নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণটিকাদানে পরিকল্পনায় যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল, তার ছাপ পড়েছে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমে। টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রূপ নিয়েছে গণহয়রানিতে। একই সময়ে নিবন্ধন করেও কেন্দ্র ভিন্নতায় টিকা পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন দিনে। আবার এক মাসের বেশি সময় পরও অনেকে এসএমএস না পেলেও নিবন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে টিকার বার্তা পাচ্ছেন কেউ কেউ। এ জন্য অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীনতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
রাজধানীর একটি আইটি ফার্মে কর্মরত কার্জন চৌধুরী (২৯) ২ আগস্ট টিকা পেতে নিবন্ধন করেন। তাঁর কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। একই সঙ্গে নিবন্ধন করা তাঁর সহকর্মী তন্ময় চন্দ্র ধরের (২৬) কেন্দ্র নিউরোসায়েন্স। এসএমএস পেয়ে গত শনিবার তন্ময় টিকা নিতে পারলেও এসএমএসই পাননি কার্জন। আবার জুলাইয়ের প্রথম দিনে নিবন্ধন করেও এখনো এসএমএস পাননি অঞ্জন রায়। অথচ নিবন্ধনের পাঁচ দিনের মাথায় টিকার মেসেজ পেয়েছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উমায়রা।
যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টিকার পর্যাপ্ততা না থাকায় এসএমএস বয়স অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে।
এ জন্য একই দিনে নিবন্ধন করা হলেও ভিন্ন দিনে টিকা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রসূতি, অসুস্থ ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। আইসিটি বিভাগকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন যদি সবাই একসঙ্গে পেতে চান, তাহলে কীভাবে দেওয়া সম্ভব?
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যবর্তী সময় ন্যূনতম ২৮ দিন হলেও অনেককে বিশেষ ব্যবস্থায় তিন সপ্তাহেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে দেখা গেছে। গত ১৯ জুলাই মডার্নার প্রথম ডোজ নিয়েছেন হাইকোর্টের অফিস সহায়ক এনামুল হক শিকদার। ১৪ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজের এসএমএস পান তিনি। এদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের টিকা নিয়ে কর্মস্থলে আসার ব্যাপারে ক্রমেই তাগাদা বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান নিজ থেকে কর্মীদের টিকা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রকৌশলী কার্জন বলেন, অফিসের কাজে বিভিন্ন সময়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হয়। তাই অফিস থেকে দ্রুত সবাইকে টিকা নিতে বলা হয়েছে। টিকা ছাড়া নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়।
এদিকে গতকাল বুধবারও টিকাকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। টিকা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়েছেন অনেকে, লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কেউ কেউ মেসেজ না পেয়েও টিকা নিতে আসেন। ফলে টিকা না পেয়েই ফিরে যেতে হয় অনেককে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাদান কেন্দ্র ডক্টরস ডরমেটরিতে গতকাল সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়ান টিকাপ্রত্যাশীরা। তবে যাঁদের এসএমএস এসেছে তাঁদেরই কেবল টিকা দেওয়া হয়। সিরিয়াল অনুযায়ী নাম ধরে ডাকছেন আনসার সদস্যরা। মেসেজ যাচাই করেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
টিকা না পেয়ে ফেরত যাওয়া এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিবন্ধন করা হয়েছে কয়েক মাস হয়, কিন্তু এখনো মেসেজ আসেনি। আনসার সদস্যরা ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না, তাই কবে নাগাদ এসএমএস আসবে, সেটিও জানা যাচ্ছে না।’ দায়িত্বরত আনসার সদস্য শাহিন বলেন, ‘যাঁদের এসএমএস এসেছে তাঁদেরই আমরা ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি। নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা দেওয়া শুরুর আগে মাইকিং করা হয়েছে।’
টিকা নিয়ে মানুষের হয়রানির পেছনে অব্যবস্থাপনা, অপরিপক্বতা ও দূরদর্শিতার অভাব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, টিকাদান বাস্তবায়নে কোনো রূপরেখা তৈরি করা হয়নি। মন্ত্রী থেকে শুরু করে যখন যে যেটা বলছেন, সেটাই চলছে। এ ছাড়া সুরক্ষা অ্যাপে সমস্যা রয়েছে। পুরোটা এন্ট্রি দেওয়ার পর কাজ হচ্ছে কি না, সেটিও দেখা দরকার। সেটির জন্য দরকার প্রয়োজনীয় জনবল। সীমিতসংখ্যক লোক দিয়ে এগুলো পরিচালনা করায় এই অবস্থা।
গণটিকাদানে পরিকল্পনায় যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল, তার ছাপ পড়েছে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমে। টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রূপ নিয়েছে গণহয়রানিতে। একই সময়ে নিবন্ধন করেও কেন্দ্র ভিন্নতায় টিকা পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন দিনে। আবার এক মাসের বেশি সময় পরও অনেকে এসএমএস না পেলেও নিবন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যে টিকার বার্তা পাচ্ছেন কেউ কেউ। এ জন্য অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনাহীনতাকে দায়ী করা হচ্ছে।
রাজধানীর একটি আইটি ফার্মে কর্মরত কার্জন চৌধুরী (২৯) ২ আগস্ট টিকা পেতে নিবন্ধন করেন। তাঁর কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। একই সঙ্গে নিবন্ধন করা তাঁর সহকর্মী তন্ময় চন্দ্র ধরের (২৬) কেন্দ্র নিউরোসায়েন্স। এসএমএস পেয়ে গত শনিবার তন্ময় টিকা নিতে পারলেও এসএমএসই পাননি কার্জন। আবার জুলাইয়ের প্রথম দিনে নিবন্ধন করেও এখনো এসএমএস পাননি অঞ্জন রায়। অথচ নিবন্ধনের পাঁচ দিনের মাথায় টিকার মেসেজ পেয়েছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উমায়রা।
যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, টিকার পর্যাপ্ততা না থাকায় এসএমএস বয়স অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে।
এ জন্য একই দিনে নিবন্ধন করা হলেও ভিন্ন দিনে টিকা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রসূতি, অসুস্থ ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। আইসিটি বিভাগকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন যদি সবাই একসঙ্গে পেতে চান, তাহলে কীভাবে দেওয়া সম্ভব?
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যবর্তী সময় ন্যূনতম ২৮ দিন হলেও অনেককে বিশেষ ব্যবস্থায় তিন সপ্তাহেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে দেখা গেছে। গত ১৯ জুলাই মডার্নার প্রথম ডোজ নিয়েছেন হাইকোর্টের অফিস সহায়ক এনামুল হক শিকদার। ১৪ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজের এসএমএস পান তিনি। এদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মীদের টিকা নিয়ে কর্মস্থলে আসার ব্যাপারে ক্রমেই তাগাদা বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান নিজ থেকে কর্মীদের টিকা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রকৌশলী কার্জন বলেন, অফিসের কাজে বিভিন্ন সময়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে হয়। তাই অফিস থেকে দ্রুত সবাইকে টিকা নিতে বলা হয়েছে। টিকা ছাড়া নিজেকে অনিরাপদ মনে হয়।
এদিকে গতকাল বুধবারও টিকাকেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। টিকা নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়েছেন অনেকে, লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কেউ কেউ মেসেজ না পেয়েও টিকা নিতে আসেন। ফলে টিকা না পেয়েই ফিরে যেতে হয় অনেককে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকাদান কেন্দ্র ডক্টরস ডরমেটরিতে গতকাল সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়ান টিকাপ্রত্যাশীরা। তবে যাঁদের এসএমএস এসেছে তাঁদেরই কেবল টিকা দেওয়া হয়। সিরিয়াল অনুযায়ী নাম ধরে ডাকছেন আনসার সদস্যরা। মেসেজ যাচাই করেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
টিকা না পেয়ে ফেরত যাওয়া এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিবন্ধন করা হয়েছে কয়েক মাস হয়, কিন্তু এখনো মেসেজ আসেনি। আনসার সদস্যরা ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না, তাই কবে নাগাদ এসএমএস আসবে, সেটিও জানা যাচ্ছে না।’ দায়িত্বরত আনসার সদস্য শাহিন বলেন, ‘যাঁদের এসএমএস এসেছে তাঁদেরই আমরা ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি। নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা দেওয়া শুরুর আগে মাইকিং করা হয়েছে।’
টিকা নিয়ে মানুষের হয়রানির পেছনে অব্যবস্থাপনা, অপরিপক্বতা ও দূরদর্শিতার অভাব বলে মনে করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, টিকাদান বাস্তবায়নে কোনো রূপরেখা তৈরি করা হয়নি। মন্ত্রী থেকে শুরু করে যখন যে যেটা বলছেন, সেটাই চলছে। এ ছাড়া সুরক্ষা অ্যাপে সমস্যা রয়েছে। পুরোটা এন্ট্রি দেওয়ার পর কাজ হচ্ছে কি না, সেটিও দেখা দরকার। সেটির জন্য দরকার প্রয়োজনীয় জনবল। সীমিতসংখ্যক লোক দিয়ে এগুলো পরিচালনা করায় এই অবস্থা।
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে সিঙ্গাপুর ও চীন থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
৭ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে এই পদে কোনো প্রতিযোগিতা বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হতো। তা নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক।
৯ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট...
১৭ ঘণ্টা আগে