মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও বেসরকারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আইনে ৫০ আসনের বিপরীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং শয্যার বিপরীতে ৭০ শতাংশ রোগী ভর্তি থাকার শর্ত থাকলেও এই মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ২০০ শয্যার এবং রোগী ভর্তির হার ১ শতাংশের কম। এই হাসপাতালও হয়েছে ২০২২ সালে। তবে নিবন্ধন পেয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতালে শয্যা ও শর্ত অনুযায়ী রোগী ভর্তি না থাকলে শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে অবদান রাখতে পারছে না।
অবশ্য ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১৫ ডিসেম্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। শয্যা ৩০০টি। কাজ শেষ না হওয়ায় পুরোদমে রোগী ভর্তি শুরু হয়নি। এর আগে শিক্ষার্থীদের গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজকে ২০১৯ সালের মে মাসে ৫০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে রাজধানীর বাড্ডায় মাদানী অ্যাভিনিউর নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজটির কার্যক্রম চলছে।
সরকার প্রায় আড়াই বছর আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ কার্যকর করে। আইনটি কার্যকরের আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালনার বাধ্যবাধকতা ছিল। অভিযোগ রয়েছে, নীতিমালা মেনে চলায়ও ঘাটতি ছিল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে কলেজটি পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাত সদস্যের পরিদর্শন কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে পরিদর্শনকালে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘাটতি শনাক্ত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনে ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজের জন্য ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও পরিদর্শনে পাওয়া গেছে ২০০ শয্যা। রোগী ভর্তির হার (বেড অকুপেন্সি রেট) ১ শতাংশের কম। অর্থাৎ শয্যার ঘাটতি ৫০টি ও রোগীর ঘাটতি ৬৯ শতাংশ। বহির্বিভাগে রোগী পাওয়া গেছে একজন। ক্লিনিক্যাল স্কিল ল্যাবের ঘাটতি রয়েছে। এতে কলেজের তৃতীয় থেকে পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ন্যূনতম দুই বছর আগে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসে ভৌত অবকাঠামোসহ একটি হাসপাতাল চালু থাকতে হবে। ৫০ শিক্ষার্থীর আসনের মেডিকেল কলেজের জন্য হাসপাতাল হবে ২৫০ শয্যার। অর্থাৎ শিক্ষার্থীপ্রতি পাঁচটি শয্যা থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের জন্য মোট শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তির হার হবে ৭০ শতাংশ। পরবর্তীকালে যা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। আইনটি কার্যকরের আগে নীতিমালায়ও এমন ছিল।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার তিন বছর পরও ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ছিল না। পরে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হয়। গত বছরের শুরুতে সেখানে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠে। তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ওই হাসপাতালের নিবন্ধন নেই। এতে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। গত বছরের শেষে নিবন্ধন পায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পদস্থ দুই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই কলেজের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বিভিন্ন মহলের চাপ’ ছিল। হাসপাতালের নিবন্ধন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এখতিয়ার হওয়ায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টির তদারক করেনি।
একই ঠিকানায় দুই হাসপাতাল
মাদানী অ্যাভিনিউর ইউনাইটেড সিটিতে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঠিকানায় ‘ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস’ নামে আরও একটি হাসপাতাল পাওয়া গেছে। দুটি প্রতিষ্ঠান একই সেটআপে চলছে বলে জানা যায়।
হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংকসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন-লাইসেন্স দানকারী ও নিয়ন্ত্রক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের (রেজিস্ট্রেশন কোড এইচএসএম ১৩৯৬৫) নিবন্ধন বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে। ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রেজিস্ট্রেশন কোড এইচএসএম ৮৯৯৩২) নিবন্ধনও হাসপাতাল হিসেবে।
ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ বলছে, কলেজ, কলেজের হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার সার্ভিসের ভবন আলাদা। দুটি হাসপাতালের সব চিকিৎসা কার্যক্রমের সেটআপ (বিন্যাস) আলাদা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটারসহ সবই সরেজমিনে পাওয়া গেছে। এখন হেলথকেয়ার সার্ভিস নামের হাসপাতালের সেটআপ না থাকলে তা কোথাও সরিয়ে নিয়েছে বা অন্য কিছু করেছে। কলেজ হাসপাতালের জনবল, যন্ত্রপাতি বা অন্য কিছু দেখিয়ে অন্য একটি হাসপাতালের নিবন্ধন নেওয়া বা নবায়নের সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করব।’
সরেজমিনে যা পাওয়া গেছে
ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে সরেজমিনে দেখা যায়, আড়াই একর জমিতে নয়তলা ভবনে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। হাসপাতাল ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত কলেজ ভবন। ভবনের নিচতলায় নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ। দ্বিতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত কলেজ। অষ্টম ও নবম তলা নির্মাণাধীন।
হাসপাতাল ভবনেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। হাসপাতালের মূল ফটক থেকে প্রবেশ করলে বড় লবি। ডানে হাসপাতালের অভ্যর্থনা, অন্যদিকে ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসের অভ্যর্থনা। নিচতলায় জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ১ থেকে ৪, ল্যাবরেটরি, স্যাম্পল কালেকশন, দ্বিতীয় তলায় বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক ব্লক এবং কলেজের সঙ্গে সংযোগকারী পথ। তৃতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটার, ক্রিটিক্যাল ইউনিট। সপ্তম তলায় নারী ও পুরুষ ওয়ার্ড, নাক, কান, গলা, চক্ষু, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক ওয়ার্ড, আরেকদিকে কেবিন ব্লক।
হাসপাতালে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভর্তি রোগী দেখা যায়নি। কোনো কোনো ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হয়নি। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলা এবং অষ্টম ও নবম তলা নির্মাণাধীন। হাসপাতালজুড়ে নির্মাণকাজের শব্দ। অবকাঠামো ছাড়া ইউনাইটেড হেলথকেয়ারে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
জানতে চাইলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াকিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে কলেজ, হাসপাতাল এবং হেলথকেয়ার তিনটি ভবনে। করিডর দিয়ে সব সংযুক্ত। ১৫ ডিসেম্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ৩০০ শয্যা আছে। কাজ এখনো শেষ হয়নি। এর আগে শিক্ষার্থীদের গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দিতাম। এটা মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে। এখন থেকে আমরা এখানেই হাসপাতালের কাজ চালাতে পারব। এখনো ৫ থেকে ১০ শতাংশ কাজ বাকি। রোগী বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। রোগী ভর্তি করে যদি দেখা যায়, ওপরে শব্দ হচ্ছে, তাতে রোগী এবং আমরা অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে পড়ব। এ জন্য আমরা বড় মার্কেটিং করিনি। এই হলো মূল বিষয়। আমরা আশাবাদী, এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি চালু করতে পারব।’
ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী পরিচালক ডা. আজমল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘এখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চিকিৎসা শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কলেজ হাসপাতালকে এগিয়ে নিচ্ছি। রোগী বাড়ালেই হবে না, সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আমাদের পুরো নজর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে। হেলথকেয়ার সার্ভিসেস নামের হাসপাতালের সব সেটআপ রয়েছে। সেখানে আপগ্রেডেশনের কাজ করছি।’
চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনার শর্তগুলো প্রতিপালন হচ্ছে না। চিকিৎসা শিক্ষার মানের উন্নতি না হওয়ার বড় কারণ অনুমোদনের শর্তে ছাড় এবং তদারকির অভাব।
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) সাবেক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শর্ত না মানলে মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভালো মানের চিকিৎসক তৈরি করতে না পারলে এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি থাকার যৌক্তিকতা কী? সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে ঘাটতি পূরণ না করতে পারলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আর দুটি হাসপাতালের শর্তই হলো স্বতন্ত্র সেটআপ থাকা।’ তিনি বলেন, যাকে-তাকে কলেজের অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি নেওয়া চিকিৎসকেরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিতে পিছিয়ে রয়েছেন। মেডিকেল কলেজের অনুমোদন ও নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) নিয়মিত পরিদর্শন করে। তাদের প্রতিবেদনের আলোকে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভালো চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে আপসের সুযোগ নেই।
ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন কমিটির সভাপতি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন। কলেজ অনুমোদনে হাসপাতালের বিষয়ে কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকায় একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ডিসেম্বরে গিয়ে জানতে পারি, তারা লাইসেন্স পেয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালকে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে।’

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও বেসরকারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আইনে ৫০ আসনের বিপরীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং শয্যার বিপরীতে ৭০ শতাংশ রোগী ভর্তি থাকার শর্ত থাকলেও এই মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ২০০ শয্যার এবং রোগী ভর্তির হার ১ শতাংশের কম। এই হাসপাতালও হয়েছে ২০২২ সালে। তবে নিবন্ধন পেয়েছে গত বছরের ডিসেম্বরে। চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতালে শয্যা ও শর্ত অনুযায়ী রোগী ভর্তি না থাকলে শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মানসম্মত চিকিৎসক তৈরিতে অবদান রাখতে পারছে না।
অবশ্য ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১৫ ডিসেম্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে। শয্যা ৩০০টি। কাজ শেষ না হওয়ায় পুরোদমে রোগী ভর্তি শুরু হয়নি। এর আগে শিক্ষার্থীদের গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজকে ২০১৯ সালের মে মাসে ৫০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে রাজধানীর বাড্ডায় মাদানী অ্যাভিনিউর নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজটির কার্যক্রম চলছে।
সরকার প্রায় আড়াই বছর আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ কার্যকর করে। আইনটি কার্যকরের আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালনার বাধ্যবাধকতা ছিল। অভিযোগ রয়েছে, নীতিমালা মেনে চলায়ও ঘাটতি ছিল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে কলেজটি পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাত সদস্যের পরিদর্শন কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে পরিদর্শনকালে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘাটতি শনাক্ত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনে ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজের জন্য ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকার কথা থাকলেও পরিদর্শনে পাওয়া গেছে ২০০ শয্যা। রোগী ভর্তির হার (বেড অকুপেন্সি রেট) ১ শতাংশের কম। অর্থাৎ শয্যার ঘাটতি ৫০টি ও রোগীর ঘাটতি ৬৯ শতাংশ। বহির্বিভাগে রোগী পাওয়া গেছে একজন। ক্লিনিক্যাল স্কিল ল্যাবের ঘাটতি রয়েছে। এতে কলেজের তৃতীয় থেকে পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর ন্যূনতম দুই বছর আগে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসে ভৌত অবকাঠামোসহ একটি হাসপাতাল চালু থাকতে হবে। ৫০ শিক্ষার্থীর আসনের মেডিকেল কলেজের জন্য হাসপাতাল হবে ২৫০ শয্যার। অর্থাৎ শিক্ষার্থীপ্রতি পাঁচটি শয্যা থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের জন্য মোট শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তির হার হবে ৭০ শতাংশ। পরবর্তীকালে যা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ হাসপাতালে রূপান্তরিত হবে। আইনটি কার্যকরের আগে নীতিমালায়ও এমন ছিল।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার তিন বছর পরও ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ছিল না। পরে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হয়। গত বছরের শুরুতে সেখানে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠে। তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ওই হাসপাতালের নিবন্ধন নেই। এতে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। গত বছরের শেষে নিবন্ধন পায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পদস্থ দুই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই কলেজের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বিভিন্ন মহলের চাপ’ ছিল। হাসপাতালের নিবন্ধন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এখতিয়ার হওয়ায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টির তদারক করেনি।
একই ঠিকানায় দুই হাসপাতাল
মাদানী অ্যাভিনিউর ইউনাইটেড সিটিতে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঠিকানায় ‘ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস’ নামে আরও একটি হাসপাতাল পাওয়া গেছে। দুটি প্রতিষ্ঠান একই সেটআপে চলছে বলে জানা যায়।
হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংকসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন-লাইসেন্স দানকারী ও নিয়ন্ত্রক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের (রেজিস্ট্রেশন কোড এইচএসএম ১৩৯৬৫) নিবন্ধন বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে। ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রেজিস্ট্রেশন কোড এইচএসএম ৮৯৯৩২) নিবন্ধনও হাসপাতাল হিসেবে।
ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ বলছে, কলেজ, কলেজের হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার সার্ভিসের ভবন আলাদা। দুটি হাসপাতালের সব চিকিৎসা কার্যক্রমের সেটআপ (বিন্যাস) আলাদা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অপারেশন থিয়েটারসহ সবই সরেজমিনে পাওয়া গেছে। এখন হেলথকেয়ার সার্ভিস নামের হাসপাতালের সেটআপ না থাকলে তা কোথাও সরিয়ে নিয়েছে বা অন্য কিছু করেছে। কলেজ হাসপাতালের জনবল, যন্ত্রপাতি বা অন্য কিছু দেখিয়ে অন্য একটি হাসপাতালের নিবন্ধন নেওয়া বা নবায়নের সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করব।’
সরেজমিনে যা পাওয়া গেছে
ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে সরেজমিনে দেখা যায়, আড়াই একর জমিতে নয়তলা ভবনে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। হাসপাতাল ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত কলেজ ভবন। ভবনের নিচতলায় নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ। দ্বিতীয় তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত কলেজ। অষ্টম ও নবম তলা নির্মাণাধীন।
হাসপাতাল ভবনেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। হাসপাতালের মূল ফটক থেকে প্রবেশ করলে বড় লবি। ডানে হাসপাতালের অভ্যর্থনা, অন্যদিকে ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসের অভ্যর্থনা। নিচতলায় জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ১ থেকে ৪, ল্যাবরেটরি, স্যাম্পল কালেকশন, দ্বিতীয় তলায় বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক ব্লক এবং কলেজের সঙ্গে সংযোগকারী পথ। তৃতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটার, ক্রিটিক্যাল ইউনিট। সপ্তম তলায় নারী ও পুরুষ ওয়ার্ড, নাক, কান, গলা, চক্ষু, জেনারেল সার্জারি, অর্থোপেডিক ওয়ার্ড, আরেকদিকে কেবিন ব্লক।
হাসপাতালে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভর্তি রোগী দেখা যায়নি। কোনো কোনো ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু হয়নি। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ তলা এবং অষ্টম ও নবম তলা নির্মাণাধীন। হাসপাতালজুড়ে নির্মাণকাজের শব্দ। অবকাঠামো ছাড়া ইউনাইটেড হেলথকেয়ারে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
জানতে চাইলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াকিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে কলেজ, হাসপাতাল এবং হেলথকেয়ার তিনটি ভবনে। করিডর দিয়ে সব সংযুক্ত। ১৫ ডিসেম্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উদ্বোধন হয়েছে। এখানে ৩০০ শয্যা আছে। কাজ এখনো শেষ হয়নি। এর আগে শিক্ষার্থীদের গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রশিক্ষণ দিতাম। এটা মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে। এখন থেকে আমরা এখানেই হাসপাতালের কাজ চালাতে পারব। এখনো ৫ থেকে ১০ শতাংশ কাজ বাকি। রোগী বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। রোগী ভর্তি করে যদি দেখা যায়, ওপরে শব্দ হচ্ছে, তাতে রোগী এবং আমরা অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে পড়ব। এ জন্য আমরা বড় মার্কেটিং করিনি। এই হলো মূল বিষয়। আমরা আশাবাদী, এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি চালু করতে পারব।’
ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী পরিচালক ডা. আজমল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘এখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চিকিৎসা শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কলেজ হাসপাতালকে এগিয়ে নিচ্ছি। রোগী বাড়ালেই হবে না, সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আমাদের পুরো নজর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে। হেলথকেয়ার সার্ভিসেস নামের হাসপাতালের সব সেটআপ রয়েছে। সেখানে আপগ্রেডেশনের কাজ করছি।’
চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর দায়িত্বশীল ভূমিকা না রাখায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনার শর্তগুলো প্রতিপালন হচ্ছে না। চিকিৎসা শিক্ষার মানের উন্নতি না হওয়ার বড় কারণ অনুমোদনের শর্তে ছাড় এবং তদারকির অভাব।
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) সাবেক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শর্ত না মানলে মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভালো মানের চিকিৎসক তৈরি করতে না পারলে এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি থাকার যৌক্তিকতা কী? সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে ঘাটতি পূরণ না করতে পারলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আর দুটি হাসপাতালের শর্তই হলো স্বতন্ত্র সেটআপ থাকা।’ তিনি বলেন, যাকে-তাকে কলেজের অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি নেওয়া চিকিৎসকেরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিতে পিছিয়ে রয়েছেন। মেডিকেল কলেজের অনুমোদন ও নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) নিয়মিত পরিদর্শন করে। তাদের প্রতিবেদনের আলোকে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভালো চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে আপসের সুযোগ নেই।
ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন কমিটির সভাপতি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন। কলেজ অনুমোদনে হাসপাতালের বিষয়ে কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকায় একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ডিসেম্বরে গিয়ে জানতে পারি, তারা লাইসেন্স পেয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালকে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে।’

বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেথানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ লাগা আগুনে বাজারের অন্তত ১৩টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেড় বছরের ব্যবধানে এটি এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্য আমার। মালপত্র সরানোর কোনো সুযোগ পেলাম না।’
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘আগুনের ঘটনা জানার পরপরই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
থানছি থানার ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে আগুনের খবর পাই। দ্রুত দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। তৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদুল্লাহ আল-ফয়সাল বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনিংয়ের কাজে ঢাকায় আছি। বলিপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ লাগা আগুনে বাজারের অন্তত ১৩টি দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দেড় বছরের ব্যবধানে এটি এলাকায় তৃতীয়বারের মতো বড় অগ্নিকাণ্ড।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘খুব দুর্ভাগ্য আমার। মালপত্র সরানোর কোনো সুযোগ পেলাম না।’
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, ‘আগুনের ঘটনা জানার পরপরই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’
থানছি থানার ফায়ার স্টেশনের লিডার পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে আগুনের খবর পাই। দ্রুত দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। তৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদুল্লাহ আল-ফয়সাল বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনিংয়ের কাজে ঢাকায় আছি। বলিপাড়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার, কম্বল দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বান্দরবান জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও বেসরকারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আইনে ৫০ আসনের বিপরীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং শয্যার বিপরীতে ৭০ শতাংশ রোগী ভর্তি থাকার শর্ত থাকলেও এই মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ২০০ শয্যার এবং রোগী ভর্তির হার ১ শতাংশের কম।
০৪ মে ২০২৫
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি হামলার আশঙ্কায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন ও রাকিবুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল হয়। হামলার অভিযোগে রাতে জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তিনি ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর আগে হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এরপর থানায় গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি ‘মিথ্যা মামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, আক্রামুজ্জামান রাহাতসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ এবং তা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি হামলার আশঙ্কায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সংঘর্ষে শেরপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন ও রাকিবুল হাসানসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল হয়। হামলার অভিযোগে রাতে জামায়াত নেতা রাকিবুল হাসান বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোটের গণসংযোগে এমন ন্যক্কারজনক হামলায় শেরপুরবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। এতে আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তিনি ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনার জন্য ও নিবার্চনী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। গণসচেতনতার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের খোয়ারপাড় মোড় থেকে থানা মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করেন তিনি। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের এমপি প্রার্থী নুরুজ্জামান বাদল, জেলা প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এর আগে হামলার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে। এরপর থানায় গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।’ তিনি ‘মিথ্যা মামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন, আক্রামুজ্জামান রাহাতসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও বেসরকারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আইনে ৫০ আসনের বিপরীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং শয্যার বিপরীতে ৭০ শতাংশ রোগী ভর্তি থাকার শর্ত থাকলেও এই মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ২০০ শয্যার এবং রোগী ভর্তির হার ১ শতাংশের কম।
০৪ মে ২০২৫
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও বেসরকারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আইনে ৫০ আসনের বিপরীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং শয্যার বিপরীতে ৭০ শতাংশ রোগী ভর্তি থাকার শর্ত থাকলেও এই মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ২০০ শয্যার এবং রোগী ভর্তির হার ১ শতাংশের কম।
০৪ মে ২০২৫
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।
বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।
কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরও বেসরকারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ একটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি। আইনে ৫০ আসনের বিপরীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং শয্যার বিপরীতে ৭০ শতাংশ রোগী ভর্তি থাকার শর্ত থাকলেও এই মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ২০০ শয্যার এবং রোগী ভর্তির হার ১ শতাংশের কম।
০৪ মে ২০২৫
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, ‘তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাজারে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হইচই শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। টিটু দাশের রেস্টুরেন্ট ও জাফর আহম্মদের সারের দোকানের মাঝখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে...
১ ঘণ্টা আগে