Ajker Patrika

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ ধারা ঊর্ধ্বমুখী। এডিস মশার প্রজননকেন্দ্র ধ্বংসসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েও থামানো যাচ্ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, আক্রান্ত হচ্ছেন কয়েক শ। গত একদিনেও প্রায় ৮শ রোগী ডেঙ্গুতে শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন আরও পাঁচজন। 

শুক্রবার পর্যন্ত ৬১ জেলায় থাকলেও আজ নতুন করে আক্রান্ত জেলা রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁওয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এই নিয়ে চলতি বছর ৬২টি জেলায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেল। আর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৬২ জেলায় ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৭৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ১৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে মারা গেছেন ৫ জন। এই নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭ জনে ঠেকেছে। 

প্রাণহানির যে হার তাতে চলতি মাসের মাঝামাঝি ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওই বছর শুধু সরকারি হিসেবেই রেকর্ড ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসেবে ৩ শ’র বেশি। 
 
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবের আওতায় থাকা সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ২৫৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৪৮৩ জন। 

চলমান ভয়াবহ পরিস্থিতি চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা কীটতত্ত্ববিদদের। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেহেতু পরিস্থিতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী তাই স্থানীয় সরকারের জোরালো পদক্ষেপের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতা খুবই জরুরি। উভয়ের এগিয়ে আসার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব। 

এদিকে বারবার সাবধান করার পরও নির্মাণাধীন ভবনে দ্বিতীয়বার এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি ভবনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। 

শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টরে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয় লাখ টাকা জরিমানা ও নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। বারবার সাবধান করা হলেও অনেকে সচেতন হচ্ছে না। আগেও কয়েকবার এই নির্মাণাধীন ভবনে সাবধান করা হয়েছে। সাবধান করে দেওয়ার পরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমরা দুটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছি। লার্ভা পেলে কোন ছাড় নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

চট্টগ্রামে হামলায় ‘নিরাপত্তাহীন’ পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত