নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার কোনোটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতবার ইসির তালিকায় থাকা ১১৮টি সংস্থার মধ্যে এবার ২৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় নেই আলোচিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ ও ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামের দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রধান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে এনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
গত জাতীয় নির্বাচনে অনভিজ্ঞ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে এসে সমালোচিত হয়েছিল সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। আর এবার নির্বাচনের আগে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে ঢাকায় এনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ওই পর্যবেক্ষকেরা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি।’
এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদন করা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), এসো বাঁচতে শিখি (এবাস) রয়েছে নিবন্ধনের তালিকায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী রাজনৈতিক পদ-পদবিতে থাকা ব্যক্তিদের সংস্থা ইসিতে নিবন্ধিত হতে পারে না। ফৌজদারি অপরাধ যেমন হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সংস্থাও নিবন্ধন পাবে না। মানব পাচারের অভিযোগ আছে তারাও নিবন্ধন পাবে না।’
গতবারের যে ২৯টি সংস্থা এবারও তালিকায় রয়েছে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, অ্যাক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নিডস (আরবান), হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), ডিশ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিস (দিয়া), আব্দুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, বাঁচতে শেখা, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন (রিহ্যাপ), পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), এসো জাতি গড়ি, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফএফডিএ), তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ (র্যাক বাংলাদেশ), গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস (ডেপ) ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)।
এ ছাড়া অন্য সংস্থাগুলো হলো আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এস কে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব রুরাল পিপল (সার্প), সেতু রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসআরডিএস), সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেভিলিটেশন (স্টার), রুরাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রাসা), ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন (সেফ), ডপস ফাউন্ডেশন, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (ভোস্ট), জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, বেসিক, হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা, গরিব উন্নয়ন সংস্থা (জিইউএস), সমাহার-মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস), হাফেজজি চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি (ডিএমএস), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও), সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট (সিড), ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেগস অব হোপ (রিস), সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা (এসএমইউএস), শিল্ড-সোসাইটি ফর হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেঁজুতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিডফ), ওয়েসডা, প্রকাশ গণকেন্দ্র (পিজেকে), রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাউডো), সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সিড), হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস), গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন এবং এসো বাঁচতে শিখি (এবাশ)।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
আজ ৬৮টি সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল কমিশন। অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াচ্ছে।
ইসি সূত্র জানায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার কোনোটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতবার ইসির তালিকায় থাকা ১১৮টি সংস্থার মধ্যে এবার ২৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় নেই আলোচিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ ও ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামের দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রধান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে এনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
গত জাতীয় নির্বাচনে অনভিজ্ঞ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে এসে সমালোচিত হয়েছিল সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। আর এবার নির্বাচনের আগে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে ঢাকায় এনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ওই পর্যবেক্ষকেরা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি।’
এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদন করা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), এসো বাঁচতে শিখি (এবাস) রয়েছে নিবন্ধনের তালিকায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী রাজনৈতিক পদ-পদবিতে থাকা ব্যক্তিদের সংস্থা ইসিতে নিবন্ধিত হতে পারে না। ফৌজদারি অপরাধ যেমন হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সংস্থাও নিবন্ধন পাবে না। মানব পাচারের অভিযোগ আছে তারাও নিবন্ধন পাবে না।’
গতবারের যে ২৯টি সংস্থা এবারও তালিকায় রয়েছে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, অ্যাক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নিডস (আরবান), হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), ডিশ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিস (দিয়া), আব্দুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, বাঁচতে শেখা, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন (রিহ্যাপ), পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), এসো জাতি গড়ি, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফএফডিএ), তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ (র্যাক বাংলাদেশ), গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস (ডেপ) ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)।
এ ছাড়া অন্য সংস্থাগুলো হলো আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এস কে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব রুরাল পিপল (সার্প), সেতু রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসআরডিএস), সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেভিলিটেশন (স্টার), রুরাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রাসা), ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন (সেফ), ডপস ফাউন্ডেশন, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (ভোস্ট), জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, বেসিক, হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা, গরিব উন্নয়ন সংস্থা (জিইউএস), সমাহার-মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস), হাফেজজি চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি (ডিএমএস), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও), সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট (সিড), ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেগস অব হোপ (রিস), সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা (এসএমইউএস), শিল্ড-সোসাইটি ফর হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেঁজুতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিডফ), ওয়েসডা, প্রকাশ গণকেন্দ্র (পিজেকে), রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাউডো), সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সিড), হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস), গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন এবং এসো বাঁচতে শিখি (এবাশ)।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
আজ ৬৮টি সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল কমিশন। অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াচ্ছে।
ইসি সূত্র জানায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার কোনোটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতবার ইসির তালিকায় থাকা ১১৮টি সংস্থার মধ্যে এবার ২৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় নেই আলোচিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ ও ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামের দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রধান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে এনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
গত জাতীয় নির্বাচনে অনভিজ্ঞ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে এসে সমালোচিত হয়েছিল সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। আর এবার নির্বাচনের আগে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে ঢাকায় এনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ওই পর্যবেক্ষকেরা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি।’
এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদন করা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), এসো বাঁচতে শিখি (এবাস) রয়েছে নিবন্ধনের তালিকায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী রাজনৈতিক পদ-পদবিতে থাকা ব্যক্তিদের সংস্থা ইসিতে নিবন্ধিত হতে পারে না। ফৌজদারি অপরাধ যেমন হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সংস্থাও নিবন্ধন পাবে না। মানব পাচারের অভিযোগ আছে তারাও নিবন্ধন পাবে না।’
গতবারের যে ২৯টি সংস্থা এবারও তালিকায় রয়েছে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, অ্যাক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নিডস (আরবান), হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), ডিশ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিস (দিয়া), আব্দুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, বাঁচতে শেখা, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন (রিহ্যাপ), পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), এসো জাতি গড়ি, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফএফডিএ), তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ (র্যাক বাংলাদেশ), গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস (ডেপ) ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)।
এ ছাড়া অন্য সংস্থাগুলো হলো আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এস কে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব রুরাল পিপল (সার্প), সেতু রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসআরডিএস), সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেভিলিটেশন (স্টার), রুরাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রাসা), ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন (সেফ), ডপস ফাউন্ডেশন, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (ভোস্ট), জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, বেসিক, হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা, গরিব উন্নয়ন সংস্থা (জিইউএস), সমাহার-মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস), হাফেজজি চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি (ডিএমএস), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও), সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট (সিড), ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেগস অব হোপ (রিস), সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা (এসএমইউএস), শিল্ড-সোসাইটি ফর হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেঁজুতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিডফ), ওয়েসডা, প্রকাশ গণকেন্দ্র (পিজেকে), রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাউডো), সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সিড), হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস), গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন এবং এসো বাঁচতে শিখি (এবাশ)।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
আজ ৬৮টি সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল কমিশন। অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াচ্ছে।
ইসি সূত্র জানায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওইসব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসব সংস্থার কোনোটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সেগুলো চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে। আর কোনোটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে সেগুলো শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।
এ প্রক্রিয়ায় যেসব পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পাবে, সেগুলো আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসির তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতবার ইসির তালিকায় থাকা ১১৮টি সংস্থার মধ্যে এবার ২৯টি সংস্থার নাম রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় নেই আলোচিত ‘ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’ ও ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামের দুটি পর্যবেক্ষক সংস্থা।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের প্রধান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবেদ আলী সম্প্রতি কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে এনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন।
গত জাতীয় নির্বাচনে অনভিজ্ঞ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়ে এসে সমালোচিত হয়েছিল সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন। আর এবার নির্বাচনের আগে কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে ঢাকায় এনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। ওই পর্যবেক্ষকেরা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি।’
এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদন করা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), এসো বাঁচতে শিখি (এবাস) রয়েছে নিবন্ধনের তালিকায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী রাজনৈতিক পদ-পদবিতে থাকা ব্যক্তিদের সংস্থা ইসিতে নিবন্ধিত হতে পারে না। ফৌজদারি অপরাধ যেমন হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের সংস্থাও নিবন্ধন পাবে না। মানব পাচারের অভিযোগ আছে তারাও নিবন্ধন পাবে না।’
গতবারের যে ২৯টি সংস্থা এবারও তালিকায় রয়েছে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, অ্যাক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নিডস (আরবান), হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), ডিশ অ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাকটিভিটিস (দিয়া), আব্দুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, বাঁচতে শেখা, অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন (রিহ্যাপ), পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), এসো জাতি গড়ি, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফএফডিএ), তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ (র্যাক বাংলাদেশ), গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন অ্যান্ড পিস (ডেপ) ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)।
এ ছাড়া অন্য সংস্থাগুলো হলো আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, এস কে কল্যাণী ফাউন্ডেশন, সোসাইটি ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট অব রুরাল পিপল (সার্প), সেতু রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসআরডিএস), সোসাইটি ফর ট্রেনিং অ্যান্ড রিহেভিলিটেশন (স্টার), রুরাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (রাসা), ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কি, স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন (সেফ), ডপস ফাউন্ডেশন, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (ভোস্ট), জেন্ডার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি, বেসিক, হিউম্যান রাইটস ভয়েস, সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা, গরিব উন্নয়ন সংস্থা (জিইউএস), সমাহার-মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস), হাফেজজি চ্যারিটেবল সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি (ডিএমএস), সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও), সোশ্যাল ইকুয়ালিটি ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট (সিড), ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেগস অব হোপ (রিস), সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা (এসএমইউএস), শিল্ড-সোসাইটি ফর হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট, সেঁজুতি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিডফ), ওয়েসডা, প্রকাশ গণকেন্দ্র (পিজেকে), রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাউডো), সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (সিড), হিউম্যান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (হিডস), গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক), ইকো কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন এবং এসো বাঁচতে শিখি (এবাশ)।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৮ সালে ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ওই সংস্থার পাঁচ বছর মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১৯৯টি এবং নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ১১টি আবেদন ইসিতে জমা পড়ে।
আজ ৬৮টি সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল কমিশন। অভিযোগ শুনানি প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়ার সময়ে এ সংখ্যা আরও কমতে পারে। এর ফলে গত নির্বাচনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়াচ্ছে।
ইসি সূত্র জানায়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। প্রথমবারের মতো সেইবার ১৩৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।

বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৯ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে এবং ঢাকা জানিয়েছে, কোনো দেশেরই অন্য দেশের অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক মন্তব্যে বলেন, ‘ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একজন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরাও বিশ্বাস করি যে কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’
ডা. জাকির নায়েক ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন বলে জানা গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। তাই আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।’
৬০ বছর বয়সী ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছিলেন এবং ইসলামি অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতার আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার’ এবং একাধিক অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল পিস টিভির সম্প্রচার। এরপরই তিনি ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছেন।
একই সময়ে, ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারী ‘জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত’ ছিল বলে খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশও তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
তবে সম্প্রতি তাঁর ঢাকায় আসার খবর নিয়ে আলোচনা চলছে। স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য এ অনুষ্ঠানটি রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে তাঁকে বাংলাদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে এবং ঢাকা জানিয়েছে, কোনো দেশেরই অন্য দেশের অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক মন্তব্যে বলেন, ‘ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একজন বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরাও বিশ্বাস করি যে কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’
ডা. জাকির নায়েক ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন বলে জানা গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। তাই আমরা আশা করি, তিনি যেখানেই যান না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।’
৬০ বছর বয়সী ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছিলেন এবং ইসলামি অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতার আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার’ এবং একাধিক অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল পিস টিভির সম্প্রচার। এরপরই তিনি ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছেন।
একই সময়ে, ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারী ‘জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত’ ছিল বলে খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশও তাঁর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
তবে সম্প্রতি তাঁর ঢাকায় আসার খবর নিয়ে আলোচনা চলছে। স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য এ অনুষ্ঠানটি রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে তাঁকে বাংলাদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
০৮ আগস্ট ২০২৩
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৯ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও সিলেট

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার এবং বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে সিপিবি।
গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনের নামে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গেট এবং সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত বিচার আইনসহ তিন-চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ তাঁর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে।’
আনোয়ার হোসেন সুমন সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার আন্দোলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচি চলাকালে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সিপিবির প্রতিবাদ
সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার এবং কয়েক শ্রমিকনেতাসহ বাসদ জেলা কার্যালয় থেকে ২২ জনকে আটকের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিপিবি। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণগ্রেপ্তার চালিয়ে ন্যায্য শ্রমিক আন্দোলন দমনের এই হীন কাণ্ডের উপযুক্ত জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দেওয়া হবে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
০৮ আগস্ট ২০২৩
বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি করে ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি; মেয়াদ শেষ হয় গতকাল, ৩১ অক্টোবর।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে, এমন কিছু পরিবর্তন—যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন—যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কারপ্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে, তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধুরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদের সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নেতাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সবাইকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এই জুলাই সনদ সারা বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের কথা বিবেচনা করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা যাঁরা মাসের পর মাস এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে থেকেছেন, ঐকমত্য কমিশনের সব কার্যকলাপ মানুষের কাছে সহজ ভাষায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমাদের মাঝে রয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতেই হবে। কারণ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী এ জাতিকে বিভক্ত করতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে। গত ১৫ মাস আমরা তাদের নানা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করেছি। ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করতে হলে, এই দেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।’
এ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমাদের সামনে মহা চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোনো একক ব্যক্তি, একক সংগঠন, একক সংস্থা অথবা একক সরকার দিয়ে সম্ভব হবে না; এ জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মধ্যে একতা থাকতে হবে, যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
০৮ আগস্ট ২০২৩
বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৯ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা মোতায়েন থাকবে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নামের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই সব সংস্থার বিরুদ্ধে কারও দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
০৮ আগস্ট ২০২৩
বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ডা. জাকির নায়েকের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর এবং তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয় থেকে ২২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের আম্বরখানা এলাকায় দলটির কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তবে বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে ২২ নেতা-কর
৯ ঘণ্টা আগে
সাফল্যের সঙ্গে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিরামহীন বৈঠক ও ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি এবং বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৩ ঘণ্টা আগে