Ajker Patrika

সাবেক আইজিপি বেনজীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ১৪
সাবেক আইজিপি বেনজীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পরিচয় গোপন করে পাসপোর্ট নবায়ন ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে মামলা বিষয়টি জানান। সংস্থাটির উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা–১–এ মামলাটি দায়ের করেন। 

বেনজীর আহমেদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন পাসপোর্টের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম ও টেকনিক্যাল ম্যানেজার মোছা. সাহেনা হক। 

আক্তার হোসেন বলেন, ‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেননি। এ জন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারি—এই অপরাধমূলক অসদাচরণের সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জেনে-শুনে এই কাজ করেছেন।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের এই ডিজি বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পোষ্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। অনুসন্ধান দল সেগুলো যাচাই-বাছাইসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। 

সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বেনজীর কেন সাধারণ পাসপোর্ট নিয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ কী উদ্দেশ্যে বা কী কারণে তাঁর পরিচয় গোপন করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয় উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করবেন।’ 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ঢাকাতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের আবেদনপত্রের পেশা ক্রমিকে সরকারি চাকরীজীবী হওয়া সত্ত্বেও জালিয়াতি-প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ‘প্রাইভেট সার্ভিস’ উল্লেখ করে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট জন্য আবেদন করেছেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাঁকে পাসপোর্ট ইস্যুর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করেছেন। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ ২০০৯ সাল পর্যন্ত হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। ২০০০ সালের পর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) চালু হলে পুরোনো হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য দিয়েই তিনি এমআরপি করেন। 

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২০২০ সাল থেকে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও বেনজীর আহমেদ নবায়ন করার সময় এমআরপি নিতেন। ২০০৯ সালের পর থেকে তিনি সাতবার এমআরপি উত্তোলন করেন। তবে প্রতিবারই হাতে লেখা পাসপোর্টের তথ্য ঠিক রেখেছেন। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদ পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তিনি সরকারি চাকরির কথা আড়াল করে প্রাইভেট সার্ভিস বা বেসরকারি চাকরিজীবীর পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। 

গত ২৫ জুন বেনজীর আহমেদের পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসিনা-কামালের সর্বোচ্চ সাজা না হলে আবু সাঈদরা আবার মারা যাবে: অ্যাটর্নি জেনারেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩১
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’

মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে বৃহস্পতিবার ভুখা মিছিল বের করেন চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে বৃহস্পতিবার ভুখা মিছিল বের করেন চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।

চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।

‎‎২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

‎৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।

৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।

‎৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২৬
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।

আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ: বাস্তবায়ন আদেশের ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান

  • আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
  • বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আজ আবার বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
  • আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকায় রাখার পক্ষে মত বিশেষজ্ঞদের।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ৩২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।

গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’

সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।

ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।

সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।

গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।

জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত