নিজস্ব প্রতিবেদক, লালমনিরহাট থেকে
ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে দলিলসহ জমি-ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে সরাসরি অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী এক বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। কিছু সময় পর ওই বৃদ্ধার কথা শেষ হওয়ার আগেই মাইক কেড়ে নেন স্থানীয় কালীগঞ্জ থানার ইউএনও জহির ইমাম।
এ সময় গণভবন থেকে সরাসরি যুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বৃদ্ধার হাতে মাইক্রোফোন দেওয়ার নির্দেশও দেন।আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সারা দেশের ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঘটনাটি ঘটে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষে তিনি গৃহহীন মানুষদের অনুভূতি জানতে চান। তখন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিধবা বৃদ্ধা নারী শাহেরুন মাইক্রোফোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এলাকায় আসার দাওয়াত দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্বোধন করে ভাতার টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় ইউএনওকে ওই বৃদ্ধার ওষুধের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। এরপর ওই বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোনাজাত শুরু করেন। এ সময় মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেন কালীগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘এটা কী? একজন মানুষ মোনাজাত করছেন, আর হাত থেকে সেটা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াট ইজ দিস।’
প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, ‘এটা কী করো, এটা কেমন কথা হলো। মোনাজাত করছে আর তাঁর হাতে থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নিল। হোয়াট ইজ দিস?’
এরপর ওই বৃদ্ধার কাছে মাইক্রোফোনটি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজে প্রধানমন্ত্রীকে আবারও এই এলাকা ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে কথা শেষ করেন।
এর আগে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে ১৮ হাজার ২৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করছি। যাঁরা ঘর পাচ্ছেন, তাঁদের আমি অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে আমি আরেকটি কথা বলব, সেটা হচ্ছে যে ঘরগুলো আমরা করে দিচ্ছি—সেগুলো এখন আপনার সম্পত্তি। যে নিচ্ছেন বা পাচ্ছেন, সেটি আপনার নিজের সম্পত্তি। কাজেই এই ঘরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্ন করার দায়িত্ব আপনার। এখানে বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবশ্যই সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে জিনিস আপনি পাচ্ছেন এর জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না। কিন্তু নিজের সম্পদ হিসেবে আপনাকেই যত্ন নিতে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।
আরও খবর পড়ুন:
ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে দলিলসহ জমি-ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে সরাসরি অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী এক বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। কিছু সময় পর ওই বৃদ্ধার কথা শেষ হওয়ার আগেই মাইক কেড়ে নেন স্থানীয় কালীগঞ্জ থানার ইউএনও জহির ইমাম।
এ সময় গণভবন থেকে সরাসরি যুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বৃদ্ধার হাতে মাইক্রোফোন দেওয়ার নির্দেশও দেন।আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সারা দেশের ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ঘটনাটি ঘটে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষে তিনি গৃহহীন মানুষদের অনুভূতি জানতে চান। তখন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষামুড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বিধবা বৃদ্ধা নারী শাহেরুন মাইক্রোফোন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এলাকায় আসার দাওয়াত দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীকে মা সম্বোধন করে ভাতার টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় ইউএনওকে ওই বৃদ্ধার ওষুধের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। এরপর ওই বৃদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর জন্য মোনাজাত শুরু করেন। এ সময় মাইক্রোফোনটি কেড়ে নেন কালীগঞ্জ থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘এটা কী? একজন মানুষ মোনাজাত করছেন, আর হাত থেকে সেটা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। হোয়াট ইজ দিস।’
প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, ‘এটা কী করো, এটা কেমন কথা হলো। মোনাজাত করছে আর তাঁর হাতে থেকে মাইক্রোফোনটি কেড়ে নিল। হোয়াট ইজ দিস?’
এরপর ওই বৃদ্ধার কাছে মাইক্রোফোনটি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং নিজে প্রধানমন্ত্রীকে আবারও এই এলাকা ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে কথা শেষ করেন।
এর আগে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে ১৮ হাজার ২৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করছি। যাঁরা ঘর পাচ্ছেন, তাঁদের আমি অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে আমি আরেকটি কথা বলব, সেটা হচ্ছে যে ঘরগুলো আমরা করে দিচ্ছি—সেগুলো এখন আপনার সম্পত্তি। যে নিচ্ছেন বা পাচ্ছেন, সেটি আপনার নিজের সম্পত্তি। কাজেই এই ঘরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্ন করার দায়িত্ব আপনার। এখানে বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবশ্যই সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে জিনিস আপনি পাচ্ছেন এর জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হচ্ছে না। কিন্তু নিজের সম্পদ হিসেবে আপনাকেই যত্ন নিতে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।
আরও খবর পড়ুন:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৫ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে