নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অর্থ বিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধন বিল ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের (এমপি) দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারি হিসাব, প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিতসহ গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে ঐকমত্য হলেও প্রস্তাবিত ১০০ নারী আসনের নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি দলগুলোর মধ্যে।
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে গতকাল মঙ্গলবার এমন মত দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নেতারা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনের সংলাপ শুরু হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, আইনসভায় নারী আসন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন—এই চারটি সুপারিশ নিয়ে গতকাল আলোচনার কথা ছিল। প্রথম তিনটি নিয়ে আলোচনা হলেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রায় ঐকমত্য হয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এবং আইনসভায় নারী আসনের বিষয়ে ঈদের পরে বৈঠকের শুরুতেই আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে গতকাল আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব উত্থাপন করে তা হলো—অর্থ বিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধন বিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে কোনো কোনো দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, এমন সব বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে না—এমন শর্ত যুক্ত করার পরামর্শ দেয়। ৭০ অনুচ্ছেদে বা সংসদে সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু স্বাধীনতা দেওয়া হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা পুরোপুরি কাটেনি। দলীয় সিদ্ধান্তে অর্থ বিল ও আস্থা ভোটের বিধানে প্রায় সব দলই একমত বলে সংলাপ সূত্র জানায়। বিএনপি, জামায়াতসহ কিছু দল এ দুটির সঙ্গে সংবিধান সংশোধন বিলকে যুক্ত করার প্রস্তাব করে। বিএনপি বাড়তি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে। তবে দলটির পক্ষে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সনদে না থাকলেও তাঁরা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবেন। নির্বাচিত হলে বিধানটি যুক্ত করার প্রস্তাব করবেন তাঁরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা অর্থ বিল, আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধন এবং জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বাদে অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। অর্থ বিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধনীর বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। এই জায়গায় জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হলে আমাদের অবস্থান হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ থাকবে।’
৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় জামায়াতের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও নেতারা না থাকায় বক্তব্য দেননি। দুপুরের বিরতির পর তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘৭০ অনুচ্ছেদে আমরা বলেছি, অর্থ বিল, আস্থা ভোট এবং সংবিধান পরিবর্তন—এই তিনটি বিষয় ছাড়া আর সব বিষয়ে দলের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন।’
এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগের পক্ষে তাঁরা। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের উচ্চকক্ষ হচ্ছে কি না, হলে কীভাবে হচ্ছে; তা দেখে তাঁরা অবস্থান জানাবেন।
দুপুরের বিরতির পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি, প্রিভিলেজ ও এস্টিমেট কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সভাপতিও বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে প্রায় সব দলই একমত পোষণ করে। অনেকে স্বরাষ্ট্র, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে মত দেন।
দলগুলোর প্রতিনিধিদের বক্তব্য শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, চারটি সুনির্দিষ্ট সংসদীয় কমিটি বিরোধী দলের নেতৃত্বে হবে, এতে সবাই একমত। এর বাইরে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটি যাতে বিরোধী দলকে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে উল্লেখ করা জরুরি। সেটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তাব আছে, সংখ্যানুপাতিক হারে; আরেকটি হলো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। যখন চূড়ান্ত খসড়া করা হবে, তখন এটা নিয়ে আলাপ করা হবে।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি কমিশনের প্রস্তাবিত চারটি সভাপতির পদ বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পদও বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে বিএনপি। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিরোধী দলকে দেওয়ার পক্ষে মত দেয়। তবে দলটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আগামী সংসদে আলোচনা করে নির্ধারণের পক্ষে।
ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রস্তাবিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে চায় এনসিপি।
আইনসভার নিম্নকক্ষ তথা জাতীয় সংসদের আসন ৩৫০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করার পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বর্তমানে ৩০০ আসনে সরাসরি এবং বাকি ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে বণ্টন করা হয়। কমিশন নারী আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার প্রস্তাব করে। এতে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়। অধিকাংশ দল নারীদের জন্য ১০০ আসনের বিষয়ে একমত হলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত জানায়। কমিশনের প্রস্তাবের পক্ষে একমত জানিয়েছে এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি দল। জেএসডি সরাসরি নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াত সংখ্যানুপাতিকে এবং বিএনপি বিদ্যমান আসনের অনুপাতে নারী আসনের পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন না রেখে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করে। প্রস্তাবটিতে দলগুলো একমত না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানায় ঐকমত্য কমিশন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা না হলেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াত এবং এনসিপি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
অর্থ বিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধন বিল ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের (এমপি) দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারি হিসাব, প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিতসহ গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে ঐকমত্য হলেও প্রস্তাবিত ১০০ নারী আসনের নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি দলগুলোর মধ্যে।
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে গতকাল মঙ্গলবার এমন মত দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নেতারা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনের সংলাপ শুরু হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, আইনসভায় নারী আসন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন—এই চারটি সুপারিশ নিয়ে গতকাল আলোচনার কথা ছিল। প্রথম তিনটি নিয়ে আলোচনা হলেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রায় ঐকমত্য হয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ এবং আইনসভায় নারী আসনের বিষয়ে ঈদের পরে বৈঠকের শুরুতেই আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে গতকাল আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব উত্থাপন করে তা হলো—অর্থ বিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধন বিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে কোনো কোনো দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত, এমন সব বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে না—এমন শর্ত যুক্ত করার পরামর্শ দেয়। ৭০ অনুচ্ছেদে বা সংসদে সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু স্বাধীনতা দেওয়া হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা পুরোপুরি কাটেনি। দলীয় সিদ্ধান্তে অর্থ বিল ও আস্থা ভোটের বিধানে প্রায় সব দলই একমত বলে সংলাপ সূত্র জানায়। বিএনপি, জামায়াতসহ কিছু দল এ দুটির সঙ্গে সংবিধান সংশোধন বিলকে যুক্ত করার প্রস্তাব করে। বিএনপি বাড়তি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে। তবে দলটির পক্ষে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সনদে না থাকলেও তাঁরা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবেন। নির্বাচিত হলে বিধানটি যুক্ত করার প্রস্তাব করবেন তাঁরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা অর্থ বিল, আস্থা ভোট, সংবিধান সংশোধন এবং জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বাদে অন্য সব বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। অর্থ বিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধনীর বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। এই জায়গায় জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হলে আমাদের অবস্থান হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ থাকবে।’
৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় জামায়াতের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও নেতারা না থাকায় বক্তব্য দেননি। দুপুরের বিরতির পর তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘৭০ অনুচ্ছেদে আমরা বলেছি, অর্থ বিল, আস্থা ভোট এবং সংবিধান পরিবর্তন—এই তিনটি বিষয় ছাড়া আর সব বিষয়ে দলের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন।’
এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগের পক্ষে তাঁরা। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের উচ্চকক্ষ হচ্ছে কি না, হলে কীভাবে হচ্ছে; তা দেখে তাঁরা অবস্থান জানাবেন।
দুপুরের বিরতির পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি, প্রিভিলেজ ও এস্টিমেট কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সভাপতিও বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে প্রায় সব দলই একমত পোষণ করে। অনেকে স্বরাষ্ট্র, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সভাপতি বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে মত দেন।
দলগুলোর প্রতিনিধিদের বক্তব্য শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, চারটি সুনির্দিষ্ট সংসদীয় কমিটি বিরোধী দলের নেতৃত্বে হবে, এতে সবাই একমত। এর বাইরে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটি যাতে বিরোধী দলকে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে উল্লেখ করা জরুরি। সেটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তাব আছে, সংখ্যানুপাতিক হারে; আরেকটি হলো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। যখন চূড়ান্ত খসড়া করা হবে, তখন এটা নিয়ে আলাপ করা হবে।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি কমিশনের প্রস্তাবিত চারটি সভাপতির পদ বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি পদও বিরোধী দল থেকে নেওয়ার পক্ষে বিএনপি। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিরোধী দলকে দেওয়ার পক্ষে মত দেয়। তবে দলটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আগামী সংসদে আলোচনা করে নির্ধারণের পক্ষে।
ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রস্তাবিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে চায় এনসিপি।
আইনসভার নিম্নকক্ষ তথা জাতীয় সংসদের আসন ৩৫০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করার পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বর্তমানে ৩০০ আসনে সরাসরি এবং বাকি ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে বণ্টন করা হয়। কমিশন নারী আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার প্রস্তাব করে। এতে ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়। অধিকাংশ দল নারীদের জন্য ১০০ আসনের বিষয়ে একমত হলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত জানায়। কমিশনের প্রস্তাবের পক্ষে একমত জানিয়েছে এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি দল। জেএসডি সরাসরি নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াত সংখ্যানুপাতিকে এবং বিএনপি বিদ্যমান আসনের অনুপাতে নারী আসনের পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন না রেখে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করে। প্রস্তাবটিতে দলগুলো একমত না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানায় ঐকমত্য কমিশন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা না হলেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াত এবং এনসিপি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন লাখো মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই সদরঘাট, কমলাপুর, মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন এবং লঞ্চঘাটে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার রায়পুর আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাসুদ মিয়া অবসরে গেছেন ২০২২ সালে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। অবসরের পর সেই সুবিধার জন্য আবেদন করে এখনো প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
১৮ ঘণ্টা আগেদর-কষাকষি শেষে মুখে হাসি। গরুর গলায় বাঁধা রশির প্রান্ত ধরার হাতবদল। গরু নিয়ে বাড়ির পথ ধরা। এমন দৃশ্য গতকাল বুধবার বারবার চোখে পড়েছে রাজধানীর অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোয়। দাম গতবারের চেয়ে বেশি না কম, এ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও ব্যাপারীদের অপেক্ষা কেটে ঈদের ছুটি শুরুর আগেই জমেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো।
১৯ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ মনে করে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস গতকাল বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
১৯ ঘণ্টা আগে