নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনে কে আসবেন, কে আসবেন না, কে হয়েছেন, কে হননি—সেটা দেখার বিষয় নয়। দেখার বিষয় হলো আগামী নির্বাচনে কে নমিনেশন পাবেন, কোন দল থেকে সেটা। তা তো আমরা জানি না।’ আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ইসি মো. আলমগীর জানান, প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক সুবিধা, ভোটার ও স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য আমলে নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে যে তালিকা ছিল, সেটাই আমরা খসড়া হিসেবে প্রকাশ করেছিলাম। ২০১৪ সালে ৪০টি এবং ২০১৮ সালে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। এর আগে আরও বেশি ছিল। এসব পরিবর্তন করলে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যত পরিবর্তন কম করা যায়, এটা ছিল আমাদের টার্গেট।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আইনে যেহেতু বলা আছে খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সেটা করতে বাধ্য। এ জন্য খসড়া প্রকাশ করার পর আহ্বান করেছিলাম। এতে ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। আর ৬০টি আবেদন পড়েছিল পরিবর্তন না করার জন্য। কমিশন এরপর শুনানি দিয়েছে। সবার শুনানি, যত কথা ছিল, যত কাগজপত্র, ম্যাপ সব জমা দিয়েছে। একাধিক বৈঠকে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করেছি। আমরা চার দিন শুনানি নিয়েছিলাম।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকার ভোটার কী বলেন। ভোটারদের সবাইকে তো আর ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁরা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে এমপি মহোদয় আছেন তাঁদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। দেখা গেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো এমপি মহোদয় এক রকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন। আমরা দুটো ধৈর্যসহকারে শুনেছি এবং পর্যালোচনা করেছি।’
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি জানি মো. আলমগীর বলেন, ‘আমাদের আইনে আছে যে ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনো হয়নি। কেননা, জনসংখ্যা যদি আমরা আমলে নিতে যাই, তাহলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে। আমরা এটা করি না। সেই ভিত্তিতে আমরা পাঁচটা আসনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পাঁচটা আসনের কারণে বাকি পাঁচটাতে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের ইউনিয়নভিত্তিক ভৌগোলিক অখণ্ডতা আছে, তবে উপজেলাভিত্তিক নাই অনেকগুলো আসনে।’
আলমগীর বলেন, ‘এখন যদি এই ধরনের অখণ্ডতা করতে যাই, তাহলে প্রায় ২০০-এর মতো আসনে পরিবর্তন আনতে হবে। আর ইউনিয়নভিত্তিক দেখি, তাহলে আমাদের খুব একটা পরিবর্তন আনার দরকার হয় না। প্রত্যেকটা আসনে কে পক্ষে, কে বিপক্ষে বলে সব রেকর্ড করেছি। একেবারে আদালতের রায়ের মতো করে।’
কাউকে সুবিধা বা অসুবিধায় ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত কি না—জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে, সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।’
বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা দিতে এটা করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে আমরা চিনি না। কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখি না। যা হওয়ার শুনানি অনুযায়ী হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচনে কে আসবেন, কে আসবেন না, কে হয়েছেন, কে হননি—সেটা দেখার বিষয় নয়। দেখার বিষয় হলো আগামী নির্বাচনে কে নমিনেশন পাবেন, কোন দল থেকে সেটা। তা তো আমরা জানি না।’ আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ইসি মো. আলমগীর জানান, প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভৌগোলিক সুবিধা, ভোটার ও স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য আমলে নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে যে তালিকা ছিল, সেটাই আমরা খসড়া হিসেবে প্রকাশ করেছিলাম। ২০১৪ সালে ৪০টি এবং ২০১৮ সালে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। এর আগে আরও বেশি ছিল। এসব পরিবর্তন করলে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যত পরিবর্তন কম করা যায়, এটা ছিল আমাদের টার্গেট।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আইনে যেহেতু বলা আছে খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সেটা করতে বাধ্য। এ জন্য খসড়া প্রকাশ করার পর আহ্বান করেছিলাম। এতে ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। আর ৬০টি আবেদন পড়েছিল পরিবর্তন না করার জন্য। কমিশন এরপর শুনানি দিয়েছে। সবার শুনানি, যত কথা ছিল, যত কাগজপত্র, ম্যাপ সব জমা দিয়েছে। একাধিক বৈঠকে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করেছি। আমরা চার দিন শুনানি নিয়েছিলাম।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকার ভোটার কী বলেন। ভোটারদের সবাইকে তো আর ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁরা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে এমপি মহোদয় আছেন তাঁদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। দেখা গেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো এমপি মহোদয় এক রকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন। আমরা দুটো ধৈর্যসহকারে শুনেছি এবং পর্যালোচনা করেছি।’
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি জানি মো. আলমগীর বলেন, ‘আমাদের আইনে আছে যে ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনো হয়নি। কেননা, জনসংখ্যা যদি আমরা আমলে নিতে যাই, তাহলে অনেক জেলায় আসন আরও কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে। আমরা এটা করি না। সেই ভিত্তিতে আমরা পাঁচটা আসনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পাঁচটা আসনের কারণে বাকি পাঁচটাতে পরিবর্তন এসেছে। আমাদের ইউনিয়নভিত্তিক ভৌগোলিক অখণ্ডতা আছে, তবে উপজেলাভিত্তিক নাই অনেকগুলো আসনে।’
আলমগীর বলেন, ‘এখন যদি এই ধরনের অখণ্ডতা করতে যাই, তাহলে প্রায় ২০০-এর মতো আসনে পরিবর্তন আনতে হবে। আর ইউনিয়নভিত্তিক দেখি, তাহলে আমাদের খুব একটা পরিবর্তন আনার দরকার হয় না। প্রত্যেকটা আসনে কে পক্ষে, কে বিপক্ষে বলে সব রেকর্ড করেছি। একেবারে আদালতের রায়ের মতো করে।’
কাউকে সুবিধা বা অসুবিধায় ফেলার কোনো সিদ্ধান্ত কি না—জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে, সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।’
বিশেষ ব্যক্তিকে সুবিধা দিতে এটা করা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে আমরা চিনি না। কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখি না। যা হওয়ার শুনানি অনুযায়ী হয়েছে।’
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের ৩৮ ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪১ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ৩১৩ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেবিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাবিধান-সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি আজ বুধবার হাইকোর্টে শুরু হয়েছে। বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
২ ঘণ্টা আগেরোমান ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দোহা থেকে সরাসরি ইতালির রোমে যাবেন।
২ ঘণ্টা আগেএস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৪০৭ কোটি টাকা দামের ১৫৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
৩ ঘণ্টা আগে