আশিকুর রিমেল ও আজাদুল আদনান, ঢাকা

রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি। টিকা নেওয়ার দিন তাঁর কোনো উপসর্গ ছিল না, কেন্দ্র থেকেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়নি। তিনি নিজেও জানেন না করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হয়।
রেজা বলেন, ‘নিবন্ধনের কাগজ দেখাইলাম, স্বাক্ষর নিয়ে টিকার জন্য পাঠিয়ে দিল।’ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শরীরে করোনার জীবাণু থাকা অবস্থায় কেউ যদি টিকা নেয়, তাহলে ভাইরাসটির কার্যকারিতা তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। তাই, অবশ্যই করোনামুক্ত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হবে।
টিকা দেওয়ার সময় করোনা আক্রান্ত বা এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে না চাওয়ার বিষয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দেখা হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন কমিটিতে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি টিকা নিলে তাঁর শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অথবা টিকার কার্যকারিতাও হারাতে পারে।
করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় বা সেরে ওঠার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত করোনার টিকা নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য টিকার নিবন্ধনের সময় বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি ও উচ্চ রক্ষচাপের মতো রোগে আক্রান্ত কি না, সে তথ্যও নেওয়া হয়। এর বাইরে টিকা দেওয়ার সময়ও বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে টিকাদান কর্মীদের। কিন্তু টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
এই অবস্থায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ ওই সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে আরও শিথিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হতে পারে। কখনো কখনো ঝুঁকিতে পড়তে পারেন টিকাগ্রহীতা। ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। ওই দিন থেকে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে, করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি, তার আগে নয়। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিকে এসব তথ্য জানাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দেশনাও দেওয়া আছে। কিন্তু ৯০ শতাংশের বেশি কেন্দ্রে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই।
এ ছাড়া টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে কিডনি, হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ করোনায় আক্রান্ত কি না এবং হলে কবে হয়েছেন, সে বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। টিকা দেওয়ার সময় এসব বিষয়েও প্রায়ই জানতে চাওয়া হয় না। যারা টিকা নিচ্ছেন তাঁরাও খুব একটা সচেতন নন।
গত শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেন সৌদিপ্রবাসী মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনিও জানেন না টিকার নির্দেশনাটি। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে মাজহারুল জানান, পরীক্ষাই তো করা হয়নি। টিকা দেওয়ার সময়ও বুথ থেকে কেউ জানতে চায়নি।
একই চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। প্রতিদিন টিকা নিতে ভিড় বাড়তে থাকায় বিষয়টি আরও এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করেই বাড়ছে শঙ্কা।
ঢাকার বাইরেও রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, গোপালগঞ্জ, পাবনাসহ অনেক জেলায় একই চিত্র পাওয়া যায়। রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১৬টি বুথে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ টিকা নিতে আসেন। কিন্তু প্রায় কারও কাছ থেকেই টিকাগ্রহীতা করোনায় আক্রান্ত কি না, কিংবা হলেও কবে হয়েছিলেন, এসব তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘এত মানুষের চাপ থাকে যে সব সময় জিজ্ঞেস করা হয়ে ওঠে না।’ এমন বাস্তবতা যখন দৃশ্যমান তখন করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গ্রামাঞ্চলেও শুরু করতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষই এখনো নমুনা পরীক্ষার বাইরে। তাঁরা জানেনই না কোভিডে আক্রান্ত কি না।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি কারও মধ্যে সামান্য পরিমাণে লক্ষণ থাকে এবং তিনি টিকা নেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর শরীরে টিকার কার্যকারিতা কমে যাবে। করোনায় আক্রান্ত কিন্তু লক্ষণ ছিল না–এমন কিছু মানুষকেও আমরা ঢাকায় টিকা নিতে দেখেছি। গ্রামে এই ঝুঁকিটা আরও বেশি। তাই তাদের উচিত হবে লক্ষণ থাকা অবস্থায় টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকা।’
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত কোনো টিকাই শতভাগ কার্যকর নয়। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মত, যদি কোনো টিকা ৫০ ভাগের বেশি কার্যকরী হয়, তাহলে সেটি ব্যবহার করা যাবে। তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। চীনের সিনোফার্ম দেবে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মডার্না ৯৪ শতাংশ এবং ফাইজার দেবে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা।
এমতাবস্থায় টিকা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর অসচেতনতার কারণে গণটিকার সফলতার বড় অংশই পণ্ড হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে টিকা কেনা থেকে শুরু করে সংরক্ষণ, পরিবহনসহ যে ধরনের ব্যয় হচ্ছে, তা কিছুটা হলেও বৃথা যেতে পারে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেখানে জনে জনে জিজ্ঞাসা করা তো সম্ভব হবে না। তবে কারও যদি শারীরিক অবস্থা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে তিনি টিকা নিতে পারবেন কি না, তা যেন কেন্দ্রে এসে জেনে নেন।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাম পর্যায়ে যেহেতু টিকাদান শুরু হবে, সেখানে কেউ যাতে করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় টিকা না নেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। এ জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি ও স্বাস্থ্য সহকারীদের জানানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি। টিকা নেওয়ার দিন তাঁর কোনো উপসর্গ ছিল না, কেন্দ্র থেকেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়নি। তিনি নিজেও জানেন না করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হয়।
রেজা বলেন, ‘নিবন্ধনের কাগজ দেখাইলাম, স্বাক্ষর নিয়ে টিকার জন্য পাঠিয়ে দিল।’ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শরীরে করোনার জীবাণু থাকা অবস্থায় কেউ যদি টিকা নেয়, তাহলে ভাইরাসটির কার্যকারিতা তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। তাই, অবশ্যই করোনামুক্ত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হবে।
টিকা দেওয়ার সময় করোনা আক্রান্ত বা এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে না চাওয়ার বিষয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দেখা হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন কমিটিতে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি টিকা নিলে তাঁর শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অথবা টিকার কার্যকারিতাও হারাতে পারে।
করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় বা সেরে ওঠার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত করোনার টিকা নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য টিকার নিবন্ধনের সময় বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি ও উচ্চ রক্ষচাপের মতো রোগে আক্রান্ত কি না, সে তথ্যও নেওয়া হয়। এর বাইরে টিকা দেওয়ার সময়ও বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে টিকাদান কর্মীদের। কিন্তু টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
এই অবস্থায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ ওই সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে আরও শিথিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হতে পারে। কখনো কখনো ঝুঁকিতে পড়তে পারেন টিকাগ্রহীতা। ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। ওই দিন থেকে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে, করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি, তার আগে নয়। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিকে এসব তথ্য জানাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দেশনাও দেওয়া আছে। কিন্তু ৯০ শতাংশের বেশি কেন্দ্রে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই।
এ ছাড়া টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে কিডনি, হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ করোনায় আক্রান্ত কি না এবং হলে কবে হয়েছেন, সে বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। টিকা দেওয়ার সময় এসব বিষয়েও প্রায়ই জানতে চাওয়া হয় না। যারা টিকা নিচ্ছেন তাঁরাও খুব একটা সচেতন নন।
গত শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেন সৌদিপ্রবাসী মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনিও জানেন না টিকার নির্দেশনাটি। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে মাজহারুল জানান, পরীক্ষাই তো করা হয়নি। টিকা দেওয়ার সময়ও বুথ থেকে কেউ জানতে চায়নি।
একই চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। প্রতিদিন টিকা নিতে ভিড় বাড়তে থাকায় বিষয়টি আরও এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করেই বাড়ছে শঙ্কা।
ঢাকার বাইরেও রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, গোপালগঞ্জ, পাবনাসহ অনেক জেলায় একই চিত্র পাওয়া যায়। রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১৬টি বুথে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ টিকা নিতে আসেন। কিন্তু প্রায় কারও কাছ থেকেই টিকাগ্রহীতা করোনায় আক্রান্ত কি না, কিংবা হলেও কবে হয়েছিলেন, এসব তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘এত মানুষের চাপ থাকে যে সব সময় জিজ্ঞেস করা হয়ে ওঠে না।’ এমন বাস্তবতা যখন দৃশ্যমান তখন করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গ্রামাঞ্চলেও শুরু করতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষই এখনো নমুনা পরীক্ষার বাইরে। তাঁরা জানেনই না কোভিডে আক্রান্ত কি না।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি কারও মধ্যে সামান্য পরিমাণে লক্ষণ থাকে এবং তিনি টিকা নেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর শরীরে টিকার কার্যকারিতা কমে যাবে। করোনায় আক্রান্ত কিন্তু লক্ষণ ছিল না–এমন কিছু মানুষকেও আমরা ঢাকায় টিকা নিতে দেখেছি। গ্রামে এই ঝুঁকিটা আরও বেশি। তাই তাদের উচিত হবে লক্ষণ থাকা অবস্থায় টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকা।’
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত কোনো টিকাই শতভাগ কার্যকর নয়। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মত, যদি কোনো টিকা ৫০ ভাগের বেশি কার্যকরী হয়, তাহলে সেটি ব্যবহার করা যাবে। তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। চীনের সিনোফার্ম দেবে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মডার্না ৯৪ শতাংশ এবং ফাইজার দেবে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা।
এমতাবস্থায় টিকা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর অসচেতনতার কারণে গণটিকার সফলতার বড় অংশই পণ্ড হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে টিকা কেনা থেকে শুরু করে সংরক্ষণ, পরিবহনসহ যে ধরনের ব্যয় হচ্ছে, তা কিছুটা হলেও বৃথা যেতে পারে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেখানে জনে জনে জিজ্ঞাসা করা তো সম্ভব হবে না। তবে কারও যদি শারীরিক অবস্থা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে তিনি টিকা নিতে পারবেন কি না, তা যেন কেন্দ্রে এসে জেনে নেন।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাম পর্যায়ে যেহেতু টিকাদান শুরু হবে, সেখানে কেউ যাতে করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় টিকা না নেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। এ জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি ও স্বাস্থ্য সহকারীদের জানানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

আশিকুর রিমেল ও আজাদুল আদনান, ঢাকা

রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি। টিকা নেওয়ার দিন তাঁর কোনো উপসর্গ ছিল না, কেন্দ্র থেকেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়নি। তিনি নিজেও জানেন না করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হয়।
রেজা বলেন, ‘নিবন্ধনের কাগজ দেখাইলাম, স্বাক্ষর নিয়ে টিকার জন্য পাঠিয়ে দিল।’ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শরীরে করোনার জীবাণু থাকা অবস্থায় কেউ যদি টিকা নেয়, তাহলে ভাইরাসটির কার্যকারিতা তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। তাই, অবশ্যই করোনামুক্ত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হবে।
টিকা দেওয়ার সময় করোনা আক্রান্ত বা এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে না চাওয়ার বিষয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দেখা হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন কমিটিতে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি টিকা নিলে তাঁর শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অথবা টিকার কার্যকারিতাও হারাতে পারে।
করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় বা সেরে ওঠার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত করোনার টিকা নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য টিকার নিবন্ধনের সময় বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি ও উচ্চ রক্ষচাপের মতো রোগে আক্রান্ত কি না, সে তথ্যও নেওয়া হয়। এর বাইরে টিকা দেওয়ার সময়ও বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে টিকাদান কর্মীদের। কিন্তু টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
এই অবস্থায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ ওই সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে আরও শিথিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হতে পারে। কখনো কখনো ঝুঁকিতে পড়তে পারেন টিকাগ্রহীতা। ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। ওই দিন থেকে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে, করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি, তার আগে নয়। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিকে এসব তথ্য জানাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দেশনাও দেওয়া আছে। কিন্তু ৯০ শতাংশের বেশি কেন্দ্রে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই।
এ ছাড়া টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে কিডনি, হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ করোনায় আক্রান্ত কি না এবং হলে কবে হয়েছেন, সে বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। টিকা দেওয়ার সময় এসব বিষয়েও প্রায়ই জানতে চাওয়া হয় না। যারা টিকা নিচ্ছেন তাঁরাও খুব একটা সচেতন নন।
গত শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেন সৌদিপ্রবাসী মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনিও জানেন না টিকার নির্দেশনাটি। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে মাজহারুল জানান, পরীক্ষাই তো করা হয়নি। টিকা দেওয়ার সময়ও বুথ থেকে কেউ জানতে চায়নি।
একই চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। প্রতিদিন টিকা নিতে ভিড় বাড়তে থাকায় বিষয়টি আরও এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করেই বাড়ছে শঙ্কা।
ঢাকার বাইরেও রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, গোপালগঞ্জ, পাবনাসহ অনেক জেলায় একই চিত্র পাওয়া যায়। রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১৬টি বুথে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ টিকা নিতে আসেন। কিন্তু প্রায় কারও কাছ থেকেই টিকাগ্রহীতা করোনায় আক্রান্ত কি না, কিংবা হলেও কবে হয়েছিলেন, এসব তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘এত মানুষের চাপ থাকে যে সব সময় জিজ্ঞেস করা হয়ে ওঠে না।’ এমন বাস্তবতা যখন দৃশ্যমান তখন করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গ্রামাঞ্চলেও শুরু করতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষই এখনো নমুনা পরীক্ষার বাইরে। তাঁরা জানেনই না কোভিডে আক্রান্ত কি না।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি কারও মধ্যে সামান্য পরিমাণে লক্ষণ থাকে এবং তিনি টিকা নেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর শরীরে টিকার কার্যকারিতা কমে যাবে। করোনায় আক্রান্ত কিন্তু লক্ষণ ছিল না–এমন কিছু মানুষকেও আমরা ঢাকায় টিকা নিতে দেখেছি। গ্রামে এই ঝুঁকিটা আরও বেশি। তাই তাদের উচিত হবে লক্ষণ থাকা অবস্থায় টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকা।’
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত কোনো টিকাই শতভাগ কার্যকর নয়। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মত, যদি কোনো টিকা ৫০ ভাগের বেশি কার্যকরী হয়, তাহলে সেটি ব্যবহার করা যাবে। তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। চীনের সিনোফার্ম দেবে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মডার্না ৯৪ শতাংশ এবং ফাইজার দেবে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা।
এমতাবস্থায় টিকা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর অসচেতনতার কারণে গণটিকার সফলতার বড় অংশই পণ্ড হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে টিকা কেনা থেকে শুরু করে সংরক্ষণ, পরিবহনসহ যে ধরনের ব্যয় হচ্ছে, তা কিছুটা হলেও বৃথা যেতে পারে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেখানে জনে জনে জিজ্ঞাসা করা তো সম্ভব হবে না। তবে কারও যদি শারীরিক অবস্থা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে তিনি টিকা নিতে পারবেন কি না, তা যেন কেন্দ্রে এসে জেনে নেন।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাম পর্যায়ে যেহেতু টিকাদান শুরু হবে, সেখানে কেউ যাতে করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় টিকা না নেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। এ জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি ও স্বাস্থ্য সহকারীদের জানানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি। টিকা নেওয়ার দিন তাঁর কোনো উপসর্গ ছিল না, কেন্দ্র থেকেও বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়নি। তিনি নিজেও জানেন না করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হয়।
রেজা বলেন, ‘নিবন্ধনের কাগজ দেখাইলাম, স্বাক্ষর নিয়ে টিকার জন্য পাঠিয়ে দিল।’ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, শরীরে করোনার জীবাণু থাকা অবস্থায় কেউ যদি টিকা নেয়, তাহলে ভাইরাসটির কার্যকারিতা তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। তাই, অবশ্যই করোনামুক্ত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে হবে।
টিকা দেওয়ার সময় করোনা আক্রান্ত বা এ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে না চাওয়ার বিষয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি দেখা হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন কমিটিতে আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি টিকা নিলে তাঁর শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অথবা টিকার কার্যকারিতাও হারাতে পারে।
করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় বা সেরে ওঠার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত করোনার টিকা নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য টিকার নিবন্ধনের সময় বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি ও উচ্চ রক্ষচাপের মতো রোগে আক্রান্ত কি না, সে তথ্যও নেওয়া হয়। এর বাইরে টিকা দেওয়ার সময়ও বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে টিকাদান কর্মীদের। কিন্তু টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না।
এই অবস্থায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ ওই সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে আরও শিথিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হতে পারে। কখনো কখনো ঝুঁকিতে পড়তে পারেন টিকাগ্রহীতা। ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। ওই দিন থেকে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে, করোনামুক্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পর টিকা নিতে পারবেন আক্রান্ত ব্যক্তি, তার আগে নয়। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিকে এসব তথ্য জানাতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দেশনাও দেওয়া আছে। কিন্তু ৯০ শতাংশের বেশি কেন্দ্রে সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই।
এ ছাড়া টিকার নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে কিডনি, হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ করোনায় আক্রান্ত কি না এবং হলে কবে হয়েছেন, সে বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। টিকা দেওয়ার সময় এসব বিষয়েও প্রায়ই জানতে চাওয়া হয় না। যারা টিকা নিচ্ছেন তাঁরাও খুব একটা সচেতন নন।
গত শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেন সৌদিপ্রবাসী মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনিও জানেন না টিকার নির্দেশনাটি। করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে মাজহারুল জানান, পরীক্ষাই তো করা হয়নি। টিকা দেওয়ার সময়ও বুথ থেকে কেউ জানতে চায়নি।
একই চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। প্রতিদিন টিকা নিতে ভিড় বাড়তে থাকায় বিষয়টি আরও এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করেই বাড়ছে শঙ্কা।
ঢাকার বাইরেও রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, গোপালগঞ্জ, পাবনাসহ অনেক জেলায় একই চিত্র পাওয়া যায়। রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ১৬টি বুথে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ টিকা নিতে আসেন। কিন্তু প্রায় কারও কাছ থেকেই টিকাগ্রহীতা করোনায় আক্রান্ত কি না, কিংবা হলেও কবে হয়েছিলেন, এসব তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের নার্স ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘এত মানুষের চাপ থাকে যে সব সময় জিজ্ঞেস করা হয়ে ওঠে না।’ এমন বাস্তবতা যখন দৃশ্যমান তখন করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গ্রামাঞ্চলেও শুরু করতে যাচ্ছে গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষই এখনো নমুনা পরীক্ষার বাইরে। তাঁরা জানেনই না কোভিডে আক্রান্ত কি না।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যদি কারও মধ্যে সামান্য পরিমাণে লক্ষণ থাকে এবং তিনি টিকা নেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর শরীরে টিকার কার্যকারিতা কমে যাবে। করোনায় আক্রান্ত কিন্তু লক্ষণ ছিল না–এমন কিছু মানুষকেও আমরা ঢাকায় টিকা নিতে দেখেছি। গ্রামে এই ঝুঁকিটা আরও বেশি। তাই তাদের উচিত হবে লক্ষণ থাকা অবস্থায় টিকা নেওয়া থেকে বিরত থাকা।’
এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত কোনো টিকাই শতভাগ কার্যকর নয়। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মত, যদি কোনো টিকা ৫০ ভাগের বেশি কার্যকরী হয়, তাহলে সেটি ব্যবহার করা যাবে। তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। চীনের সিনোফার্ম দেবে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, মডার্না ৯৪ শতাংশ এবং ফাইজার দেবে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা।
এমতাবস্থায় টিকা গ্রহণকারী ও প্রদানকারীর অসচেতনতার কারণে গণটিকার সফলতার বড় অংশই পণ্ড হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে টিকা কেনা থেকে শুরু করে সংরক্ষণ, পরিবহনসহ যে ধরনের ব্যয় হচ্ছে, তা কিছুটা হলেও বৃথা যেতে পারে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেখানে জনে জনে জিজ্ঞাসা করা তো সম্ভব হবে না। তবে কারও যদি শারীরিক অবস্থা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে তিনি টিকা নিতে পারবেন কি না, তা যেন কেন্দ্রে এসে জেনে নেন।
টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রাম পর্যায়ে যেহেতু টিকাদান শুরু হবে, সেখানে কেউ যাতে করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় টিকা না নেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে। এ জন্য মাইকিং করার পাশাপাশি ও স্বাস্থ্য সহকারীদের জানানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।


বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের সুবিধার জন্য জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ কমিটি বাতিল করে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১৫ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।

বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না। প্রকল্পের তহবিল থেকে কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হয় বলে এ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সূত্র বলেছে, প্রকল্প বন্ধ হলে বিআরটি কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন, বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের জন্য দ্রুতগতির গণপরিবহন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিশেষ বাস চলাচলের জন্য এই করিডরের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটির নির্মাণকাজের জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা ও যাত্রীদের এক যুগ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায়। কাজ শেষ না হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের করিডরের ধারণা বাতিল হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়ক সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বিআরটি কোম্পানি (পিএলসি) গঠিত হয়েছিল বিআরটি রুট পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রকল্প চালু না হলে কোম্পানির কাজও কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই কোম্পানির মূল দায়িত্বের মধ্যে ছিল বাস কেনা, বিআরটি পরিচালনার জন্য আইটিএস সরঞ্জাম কেনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ও সিগন্যাল সিস্টেম স্থাপন, বিদ্যমান বাস অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় এবং বিআরটি বাস অপারেটর নির্বাচন। কিন্তু গত ১২ বছরে এসব কাজের কোনোটিই সম্পন্ন করতে পারেনি কোম্পানিটি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও এখনো একটি বাসও কেনা যায়নি। বর্তমানে ঢাকা বিআরটি কোম্পানিতে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) নেতৃত্বে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নূরুল আমিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্প এগোবে কি না, সেটি আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। যদি প্রকল্প স্থগিত হয়, তাহলে সরকার আমাদের অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে পারে। তবে প্রকল্পের অর্থ থেকেই আমাদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো হতো। প্রকল্প বন্ধ হলে এই খাত থেকে অর্থ পাওয়া যাবে না, তখন কোম্পানির কার্যক্রম কীভাবে চলবে, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
প্রকল্প না এগোনোর সিদ্ধান্তের পর ঢাকা বিআরটি কোম্পানি বিআরটি প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক সংস্থা ডিটিসিএর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ডিটিসিএ সূত্র জানায়, প্রকল্প বন্ধ হলে কোম্পানিকে অন্য কোনো কাজে যুক্ত করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিটিসিএর ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ প্রকল্পে কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পে আমরা কোনো বাস কিনছি না এবং টিকিট কাউন্টারগুলোও চালু করছি না। প্রকল্পের রাস্তাটি এখন চার লেনের একটি সাধারণ সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে, যাতে অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে প্রকল্পের অবকাঠামো যেমন আছে, তেমনই থাকবে, কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ঢাকা বিআরটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। যদি কোম্পানি নিজেরা অন্য কোনো কাজে অংশ নিতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নতুন সরকার চাইলে বিআরটি সেবা চালু করতে পারবে। তাদের শুধু বাস কিনতে হবে ও টিকিট কাউন্টারগুলো চালু করতে হবে। তখন ঢাকা বিআরটি কোম্পানিকেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহৎ কাঠামোর অসমাপ্ত পরিসমাপ্তি
অসমাপ্ত এই প্রকল্পের আওতায় ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার করিডর নির্মাণ করা হয়েছে। এর ১৫ দশমিক ০৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসড়ক (এলিভেটেড) অংশ। রয়েছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে), দুটি টার্মিনাল (বিমানবন্দর ও গাজীপুরে), ছয়টি ফ্লাইওভার (বিমানবন্দর, জসীমউদ্দীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়), টঙ্গী সেতু ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। আটটি অ্যাকসেস রোড, প্রায় ৫৬ কিলোমিটার নর্দমা ও ২৪ কিলোমিটার ফুটপাত করা হয়েছে।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ করতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৯ সাল পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেটি অনুমোদন পায়নি। ফলে প্রকল্পটি এভাবেই শেষ করতে হচ্ছে। এখন ঠিকাদারের কিছু পাওনা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাব, ঠিকাদারি বিলম্ব ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব—এসব কারণে বিআরটি প্রকল্প সফল হয়নি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বিআরটি প্রকল্প একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহনব্যবস্থার ধারণা ছিল। সেটি বাতিল হলে পুরো পরিকল্পনাই অর্থহীন হয়ে যায়। এত বড় বিনিয়োগের পরও যদি প্রকল্পটি সেবা দিতে না পারে, তাহলে এটি হবে একধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ওয়েস্ট’। এখন জরুরি হলো ঢাকা বিআরটি কোম্পানির মানবসম্পদ ও সক্ষমতাকে অন্য পরিবহন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজে লাগানো, যেন রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পুরোপুরি ব্যর্থ না হয়।


রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি
০৪ আগস্ট ২০২১
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের সুবিধার জন্য জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ কমিটি বাতিল করে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিয়ে দ্রুত সনদের আদেশ জারি করা যায়, তা নিয়ে বেকায়দায় সরকার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করার কথা বলা হয়।
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। দলটির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন, রাষ্ট্রপতি নন।
তবে বিএনপি বলেছে, সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া গণভোট নিয়েও দলগুলোর মধ্য মতভেদ তীব্র হয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে। একই মত গণঅধিকার পরিষদেরও। তবে জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে।
সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব প্রসঙ্গ আসেনি, তা রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সময়স্বল্পতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ব্যাপক লোকবল নিয়োগ এবং একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত। একই আয়োজনে এবং একই ব্যয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠান করা বাঞ্ছনীয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘একপেশে’ও ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশমালাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে বিএনপি ‘একপেশে’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বললেও এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে দলটি। সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে এক মুহূর্ত দেরি করার পক্ষে নন জামায়াত নেতারা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কোনো সময় ক্ষেপণ না করে আজই (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
আদেশ জারিতে বিলম্ব হলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই এক রকম কথা বলছে, শুধু বিএনপি ভিন্ন কথা বলছে। তবে জাতীয় স্বার্থে সবার এক হওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন যেহেতু জাতীয় স্বার্থে একটা সনদ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে এখন সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বলছেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজনীতিতে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে চরম পর্যায়ে না গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা দরকার এবং সেটা খুব শিগগিরই।’
জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে এনসিপিও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অনৈক্য তৈরি করেছে বলে বিএনপির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এনসিপির নেতারা। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বিএনপির এই অবস্থান দ্বিচারিতা বলে মনে করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘তাঁদের এখন আর “না” বলার সুযোগ নেই। তাঁরা বিবাহে রাজি হয়েছেন, কাবিননামায় সই করেছেন। তাই “না” বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।’
বাস্তবায়ন আদেশ জারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে আলটিমেটাম দিলেও এনসিপি আপাতত কোনো আলটিমেটাম দেবে না। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখনই আমরা আলটিমেটাম দিতে চাই না, তবে আমরা চাই, অবিলম্বে এই আদেশ জারি হোক।’
বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের পক্ষে অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন আর গণভোট একই দিনে এইটা আমাদের প্রস্তাব ছিল না। এইটা কমিশনেরই প্রস্তাব ছিল। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। রাজি হওয়ার পরেও সরকার এখন জামায়াত ও এনসিপির চাওয়া অনুযায়ী গণভোট আগে করতে চাচ্ছে। নোট অব ডিসেন্ট বাদ রেখেই সনদ দিয়েছে।’
গণভোটের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিল্লি-হাসিনার পরামর্শে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। সেই মহল মনে করছে, গণভোটের নামে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন বলেন, ‘বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে খুশি করার যে চেষ্টা, তা বিপজ্জনক। গণভোটের বিষয়টা আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করি। আমরা মনে করি, নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়া উচিত।’
দলগুলোর এমন মতবিরোধ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে জুলাই সনদ কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে।’
এই বিরোধকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার তো প্রত্যেকটা জায়গায় রীতিমতো জাতিকে হতাশ করল। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে মন-কষাকষি হয়। সেখানে একটা দলের প্রতি কিংবা দলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ তো টের পাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তো ভালো নয়।’

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন কীভাবে বিষয়গুলো সামাল দিয়ে দ্রুত সনদের আদেশ জারি করা যায়, তা নিয়ে বেকায়দায় সরকার।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হবে, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।’
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গত মঙ্গলবার সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করার কথা বলা হয়।
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ দ্রুত জারির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। দলটির দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসই এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন, রাষ্ট্রপতি নন।
তবে বিএনপি বলেছে, সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নেই। এ ছাড়া গণভোট নিয়েও দলগুলোর মধ্য মতভেদ তীব্র হয়েছে। বিএনপি সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের পক্ষে। একই মত গণঅধিকার পরিষদেরও। তবে জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে।
সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে, তার উল্লেখ না রেখে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব প্রসঙ্গ আসেনি, তা রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে দলটির নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। সময়স্বল্পতা, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিপুল অঙ্কের ব্যয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ব্যাপক লোকবল নিয়োগ এবং একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো বিশাল আয়োজনের বিবেচনায় নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত। একই আয়োজনে এবং একই ব্যয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠান করা বাঞ্ছনীয়।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘একপেশে’ও ‘জবরদস্তিমূলক’ বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশমালাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে এই সকল সুপারিশ কেবল জাতিকে বিভক্ত করবে, ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। মনগড়া যেকোনো সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে দীর্ঘ মেয়াদে অকল্যাণ ডেকে নিয়ে আসতে পারে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে বিএনপি ‘একপেশে’ ও ‘চাপিয়ে দেওয়া’ বললেও এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছে দলটি। সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে এক মুহূর্ত দেরি করার পক্ষে নন জামায়াত নেতারা। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘কোনো সময় ক্ষেপণ না করে আজই (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
আদেশ জারিতে বিলম্ব হলে জামায়াত কী করবে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজকের (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যেই দেখি করবে কি না। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই এক রকম কথা বলছে, শুধু বিএনপি ভিন্ন কথা বলছে। তবে জাতীয় স্বার্থে সবার এক হওয়া উচিত। ঐকমত্য কমিশন যেহেতু জাতীয় স্বার্থে একটা সনদ করেছে, সেটি বাস্তবায়নে এখন সবার সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বলছেন, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে যে মতভেদ দেখা যাচ্ছে, এর ফলে রাজনীতিতে কিছুটা বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে চরম পর্যায়ে না গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসা দরকার এবং সেটা খুব শিগগিরই।’
জামায়াতের মতো সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত আদেশ জারির পক্ষে এনসিপিও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা মনে করি, সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে সরকারকে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অনৈক্য তৈরি করেছে বলে বিএনপির মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন এনসিপির নেতারা। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বিএনপির এই অবস্থান দ্বিচারিতা বলে মনে করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘তাঁদের এখন আর “না” বলার সুযোগ নেই। তাঁরা বিবাহে রাজি হয়েছেন, কাবিননামায় সই করেছেন। তাই “না” বলার কোনো সুযোগ নেই। তাঁদের ভেবেচিন্তে জুলাই সনদে সই করা উচিত ছিল।’
বাস্তবায়ন আদেশ জারিতে জামায়াতে ইসলামী সরকারকে আলটিমেটাম দিলেও এনসিপি আপাতত কোনো আলটিমেটাম দেবে না। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখনই আমরা আলটিমেটাম দিতে চাই না, তবে আমরা চাই, অবিলম্বে এই আদেশ জারি হোক।’
বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোটের পক্ষে অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নির্বাচন আর গণভোট একই দিনে এইটা আমাদের প্রস্তাব ছিল না। এইটা কমিশনেরই প্রস্তাব ছিল। আমরা তাতে রাজি হয়েছি। রাজি হওয়ার পরেও সরকার এখন জামায়াত ও এনসিপির চাওয়া অনুযায়ী গণভোট আগে করতে চাচ্ছে। নোট অব ডিসেন্ট বাদ রেখেই সনদ দিয়েছে।’
গণভোটের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন রাশেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দিল্লি-হাসিনার পরামর্শে, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে। সেই মহল মনে করছে, গণভোটের নামে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টির চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন বলেন, ‘বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে জামায়াত ও এনসিপিকে খুশি করার যে চেষ্টা, তা বিপজ্জনক। গণভোটের বিষয়টা আমরা অপ্রয়োজনীয় মনে করি। আমরা মনে করি, নির্বাচনের দিনে একই দিনে হওয়া উচিত।’
দলগুলোর এমন মতবিরোধ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কনটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে জুলাই সনদ কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে গণভোট কবে হবে।’
এই বিরোধকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতির অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সরকার তো প্রত্যেকটা জায়গায় রীতিমতো জাতিকে হতাশ করল। শেষ পর্যন্ত জুলাই সনদে মন-কষাকষি হয়। সেখানে একটা দলের প্রতি কিংবা দলের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে সাধারণ মানুষ তো টের পাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা তো ভালো নয়।’


রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি
০৪ আগস্ট ২০২১
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের সুবিধার জন্য জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ কমিটি বাতিল করে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল ইসি। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে।
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে—
আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ইগল, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খেজুরগাছ, গরুর গাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টেবিল, টেবিলঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন। ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়ালঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিকশা, লিচু, লাঙ্গল, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।
নতুন প্রতীক
উট, চিরুনি, টর্চ লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল, তালা, দোতলা বাস, পাগড়ি, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক।
বাদ পড়া প্রতীক
কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ, ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস, ফুলের টব।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা করেছিল ইসি। সংশোধিত তালিকায় ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে।
সংশোধিত তালিকায় যেসব প্রতীক রাখা হয়েছে—
আপেল, আনারস, আম, আলমারি, ইগল, উদীয়মান সূর্য, একতারা, কাঁচি, কবুতর, কলম, কলস, কলার ছড়ি, কাঁঠাল, কাপ-পিরিচ, কাস্তে, কেটলি, কুমির, কম্পিউটার, কুড়াল, কুলা, কুঁড়েঘর, কোদাল, খেজুরগাছ, গরুর গাড়ি, গাভি, গামছা, গোলাপ ফুল, ঘণ্টা, ঘুড়ি, ঘোড়া, চাকা, চাবি, চিংড়ি, চেয়ার, চশমা, ছড়ি, ছাতা, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টেবিল, টেবিলঘড়ি, ট্রাক, টেলিফোন, টেলিভিশন। ডাব, ঢেঁকি, তারা, থালা, দাঁড়িপাল্লা, দালান, দেয়ালঘড়ি, দোয়াত কলম, দোলনা, ধানের শীষ, নোঙর, নৌকা (স্থগিত), প্রজাপতি, ফুটবল, ফুলকপি, ফুলের মালা, বই, বক, বাঘ, বটগাছ, বাইসাইকেল, বালতি, বৈদ্যুতিক পাখা, মই, মগ, মাইক, মোটরগাড়ি (কার), মশাল, ময়ূর, মাছ, মাথাল, মিনার, মোমবাতি, মোবাইল ফোন, মোড়া, মোরগ, রকেট, রিকশা, লিচু, লাঙ্গল, সোনালি আঁশ, সেলাই মেশিন, সোফা, সিংহ, হরিণ, হাত (পাঞ্জা), হাতঘড়ি, হাতপাখা, হাঁস, হাতি, হাতুড়ি, হারিকেন, হুক্কা, হেলিকপ্টার।
নতুন প্রতীক
উট, চিরুনি, টর্চ লাইট, টেবিল ল্যাম্প, ট্রাক্টর, ড্রেসিং টেবিল, তালা, দোতলা বাস, পাগড়ি, পানির ট্যাব, পালকি, ফলের ঝুড়ি, বেবি টেক্সি, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, রেল ইঞ্জিন, শাপলা কলি, হ্যান্ডশেক।
বাদ পড়া প্রতীক
কলা, খাট, উটপাখি, চার্জার লাইট, টিফিন ক্যারিয়ার, তবলা, তরমুজ, ফ্রিজ, বাঁশি, বেঞ্চ, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস, ফুলের টব।


রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি
০৪ আগস্ট ২০২১
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের সুবিধার জন্য জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ কমিটি বাতিল করে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের সুবিধার জন্য জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ কমিটি বাতিল করে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব থেকে শুরু করে ওপরের স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলার বিষয়ে পরামর্শ দিতে গত ৮ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি গঠন করে সরকার। এরপর তিন দফায় এ কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির মতামত নিয়ে বদলি-পদায়নে বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় বদলি-পদায়নের জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও আটকে যায়। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রদবদল করতে পারে, সে জন্য এই কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি ও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি করে সরকার। এরপর গত ২১ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়।
সর্বশেষ জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল হলেও উপরোক্ত তিন কমিটি বাতিল করা হয়নি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের সুবিধার জন্য জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল করেছে সরকার। এ কমিটি বাতিল করে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব থেকে শুরু করে ওপরের স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলার বিষয়ে পরামর্শ দিতে গত ৮ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি গঠন করে সরকার। এরপর তিন দফায় এ কমিটিতে পরিবর্তন আনা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির মতামত নিয়ে বদলি-পদায়নে বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় বদলি-পদায়নের জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও আটকে যায়। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রদবদল করতে পারে, সে জন্য এই কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি ও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি করে সরকার। এরপর গত ২১ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়।
সর্বশেষ জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল হলেও উপরোক্ত তিন কমিটি বাতিল করা হয়নি।


রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে গত রোববার করোনার প্রথম ডোজের টিকা নেন ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম রেজা (৪৫)। টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সামান্য জ্বর ও ঠান্ডায় ভুগছিলেন তিনি। তবে তিন দিন পরই সেরে যাওয়ায় করোনার পরীক্ষা করাননি
০৪ আগস্ট ২০২১
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করার সরকারের সিদ্ধান্তে বিআরটি পরিচালনার জন্য গঠিত ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির (পিএলসি) ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি চালু না হলে কার্যত এই কোম্পানির কোনো কাজ থাকছে না।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে আদেশ জারি ও গণভোট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। গণভোটের সময় এবং আদেশ জারির এখতিয়ার প্রশ্নে আবারও বিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলো। দলগুলোর এমন অনৈক্য অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে প্রতীকের তালিকায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় বেগুন, বেলুন, খাটসহ ১৬টি প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাপলা কলি, পাগড়ি, পালকিসহ ২০টি প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে