তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রুট সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে তৃতীয় দফায় বাড়বে প্রকল্পের মেয়াদ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ৩৩৬ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। আর টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে ৩৪৮ কিমি রেলপথ ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের আওতায় আনতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। এখন এই অংশের সঙ্গে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত এবং পুবাইল থেকে ধীরাশ্রম পর্যন্ত অংশে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন যুক্ত করা হয়েছে। এই দুই সেকশনে প্রায় ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রেলপথ নতুন করে সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় সব মিলিয়ে রেলপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৩৬৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সূত্রে জানা গেছে, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইলস ডিজাইন প্রকল্পের চুক্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ১ নভেম্বর। কিন্তু সময়মতো তা করতে পারেনি রেলওয়ে। ওই সময়ে এ কাজে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের ১৫ জুন সমীক্ষার চুক্তি সই হয়। সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ করছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠান তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা, আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এরপর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় নতুন করে দুটি সেকশন যুক্ত করায় এবং প্রকল্পের কাজ বাকি থাকায় মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষার শেষ না হওয়ার আশঙ্কা থাকায় গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও চার মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
এদিকে প্রকল্পের কার্যপরিধি বৃদ্ধির ফলে পরামর্শক সেবার ব্যয়ও বেড়েছে। আগে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। এখন এটি বেড়ে হবে ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বারবার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমরা একটা প্রস্তাব করেছি, সেটা এখনো অনুমোদন হয়নি। আরও চার মাস ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছি। মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে কিছু কারণ আছে। নতুন করে দুটি অংশে আরও ১৭ কিলোমিটার ফিজিবিলিটির আওতা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে কাজ বাকি আছে। এজন্যই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক রেললাইনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ বেশির ভাগ কোনো রকেট সায়েন্স না। এটার জন্য রেলেলাইনের দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা আছে কি না—সেটা সার্ভে করতে হয়, যেটা খুব কঠিন কিছু না। সেখানে ট্রাফিকের কোনো চাপ নেই। ফলে বারবার সময় বাড়ানোয় প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নষ্ট করে এবং জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের আশপাশের দেশ সবাই মোটামুটি বৈদ্যুতিক রেললাইনে চলে গেছে। সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতেই যদি বারবার সময় বাড়াতে হয়, তখন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার ক্যাপাসিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রুট সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে তৃতীয় দফায় বাড়বে প্রকল্পের মেয়াদ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ৩৩৬ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। আর টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে ৩৪৮ কিমি রেলপথ ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের আওতায় আনতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। এখন এই অংশের সঙ্গে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত এবং পুবাইল থেকে ধীরাশ্রম পর্যন্ত অংশে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন যুক্ত করা হয়েছে। এই দুই সেকশনে প্রায় ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রেলপথ নতুন করে সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় সব মিলিয়ে রেলপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৩৬৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সূত্রে জানা গেছে, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইলস ডিজাইন প্রকল্পের চুক্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ১ নভেম্বর। কিন্তু সময়মতো তা করতে পারেনি রেলওয়ে। ওই সময়ে এ কাজে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের ১৫ জুন সমীক্ষার চুক্তি সই হয়। সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ করছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠান তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা, আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এরপর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় নতুন করে দুটি সেকশন যুক্ত করায় এবং প্রকল্পের কাজ বাকি থাকায় মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষার শেষ না হওয়ার আশঙ্কা থাকায় গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও চার মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
এদিকে প্রকল্পের কার্যপরিধি বৃদ্ধির ফলে পরামর্শক সেবার ব্যয়ও বেড়েছে। আগে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। এখন এটি বেড়ে হবে ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বারবার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমরা একটা প্রস্তাব করেছি, সেটা এখনো অনুমোদন হয়নি। আরও চার মাস ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছি। মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে কিছু কারণ আছে। নতুন করে দুটি অংশে আরও ১৭ কিলোমিটার ফিজিবিলিটির আওতা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে কাজ বাকি আছে। এজন্যই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক রেললাইনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ বেশির ভাগ কোনো রকেট সায়েন্স না। এটার জন্য রেলেলাইনের দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা আছে কি না—সেটা সার্ভে করতে হয়, যেটা খুব কঠিন কিছু না। সেখানে ট্রাফিকের কোনো চাপ নেই। ফলে বারবার সময় বাড়ানোয় প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নষ্ট করে এবং জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের আশপাশের দেশ সবাই মোটামুটি বৈদ্যুতিক রেললাইনে চলে গেছে। সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতেই যদি বারবার সময় বাড়াতে হয়, তখন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার ক্যাপাসিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রুট সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে তৃতীয় দফায় বাড়বে প্রকল্পের মেয়াদ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ৩৩৬ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। আর টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে ৩৪৮ কিমি রেলপথ ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের আওতায় আনতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। এখন এই অংশের সঙ্গে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত এবং পুবাইল থেকে ধীরাশ্রম পর্যন্ত অংশে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন যুক্ত করা হয়েছে। এই দুই সেকশনে প্রায় ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রেলপথ নতুন করে সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় সব মিলিয়ে রেলপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৩৬৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সূত্রে জানা গেছে, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইলস ডিজাইন প্রকল্পের চুক্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ১ নভেম্বর। কিন্তু সময়মতো তা করতে পারেনি রেলওয়ে। ওই সময়ে এ কাজে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের ১৫ জুন সমীক্ষার চুক্তি সই হয়। সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ করছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠান তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা, আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এরপর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় নতুন করে দুটি সেকশন যুক্ত করায় এবং প্রকল্পের কাজ বাকি থাকায় মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষার শেষ না হওয়ার আশঙ্কা থাকায় গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও চার মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
এদিকে প্রকল্পের কার্যপরিধি বৃদ্ধির ফলে পরামর্শক সেবার ব্যয়ও বেড়েছে। আগে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। এখন এটি বেড়ে হবে ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বারবার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমরা একটা প্রস্তাব করেছি, সেটা এখনো অনুমোদন হয়নি। আরও চার মাস ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছি। মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে কিছু কারণ আছে। নতুন করে দুটি অংশে আরও ১৭ কিলোমিটার ফিজিবিলিটির আওতা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে কাজ বাকি আছে। এজন্যই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক রেললাইনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ বেশির ভাগ কোনো রকেট সায়েন্স না। এটার জন্য রেলেলাইনের দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা আছে কি না—সেটা সার্ভে করতে হয়, যেটা খুব কঠিন কিছু না। সেখানে ট্রাফিকের কোনো চাপ নেই। ফলে বারবার সময় বাড়ানোয় প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নষ্ট করে এবং জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের আশপাশের দেশ সবাই মোটামুটি বৈদ্যুতিক রেললাইনে চলে গেছে। সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতেই যদি বারবার সময় বাড়াতে হয়, তখন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার ক্যাপাসিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রুট সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে তৃতীয় দফায় বাড়বে প্রকল্পের মেয়াদ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ৩৩৬ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার। আর টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে ৩৪৮ কিমি রেলপথ ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের আওতায় আনতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। এখন এই অংশের সঙ্গে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত এবং পুবাইল থেকে ধীরাশ্রম পর্যন্ত অংশে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন যুক্ত করা হয়েছে। এই দুই সেকশনে প্রায় ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার রেলপথ নতুন করে সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এতে সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় সব মিলিয়ে রেলপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৩৬৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সূত্রে জানা গেছে, ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইলস ডিজাইন প্রকল্পের চুক্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ১ নভেম্বর। কিন্তু সময়মতো তা করতে পারেনি রেলওয়ে। ওই সময়ে এ কাজে খরচ ধরা হয়েছিল ৮ কোটি টাকা। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালের ১৫ জুন সমীক্ষার চুক্তি সই হয়। সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ করছে তুরস্কের প্রতিষ্ঠান তুমাস তুর্কি ইঞ্জিনিয়ারিং। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা প্রায় ১৫ কোটি টাকা, আর মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। পরে প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এরপর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় নতুন করে দুটি সেকশন যুক্ত করায় এবং প্রকল্পের কাজ বাকি থাকায় মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যেও সম্ভাব্যতা সমীক্ষার শেষ না হওয়ার আশঙ্কা থাকায় গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও চার মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
এদিকে প্রকল্পের কার্যপরিধি বৃদ্ধির ফলে পরামর্শক সেবার ব্যয়ও বেড়েছে। আগে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা। এখন এটি বেড়ে হবে ১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বারবার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমরা একটা প্রস্তাব করেছি, সেটা এখনো অনুমোদন হয়নি। আরও চার মাস ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছি। মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে কিছু কারণ আছে। নতুন করে দুটি অংশে আরও ১৭ কিলোমিটার ফিজিবিলিটির আওতা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে কাজ বাকি আছে। এজন্যই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক রেললাইনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ বেশির ভাগ কোনো রকেট সায়েন্স না। এটার জন্য রেলেলাইনের দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা আছে কি না—সেটা সার্ভে করতে হয়, যেটা খুব কঠিন কিছু না। সেখানে ট্রাফিকের কোনো চাপ নেই। ফলে বারবার সময় বাড়ানোয় প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নষ্ট করে এবং জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। আমাদের আশপাশের দেশ সবাই মোটামুটি বৈদ্যুতিক রেললাইনে চলে গেছে। সেখানে আমরা অনেক পিছিয়ে। একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করতেই যদি বারবার সময় বাড়াতে হয়, তখন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার ক্যাপাসিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৩৯ মিনিট আগেএআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার...
১২ এপ্রিল ২০২৫এআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনের সময় রাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কার কথা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাতের বেলায় এআই অপব্যবহার বেশি হতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘এআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় অনেক কিছু রাতে ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এআইয়ের অপব্যবহার বেশি হতে পারে। এ জন্য আমাদের দিন-রাত রাউন্ড দ্য ক্লক কাজ করতে হবে। কী ধরনের জনবল আমরা এ কাজে লাগাতে পারি, ডিসইনফরমেশন যেকোনো জায়গা থেকে আসতে পারে, আমরা কীভাবে সেই তথ্য পৌঁছাব, সে বিষয়ে পরামর্শ দরকার।’
আইডিইএ-২ প্রকল্প আয়োজিত এই কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদেরা অংশ নেন।
নির্বাচনের সময় রাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কার কথা বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাতের বেলায় এআই অপব্যবহার বেশি হতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশঙ্কার কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘এআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় অনেক কিছু রাতে ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এআইয়ের অপব্যবহার বেশি হতে পারে। এ জন্য আমাদের দিন-রাত রাউন্ড দ্য ক্লক কাজ করতে হবে। কী ধরনের জনবল আমরা এ কাজে লাগাতে পারি, ডিসইনফরমেশন যেকোনো জায়গা থেকে আসতে পারে, আমরা কীভাবে সেই তথ্য পৌঁছাব, সে বিষয়ে পরামর্শ দরকার।’
আইডিইএ-২ প্রকল্প আয়োজিত এই কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদেরা অংশ নেন।
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার...
১২ এপ্রিল ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৩৯ মিনিট আগেরাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
সূত্র জানায়, কমিশন মনে করছে তারা বাস্তবায়নের যে সুপারিশই দিক না কেন, তা সব দল মানবে না। তা নিয়ে দলগুলোর প্রতিবাদ আসবেই। সব দলকে খুশি করার মতো সুপারিশ তৈরি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকারকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা না হলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মতামতের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করব। আমাদের বিবেচনার দিক হচ্ছে, এটাকে বাস্তবায়নে সরকারের দিক থেকে যেন সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন। সরকার যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারে, সে তাগাদা দেওয়া হবে। কারণ কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করতে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিন বৈঠক করেছে। সেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি। এমন অবস্থায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। যেখানে জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষ আদেশ জারি এবং এর বৈধতা নিতে গণভোট আয়োজনের কথা থাকবে। এ ছাড়া থাকতে পারে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দিয়ে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে
জমা দেবে কমিশন। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, আদেশ জারি নিয়ে কারসাজি ঠেকাতেই তারা পূর্ণাঙ্গ ড্রাফট সরকারকে দেবে।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কি না, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কি না, এ প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কি না। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল স্বাক্ষর করে। বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট না পাওয়ায় সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে রাজি করাতে সরকার ও কমিশনের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত রোববারও কমিশনের সঙ্গে এনসিপির তিন নেতার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে মনে করে কমিশন।
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
সূত্র জানায়, কমিশন মনে করছে তারা বাস্তবায়নের যে সুপারিশই দিক না কেন, তা সব দল মানবে না। তা নিয়ে দলগুলোর প্রতিবাদ আসবেই। সব দলকে খুশি করার মতো সুপারিশ তৈরি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকারকে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটা না হলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে নির্বাচন বিলম্বিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মতামতের ভিত্তিতে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করব। আমাদের বিবেচনার দিক হচ্ছে, এটাকে বাস্তবায়নে সরকারের দিক থেকে যেন সুনির্দিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে কমিশন। সরকার যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে পারে, সে তাগাদা দেওয়া হবে। কারণ কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ হচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করতে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিন বৈঠক করেছে। সেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি। এমন অবস্থায় কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি সুপারিশ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। যেখানে জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষ আদেশ জারি এবং এর বৈধতা নিতে গণভোট আয়োজনের কথা থাকবে। এ ছাড়া থাকতে পারে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দিয়ে সনদের সংবিধানসম্পর্কিত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে খসড়া আদেশটির নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ (সংবিধান)। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আদেশের খসড়া তৈরি করে সরকারের কাছে
জমা দেবে কমিশন। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, আদেশ জারি নিয়ে কারসাজি ঠেকাতেই তারা পূর্ণাঙ্গ ড্রাফট সরকারকে দেবে।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মধ্যেই গণভোট কোন প্রশ্নে হবে, তা উল্লেখ থাকবে। সে ক্ষেত্রে এক বা একাধিক ব্যালটে গণভোটের প্রশ্ন হতে পারে। সেখানে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও সনদ বাস্তবায়ন চান কি না, এ রকম প্রশ্ন রাখা হতে পারে। আরেকটি হতে পারে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চান কি না, এ প্রশ্নে গণভোট। আরেকটি হতে পারে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে (পিআর) উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি জনগণ মানে কি না। গণভোটের সময় নির্ধারণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেবে।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি দল স্বাক্ষর করে। বাস্তবায়ন আদেশের টেক্সট না পাওয়ায় সনদে স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে রাজি করাতে সরকার ও কমিশনের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত রোববারও কমিশনের সঙ্গে এনসিপির তিন নেতার বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরই দলটি সনদে স্বাক্ষর করবে বলে মনে করে কমিশন।
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার...
১২ এপ্রিল ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৩৯ মিনিট আগেএআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’
আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’
আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’
আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’
আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।
দেশে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানো যায় কি না, তার জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর অংশ হিসেবে শুরুতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের শেষ সময়ে এসে আরও দুটি সেকশনে ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার...
১২ এপ্রিল ২০২৫তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
৩৯ মিনিট আগেএআইয়ের অপব্যবহার এখন গ্লোবাল সমস্যা। নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার আমরা রোধ করতে চাই। মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ তৈরি করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। চলতি সপ্তাহের শেষে সরকারের কাছে জমা দিতে চায় তারা। বিষয়টি সামনে এলে রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিক থেকে শক্ত অবস্থান চায় কমিশন।
১০ ঘণ্টা আগে