Ajker Patrika

আদানির বিদ্যুৎ ও ঢাকা সফর: এত রাখঢাক কেন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ২২: ৫৪
আদানির বিদ্যুৎ ও ঢাকা সফর: এত রাখঢাক কেন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

ভারতের গোড্ডায় আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তথ্য গোপন করে কয়লার অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই অনেকটা নীরবে গত ৬ এপ্রিল থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু—সবকিছুতেই চলছে লুকোচুরি। সর্বশেষ আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও ছিল রাখঢাক।

সরকার এবং আদানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা শুরু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে গৌতম আদানি ঢাকা সফর করেছেন। 

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশে এসে বেলা ১টায় বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া গৌতম আদানির এই তিন ঘণ্টার সফর নিয়েও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির ব্যক্তিগত বিমানে উড়ে এসে এই ঝটিকা সফর প্রকাশ পায় গতকাল বেলা ১টা ৪০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে তাঁর করা এক টুইটে। মূলত এরপরই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এর আগে তাঁর সাক্ষাতের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি কোনো পক্ষই।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকারের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি আছে। একই সঙ্গে আছে স্বচ্ছতার অভাব। এ জন্য আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় ঘটনা যেমন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু এবং আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বাংলাদেশ সফর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন সরকারি লোকজন। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নজর রাখা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্বালানি-বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে মারাত্মক স্বচ্ছতার অভাব আছে। না থাকলে কেন সরকার সবকিছু গোপন করতে চাইবে। বাংলাদেশের জন্য বানানো বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে, সেটা আমাদের জানতে হয় ভারতের সংবাদমাধ্যম মারফত। এটা তো সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলার কথা। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যা হচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক। যদি লুকানোর কোনো কিছুই না থাকে তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে এগুলো ফলাও করে বলা উচিত।’ 

ড. ইজাজ হোসেন আরও বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনের শুরু হয়ে গেল, তবুও আমরা এখনো জানি না প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য কী পরিমাণ টাকা দিতে হচ্ছে। যেহেতু বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে, একই সঙ্গে এখন দিতে হবে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও। বছরে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কত দিতে হবে—সেটাও স্পষ্ট না।’

চলতি বছরের ৬ এপ্রিল অনেকটা নীরবেই আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর খবর প্রকাশ পায় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে লেখা আদানির একটি চিঠির সূত্রে। তখন বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। 

একই ঘটনা ৮০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ব্যাপারেও ঘটেছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে লেখা চিঠিতে আদানি গ্রুপ দাবি করে, গত ২৫ জুন রাত ১২টায় বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আদানির দেওয়া চিঠি ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা স্বীকার করে। 

দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসার খবরে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ আদানির শেয়ারের দাম বেড়ে যায় ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ম. তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার আগে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা দরকার ছিল; সেগুলো করা হয়নি। যার জন্য দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রায় কোনো না কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারিগরি ত্রুটির কারণে। সরকারের তরফে এ নিয়ে একটা অস্বস্তি আছে। এ জন্য আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে বেশ লুকোচুরি দেখতে পাচ্ছি।’ 

ম. তামিম আরও বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারফরমেন্স টেস্টিং এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কোনো চিত্র কোনো পক্ষ থেকেই আমাদের সামনে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যে বিভিন্ন সমস্যা আছে, সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু নিয়ে লুকোচুরির কোনো কারণ আমি দেখি না। কিন্তু এরপরও কেন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।’

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসা বিদ্যুৎ সরকারের পক্ষ থেকে কেনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে এত কিছু হয়ে গেল, কিন্তু পিডিবির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি। 

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানিগৌতম আদানি ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে ঝটিকা সফর করে গেলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

প্রতিমন্ত্রীর দাবি, গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছেন অনেক দিন ধরেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সময় করতে পারছিলেন না । তিনিই এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে এই সাক্ষাতের সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমান বা বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। 

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গৌতম আদানির ব্যক্তিগত বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যান সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জানা যায়, প্রায় আধা ঘণ্টা গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবস্থান করেন। বেলা ১১টার পর বিমানবন্দরের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগ করেন গৌতম আদানি। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট মতো বিদ্যুৎ নিচ্ছি।’ 

তবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, দুই দিন ধরে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৬০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করছে। মাঝখানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কয়েক ঘণ্টা ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে উৎপাদনে থাকা গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের সক্ষমতা মোট ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।

আদানি থেকে কম দামে, টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে—এ কথা বলে সরকার ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুসারে, আদানি গ্রুপের কোম্পানি আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।

তবে উৎপাদন শুরুর আগেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার দাম বেশি দাবি করে আদানি গ্রুপ। কয়লার দাম নিয়ে পিডিবি আদানির সঙ্গে আলোচনা শুরু করলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দামের চেয়ে তাঁদের কয়লার দাম বেশি হবে না। 

জানা যায়, আদানি গ্রুপ এখন পর্যন্ত তিন মাসের বিল জমা দিয়েছে। তবে পিডিবি এখনো কোনো বিল পরিশোধ করেনি।

উল্লেখ্য, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার ফলে আদানির গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর পরবর্তী পাঁচ বছর তারা পাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক ছাড়।

কিন্তু শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে জানায়নি আদানি। তারা কয়লার দাম দেশে অবস্থিত রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে প্রায় ২০০ ডলার বেশি নির্ধারণ করে। আদানি গ্রুপ মার্চের শুরুর দিকে প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার নির্ধারণ করে বিপিডিবির কাছে চাহিদাপত্র পাঠায়। ওই সময় বিপিডিবি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। তাতে প্রতি টনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৩২ ডলার।

কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যে শুল্ক-করে ছাড় পাচ্ছে সেটির সুফল বিপিডিবি কেন পাবে না—তা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশে। বিপিডিবির এক সূত্র জানিয়েছে, কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী ২৫ বছর ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৫৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

আসিফ নজরুল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। অধ্যাদেশটি যখন চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাবে, তখন অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সবকিছু সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব বাজেট ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা থাকবে; আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে, তাই অর্থ উপদেষ্টার মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই আলোচনার পর আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে।

উপদেষ্টা পরিষদ দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি হলে বাংলাদেশে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা বিদেশি হোন আর দেশি হোন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ভিন্ন দেশে দুর্নীতি করলেও এর তদন্ত দুদকের মাধ্যমে করা যাবে। সংশোধনীতে ‘জ্ঞাত আয়’ বলতে ‘বৈধ আয়’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভবনে জাদুঘর নির্মাণের জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল অফিস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই আন্দোলনে রামপুরায় ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকার সময় ৬টি গুলি করে পুলিশ, তরুণের সাক্ষ্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদের রডে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণকে গুলি করে পুলিশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদের রডে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণকে গুলি করে পুলিশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।

এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।

আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।

আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৃহকর্মীরা পাবেন শ্রমিকের মর্যাদা, শ্রম অধ্যাদেশ সংশোধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। ছবি: পিআইডি
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। ছবি: পিআইডি

গৃহকর্মী ও নাবিকদের শ্রমিকের মর্যাদা দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সুপারিশে সংশোধিত শ্রম অধ্যাদেশ-২০২৫ পাস করা হয়েছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে এই অধ্যাদেশ পাস হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, শ্রম আইনের ৯০ সেকশনে সংশোধন আনা হয়েছে। আইএলও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিষয়ে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসূতিদের ওয়েলফেয়ার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, আগে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে বেতন বৈষম্য ছিল। সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে। একই কাজের জন্য আগে নারীরা কম বেতন পেতেন। সেটিও তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা সমহারে বেতন পাবেন। কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে সেখানে ফান্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ফান্ডের সহায়তায় পুনর্বাসন ও চিকিৎসা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৩
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আজ। ছবি: পিআইডি
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আজ। ছবি: পিআইডি

সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।

পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।

উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।

সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত