করা। আমরা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল শিপিংয়ের সঙ্গে জড়িত, তাই প্রতিটি রুল আমাদের মেনে চলতে হয়। এমভি আবদুল্লাহর বেলায়ও বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রতিদিন জুমে কথা বলে আপডেটগুলো জানাতে হতো।’
প্রতিদিন নাবিকেরা কেমন আছে, তার একটি ভিডিও নিতেন জানিয়ে মেহেরুল করিম বলেন, ‘আমরা জানতাম নাবিকেরা প্রতিদিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলত। তারপরও আমরা নাবিকেরা কেমন আছে, সেটির ভিডিও নিতাম জলদস্যুদের কাছ থেকে। সর্বশেষ গত দুই দিন আগে আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। তারপর সবকিছু আইন মোতাবেক করে, জিম্মিদের ছাড়াতে সক্ষম হই।’
জিম্মিরা মুক্ত কথাটি শোনার পর নাবিকেরা অনেকে কেঁদে দেন। মেহেরুল করিম বলেন, ‘জাহাজটির ক্যাপ্টেনের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় আমাদের। যখন বলি, আপনারা এখন মুক্ত। আজকেই রওনা দেবেন। তখন নাবিকেরা অনেকে খুশিতে কেঁদে দেন। তারপর রাত ৩টায় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি ছেড়ে যায়।’
জুলাই আন্দোলনে নিহত অজ্ঞাত ১১৪ জনের মরদেহ মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তোলা হবে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী...
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার বিকেলে এই খসড়া ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তাঁরা। আজ শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি। রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘বাস্তবতা’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মাহফুজ আলম।
৬ ঘণ্টা আগে