তাসনিম মহসিন, ঢাকা
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। এতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সাধারণ অধিবেশনে ৫ ইস্যুতে জোর দেবে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এবার স্মরণকালের সবচেয়ে ছোট প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। যাঁদের না গেলেই নয়, সেই মানুষগুলোকে প্রতিনিধিদলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ দেড় বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সফর শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফেরত আসার কথা রয়েছে। ২৪ অথবা ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে পারেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে এই মুহূর্তে কেউ আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। ১৬ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, এবারের সাধারণ অধিবেশনে করোনা ও টিকা, রোহিঙ্গা, জলবায়ু, আফগানিস্তান এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বিষয়ে জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণে আফগানিস্তান ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। করোনা মহামারিতে বিশ্বের সবার জন্য টিকার অধিকারের বিষয়টিও অগ্রাধিকারে থাকতে পারে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়, বর্তমানে ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। ইস্যু থেকে শুরু করে সফরের যাবতীয় বিষয়ে কিছু সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। তবে মোটাদাগে এগুলোই থাকার কথা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আঞ্চলিক নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণে আফগানিস্তান ইস্যুটিতে জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ ও ইইউর সংলাপে পক্ষ হতে রাজি রয়েছে বাংলাদেশ। ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য এর সুষ্ঠু সমাধানে জোর দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শুরু থেকেই করোনার টিকা ইস্যুতে সোচ্চার। এখন পর্যন্ত মোট টিকা উৎপাদনের ৯৭ শতাংশের বেশি ধনী দেশগুলো পেয়েছে। ফলে এর ন্যায্য বিতরণ এবং টিকার ওপর যাতে মেধাস্বত্ব না দেওয়া হয় এবং টিকা বিশ্বের সব মানুষের অধিকার, সেই বিষয়টি ৭৬তম অধিবেশনে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
অধিবেশনে প্রতিবারের মতোই রোহিঙ্গা নিয়ে সোচ্চার থাকবে। রোহিঙ্গাসংকট সমাধান না হওয়ায় এই জনগোষ্ঠীর ভোগান্তিসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়টি সামনে আনবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পাঁচটি পয়েন্টে জাতিসংঘসহ বিশ্বের ভূমিকার বিষয়টি সামনে আনবে ঢাকা। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে বিরূপ প্রভাব ও জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরবে। আর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারবিষয়ক সুবিধা আরও কয়েক বছর রাখার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে। কারণ করোনা মহামারি অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে তা কাটিয়ে উঠতে বাড়তি সময় চাওয়া হবে।
জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনে স্বল্পসংখ্যক দেশকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার বিষয়টিতে স্বাস্থ্যবিষয়ক কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে সাক্ষাৎ করবেন। তবে তিনি কোনো সমাবেশ বা নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন না। এবারের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে কয়েকটি দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কারণ, কোন কোন নেতা এবারের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন, তা নিশ্চিত হতে আরও দু-এক দিন সময় লাগবে।
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। এতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সাধারণ অধিবেশনে ৫ ইস্যুতে জোর দেবে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এবার স্মরণকালের সবচেয়ে ছোট প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। যাঁদের না গেলেই নয়, সেই মানুষগুলোকে প্রতিনিধিদলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘ দেড় বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সফর শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফেরত আসার কথা রয়েছে। ২৪ অথবা ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে পারেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে এই মুহূর্তে কেউ আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। ১৬ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, এবারের সাধারণ অধিবেশনে করোনা ও টিকা, রোহিঙ্গা, জলবায়ু, আফগানিস্তান এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বিষয়ে জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণে আফগানিস্তান ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। করোনা মহামারিতে বিশ্বের সবার জন্য টিকার অধিকারের বিষয়টিও অগ্রাধিকারে থাকতে পারে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়, বর্তমানে ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। ইস্যু থেকে শুরু করে সফরের যাবতীয় বিষয়ে কিছু সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। তবে মোটাদাগে এগুলোই থাকার কথা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আঞ্চলিক নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণে আফগানিস্তান ইস্যুটিতে জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ ও ইইউর সংলাপে পক্ষ হতে রাজি রয়েছে বাংলাদেশ। ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য এর সুষ্ঠু সমাধানে জোর দেওয়া হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ শুরু থেকেই করোনার টিকা ইস্যুতে সোচ্চার। এখন পর্যন্ত মোট টিকা উৎপাদনের ৯৭ শতাংশের বেশি ধনী দেশগুলো পেয়েছে। ফলে এর ন্যায্য বিতরণ এবং টিকার ওপর যাতে মেধাস্বত্ব না দেওয়া হয় এবং টিকা বিশ্বের সব মানুষের অধিকার, সেই বিষয়টি ৭৬তম অধিবেশনে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।
অধিবেশনে প্রতিবারের মতোই রোহিঙ্গা নিয়ে সোচ্চার থাকবে। রোহিঙ্গাসংকট সমাধান না হওয়ায় এই জনগোষ্ঠীর ভোগান্তিসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য ঝুঁকির বিষয়টি সামনে আনবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে সংকট সমাধানে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পাঁচটি পয়েন্টে জাতিসংঘসহ বিশ্বের ভূমিকার বিষয়টি সামনে আনবে ঢাকা। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে বিরূপ প্রভাব ও জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরবে। আর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারবিষয়ক সুবিধা আরও কয়েক বছর রাখার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে। কারণ করোনা মহামারি অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে তা কাটিয়ে উঠতে বাড়তি সময় চাওয়া হবে।
জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনে স্বল্পসংখ্যক দেশকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার বিষয়টিতে স্বাস্থ্যবিষয়ক কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে সাক্ষাৎ করবেন। তবে তিনি কোনো সমাবেশ বা নাগরিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন না। এবারের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে কয়েকটি দেশের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কারণ, কোন কোন নেতা এবারের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন, তা নিশ্চিত হতে আরও দু-এক দিন সময় লাগবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
১০ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
১১ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১৭ ঘণ্টা আগে