
অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় কৃষক পর্যায় থেকে শুরু করে খুচরা পর্যন্ত সব বাজারে সবজির দাম চড়া।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কখনো খরা আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দফা সবজির চারা নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের বাড়তি খরচ।
যশোরে কিছু খেত এখনো তৈরি হচ্ছে
যশোরের সাতমাইল বারীনগরের হাট এ অঞ্চলে সবজির বড় বাজার। আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকেরা এই হাটে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। তাঁদেরই একজন সাতমাইল গ্রামের নুরনবী। গতকাল শনিবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে বেগুন, দেড় বিঘা জমিতে মুলা আর আধা বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। অত্যধিক বৃষ্টির (জুলাই মাসে) কারণে দুই দফা এই সবজির চারাগুলো রোপণ করা লেগেছে। প্রথম দফায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেগুন, ৬৫ শতাংশ মরিচগাছ এবং শতভাগ মুলাগাছ নষ্ট হয়ে যায়।’
নুরনবী জানান, বারবার সবজির চারা রোপণ করায় গাছ বড় হতে দেরি হয়েছে। ফলন আসতেও দেরি। গতকাল হাটের পাশাপাশি যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি, বারীনগর হৈবতপুর এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সবজির খেত। অনেক খেতে এখনো ফলন নেই। কিছু কিছু খেতে সবজি দেখা গেলেও সংখ্যায় কম। কিছু কিছু খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে কৃষককে।
হৈবতপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যে সময়ে জমিতে সবজি থাকার কথা, সেই সময়ে সবজির চাষ শুরু করছি। এত দিন বৃষ্টির কারণে আবাদ করতে পারিনি। দুই মাস ধরে জমি ফেলানো।’
পাশেই জুম্মন আলীর জমি। তিনি বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে মুলা লাগিয়েছি, প্রথমবার বীজ রোপণের সপ্তাহখানিক পর হাঁটুপানি জমে। এতে প্রথমবার সব মার। দ্বিতীয়বার লাগালাম, সেই বারও বৃষ্টি। পরে লাগানোর পর চারা বাঁচে। সেই মুলা অল্প অল্প করে বাজারে বিক্রি করতিছি।’
যশোর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যশোরের সাতমাইল-বারীনগর সবজি হাট। বর্তমানে প্রতিদিন হাট বসে। গতকাল বেলা ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ছয় থেকে সাতটি ট্রাকে সবজি ওঠানোর কাজে ব্যস্ত ব্যাপারী ও শ্রমিকেরা। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে এই সবজি পাঠানো হচ্ছে।
বারীনগর মোকামে খেতের সবজি বিক্রি করা ডহেরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোল্লা বলেন, বৃষ্টির কারণে এবার সবজির উৎপাদন কমে গেছে। তবে দাম বেশি পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
ওই বাজারের ব্যাপারী আতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। বছরের এ সময় প্রতি হাট থেকে ৫০-৬০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। আর এখন যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ ট্রাক সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, এ বছর অসময়ে অতিবৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজির উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমে গেছে। তাতে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। তবে দ্রুতই সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় জুলাই থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২৭৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত বছর ছিল ১৫৭০ মিলিমিটার।
খরা ও অতিবৃষ্টি দুটোতেই ভুগেছে বগুড়ার কৃষক
বগুড়ার মহাস্থান হাটে পাইকারি বাজারে কৃষক পটোল বিক্রি করছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই পটোল ওই হাটে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। আর ১০ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের রাজাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। শহরের অন্যান্য বাজারে পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বগুড়ার বৃহৎ পাইকারি সবজির বাজার মহাস্থান হাট ছাড়াও শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মহাস্থান হাটে মুলা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জের কিচক গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে তিনি মুলা বিক্রি করেছেন ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মণপ্রতি ২০০ টাকা।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, এবার ভাদ্র মাসে তাপমাত্রা বেশি এবং কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে আসতে দেরি হয়েছে। এ জন্য সবজির দাম বাজারে বেশি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদী।
পাবনার ঈশ্বরদীতেই শিম ১৩০ টাকা
উত্তরাঞ্চলের সবজির অন্যতম প্রসিদ্ধ মোকাম ও পাইকারি বাজার পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি সবজির আড়ত। এই আড়তে সবজি বিক্রি করতে এসেছেন ঈশ্বরদীর পাশের আটঘরিয়া উপজেলার মথুরানগর গ্রামের কৃষক সুলতান খাঁ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে থাকা এক আড়তদারের হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পর আড়তদার বলেন, ‘কাম হয়্যা গেছে, শিমের দাম তো এইমাত্র বাড়ি (বেড়ে) গেছে, ঢাকা থেকে আমাক এক মহাজন জানালি শিম এখন ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৩৫ টাকা কেজিতে কিনতে। সকালে আমরা ১৩০ টাকায় কিনছিলাম।’
কৃষক ও আড়তদারদের দাবি, বর্তমানে সবজির দাম বেড়েছে সরবরাহের ঘাটতি এবং অসময়ে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে। আড়তদারেরা জানান, এখন সবজির পুরো মৌসুম না হলেও প্রতিদিন মুলাডুলি মোকাম থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টন সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবজিখেত
দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার কুমিল্লার নিমসার। কিছুদিন আগে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি। আবাদ মিয়া, খলিলুর রহমান, বিল্লালসহ বিভিন্ন আড়তদার জানান, বন্যাসহ অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেশির বিপরীতে বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে সরবরাহ বাড়ছে, শিগগিরই দাম কমে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লার নিমসার পাইকারি বাজারে আমরা বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করি। গত দুই দিনে নিমসার বাজারে বিক্রির ভাউচার না দেওয়ায় তিনটি সবজি আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
বন্যায় ৬০ লাখ একরের শস্য নষ্ট হয়েছে: উপদেষ্টা
এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ‘বন্যার কারণে খাবারে ঘাটতি হয়েছে এটা সত্য ৷ আমি বেশ কিছু বন্যাদুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। এসব অঞ্চলে প্রায় ৬০ লক্ষ হেক্টর জমির শস্য নষ্ট হয়েছে। এই ঘাটতি রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব না হলেও আমরা দ্রুত জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ গতকাল পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ১১টি অত্যাধুনিক গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন জাহিদ হাসান, যশোর; গনেশ দাস, বগুড়া; দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা ও খোন্দকার মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী (পাবনা)]

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় কৃষক পর্যায় থেকে শুরু করে খুচরা পর্যন্ত সব বাজারে সবজির দাম চড়া।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কখনো খরা আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দফা সবজির চারা নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের বাড়তি খরচ।
যশোরে কিছু খেত এখনো তৈরি হচ্ছে
যশোরের সাতমাইল বারীনগরের হাট এ অঞ্চলে সবজির বড় বাজার। আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকেরা এই হাটে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। তাঁদেরই একজন সাতমাইল গ্রামের নুরনবী। গতকাল শনিবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে বেগুন, দেড় বিঘা জমিতে মুলা আর আধা বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। অত্যধিক বৃষ্টির (জুলাই মাসে) কারণে দুই দফা এই সবজির চারাগুলো রোপণ করা লেগেছে। প্রথম দফায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেগুন, ৬৫ শতাংশ মরিচগাছ এবং শতভাগ মুলাগাছ নষ্ট হয়ে যায়।’
নুরনবী জানান, বারবার সবজির চারা রোপণ করায় গাছ বড় হতে দেরি হয়েছে। ফলন আসতেও দেরি। গতকাল হাটের পাশাপাশি যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি, বারীনগর হৈবতপুর এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সবজির খেত। অনেক খেতে এখনো ফলন নেই। কিছু কিছু খেতে সবজি দেখা গেলেও সংখ্যায় কম। কিছু কিছু খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে কৃষককে।
হৈবতপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যে সময়ে জমিতে সবজি থাকার কথা, সেই সময়ে সবজির চাষ শুরু করছি। এত দিন বৃষ্টির কারণে আবাদ করতে পারিনি। দুই মাস ধরে জমি ফেলানো।’
পাশেই জুম্মন আলীর জমি। তিনি বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে মুলা লাগিয়েছি, প্রথমবার বীজ রোপণের সপ্তাহখানিক পর হাঁটুপানি জমে। এতে প্রথমবার সব মার। দ্বিতীয়বার লাগালাম, সেই বারও বৃষ্টি। পরে লাগানোর পর চারা বাঁচে। সেই মুলা অল্প অল্প করে বাজারে বিক্রি করতিছি।’
যশোর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যশোরের সাতমাইল-বারীনগর সবজি হাট। বর্তমানে প্রতিদিন হাট বসে। গতকাল বেলা ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ছয় থেকে সাতটি ট্রাকে সবজি ওঠানোর কাজে ব্যস্ত ব্যাপারী ও শ্রমিকেরা। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে এই সবজি পাঠানো হচ্ছে।
বারীনগর মোকামে খেতের সবজি বিক্রি করা ডহেরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোল্লা বলেন, বৃষ্টির কারণে এবার সবজির উৎপাদন কমে গেছে। তবে দাম বেশি পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
ওই বাজারের ব্যাপারী আতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। বছরের এ সময় প্রতি হাট থেকে ৫০-৬০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। আর এখন যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ ট্রাক সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, এ বছর অসময়ে অতিবৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজির উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমে গেছে। তাতে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। তবে দ্রুতই সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় জুলাই থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২৭৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত বছর ছিল ১৫৭০ মিলিমিটার।
খরা ও অতিবৃষ্টি দুটোতেই ভুগেছে বগুড়ার কৃষক
বগুড়ার মহাস্থান হাটে পাইকারি বাজারে কৃষক পটোল বিক্রি করছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই পটোল ওই হাটে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। আর ১০ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের রাজাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। শহরের অন্যান্য বাজারে পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বগুড়ার বৃহৎ পাইকারি সবজির বাজার মহাস্থান হাট ছাড়াও শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মহাস্থান হাটে মুলা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জের কিচক গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে তিনি মুলা বিক্রি করেছেন ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মণপ্রতি ২০০ টাকা।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, এবার ভাদ্র মাসে তাপমাত্রা বেশি এবং কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে আসতে দেরি হয়েছে। এ জন্য সবজির দাম বাজারে বেশি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদী।
পাবনার ঈশ্বরদীতেই শিম ১৩০ টাকা
উত্তরাঞ্চলের সবজির অন্যতম প্রসিদ্ধ মোকাম ও পাইকারি বাজার পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি সবজির আড়ত। এই আড়তে সবজি বিক্রি করতে এসেছেন ঈশ্বরদীর পাশের আটঘরিয়া উপজেলার মথুরানগর গ্রামের কৃষক সুলতান খাঁ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে থাকা এক আড়তদারের হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পর আড়তদার বলেন, ‘কাম হয়্যা গেছে, শিমের দাম তো এইমাত্র বাড়ি (বেড়ে) গেছে, ঢাকা থেকে আমাক এক মহাজন জানালি শিম এখন ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৩৫ টাকা কেজিতে কিনতে। সকালে আমরা ১৩০ টাকায় কিনছিলাম।’
কৃষক ও আড়তদারদের দাবি, বর্তমানে সবজির দাম বেড়েছে সরবরাহের ঘাটতি এবং অসময়ে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে। আড়তদারেরা জানান, এখন সবজির পুরো মৌসুম না হলেও প্রতিদিন মুলাডুলি মোকাম থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টন সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবজিখেত
দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার কুমিল্লার নিমসার। কিছুদিন আগে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি। আবাদ মিয়া, খলিলুর রহমান, বিল্লালসহ বিভিন্ন আড়তদার জানান, বন্যাসহ অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেশির বিপরীতে বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে সরবরাহ বাড়ছে, শিগগিরই দাম কমে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লার নিমসার পাইকারি বাজারে আমরা বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করি। গত দুই দিনে নিমসার বাজারে বিক্রির ভাউচার না দেওয়ায় তিনটি সবজি আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
বন্যায় ৬০ লাখ একরের শস্য নষ্ট হয়েছে: উপদেষ্টা
এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ‘বন্যার কারণে খাবারে ঘাটতি হয়েছে এটা সত্য ৷ আমি বেশ কিছু বন্যাদুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। এসব অঞ্চলে প্রায় ৬০ লক্ষ হেক্টর জমির শস্য নষ্ট হয়েছে। এই ঘাটতি রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব না হলেও আমরা দ্রুত জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ গতকাল পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ১১টি অত্যাধুনিক গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন জাহিদ হাসান, যশোর; গনেশ দাস, বগুড়া; দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা ও খোন্দকার মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী (পাবনা)]

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় কৃষক পর্যায় থেকে শুরু করে খুচরা পর্যন্ত সব বাজারে সবজির দাম চড়া।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কখনো খরা আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দফা সবজির চারা নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের বাড়তি খরচ।
যশোরে কিছু খেত এখনো তৈরি হচ্ছে
যশোরের সাতমাইল বারীনগরের হাট এ অঞ্চলে সবজির বড় বাজার। আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকেরা এই হাটে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। তাঁদেরই একজন সাতমাইল গ্রামের নুরনবী। গতকাল শনিবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে বেগুন, দেড় বিঘা জমিতে মুলা আর আধা বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। অত্যধিক বৃষ্টির (জুলাই মাসে) কারণে দুই দফা এই সবজির চারাগুলো রোপণ করা লেগেছে। প্রথম দফায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেগুন, ৬৫ শতাংশ মরিচগাছ এবং শতভাগ মুলাগাছ নষ্ট হয়ে যায়।’
নুরনবী জানান, বারবার সবজির চারা রোপণ করায় গাছ বড় হতে দেরি হয়েছে। ফলন আসতেও দেরি। গতকাল হাটের পাশাপাশি যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি, বারীনগর হৈবতপুর এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সবজির খেত। অনেক খেতে এখনো ফলন নেই। কিছু কিছু খেতে সবজি দেখা গেলেও সংখ্যায় কম। কিছু কিছু খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে কৃষককে।
হৈবতপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যে সময়ে জমিতে সবজি থাকার কথা, সেই সময়ে সবজির চাষ শুরু করছি। এত দিন বৃষ্টির কারণে আবাদ করতে পারিনি। দুই মাস ধরে জমি ফেলানো।’
পাশেই জুম্মন আলীর জমি। তিনি বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে মুলা লাগিয়েছি, প্রথমবার বীজ রোপণের সপ্তাহখানিক পর হাঁটুপানি জমে। এতে প্রথমবার সব মার। দ্বিতীয়বার লাগালাম, সেই বারও বৃষ্টি। পরে লাগানোর পর চারা বাঁচে। সেই মুলা অল্প অল্প করে বাজারে বিক্রি করতিছি।’
যশোর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যশোরের সাতমাইল-বারীনগর সবজি হাট। বর্তমানে প্রতিদিন হাট বসে। গতকাল বেলা ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ছয় থেকে সাতটি ট্রাকে সবজি ওঠানোর কাজে ব্যস্ত ব্যাপারী ও শ্রমিকেরা। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে এই সবজি পাঠানো হচ্ছে।
বারীনগর মোকামে খেতের সবজি বিক্রি করা ডহেরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোল্লা বলেন, বৃষ্টির কারণে এবার সবজির উৎপাদন কমে গেছে। তবে দাম বেশি পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
ওই বাজারের ব্যাপারী আতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। বছরের এ সময় প্রতি হাট থেকে ৫০-৬০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। আর এখন যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ ট্রাক সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, এ বছর অসময়ে অতিবৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজির উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমে গেছে। তাতে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। তবে দ্রুতই সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় জুলাই থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২৭৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত বছর ছিল ১৫৭০ মিলিমিটার।
খরা ও অতিবৃষ্টি দুটোতেই ভুগেছে বগুড়ার কৃষক
বগুড়ার মহাস্থান হাটে পাইকারি বাজারে কৃষক পটোল বিক্রি করছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই পটোল ওই হাটে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। আর ১০ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের রাজাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। শহরের অন্যান্য বাজারে পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বগুড়ার বৃহৎ পাইকারি সবজির বাজার মহাস্থান হাট ছাড়াও শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মহাস্থান হাটে মুলা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জের কিচক গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে তিনি মুলা বিক্রি করেছেন ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মণপ্রতি ২০০ টাকা।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, এবার ভাদ্র মাসে তাপমাত্রা বেশি এবং কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে আসতে দেরি হয়েছে। এ জন্য সবজির দাম বাজারে বেশি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদী।
পাবনার ঈশ্বরদীতেই শিম ১৩০ টাকা
উত্তরাঞ্চলের সবজির অন্যতম প্রসিদ্ধ মোকাম ও পাইকারি বাজার পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি সবজির আড়ত। এই আড়তে সবজি বিক্রি করতে এসেছেন ঈশ্বরদীর পাশের আটঘরিয়া উপজেলার মথুরানগর গ্রামের কৃষক সুলতান খাঁ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে থাকা এক আড়তদারের হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পর আড়তদার বলেন, ‘কাম হয়্যা গেছে, শিমের দাম তো এইমাত্র বাড়ি (বেড়ে) গেছে, ঢাকা থেকে আমাক এক মহাজন জানালি শিম এখন ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৩৫ টাকা কেজিতে কিনতে। সকালে আমরা ১৩০ টাকায় কিনছিলাম।’
কৃষক ও আড়তদারদের দাবি, বর্তমানে সবজির দাম বেড়েছে সরবরাহের ঘাটতি এবং অসময়ে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে। আড়তদারেরা জানান, এখন সবজির পুরো মৌসুম না হলেও প্রতিদিন মুলাডুলি মোকাম থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টন সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবজিখেত
দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার কুমিল্লার নিমসার। কিছুদিন আগে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি। আবাদ মিয়া, খলিলুর রহমান, বিল্লালসহ বিভিন্ন আড়তদার জানান, বন্যাসহ অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেশির বিপরীতে বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে সরবরাহ বাড়ছে, শিগগিরই দাম কমে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লার নিমসার পাইকারি বাজারে আমরা বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করি। গত দুই দিনে নিমসার বাজারে বিক্রির ভাউচার না দেওয়ায় তিনটি সবজি আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
বন্যায় ৬০ লাখ একরের শস্য নষ্ট হয়েছে: উপদেষ্টা
এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ‘বন্যার কারণে খাবারে ঘাটতি হয়েছে এটা সত্য ৷ আমি বেশ কিছু বন্যাদুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। এসব অঞ্চলে প্রায় ৬০ লক্ষ হেক্টর জমির শস্য নষ্ট হয়েছে। এই ঘাটতি রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব না হলেও আমরা দ্রুত জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ গতকাল পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ১১টি অত্যাধুনিক গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন জাহিদ হাসান, যশোর; গনেশ দাস, বগুড়া; দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা ও খোন্দকার মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী (পাবনা)]

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে। আর এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় কৃষক পর্যায় থেকে শুরু করে খুচরা পর্যন্ত সব বাজারে সবজির দাম চড়া।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কখনো খরা আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দফা সবজির চারা নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের বাড়তি খরচ।
যশোরে কিছু খেত এখনো তৈরি হচ্ছে
যশোরের সাতমাইল বারীনগরের হাট এ অঞ্চলে সবজির বড় বাজার। আশপাশের কয়েক গ্রামের কৃষকেরা এই হাটে তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন। তাঁদেরই একজন সাতমাইল গ্রামের নুরনবী। গতকাল শনিবার কথা হয় তাঁর সঙ্গে। নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে বেগুন, দেড় বিঘা জমিতে মুলা আর আধা বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। অত্যধিক বৃষ্টির (জুলাই মাসে) কারণে দুই দফা এই সবজির চারাগুলো রোপণ করা লেগেছে। প্রথম দফায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেগুন, ৬৫ শতাংশ মরিচগাছ এবং শতভাগ মুলাগাছ নষ্ট হয়ে যায়।’
নুরনবী জানান, বারবার সবজির চারা রোপণ করায় গাছ বড় হতে দেরি হয়েছে। ফলন আসতেও দেরি। গতকাল হাটের পাশাপাশি যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি, বারীনগর হৈবতপুর এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সবজির খেত। অনেক খেতে এখনো ফলন নেই। কিছু কিছু খেতে সবজি দেখা গেলেও সংখ্যায় কম। কিছু কিছু খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে কৃষককে।
হৈবতপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যে সময়ে জমিতে সবজি থাকার কথা, সেই সময়ে সবজির চাষ শুরু করছি। এত দিন বৃষ্টির কারণে আবাদ করতে পারিনি। দুই মাস ধরে জমি ফেলানো।’
পাশেই জুম্মন আলীর জমি। তিনি বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে মুলা লাগিয়েছি, প্রথমবার বীজ রোপণের সপ্তাহখানিক পর হাঁটুপানি জমে। এতে প্রথমবার সব মার। দ্বিতীয়বার লাগালাম, সেই বারও বৃষ্টি। পরে লাগানোর পর চারা বাঁচে। সেই মুলা অল্প অল্প করে বাজারে বিক্রি করতিছি।’
যশোর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে যশোরের সাতমাইল-বারীনগর সবজি হাট। বর্তমানে প্রতিদিন হাট বসে। গতকাল বেলা ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ছয় থেকে সাতটি ট্রাকে সবজি ওঠানোর কাজে ব্যস্ত ব্যাপারী ও শ্রমিকেরা। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে এই সবজি পাঠানো হচ্ছে।
বারীনগর মোকামে খেতের সবজি বিক্রি করা ডহেরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মোল্লা বলেন, বৃষ্টির কারণে এবার সবজির উৎপাদন কমে গেছে। তবে দাম বেশি পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।
ওই বাজারের ব্যাপারী আতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। বছরের এ সময় প্রতি হাট থেকে ৫০-৬০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হতো। আর এখন যাচ্ছে ১০ থেকে ১২ ট্রাক সবজি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, এ বছর অসময়ে অতিবৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম সবজির উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমে গেছে। তাতে বাজারে সবজির দাম বাড়তি। তবে দ্রুতই সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় জুলাই থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২৭৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা গত বছর ছিল ১৫৭০ মিলিমিটার।
খরা ও অতিবৃষ্টি দুটোতেই ভুগেছে বগুড়ার কৃষক
বগুড়ার মহাস্থান হাটে পাইকারি বাজারে কৃষক পটোল বিক্রি করছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। সেই পটোল ওই হাটে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। আর ১০ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের রাজাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। শহরের অন্যান্য বাজারে পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বগুড়ার বৃহৎ পাইকারি সবজির বাজার মহাস্থান হাট ছাড়াও শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মহাস্থান হাটে মুলা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জের কিচক গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে তিনি মুলা বিক্রি করেছেন ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মণপ্রতি ২০০ টাকা।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, এবার ভাদ্র মাসে তাপমাত্রা বেশি এবং কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে আসতে দেরি হয়েছে। এ জন্য সবজির দাম বাজারে বেশি। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদী।
পাবনার ঈশ্বরদীতেই শিম ১৩০ টাকা
উত্তরাঞ্চলের সবজির অন্যতম প্রসিদ্ধ মোকাম ও পাইকারি বাজার পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি সবজির আড়ত। এই আড়তে সবজি বিক্রি করতে এসেছেন ঈশ্বরদীর পাশের আটঘরিয়া উপজেলার মথুরানগর গ্রামের কৃষক সুলতান খাঁ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে থাকা এক আড়তদারের হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পর আড়তদার বলেন, ‘কাম হয়্যা গেছে, শিমের দাম তো এইমাত্র বাড়ি (বেড়ে) গেছে, ঢাকা থেকে আমাক এক মহাজন জানালি শিম এখন ১৩০ টাকার পরিবর্তে ১৩৫ টাকা কেজিতে কিনতে। সকালে আমরা ১৩০ টাকায় কিনছিলাম।’
কৃষক ও আড়তদারদের দাবি, বর্তমানে সবজির দাম বেড়েছে সরবরাহের ঘাটতি এবং অসময়ে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে। আড়তদারেরা জানান, এখন সবজির পুরো মৌসুম না হলেও প্রতিদিন মুলাডুলি মোকাম থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টন সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবজিখেত
দেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার কুমিল্লার নিমসার। কিছুদিন আগে বন্যা ও বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি। আবাদ মিয়া, খলিলুর রহমান, বিল্লালসহ বিভিন্ন আড়তদার জানান, বন্যাসহ অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চাহিদা বেশির বিপরীতে বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে সরবরাহ বাড়ছে, শিগগিরই দাম কমে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘কুমিল্লার নিমসার পাইকারি বাজারে আমরা বিশেষ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করি। গত দুই দিনে নিমসার বাজারে বিক্রির ভাউচার না দেওয়ায় তিনটি সবজি আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
বন্যায় ৬০ লাখ একরের শস্য নষ্ট হয়েছে: উপদেষ্টা
এদিকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, ‘বন্যার কারণে খাবারে ঘাটতি হয়েছে এটা সত্য ৷ আমি বেশ কিছু বন্যাদুর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। এসব অঞ্চলে প্রায় ৬০ লক্ষ হেক্টর জমির শস্য নষ্ট হয়েছে। এই ঘাটতি রাতারাতি পূরণ করা সম্ভব না হলেও আমরা দ্রুত জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ গতকাল পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ১১টি অত্যাধুনিক গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন জাহিদ হাসান, যশোর; গনেশ দাস, বগুড়া; দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা ও খোন্দকার মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী (পাবনা)]

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে