নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আদালতের কাঠগড়ায় তৈরি করা লোহার খাঁচা অপসারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন ও জোবায়দুর রহমানসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির এই নোটিশ পাঠান।
আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল কনভিনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর)-১৯৬৬-এ নাগরিকদের অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব-কর্তব্য বিবৃত করা হয়েছে। আইসিসিপিআরের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে স্বাধীন মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং ভয় ও চাওয়া থেকে মুক্তির আদর্শ কেবল তখনই অর্জন করা যেতে পারে, যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যেখানে প্রত্যেকে তার নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে।
আইসিসিপিআর এর অনুচ্ছেদ ৭ এ বলা হয়েছে কাউকে নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি দেওয়া যাবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে তাঁর প্রতি অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ করা হচ্ছে যা স্পষ্টভাবে অনুচ্ছেদ ৭-এর লঙ্ঘন।
অনুচ্ছেদ ১০ (২) এ বলা হয়েছে, ব্যতিক্রম ব্যতীত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দোষী ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখতে হবে এবং তাঁদের মর্যাদা অনুযায়ী আলাদা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আদালত চলাকালীন একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং দোষী ব্যক্তিদের লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয় যা এই অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে কোনো বিধান নেই। তবে কারা আইন, ১৮৯৪-এর ৫৬ ধারা মতে জেলে বন্দী কয়েদিকে সরকারের অনুমোদনক্রমে লৌহ-শৃঙ্খলে আটক করে রাখার বিধান রয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে অভিযুক্ত ব্যক্তির Presumption of innocence ভঙ্গ করা হচ্ছে। যা একই সাথে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তজার্তিক বিধিবিধানের পরিপন্থী।
উচ্চ আদালতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলায় হাইকোর্ট অভিযুক্তকে শুনানিকালে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচায় দাড় করানোকে রোমান দাসদের সাথে তুলনা করেছেন। ৭৫-পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান, সরকার উৎখাতের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারকার্যে গঠিত সামরিক আদালতের কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়। সামরিক আদালতে বিচারকার্য চলাকালে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের খালি পায়ে লোহার খাঁচায় করে এজলাসে উপস্থাপন করা হতো। রিট পিটিশন চলাকালে হাইকোর্ট বিভাগ মন্তব্য করে, ‘All the accused, including the Petitioner, was used to be brought in the so-called court room handcuffed and barefooted and was put inside a barbed cage as if they were roman slaves.’
নোটিশে আরও বলা হয়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও Principle of presumption of innocence এর পরিপন্থী। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচার অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।
আদালতের কাঠগড়ায় তৈরি করা লোহার খাঁচা অপসারণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন ও জোবায়দুর রহমানসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির এই নোটিশ পাঠান।
আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল কনভিনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর)-১৯৬৬-এ নাগরিকদের অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব-কর্তব্য বিবৃত করা হয়েছে। আইসিসিপিআরের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে স্বাধীন মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং ভয় ও চাওয়া থেকে মুক্তির আদর্শ কেবল তখনই অর্জন করা যেতে পারে, যখন এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যেখানে প্রত্যেকে তার নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে।
আইসিসিপিআর এর অনুচ্ছেদ ৭ এ বলা হয়েছে কাউকে নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি দেওয়া যাবে না। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে তাঁর প্রতি অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ করা হচ্ছে যা স্পষ্টভাবে অনুচ্ছেদ ৭-এর লঙ্ঘন।
অনুচ্ছেদ ১০ (২) এ বলা হয়েছে, ব্যতিক্রম ব্যতীত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দোষী ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখতে হবে এবং তাঁদের মর্যাদা অনুযায়ী আলাদা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আদালত চলাকালীন একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং দোষী ব্যক্তিদের লোহার খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয় যা এই অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে কোনো বিধান নেই। তবে কারা আইন, ১৮৯৪-এর ৫৬ ধারা মতে জেলে বন্দী কয়েদিকে সরকারের অনুমোদনক্রমে লৌহ-শৃঙ্খলে আটক করে রাখার বিধান রয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দী করে অভিযুক্ত ব্যক্তির Presumption of innocence ভঙ্গ করা হচ্ছে। যা একই সাথে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তজার্তিক বিধিবিধানের পরিপন্থী।
উচ্চ আদালতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলায় হাইকোর্ট অভিযুক্তকে শুনানিকালে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচায় দাড় করানোকে রোমান দাসদের সাথে তুলনা করেছেন। ৭৫-পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান, সরকার উৎখাতের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারকার্যে গঠিত সামরিক আদালতের কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়। সামরিক আদালতে বিচারকার্য চলাকালে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের খালি পায়ে লোহার খাঁচায় করে এজলাসে উপস্থাপন করা হতো। রিট পিটিশন চলাকালে হাইকোর্ট বিভাগ মন্তব্য করে, ‘All the accused, including the Petitioner, was used to be brought in the so-called court room handcuffed and barefooted and was put inside a barbed cage as if they were roman slaves.’
নোটিশে আরও বলা হয়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান ও Principle of presumption of innocence এর পরিপন্থী। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচার অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
১২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়
১৩ ঘণ্টা আগে